সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ

সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন (তেলুগু ভাষায়: సర్వేపల్లి రాధాకృష్ణ; তামিল ভাষায়: சர்வேபள்ளி ராதாகிருஷ்ணன்), (৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭৫) স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন
సర్వేపల్లి రాధాకృష్ణ
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন
২য় ভারতের রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
১৩ মে, ১৯৬২  ১৩ মে, ১৯৬৭
পূর্বসূরীরাজেন্দ্র প্রসাদ
উত্তরসূরীজাকির হুসেন
ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
১৯৫২  ১৯৬২
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮
তিরুত্তানি,তামিলনাড়ু, দক্ষিণ ভারত
মৃত্যু১৭ই এপ্রিল, ১৯৭৫
চেন্নাই, ভারত
রাজনৈতিক দলস্বাধীন
সন্তানপাঁচ জন মেয়ে এবং এক জন ছেলে
পেশারাজনীতিবিদ, দার্শনিক ,অধ্যাপক
ধর্মহিন্দু

সাফল্য

সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন যে ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।আজ ৫ই সেপ্টেম্বর, ভারতে শিক্ষক দিবসরূপে ছিলেন হচ্ছে। সকল শিক্ষককে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

একজন আদর্শ শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ [৫ই সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ – ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭৫] আজকের দিনে তামিলনাডুর তিরুট্টানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি (১৯৫২-১৯৬২) এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি(১৯৬২-৬৭) ছিলেন।

একাধারে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক এই শান্ত মানুষটি ছাত্রজীবনে অতি মেধাবী ছিলেন। জীবনে কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি। বিভিন্ন বৃত্তির মাধ্যমে তার ছাত্র জীবন এগিয়ে চলে। ১৯০৫ সালে তিনি মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তার বিষয়টি ছিল ‘বেদান্ত দর্শনের বিমূর্ত পূর্বকল্পনা’(The Ethics of the Vedanta and its Metaphysical Presuppositions)।

তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা সচ্ছল ছিল না। দূর সম্পর্কের এক দাদার কাছ থেকে দর্শনের বই পান এবং তখনই ঠিক করেন তিনি দর্শন নিয়ে পড়বেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার জন্য তিনি "বেদান্ত দর্শনের বিমুর্ত পূর্বকল্পনা " (The Ethics of the Vedanta and its metaphysical Presuppositions) বিষয়ে একটি গবেষণা মূলক প্রবন্ধ লেখেন। তিনি ভেবেছিলেন তার  গবেষণামূলক প্রবন্ধ দর্শনের অধ্যাপক বাতিল করে দেবেন। কিন্তু অধ্যাপক অ্যালফ্রেড জর্জ হগ তার প্রবন্ধ পড়ে খুবই খুশি হন। এই প্রবন্ধ যখন ছাপানো হয় তখন রাধাকৃষ্ণাণ এর বয়স ২০ বছর।[1]

বিশ্বের দরবারে তিনি অতি জনপ্রিয় দার্শনিক অধ্যাপক হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। ১৯৩১ সালে তাকে British knighthood-এ সম্মানিত করা হয়। ১৯৫৪তে ভারতরত্ন উপাধি পান।

প্রথম জীবনে তিনি মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন (১৯১৮)। এসময় তিনি বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পত্রিকায় লিখতেন। সে সময়েই তিনি লেখেন তার প্রথম গ্রন্থ ‘The Philosophy of Rabindranath Tagore’। দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘The Reign of Religion in Contemporary Philosophy’প্রকাশিত হয় ১৯২০সালে। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন। দেশ–বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বারবার অধ্যাপনার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন ‘জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদ্‌যাপিত হয় তবে আমি বিশেষরূপে অনুগ্রহ লাভ করবো।’

শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য

শিক্ষক আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষক ছাড়া যোগ্য সমাজ ও উজ্জ্বল জীবন কল্পনাতীত। প্রতি বছর ৫ই সেপটেম্বর আমরা শিক্ষক দিবস পালন করি এবং আজকের দিনেই ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি একজন শিক্ষক ছিলেন। ১৯৬২ সালে ছাত্রদের অনুরোধে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন প্রথম শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠান পালন করার অনুপ্রেরণা দেন। তিনি ছিলেন একজন বিদ্বান ব্যক্তি ও উপদেষ্টা। ভারতবর্ষের সকল বিদ্যার্থী তাকে সম্মান জানানোর জন্য আজকের দিনে শিক্ষক দিবস পালন করে থাকে।[2]

== আরও দেখুন ==তখ‍্য জীবনের কম

তথ্যসূত্র

  1. Mandal, Amit। "[Teachers Day 2019] রাধাকৃষ্ণন এর জীবনী ও বাণী এবং শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা"আদি শিখা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-৩১
  2. M, Amit; al। "[Teachers Day 2019] রাধাকৃষ্ণন এর জীবনী ও বাণী এবং শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা"আদি শিখা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-৩১

তার ঘুম ভেঙ্গেছিল ১৯৭৪

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.