মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত

মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত অন্যনাম শ্রীম (জন্ম: ১৪ জুলাই ১৮৫৪ - মৃত্যু: ৪ জুন ১৯৩২) একজন জীবনীকার । তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত রচনা। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জীবনের শেষ চার বছরে পঞ্চাশটির মত দেখা সাক্ষাতের নিপুন বিবরণ তিনি যত্নসহকারে তার ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন। যা পরে বই আকারে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত নামে প্রকাশিত হয়ে অসাধারণ খ্যাতি এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সংসারে থেকেও শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বাণী প্রচার করে গেছেন।[1]

মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত, শ্রীরামকৃষ্ণের গৃহী শিষ্য ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত গ্রন্থের প্রণেতা

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত কলকাতার বিখ্যাত বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মধুসূদন গুপ্ত। তিনি হেয়ার স্কুল এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দ্বিতীয়, এফ.এ পরীক্ষায় পঞ্চম এবং বি.এ পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলেন।[1]

কর্মজীবন

তিনি যশোহরে নড়াইল স্কুলে, কলকাতার সিটি, রিপন, মেট্রোপলিটন, এরিয়ান, ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, মডেল প্রভৃতি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। রিপন, সিটি এবং মেট্রোপলিটন কলেজে তিনি ইংরেজি, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞানইতিহাস পড়াতেন। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে তিনি বিদ্যাসাগরের শ্যামপুকুর ব্রাঞ্চ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। জীবনের শেষ পাঁচ বছর ঝামাপুকুর মর্টন ইন্সটিটিউশন (বর্তমানে আমহার্স্ট স্ট্রীটের হিন্দু অ্যাকাডেমি) কিনে তার অধ্যক্ষ এবং পরিচালক হন। মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত মাস্টার মশায় নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সন্ন্যাসী শিষ্যদের কেউ কেউ তার শিষ্য এবং তার ছাত্ররা অনেকে পরে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সন্ন্যাসী হয়েছিলেন। অনেকে তাকে তাই ছেলে ধরা মাস্টার আখ্যা দিয়েছিলেন।[1]

তথ্যসূত্র

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৫৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.