ফ্রান্সিস আর্নল্ড

ফ্রান্সিস হ্যামিলটন আর্নল্ড (জন্ম ২৫ জুলাই ১৯৫৬) হচ্ছেন মার্কিন বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং নোবেল বিজয়ী[1] তিনি নির্দেশকমুলক বিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, যার মাধ্যমে উৎসেচক, বিপাকীয় পথ, জিনগত রেগুলেটরী সার্কিট এবং জীবের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্দেশকমুলক বিবর্তনে ভূমিকার জন্য তিনি ২০১৮ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিউট অব টেকনোলজিতে রসায়ন প্রকৌশল, জৈব প্রকৌশল ও জৈব রসায়নের অধ্যাপিকা।

ফ্রান্সিস এইচ. আর্নল্ড
জন্মফ্রান্সিস হ্যামিল্টন আর্নল্ড
(1956-07-25) ২৫ জুলাই ১৯৫৬
নাগরিকত্বযুক্তরাষ্ট্র
কর্মক্ষেত্ররাসায়নিক প্রকৌশলী
প্রতিষ্ঠানক্যালটেক
প্রাক্তন ছাত্রপ্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালটেক
পিএইচডি উপদেষ্টাহার্ভে ওয়ারেন ব্লাঞ্চ
উল্লেখযোগ্য ছাত্রবৃন্দক্রিস্টোফার ভইগট, হুইমিন ঝাও
উল্লেখযোগ্য
পুরস্কার
গার্ভান-অলিন পুরস্কার (২০০৫)
এফএএসইবি এক্সেলেন্স ইন সায়েন্স এওয়ার্ড (২০০৭)
ড্রাপার পুরস্কার (২০১১)
ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন (২০১৩)
র‍্যায়মন্ড এন্ড বেভারলি স্যাকলার পুরস্কার ইন কনভার্জেন্স রিসার্চ (২০১৭)
মিলেনিয়াম টেকনোলজি পুরস্কার
এনএই সদস্য
এনএএস মেম্বার
ফ্রেঞ্জ
রসায়নে নোবেল (২০১৮)

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা

Arnold was born to nuclear physicist William Howard Arnold and grew up in Edgewood, Pennsylvania, a small suburb of Pittsburgh. As a high schooler, she hitchhiked to Washington, D.C. to protest the Vietnam War and lived on her own working as a cocktail waitress at a local jazz club and a cab driver.[2]

আর্নল্ড যন্ত্রপ্রকৌশল এবং বিমান প্রকৌশলের উপর প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৮৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন প্রকৌশলের উপর পিএইচডি অর্জন করেন।[3] পড়াশুনা সম্পন্ন করার তিনি ইউসি বার্কলে এবং ক্যালটেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন।[4]

ব্যক্তিগত জীবন

আর্নল্ড ক্যালিফোর্নিয়ার লা কানাডাতে বাস করেন। তিনি জেমস ই. ব্যালিকে বিবাহ করেন এবং তাদের এক পুত্র সন্তান ছিল। পরবর্তীতে তিনি এন্ড্রু ই. লেঞ্জকে বিবাহ করেন এবং তাদের দুইজন পুত্র সন্তান ছিল। সন্তানদ্বয়ের নাম উইলিয়াম এবং জোসেফ।[5][6] তার ২০০৫ সালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয় এবং তিনি ক্যান্সার থেকে আরোগ্য লাভ করেন।[7]

পেশা

তার কাজ, তার গবেষণা বিভিন্ন পদকে সম্মানিত করা হয়েছে। যেমনঃ তিনি ২০১৮ তে পেয়েছেন রসায়নে নোবেল, ২০১১ তে ড্রাপার পুরস্কার এবং ২০১৩ তে ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন। তিনি ২০১১ তে আমেরিকান একাডেমী অব আর্টস এন্ড সায়েন্সে নির্বাচিত হন। আর্নল্ড যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ন্যাশনাল একাডেমীতে নির্বাচিত হওয়ার বিকল্প সম্মাননা অর্জন করেন[8] এক তিনটি জাতীয় একাডেমী হলো- ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স,ন্যাশনাল একাডেমী অব ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং ইন্সটিউট অব মেডিসিন। আর্নল্ড আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর দ্য এডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স, আমেরিকান একাডেমী অব আর্টস এন্ড সায়েন্স, আমেরিকান একাডেমী অব মাইক্রোবায়োলজি, আমেরিকান ইন্সটিউট ফর মেডিক্যাল এন্ড বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফেলো এবং তিনি যুক্তরাজ্যের রয়াল একাডেমী অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর আন্তর্জাতিক ফেলো

তিনি বর্তমানে কুইন এলিজাবেথ প্রাইজ ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিচারক। তিনি ন্যাশনাল একাডেনী অব সায়েন্সের বিজ্ঞান ও বিনোদন বিভাগকে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হলিউডের বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করতেন; যাতে করে চিত্রনাট্যকার সঠিক ভাবে বিজ্ঞানের বিষয়কে ফুটিয়ে তুলতে পারেন।[9]

২০১৬ তে নারী হিসেবে তিনি প্রথম মিলেনিয়াম টেকনোলজি পুরস্কার পান। তিনি নির্দেশনা মুলক বিবর্তনে অগ্রনী ভূমিকা রাখার জন্য এই পুরস্কার পান।[10] ২০১৭ সালে আর্নল্ড ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স কর্তৃক তার তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণার দরুণ র‍্যায়মণ্ড এন্ড বেভারলি স্যাকলাএ পুরস্কার পান।[11] ২০১৮ সালে নির্দেশিকামুলক বিবর্তনের উপর তার কাজের জন্য রসায়নে নোবেল অর্জন করেন।

তিনি অসংখ্য পেটেন্টের সহ আবিষ্কারক এবং ২০০৫ সালে জিভো, ইঙ্ক এর সহপ্রতিষ্ঠাতা।

পুরস্কার

  • রসায়নে নোবেল (২০১৮)
  • রয়াল একাডেমী অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফেলো (২০১৮)[12]
  • সোসাইটি অব উইম্যান ইঞ্জিনিয়ারস এওয়ার্ড (২০১৭) [13]
  • ডার্টমাউথ কলেজ (২০১৭) থেকে অনারারী ডক্টর অব সায়েন্স[14]
  • মিলেনিয়াম টেকনোলজি পুরস্কার (২০১৬)[15]

তথ্যসূত্র

  1. "The Nobel Prize in Chemistry 2018" (PDF)। The Royal Swedish Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩, ২০১৮
  2. Kharif, Olga (মার্চ ১৫, ২০১২)। "Frances Arnold's Directed Evolution"Bloomberg Businessweek। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১, ২০১২
  3. "Frances H. Arnold"NAE Website। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০৩
  4. "Interview with Frances H. Arnold — Design by Evolution :: ChemViews Magazine :: ChemistryViews"www.chemistryviews.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩, ২০১৮
  5. "Andrew E. Lange '80"। Princeton Alumni Weekly। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩, ২০১৮
  6. "Andrew Lange, Scholar of the Cosmos, Dies at 52"। NYT। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৩, ২০১৮
  7. Hamilton, Walter (জুলাই ৩, ২০১১)। "Frances Arnold: Career path of a Caltech scientist"Los Angeles Times। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১, ২০১২
  8. "Caltech Professor Frances H. Arnold Elected to the National Academy of Sciences"Caltech। মে ৫, ২০০৮। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৮
  9. "Frances Arnold's directed evolution"American Association for the Advancement of Science (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-০৩
  10. "Evolutionary engineer Frances Arnold wins €1m tech prize - BBC News"। Bbc.com। সংগ্রহের তারিখ মে ২৫, ২০১৬
  11. "2017 Raymond and Beverly Sackler Prize in Convergence Research"। National Academy of Sciencces। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৭
  12. "50 engineering leaders become Fellows of the Royal Academy of Engineering"। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
  13. "Pioneer of "Directed Evolution" Wins Lifetime Achievement Award | Caltech"The California Institute of Technology (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৭
  14. "Frances Arnold (Doctor of Science)"Dartmouth College। জুন ১১, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০১৭
  15. "Evolutionary engineer Francis Arnold wins €1m tech prize"। মে ২৫, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ মে ২৫, ২০১৬

বহিঃস্থ সংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.