দেবিদ্বার উপজেলা

দেবিদ্বার বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

দেবিদ্বার
উপজেলা
দেবিদ্বার
বাংলাদেশে দেবিদ্বার উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৫′৪৫″ উত্তর ৯০°৫৯′৩১″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাকুমিল্লা জেলা
আয়তন
  মোট২৩৯.১৪ কিমি (৯২.৩৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[1]
  মোট৪,২৭,৯১৩
  জনঘনত্ব১৮০০/কিমি (৪৬০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট৬৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ১৯ ৪০
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

দেবিদ্বার উপজেলার উত্তরে ও পশ্চিমে মুরাদনগর উপজেলা, দক্ষিণে চান্দিনা উপজেলা এবং পূর্বে বুড়িচং উপজেলাব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা অবস্থিত।

প্রশাসনিক এলাকা

দেবিদ্বার উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম দেবিদ্বার থানার আওতাধীন।

পৌরসভা:
ইউনিয়নসমূহ:

ইতিহাস

কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলা ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯১৭ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠিত বছরের ৩ মাস পর ২১ সেপ্টেম্বর গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেবিদ্বার থানার কার্যক্রম চালু হয়।

এ উপজেলার নামকরণ নিয়ে তিনটি ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার ভাটটুরিয়ার দেবীকোটের রাজ পরিবারের ভ্রাতৃকলহে বানরাজা এ অঞ্চলে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বানরাজা ‘দেবীকোট’ থেকে আসায় দেবীকোটের নামানুসারে কালক্রমে দেবীকোট থেকে আজকের দেবিদ্বারের নামকরণ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে ভিন্ন কথাও রয়েছে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে বৃটিশ শাসনামলে বৃটিশ ক্যাপ্টেন জন ডেভিড ত্রীপুরার চিতনা নামক স্থান থেকে একটি নৌবহর নিয়ে গোমতী নদী পথে ঢাকা যাওয়ার সময় বর্তমান দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়ি নামক স্থানে বানরাজার সৈন্যদের সাথে ক্যাপ্টেন ডেভিড তার সৈন্যদের নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এ যুদ্ধের নাম ডেভিড ওয়ার (ডেভিড যুদ্ধ) নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে ওই নামানুসারে ডেভিড ওয়ার থেকে আজকের দেবিদ্বার নামে পরিচিতি লাভ করে।

৩য় মতাদর্শীদের মতে যতদূর জানা যায় এ উপজেলা সদরে বহু দেব-দেবীর পূজা অর্চনা হতো। ফলশ্রম্নতিতে এ উপজেলার নামকরণ হয় দেবিদ্বার।

জনসংখ্যার উপাত্ত

শিক্ষা

দেবিদ্বার উপজেলায় শিক্ষার হার ৮৫%

শিশু শিক্ষার হার ১০০%

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর ‍উপস্থিতির হার ১০০%

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পাশের হার ৯৮%

জুনিয়র সার্টিফিকেট পরিক্ষার পাশের হার ৯৫%

এস.এস.সি পাশের হার ৯০%

এইচ এস সি পাশের হার ৭৫%

দেবিদ্বার উপজেলায় ১৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা আছে ৮০টি এবং ১১টি কলেজ রয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

অর্থনীতি

এই এলাকার অর্থনীতির প্রধান খাত হচ্ছে প্রবাসী দের পাঠানো রেমিটেন্স। এই এলাকার প্রায় প্রতি ঘর থেকে ২/৩ জন করে প্রবাসে আছে। কৃষি ও মৎস্য অন্যতম খাত। প্রভাতী ফিসারিজ বড়শালঘড়, দেবিদ্বার মৎস্য খামার সহ আরও অনেক মৎস্য খামার বিদ্যমান। কেবল বড়শালঘর ১ নম্বর বাস স্টেশন (সংচাইল) থেকে প্রতিদিন ৪০ টন মাছ সিলেট চট্রগ্রাম ও ঢাকায় পাঠানো হয়।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

  • মফিজ উদ্দিন আহমদ →সাবেক স্পিকার
  • অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ →প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ন্যাপ। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা।
  • এ এফ এম ফখরুল মুন্সী →রাজনীতিবিদ,জননেত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী
  • এ বি এম গোলাম মোস্তফা →সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক উপমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার
  • রাজী মোহাম্মদ ফখরুল মুন্সী →সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগব্যবস্থা মন্ত্রনালয়ের সদস্য
  • ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী →রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য।
  • সাংবাদিক- নাঈম খান।
  • মোনায়েম সরকার- বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, কলামিস্ট ও লেখক।
  • সার্জেন্ট অবঃআবুল কালাম- বিশিষ্ট সেনা ক্রীড়াবিদ।
  • কাজী জামাল হোসেন- সভাপতি,বোটানি সোসাইটি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ।

দর্শনীয় স্থান

  • দুয়ারিয়া আদি জামে মসজিদ
  • বনকোট মুন্সী বাড়ি(মিশনদের বাড়ি)
  • সমতটের রাজধানী বরকামতা
  • ওয়াহেদ পুরের দীঘি(ওয়াহেদ পুর)
  • গোমতী ব্রিজ (গোমতি বাঁধের উপর)
  • চাষাড়পার প্রজেক্ট
  • বাইতুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ
  • উটখাড়া মাজার
  • নূর মানিকচর জামে মসজিদ
  • বাঙ্গুঁরী বটগাছ

জনপ্রতিনিধি

সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[2] সংসদ সদস্য[3][4][5][6][7] রাজনৈতিক দল
২৫২ কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার উপজেলা রাজী মোহাম্মদ ফখরুল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

আরও দেখুন

তথ্য সূত্রঃ

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে দেবিদ্বার"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন, ২০১৫ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Election Commission Bangladesh - Home page"www.ecs.org.bd
  3. "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)ecs.gov.bdবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯
  4. "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  5. "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  6. "জয় পেলেন যারা"দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  7. "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.