চার্লস থমসন রিস উইলসন
চার্লস টমসন রেস উইলসন (সিএইচ) (ফেব্রুয়ারি ১৪, ১৮৬৯ – নভেম্বর ১৫, ১৯৫৯) ছিলেন প্রখ্যাত স্কটীয় পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি বাষ্পকে ঘনীভূত করার মাধ্যমে তড়িতাহিত বস্তুকণার গতিপথকে দৃশ্যমান করার পদ্ধতি আবিষ্কারের কারণে ১৯২৭ সালে বিজ্ঞানী আর্থার হোলি কম্পটন-এর সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
চার্লস টমসন রেস উইলসন | |
---|---|
![]() উইলসন ১৯২৭ | |
জন্ম | চার্লস থমসন রিস উইলসন ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৯ স্কটল্যান্ড |
মৃত্যু | ১৫ নভেম্বর ১৯৫৯ ৯০) এডিনবরা, স্কটল্যান্ড | (বয়স
জাতীয়তা | স্কটিশ |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠান | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
প্রাক্তন ছাত্র | ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
শিক্ষায়তনিক উপদেষ্টাবৃন্দ | জে জে টমসন |
পিএইচডি ছাত্ররা | সেসিল ফ্রাঙ্ক পাওয়েল |
পরিচিতির কারণ | Cloud chamber |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | Howard N. Potts Medal (1925)![]() ফ্রাঙ্কলিন পদক (১৯২৯) |
জীবনী
তিনি স্কটল্যান্ডের প্যারিশের অন্তর্ভুক্ত গ্লেনকোর্সের মিড্লোথিয়ানে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম জন উইলসন এবং মা অ্যানি ক্লার্ক হার্পার। ১৮৭৩ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের পরিবার ম্যানচেস্টারে চলে যায়। তিনি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েন্স কলেজে জীববিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেন এবং তার লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক হওয়া। এখানে পড়াশোনা শেষে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিডনি সাসেক্স কলেজে যান পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে তিনি পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নে আগ্রহী হয়ে উঠেন।[1]
তার আগ্রহের মূল বিষয় ছিল আবহ-বিজ্ঞান। ১৮৯৩ সালে তিনি মেঘ এবং এর বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। কিছুদিন বেন নেভিসের একটি মানমন্দিরে কাজ করতেন। এই মানমন্দিরে কাজ করার সময় তিনি মেঘের সংগঠন প্রক্রিয়ার উপর গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করতে সমর্থ হন। কেমব্রিজের গবেষণাগারে তিনি এই প্রক্রিয়াটির একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ পুনরুৎপাদনের চেষ্টা চালান। একটি আবদ্ধ ধারক পাত্রের মধ্যে আর্দ্র বায়ু প্রবেশ করিয়ে এই পরীক্ষণ চালানো হয়েছিল। মেঘের লেজুড় কিভাবে সৃষ্টি হয় তা নিয়েও তিনি একটি পরীক্ষণ পরিচালনা করেন। আয়ন এবং বিকিরণের মাধ্যমে মূলত এর সৃষ্টি ইন্ধন পায়। ১৯২৭ সালে মেঘ চেম্বার তৈরির জন্যই তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
১৯০৮ সালে তিনি জেসি ফ্রেসারকে বিয়ে করেন। ফ্রেসার ছিলেন গ্লাসগোর এক মন্ত্রীর মেয়ে। তাদের সংসারে চার সন্তানের জন্ম হয়েছিল। পরিবারে সাথে বসবাসের সময়ই তিনি এডিনবরায় মৃত্যুবরণ করেন।
চাঁদের পৃষ্ঠের একটি জ্বালামুখের নামকরণ করা হয়েছে তিনজন বিজ্ঞানীর নামানুসারে। জ্বালামুখটির নাম উইলসন জ্বালামুখ। বিজ্ঞানী তিনজন হলেন চার্লস টমসন রেস উইলসন, আলেকজান্ডার উইলসন এবং রাল্ফ এলমার উইলসন। সিডনি সাসেক্স কলেজের প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিষয়ক সমাজের নামকরণ করা হয়েছে উইলসন সোসাইটি।
তথ্যসূত্র
- "Wilson, Charles Thomson Rees (WL888CT)"। A Cambridge Alumni Database। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
- Asimov's Biographical Encyclopedia of Science and Technology, Isaac Asimov, 2nd ed., Doubleday & C., Inc., আইএসবিএন ০-৩৮৫-১৭৭৭১-২.