ইলিয়া ফ্রাংক
ইলিয়া মিখাইলোভিচ ফ্রাংক (রুশ ভাষা: Илья́ Миха́йлович Франк) (অক্টোবর ২৩, ১৯০৮ - জুন ২২, ১৯৯০) ছিলেন সোভিয়েত পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৫৮ সালে অপর দুজন রুশ পদার্থবিজ্ঞানী পাভেল আলেক্সেইয়েভিচ চেরেংকভ এবং ইগর ইয়েভ্গেনিয়েভিচ তামের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। চেরেংকভ বিকিরণ সংক্রান্ত ঘটনাসমূহ ব্যাখ্যা করার জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।
ইলিয়া ফ্রাংক | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ইলিয়া মিখাইলোভিচ ফ্রাংক ২৩ অক্টোবর ১৯০৮ সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়ান সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ২২ জুন ১৯৯০ ৮১) মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন | (বয়স
কর্মক্ষেত্র | নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠান | মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি |
প্রাক্তন ছাত্র | মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি |
পিএইচডি উপদেষ্টা | Sergey Ivanovich Vavilov |
পরিচিতির কারণ | Čerenkov radiation |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | Stalin Prize 1946, পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (1958) |
ফ্রাংক ১৯৩০ সালে মস্কো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ১৯৩৪ সালে তিনি আবিষ্কার করেন যে, পানির মধ্য দিয়ে অতি উচ্চ বেগে ভ্রমণকারী আয়নিত কণা আলো নিঃসরণ করে। ফ্রাংক এবং তাম এই ঘটনাটির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দাড় করান। তারা বলেন, একটি কণা যখন কোন আলোকীয়ভাবে স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে উক্ত মাধ্যমে আলোর বেগের চেয়ে বেশী বেগে ভ্রমণ করে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এই আবিষ্কারের ফলে উচ্চ গতির নিউক্লীয় কণাসমূহের গতি চিহ্নিতকরণ এবং পরিমাপের জন্য নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়। তাই কণা পদার্থবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট গবেষণার ইতিহাসে এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পেরেছিল।
এই আবিষ্কার ছাড়াও ফ্রাংক চেরেংকভ ও তামের সাথে মিলে ইলেকট্রন বিকিরণ সংক্রান্ত গবেষণায় অংশ নেন। এছাড়াও গামা রশ্মি এবং নিউট্রন রশ্মি বিষয়ক গবেষণায়ও তিনি বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ১৯৪৪ সালে তিনি মস্কো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। আর ১৯৪৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য নির্বাচিত হন।