জ্যাক স্টাইনবার্গার
জ্যাক স্টাইনবার্গার (ইংরেজি ভাষায়: Jack Steinberger) (জন্ম: ২৫শে মে, ১৯২১) জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। মিউওন নিউট্রিনো আবিষ্কারের জন্য ১৯৮৮ সালে লিয়ন ম্যাক্স লেডারম্যান এবং মেলভিন শোয়ার্জের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
জ্যাক স্টাইনবার্গার | |
---|---|
জ্যাক স্টাইনবার্গার | |
জন্ম | হ্যান্স জ্যাকব স্টাইনবার্গার মে ২৫, ১৯২১ Bad Kissingen |
জাতীয়তা | জার্মানি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সুইজারল্যান্ড |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠান | ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি সার্ন |
শিক্ষায়তনিক উপদেষ্টাবৃন্দ | এডওয়ার্ড টেলার এনরিকো ফের্মি |
উল্লেখযোগ্য ছাত্রবৃন্দ | Eric L. Schwartz |
পরিচিতির কারণ | Discovery of the muon neutrino |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ১৯৮৮ |
স্ত্রী/স্বামী | Cynthia Alff |
জীবন ও কর্ম
স্টাইনবার্গার ১৯৩৪ সালে জার্মানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়ে আসেন। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোতে পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন, এখান থেকেই ১৯৪৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন। আর ১৯৬৮ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত ইউরোপীয় বিজ্ঞান সংস্থা সার্নের বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৬০-এর দশকের প্রথম দিকে স্টাইনবার্গার তার দুই সহকর্মী লেডারম্যান ও শোয়ার্জের সাথে মিলঅএ ব্রুকহেভেন ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে নিউট্রিনো মিথস্ক্রিয় পরীক্ষার একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এই পদ্ধতিতে তারা এক নতুন ধরনের নিউট্রিনো আবিষ্কার করেন যার নাম মিউওন নিউট্রিনো। মূল পরিকল্পনা ছিল শোয়ার্জের। এই আবিষ্কারের জন্য তিন জনই নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। তারা যে উচ্চ শক্তির নিউট্রিনো রশ্মি তৈরি করেছিলেন তার ফলেই পরবর্তীকালে তেজস্ক্রিয়-ক্ষয় পদ্ধতি গবেষণার ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। এ আবিষ্কার না হলে, প্রকৃতির চারটি মৌলিক বলের অন্যতম দুর্বল নিউক্লীয় বল তথা দুর্বল মিথস্ক্রিয়া যে ধরনের ক্ষয়ের সাথে জড়িত তা নিয়ে গবেষণা করাই সম্ভব হতো না।
বহিঃসংযোগ
- Biography and Bibliographic Resources, from the Office of Scientific and Technical Information, United States Department of Energy
- Autobiography