ফ্রঁসোয়া অংল্যার

ফ্রঁসোয়া বারোঁ অংল্যার (ফরাসি: François Englert; জন্ম: ৬ নভেম্বর, ১৯৩২) ব্রাসেলসে জন্মগ্রহণকারী বেলজিয়ামের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী[1] তিনি পরিসংখ্যানগত পদার্থবিদ্যা, কোয়ান্টাম তত্ত্ব, সৃষ্টিতত্ত্ব, স্ট্রিং তত্ত্ব এবং অতিমহাকর্ষণ বিষয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।[2] ২০১৩ সালে ব্রিটিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ পিটার হিগসকে সাথে নিয়ে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

ফ্রঁসোয়া অংল্যার
জন্ম (1932-11-06) ৬ নভেম্বর ১৯৩২
ইটারবিক, ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
জাতীয়তাবেলজীয়
কর্মক্ষেত্রতাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান
প্রাক্তন ছাত্রইউনিভার্সিটি লিব্রে দ্য ব্রাকজেলেস
উল্লেখযোগ্য
পুরস্কার
ফ্রাঁসোই পুরস্কার (১৯৮২)
পদার্থবিজ্ঞানে ওল্ফ পুরস্কার (২০০৪)
সাকুরাই পুরস্কার (২০১০)
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (২০১৩)

প্রারম্ভিক জীবন

বেলজিয়ামের এক ইহুদি পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ফ্রঁসোয়া অংল্যার হলোকস্ট থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।[3] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জার্মান বাহিনী বেলজিয়াম অধিগ্রহণ করলে তিনি তার ইহুদি পরিচয় গোপন রাখেন। এরপর তিনি অনাথ ও শিশুদের বাসগৃহ হিসেবে বেলজিয়ামের বিভিন্ন শহরে অবস্থান করেন। অবশেষে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর মাধ্যমে অ্যানেভোই-রোইলন এলাকা থেকে মুক্তি পান।

কর্মজীবন

ইউনিভার্সিটি লিব্রে দ্য ব্রাকজেলেস থেকে ১৯৫৫ সালে তড়িৎ-যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। সেখান থেকেই ১৯৫৯ সালে প্রাকৃতিক পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে রবার্ট ব্রাউটের গবেষণা সহযোগী ও পরবর্তীকালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি লিব্রে দ্য ব্রাকজেলেসে ফিরে যান ও সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের চাকুরী লাভ করেন রবার্ট ব্রাউটের সুপারিশের মাধ্যমে। ১৯৮০ সালে অংল্যার তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার দলে সহ-প্রধানের দায়িত্ব পান।

১৯৯৮ সালে নিযুক্ত ইউনিভের্সিতে লিব্র দ্য ব্রুসেল-এর সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক অংল্যার সের্ভিস দ্য ফিজিক তেওরিক-এর সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও তিনি তেল-আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে পদার্থ ও বিশ্বতত্ত্ব বিদ্যালয়ে বিশেষ নিয়োগের মাধ্যমে অধ্যাপনা করেছেন।[4] ২০১১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ান্টাম স্টাডিজেরও সদস্যপদ লাভ করেন তিনি।

সম্মাননা

২০১০ সালে তাত্ত্বিক পরমাণু পদার্থবিদ্যায় গ্যারি গুরালনিক, সি. আর. হেগেন, টম কিবল, পিটার হিগস এবং রবার্ট ব্রাউটের সাথে তিনিও যৌথভাবে সাকুরাই পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০০৪ সালে ব্রাউট এবং হিগসকে সাথে নিয়ে পদার্থবিদ্যায় ওল্ফ পুরস্কার এবং ইউরোপীয় পদার্থবিজ্ঞান সমিতি কর্তৃক ব্রাউট এবং হিগসের সাথে যৌথভাবে পুরস্কৃত হন। পিটার হিগস ও সার্নের সাথে যৌথভাবে ২০১৩ সালে প্রিন্স অব অস্টারিয়াস পদক লাভ করেন। ৮ জুলাই, ২০১৩ তারিখে বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় আলবার্ট কর্তৃক রাজাজ্ঞাপত্রের মাধ্যমে তাকে ব্যারন উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

২০১৩ সালে পিটার হিগসের সাথে যৌথভাবে হিগস মেকানিজম উদ্ভাবন করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[5]

তথ্যসূত্র

  1. "CV"। Francquifoundation.be। ১৯৮২-০৪-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-০৮
  2. "Publication list" (PDF)। ৮ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৩
  3. http://collections.ushmm.org/search/catalog/vha42758
  4. School of Physics and Astronomy
  5. "The Nobel Prize in Physics 2013" (PDF) (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি) (English ভাষায়)। Royal Swedish Academy of Sciences। October 08, 2013। সংগ্রহের তারিখ October 08, 2013 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

পুরস্কার
পূর্বসূরী
সার্গে হারোচি
ডেভিড জে. ওয়াইনল্যান্ড
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী
২০১৩
সাথে: পিটার হিগস
দায়িত্ব/অবশ্য কর্তব্য
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.