স্টিভেন হকিং

স্টিফেন উইলিয়াম হকিং, সিএইচ, সিবিই, এফআরএস, পিএইচডি (ইংরেজি: Stephen William Hawking; ৮ জানুয়ারি, ১৯৪২ - ১৪ মার্চ ২০১৮) বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তাকে বিশ্বের সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম গণ্য করা হয়। হকিং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর থিওরেটিক্যাল কসমোলজির গবেষণা প্রধান ছিলেন। তিনি ১৯৭৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসীয় অধ্যাপক ছিলেন[14] এবং ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর এই পদ থেকে অবসর নেন।[15] এছাড়াও তিনি কেমব্রিজের গনভিল ও কেইয়ুস কলেজের ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।

অধ্যাপক স্টিফেন উইলিয়াম হকিং

CH CBE FRS FRSA
১৯৯৯ সালে স্টিফেন হকিং
জন্মস্টিফেন উইলিয়াম হকিং
(১৯৪২-০১-০৮)৮ জানুয়ারি ১৯৪২
অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু১৪ মার্চ ২০১৮(2018-03-14) (বয়স ৭৬)
ক্যামব্রিজ, যুক্তরাজ্য
কর্মক্ষেত্র
প্রতিষ্ঠান
শিক্ষাসেন্ট আলবান্স স্কুল
প্রাক্তন ছাত্রইউনিভার্সিটি কলেজ, অক্সফোর্ড (বিএ)
ট্রিনিটি হল, ক্যামব্রিজ (এমএ, পিএইচডি)
সন্দর্ভসমূহProperties of Expanding Universes (১৯৬৬)
পিএইচডি উপদেষ্টাডেনিস শিয়ামা[1]
অন্যান্য 
শিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা
রবার্ট বারমান[2]
পিএইচডি ছাত্ররা
  • ব্রুস অ্যালেন[1][3]
  • রাফায়েল বোসো[1][4]
  • বার্নার্ড কার[1][5]
  • ফে ডকার[1][6]
  • ক্রিস্তফ গালফার[7]
  • গ্যারি গিবন্স[1][8]
  • থমাস হার্টগ[1][9]
  • রেমন্ড লাফ্লেম[1][10]
  • ডন পেজ[1][11]
  • ম্যালকম পেরি[1][12]
  • য়ু চংচাও[1][13]
পরিচিতির কারণ
  • হকিং বিকিরণ
  • পেনরোজ-হকিং তত্ত্ব
  • বেকেনস্টাইন-হকিং সূত্র
  • হকিং শক্তি
  • গিবন্স–হকিং আনসাৎজ
  • গিবন্স–হকিং প্রভাব
  • গিবন্স–হকিং মহাশূন্য
  • গিবন্স–হকিং–ইয়র্ক বাউন্ডারি টার্ম
  • থর্ন–হকিং–প্রেস্কিল বাজি
কৃষ্ণবিবর
তত্ত্বীয় সৃষ্টিতত্ত্ব
কোয়ান্টাম মহাকর্ষ
উল্লেখযোগ্য
পুরস্কার
পূর্ণ তালিকা
স্ত্রী/স্বামী
  • জেন ওয়াইল্ড (বি. ১৯৬৫; বিচ্ছেদ. ১৯৯৫)
  • এলেন মেসন (বি. ১৯৯৫; বিচ্ছেদ. ২০০৬)
সন্তান(গণ)৩, লুসি হকিং সহ
স্বাক্ষর
ওয়েবসাইট
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের দুইটি অবদান সর্বত্র স্বীকৃত। প্রথম জীবনে সতীর্থ রজার পেনরোজের সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতায় সিংগুলারিটি সংক্রান্ত তত্ত্ব। হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব কৃষ্ণ বিবর-এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে কৃষ্ণ বিবর থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই বিকরণ এখন হকিং বিকিরণ (অথবা কখনো কখনো বেকেনস্টাইন-হকিং বিকিরণ) নামে অভিহিত।[16] তিনি রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের সম্মানীয় ফেলো[17] এবং পন্টিফিক্যাল একাডেমি অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য ছিলেন[18] এবং ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার, প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম, খেতাবে ভূষিত হন। ২০০২ সালে বিবিসির "সেরা ১০০ ব্রিটন্‌স" জরিপে তিনি ২৫তম স্থান অধিকার করেন। তার নিজের তত্ত্ব ও বিশ্বতত্ত্ব নিয়ে রচিত বই কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (আ ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম) দিয়ে তিনি বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করেন এবং বইটি রেকর্ড ভঙ্গ করা ২৩৭ সপ্তাহ ব্রিটিশ সানডে টাইমসের সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের তালিকায় ছিল।

শারীরিকভাবে ভীষণরকম অচল এবং এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা লাউ গেহরিগ নামক একপ্রকার মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্রমাগতভাবে সম্পূর্ণ অথর্বতার দিকে ধাবিত হন,[19][20] তবুও বহু বছর যাবৎ তিনি তার গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যান। বাকশক্তি হারিয়ে ফেলার পরও তিনি এক ধরনের শব্দ-উৎপাদনকারী যন্ত্রের সাহায্যে অপরের সাথে যোগাযোগ করতেন। তিনি ২০১৮ সালের ১৪ই মার্চ ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[21]

জীবনী

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা

জন্ম ও পরিবার

গ্যালিলিও গ্যালিলাই-এর মৃত্যুর ঠিক তিনশত বছর পরে, ১৯৪২ সালের ৮ই জানুয়ারি স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম,[22] অক্সফোর্ডে[23][24] হকিংয়ের বাবা ড. ফ্রাঙ্ক হকিং (১৯০৫-১৯৮৬) একজন জীববিজ্ঞান গবেষক ও মা ইসোবেল হকিং (জন্মনাম: ওয়াকার, ১৯১৫-২০১৩) একজন রাজনৈতিক কর্মী। তার মা ছিলেন স্কটিশ।[25] হকিংয়ের বাবা-মা উত্তর লন্ডনে থাকতেন। লন্ডনে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজছে, তখন একটি চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তার মা-বাবার পরিচয় হয়, সেখানে ইসোবেল মেডিক্যাল সহকারী হিসেবে এবং ফ্রাঙ্ক চিকিৎসা গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[24][26] হকিং গর্ভে আসার পর নিরাপত্তার খাতিরে তারা অক্সফোর্ডে চলে যান।[27] হকিংয়ের জন্মের পর তারা আবার লল্ডনে ফিরে আসেন। ফিলিপ্পা ও মেরি নামে হকিংয়ের দুই বোন রয়েছে। এছাড়া হকিং পরিবারে এডওয়ার্ড নামে এক পালকপুত্রও ছিল।[28][29]

হকিংয়ের বাবা-মা পূর্ব লন্ডনে বসাবস করলেও ইসোবেল গর্ভবতী থাকার সময় তারা অক্সফোর্ডে চলে যান। সে সময় জার্মানরা নিয়মিতভাবে লন্ডনে 'বোমাবর্ষণ' করতো। হকিংয়ের একটি প্রকাশনা থেকে জানা গেছে তাদের বসতবাড়ির কয়েকটি গলি পরেই জার্মানির ভি-২ মিসাইল আঘাত হানে।[30] স্টিভেনের জন্মের পর তারা আবার লন্ডনে ফিরে আসেন। সেখানে স্টিভেনের বাবা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিক্যাল রিসার্চের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।[29]

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা

লন্ডনের হাইগেটের বাইরন হাউজ স্কুলে হকিংয়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। তিনি পরবর্তীতে এই স্কুলে পড়াকালীন পড়তে না পারার জন্য স্কুলটির "অগ্রগামী শিক্ষা পদ্ধতি"কে দোষারোপ করেন।[31][32] ১৯৫০ হকিংদের পরিবার হার্টফোর্ডশায়ারের সেন্ট অ্যালবান্‌সে চলে যায়।[32][33] ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত হকিং কয়েক মাস সেন্ট অ্যালবান্‌সের মেয়েদের স্কুলে পড়েন। সে সময় ১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেরা মেয়েদের স্কুলে পড়তে পারতো।[34][35][36] পরে সেখান থেকে ছেলেদের স্কুলে চলে যান। স্কুলে তাঁর রেজাল্ট ভালো ছিল বটে তবে অসাধারণ ছিল না।[29]

হকিং হার্টফোর্ডশায়ারের র‍্যাডলেট গ্রামের স্বাধীন স্কুল, র‍্যাডলেট স্কুলে, এক বছর পড়াশুনা করেন,[35] এবং ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হার্টফোর্ডশায়ারের সেন্ট অ্যালবান্‌সের অপর একটি স্বাধীন স্কুল, সেন্ট অ্যালবান্‌স স্কুলে, পড়াশুনা করেন।[22][37] হকিংয়ের পরিবার শিক্ষায় গুরুত্ব দিতো।[32] হকিংয়ের বাবা চেয়েছিলেন তার পুত্র প্রখ্যাত ওয়েস্টমিনস্টার স্কুলে পড়াশুনা করুক, কিন্তু ১৩ বছর বয়সী হকিং বৃত্তি পরীক্ষার দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃত্তি ছাড়া তাঁর পরিবার ওয়েস্টমিনস্টারে তাঁর পড়াশুনার খরচ চালাতে পারবে না, তাই তিনি সেন্ট অ্যালবান্‌সে রয়ে যান।[38][39] এর একটি ইতিবাচক দিক ছিল হকিং তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে রয়ে যান এবং বোর্ড গেম খেলতেন, আতশবাজি প্রস্তুত করতেন, উড়োজাহাজ ও নৌকার মডেল তৈরি করতেন,[40] এবং খ্রিস্টান ধর্ম ও ইন্দ্রিয় বহির্ভূত অনুভূতি বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করতেন।[41] স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে গণিত শিক্ষক ডিকরান তাহতার অনুপ্রেরণার কথা হকিং পরবর্তী জীবনে স্মরণ করেন।[42] ১৯৫৮ সাল থেকে তাহতার সাহায্যে তারা ঘড়ির অংশবিশেষ, পুরনো টেলিফোনের সুইচবোর্ড, ও অন্যান্য রিসাইকেল করার উপাদান দিয়ে কম্পিউটার তৈরি করেন।[43][44] পরবর্তী সময়ে হকিং স্কুলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বজায় রাখেন। নিজের নামে স্কুলের চারটি হাউসের একটি ও সহপাঠের লেকচার সিরিজের নাম দেন। স্কুল ম্যাগাজিন “দি অ্যালবানিয়ান”-এ দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন।

স্কুলে তিনি "আইনস্টাইন" নামে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু শুরুর দিকে তার পরীক্ষার ফলাফল তেমন ভালো ছিল না।[45] বিজ্ঞানে হকিংয়ের সহজাত আগ্রহ ছিল।[29] হকিং তার শিক্ষক তাহতার অনুপ্রেরণায় বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিষয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন।[46][47] হকিংয়ের বাবার ইচ্ছে ছিল হকিং যেন তার মতো ডাক্তার হয়, কারণ গণিতে স্নাতকদের জন্য খুব বেশি চাকরির সুযোগ ছিল না।[48] এছাড়া তার পিতা তার নিজের কলেজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি করাতে চান, কিন্তু যেহেতু সেখানে গণিতের কোর্স পড়ানো হতো না, সেজন্য হকিং পদার্থবিজ্ঞানরসায়ন বিষয় নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার শিক্ষক তাকে পরের বছরের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, কিন্তু তিনি ১৯৫৯ সালের মার্চে পরীক্ষা দিয়ে বৃত্তি লাভ করেন।[49][50] সে সময়ে তার আগ্রহের বিষয় ছিল তাপগতিবিদ্যা, আপেক্ষিকতা এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা।

স্নাতক বছরসমূহ

হকিং ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে ১৭ বছর বয়সে[51] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তার স্নাতক পাঠগ্রহণ শুরু করেন।[22] প্রথম ১৮ মাস তিনি বিরক্ত ও একাকীত্ব বোধ করতেন, কারণ তার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ "হাস্যকর রকমের সহজ" মনে হতো।[52][53] তার পদার্থবিদ্যার শিক্ষক রবার্ট বারম্যান পরবর্তীতে বলেন, "তাঁর জন্য শুধু জানা দরকার ছিল কিছু করা যাবে, এবং তিনি নিজেই অন্যরা কীভাবে করছে তা না দেখেই করতে পারতো।"[2] বারম্যানের মতে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে তার মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেয় এবং তিনি "অন্য ছেলেদের মত" হওয়ার চেষ্টা করতেন। তিনি নিজেকে জনপ্রিয়, স্বতঃস্ফুর্ত, ও বুদ্ধিদীপ্ত হিসেবে গড়ে তুলেন এবং ধ্রুপদী সঙ্গীত ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।[51] তার এই পরিবর্তনের একটি অংশ ছিল কলেজের বোট ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বোট ক্লাবে, যোগদান করা।[54][55] রোয়িং কোচ লক্ষ্য করেন হকিং তার নিজের মধ্যে সাহসী প্রতিমূর্তি গড়ে তুলেছেন, এবং তার দলকে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেতৃত্ব দিতেন।[56][54]

স্নাতকোত্তর বছরসমূহ

কেমব্রিজে আসার পরপরই হকিং মটর নিউরন ডিজিজে আক্রান্ত হন। এ কারণে তার প্রায় সকল মাংসপেশি ধীরে ধীরে অবশ হয়ে আসে। কেমব্রিজে প্রথম দুই বছর তার কাজ তেমন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিল না। কিন্তু, রোগের প্রকোপ কিছুটা থামলে, হকিং তার সুপারভাইজার ডেনিশ উইলিয়াম শিয়ামার সাহায্য নিয়ে পিএইচডি অভিসন্দর্ভের কাজে এগিয়ে যান।[29]

কর্মজীবন

তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত স্টিভেন হকিং

তত্ত্বীয় কসমোলজি আর কোয়ান্টাম মধ্যাকর্ষ হকিংয়ের প্রধান গবেষণা ক্ষেত্র। ১৯৬০ এর দশকে ক্যামব্রিজের বন্ধু ও সহকর্মী রজার পেনরোজের সঙ্গে মিলে হকিং আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব থেকে একটি নতুন মডেল তৈরি করেন।[57] সেই মডেলের উপর ভিত্তি করে ১৯৭০ এর দশকে হকিং প্রথম তাদের (পেনরোজ-হকিং তত্ত্ব নামে পরিচিত) তত্ত্বের প্রথমটি প্রমাণ করেন। এই তত্ত্বগুলো প্রথমবারের মতো কোয়ান্টাম মহাকর্ষে এককত্বের পর্যাপ্ত শর্তসমূহ পূরণ করে। আগে যেমনটি ভাবা হতো এককত্ব কেবল একটি গাণিতিক বিষয়। এই তত্ত্বের পর প্রথম বোঝা গেল, এককত্বের বীজ লুকোনো ছিল আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বে।[58]

১৯৭৪ সালে হকিং রয়্যাল সোসাইটির অন্যতম কনিষ্ঠ ফেলো নির্বাচিত হন।

ব্যক্তিগত জীবন

বিবাহ

কেমব্রিজে হকিং যখন স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থী, তখন জেন ওয়াইল্ডের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেন ছিলেন তার বোনের বান্ধবী। ১৯৬৩ সালে হকিংয়ের মোটর নিউরন রোগের চিকিৎসার পূর্বে জেনের সাথে তার পরিচয় হয়। ১৯৬৪ সালের অক্টোবরে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়।[59][60] হকিং পরবর্তীতে বলেন এই বাগদান তাকে "বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা" যোগায়।[61] ১৯৬৫ সালের ১৪ই জুলাই তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[62]

বিবাহের প্রথম বছরে জেন লন্ডনে বসবাস করতেন এবং তার ডিগ্রি অর্জন করেন। তারা কনফারেন্স ও পদার্থবিজ্ঞান-বিষয়ক কাজের জন্য কয়েকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। ফলিত গণিত ও তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নিকটবর্তী স্থানে বাড়ি খুঁজে পেতে তাদের ঝামেলা পোহাতে হয়। জেন পিএইচডি শুরু করেন। তাদের পুত্র রবার্ট ১৯৬৭ সালের মে মাসে জন্মগ্রহণ করে।[63][64] তাদের কন্যা লুসি ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করে,[65] এবং তৃতীয় সন্তান টিমোথি ১৯৭৯ সালের এপ্রিল মাসে জন্মগ্রহণ করে।[66]

মৃত্যু

হকিং ২০১৮ সালের ১৪ই মার্চ কেমব্রিজে তার বাড়িতে মারা যান। তার সন্তানরা তাদের দুঃখ প্রকাশ করে এই মর্মে একটি বিবৃতি জারি করেছে।[67][68] তার মৃত্যুতে গনভিল অ্যান্ড কাইয়ুস কলেজের পতাকা অর্ধ-নমিত রাখা হয় এবং সেখানকার শিক্ষার্থী ও অতিথিরা শোক বইয়ে সাক্ষর করেন।[69][70]

তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩১শে মার্চ ক্যামব্রিজের গ্রেট সেন্ট ম্যারিস গির্জায়।[71][72] শেষকৃত্যের অতিথি হিসেবে ছিলেন এডি রেডমেইন, ফেলিসিটি জোন্স ও কুইন ব্যান্ডের গিটারবাদক ব্রায়ান মে[73] তার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার পর ২০১৮ সালের ১৫ই জুন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে আইজাক নিউটনের সমাধির পাশে ও চার্লস ডারউইনের সমাধি সংলগ্ন অংশে তার ভস্ম পু‌ঁঁতে ফেলা হয়।[74]

সমকালীন মন্তব্যগুচ্ছ

১৯৮৫ সালে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন হকিং ৷ ১৯৮৫ সালের গ্রীষ্মে জেনেভার সার্ন-এ অবস্থানকালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজ্ঞানী ৷ চিকিৎসকরাও তার কষ্ট দেখে একসময় লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ সম্প্রতি হকিংয়ের জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে এক তথ্যচিত্র। সেখানেই এই তথ্য জানিয়েছেন হকিং। তিনি বলেছেন, ‘নিউমোনিয়ার ধকল আমি সহ্য করতে পারি নি, কোমায় চলে গিয়েছিলাম। তবে চিকিৎসকরা শেষ অবধি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন , হাল ছাড়েননি ৷’ কিন্তু চেষ্টা সত্ত্বেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চিকিৎসকরা হকিংয়ের স্ত্রী জেনকেও লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান। তবে সে প্রস্তাবে অবশ্য রাজি হন নি জেন। পাঁচ দশক ধরে মোটর নিউরোনের ব্যাধির শিকার জগৎখ্যাত এই পদার্থবিদ। বিশেষজ্ঞদের মত, এই রোগে আক্রান্তরা বড়জোর বছর পাঁচেক বাঁচেন। তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে রোগের সঙ্গে হকিংয়ের লড়াইয়ের কাহিনি ৷ বেঁচে থাকার জন্য হকিংয়ের আর্তিও ফিরে এসেছে বারে বারে ৷

গত দু’দশকের সঙ্গী জেন বলেছেন, ‘হকিংয়ের এই ব্যাধি আমাদের ব্যক্তিজীবনের কৃষ্ণ বিবর। যে গহ্বরে বাঁচার আশা হয়ত তলিয়ে যেতে পারত অনেক আগেই। কিন্তু সম্পর্কে আস্থা আর পরস্পরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তলিয়ে যেতে দেয় নি।’ তথ্যচিত্রে কর্মজীবনের চেয়ে হকিংয়ের ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় বিজ্ঞানীদের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, বিজ্ঞানে অবদান ছাড়া হকিংয়ের জীবনকে দেখানো মানে বকলমে তাকেই গুরুত্বহীন করে তোলা৷ তবে তথ্যচিত্রে এমন কিছু তথ্যও পরিবেশিত হয়েছে, যা হকিংয়ের একটা অদেখা দিক আমাদের সামনে তুলে ধরে।

একটা পুরানো বাজিতে পরাজয়

১৯৯৭ সালে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের বিষয়ে একটি বাজি ধরেছিলেন স্টিভেন হকিং। বাজিতে তার পক্ষে ছিলেন আর এক পদার্থ বিজ্ঞানী কিপ থর্ন এবং অন্য পক্ষে ছিলেন জন প্রেস্কিল। পদার্থবিজ্ঞানের ইতিহাসে এই বাজি "থর্ন-হকিং-প্রেস্কিল বাজি" নামে পরিচিত। প্রফেসর হকিং এবং থর্ন যুক্তি দেখালেন যে, যেহেতু সাধারণ অপেক্ষবাদ অনুসারে কৃষ্ণ বিবর তার ঘটনা দিগন্তের ভেতরের কোনো কিছুই বাইরে আসতে দেয়না, এমনকি সেখান থেকে আলো পর্যন্ত বের হতে পারে না সেহেতু হকিং বিকিরণের মাধ্যমে বস্তুর ভর-শক্তির যে তথ্য পাওয়া যায় তা কোনো ক্রমেই কৃষ্ণ বিবরের ভেতরের তথ্য নয়, তা নতুন, এবং যেহেতু এটি আবার কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সাথে সাংঘর্ষিক সেহেতু কোয়ান্টাম বলবিদ্যা নতুন করে লেখা প্রয়োজন। অপরপক্ষে জন প্রেস্কিল যুক্তি দেখালেন , যেহেতু কোয়ান্টাম বলবিদ্যা বলে যে, এই তথ্য কৃষ্ণ বিবর দ্বারা উৎসারিত এমন তথ্য যা কৃষ্ণ বিবরের প্রথম দিককার কোনো অবস্থা নির্দেশ করে এবং সেহেতু সাধারণ অপেক্ষবাদ দ্বারা নির্ণীত কৃষ্ণ বিবরের চলতি ধারণায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন পরে ২০০৪ সালে হকিং স্বীকার করেন যে তিনি বাজিতে হেরেছেন এবং মন্তব্য করেন যে, কৃষ্ণ বিবরের উচিত তার দিগন্ত ভেঙে তথ্য নির্গমন করা এবং এটা করার জন্য তিনি মজা করে জন প্রেসকিল কে বেসবল সম্পর্কিত একটি সম্পূর্ণ বিশ্বকোষ উপহার দিয়েছিলেন যা প্রেস্কিলের কাছে হকিংয়ের মতে কৃষ্ণ বিবর থেকে পাওয়া তথাকথিত তথ্যের মত অকাজের ঈঙ্গিতবহ। তবে কিপ থর্ন পরাজয় মানেননি এবং বাজিতে তার অংশের পুরস্কার দিতে রাজি হননি।

কম্পিউটার সিমুলেশন এর মাধ্যমে দেখা গেছে যে পঞ্চম বা ততোধিকমুখী একধরনের চিকন বৃত্তাকৃতির কৃষ্ণ বিবর কালক্রমে তার বৃত্তের ওপর অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষ্ণ বিবরের জন্ম দিচ্ছে যার ফলে আইনস্টাইনের সাধারণ অপেক্ষবাদ ভেঙে পড়েছে। ঘটনা দিগন্তের বাইরে অবস্থিত কৃষ্ণ বিবরের এ ধরনের উপসর্গ বা"Nacked Singularity" খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা বাইরে থেকে তা পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

ব্যক্তিগত মতাদর্শ

মানবজাতির ভবিষ্যৎ

২০০৬ সালে হকিং ইন্টারনেটে প্রশ্ন রাখেন: "রাজনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে বিশৃঙ্খল এই পৃথিবীতে, মানবজাতি কীভাবে আরও ১০০ বছর ঠিকে থাকবে?" পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেন, "আমি এর উত্তর জানি না। এজন্যই আমি এই প্রশ্নটি করেছি, যাতে মানুষ এই বিষয় নিয়ে ভাবে এবং এখন আমরা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি তা সম্পর্কে সতর্ক থাকে।"[75]

হকিং উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন হঠাৎ পারমাণবিক যুদ্ধ, ভাইরাস, বিশ্ব উষ্ণায়ন, বা মানুষ ভাবেনি এমন বিপদ থেকে পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য প্রজাতির জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।[76][77] যদি মানবজাতি অন্য কোন গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করতে পারে, তাহলে গ্রহ-ব্যাপী দুর্যোগের ফলে মানুষ বিলুপ্ত হবে না।[77] হকিং বিশ্বাস করেন মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য মহাশূন্যে ভ্রমণ ও মহাশূন্যে উপনিবেশ স্থাপন করার প্রয়োজন।[76][78]

বিজ্ঞান বনাম দর্শন

২০১১ সালে গুগলের জেইটজিস্ট সম্মেলনে হকিং বলেন "দর্শন মৃত"। তিনি মনে করেন দার্শনিকগণ "বিজ্ঞানের আধুনিক বিকাশের সাথে তাল মিলাতে পারেননি" এবং বিজ্ঞানীরা "আমাদের জ্ঞানের ক্ষুদা মেটাতে আবিষ্কারের আলোকবর্তিকা বহনকারী হয়ে ওঠেছেন"। তিনি বলেন দর্শন বিষয়ক সমস্যার সমাধান বিজ্ঞান দিয়ে দেওয়া সম্ভব, বিশেষ করে মহাবিশ্বের নতুন ও খুবই ভিন্ন রকমের চিত্র তুলে ধরতে নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্বসমূহের ক্ষেত্রে এবং মহাবিশ্বে আমাদের অবস্থান" সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান প্রদান সম্ভব।[79]

ধর্ম বিশ্বাস

নিজের বই বা বক্তৃতায় নানা প্রসঙ্গে হকিং “ঈশ্বর” শব্দটি ব্যবহার করেছেন।[80] তার স্ত্রীসহ অনেকে তাকে একজন নাস্তিক হিসাবে বর্ণনা করলেও[81][82] হকিং নিজে মনে করেন তিনি “সাধারণ অর্থে ধার্মিক নন” এবং তিনি বিশ্বাস করেন “দুনিয়া বিজ্ঞানের নিয়ম মেনেই চলে। এমন হতে পারে নিয়মগুলো ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর জন্য কখনো হস্তক্ষেপ করেন না”।[83]

পুরস্কার ও সম্মাননা

স্বাধীনতা পুরস্কার দেবার আগে হোয়াইট হাউসে বারাক ওবামার সাথে সাক্ষাত, পিছনে আছেন নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ও সাথে স্টিভেন হকিং

২০০৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বীয় কসমোলজি কেন্দ্রে হকিংয়ের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়। প্রয়াত শিল্পী আয়ান ওয়াল্টার এটি তৈরি করেন।[84] ২০০৮ সালের মে মাসে হকিংয়ের আর একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে অবস্থিত আফ্রিকান ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সের সামনে। মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর তাদের রাজধানী সান সালভাদরে বিজ্ঞান জাদুঘরটির নাম হকিংয়ের নামে রেখেছে।[85]

এছাড়া তিনি তার কর্মক্ষেত্রে অবদানের জন্য নিম্নোক্ত পদক ও পুরস্কার অর্জন করেছেন।

  • অ্যাডামস পুরস্কার (১৯৬৬)
  • এডিংটন পদক (১৯৭৫)
  • ম্যাক্সওয়েল পদক ও পুরস্কার (১৯৭৬)
  • গাণিতিক পদার্থবিদ্যায় ড্যানি হাইনম্যান পুরস্কার (১৯৭৬)
  • হিউ পদক (১৯৭৬)
  • আলবার্ট আইনস্টাইন পদক (১৯৭৮)
  • রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির স্বর্ণ পদক (১৯৮৫)
  • ডিরাক পুরস্কার (১৯৮৭)
  • উলফ পুরস্কার (১৯৮৮)
  • প্রিন্স অব অ্যাস্টুরিয়াস পুরস্কার (১৯৮৯)
  • অ্যান্ড্রু গেম্যান্ট পুরস্কার (১৯৯৮)
  • নেলর পুরস্কার ও লেকচারশিপ (১৯৯৯)
  • লিলিয়েনফেল্ড পুরস্কার (১৯৯৯)
  • রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের আলবার্ট পদক (১৯৯৯)
  • কপলি পদক (২০০৬)
  • প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (২০০৯)
  • ফান্ডামেন্টাল ফিজিক্স পুরস্কার (২০১২)
  • বিবিভিএ ফাউন্ডেশন ফ্রন্টিয়ারস অব নলেজ পুরস্কার (২০১৫)}}

প্রকাশনাসমূহ

তাত্ত্বিক

  • কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (A Brief History of Time) (১৯৮৮)[86]
  • কৃষ্ণগহ্বর, শিশু মহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা (Black Holes and Baby Universes and Other Essays) (১৯৯৩)[87]
  • দ্য ইউনিভার্স ইন আ নাটশেল (The Universe in a Nutshell) (২০০১)[86]
  • অন দ্য সোল্ডার্স অব জায়ান্টস (On the Shoulders of Giants)(২০০২)[86]
  • গড ক্রিয়েটেড দ্য ইন্টিজার্স: দ্য ম্যাথমেটিক্যাল ব্রেকথ্রুস দ্যাট চেঞ্জড হিস্ট্রি (God Created the Integers: The Mathematical Breakthroughs That Changed History) (২০০৫)[86]
  • [[দ্য ড্রিমস দ্যাট স্টাফ ইজ মেড অফ: দ্য মোস্ট অ্যাস্টাউন্ডিং পেপার্স অব কোয়ান্টাম ফিজিক্স অ্যান্ড হাউ দে শুক দ্য সায়েন্টিফিক ওয়ার্ল্ড]] (The Dreams That Stuff Is Made of: The Most Astounding Papers of Quantum Physics and How They Shook the Scientific World) (২০১১)[88]
  • মাই ব্রিফ হিস্ট্রি (My Brief History) (২০১৩)[86]

চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক

  • আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম (১৯৯২)[89]
  • স্টিভেন হকিংস ইউনিভার্স (১৯৯৭)[90][91]
  • হকিংবেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ অভিনীত বিবিসির ২০০৪ সালের টেলিভিশন চলচ্চিত্র।
  • হরাইজন: দ্য হকিং প্যারাডক্স (২০০৫)[92]
  • মাস্টার্স অব সায়েন্স ফিকশন (২০০৭)[93]
  • স্টিভেন হকিং অ্যান্ড দ্য থিওরি অব এভরিথিং (২০০৭)
  • স্টিভেন হকিং: মাস্টার অব দ্য ইউনিভার্স (২০০৮)[94]
  • ইনটু দ্য ইউনিভার্স উইথ স্টিভেন হকিং (২০১০)[95]
  • ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড উইথ স্টিভেন হকিং (২০১১)[96]
  • স্টিভেন হকিংস গ্র্যান্ড ডিজাইন (২০১২)[97]
  • দ্য বিগ ব্যাং থিওরি (২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭)
  • স্টিভেন হকিং: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব মাইন (২০১৩)[98]
  • দ্য থিওরি অব এভরিথিংএডি রেডমেইন অভিনীত ২০১৪ সালের চলচ্চিত্র।[99]
  • জিনিয়াস বাই স্টিভেন হকিং (২০১৬)

তথ্যসূত্র

  1. গণিত উদ্ভববিজ্ঞান প্রকল্পে স্টিভেন হকিং
  2. Ferguson 2011, পৃ. 29।
  3. Allen, Bruce (১৯৮৩)। Vacuum energy and general relativity (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  4. Bousso, Raphael (১৯৯৭)। Pair creation of black holes in cosmology (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  5. Carr, Bernard John (১৯৭৬)। Primordial black holes (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  6. Dowker, Helen Fay (১৯৯১)। Space-time wormholes (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  7. Galfard, Christophe Georges Gunnar Sven (২০০৬)। Black hole information & branes (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  8. Gibbons, Gary William (১৯৭৩)। Some aspects of gravitational radiation and gravitational collapse (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  9. Hertog, Thomas (২০০২)। The origin of inflation (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  10. Laflamme, Raymond (১৯৮৮)। Time and quantum cosmology (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  11. Page, Don Nelson (১৯৭৬)। Accretion into and emission from black holes (গবেষণাপত্র)। California Institute of Technology।
  12. Perry, Malcolm John (১৯৭৮)। Black holes and quantum mechanics (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  13. Wu, Zhongchao (১৯৮৪)। Cosmological models and the inflationary universe (গবেষণাপত্র)। University of Cambridge।
  14. "Stephen Hawking's Universe" (HTML). PBS Online. Retrieved 2008-06-11.
  15. "Stephen Hawking to give up prestigious Cambridge title".
  16. "Particle creation by black holes" (ইংরেজি ভাষায়)। Project Euclid। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১৯
  17. "Honorary Fellows of the Royal Society of Arts" (PDF) (ইংরেজি ভাষায়)। Royal Society for the encouragement of Arts, Manufactures & Commerce। ২০০৭-০৬-২১ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-২৫
  18. Mason, Michael। "Alliance, Many of the greatest minds of science meet regularly in Vatican City to counsel the pope on the hot topics of the day'"। Discover Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। Discover Magazine (September 2008): 43।
  19. "Mind over matter: How Stephen Hawking defied Motor Neurone Disease for 50 years" (ইংরেজি ভাষায়)। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ২৬ নভেম্বর ২০১৫।
  20. "How Has Stephen Hawking Lived to 70 with ALS?"Scientific American (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪
  21. "Stephen Hawking, physicist who reshaped cosmology, passes away at 76"দি ইকোনমিক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮
  22. টেমপ্লেট:Who's Who (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  23. Larsen 2005, পৃ. xiii, 2।
  24. Ferguson 2011, পৃ. 21।
  25. "Mind over matter Stephen Hawking"দ্য হেরাল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। Glasgow।
  26. White ও Gribbin 2002, পৃ. 6।
  27. Ferguson 2011, পৃ. 21–22।
  28. Larsen 2005, পৃ. 2, 5।
  29. Current Biography, 1984 (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ইয়র্ক সিটি: এইচ. ডব্লিউ. উইলসন কোম্পানি। ১৯৮৪।
  30. Dr. Hawking, Stephen W. 1994. Black Holes And Baby Universes and Other Essays. Bantam Books, London. আইএসবিএন ০-৫৫৩-৩৭৪১১-৭.
  31. Hawking, Stephen (৭ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Stephen Hawking: "I'm happy if I have added something to our understanding of the universe"" (ইংরেজি ভাষায়)। রেডিও টাইমস।
  32. Ferguson 2011, পৃ. 22।
  33. Larsen 2005, পৃ. xiii।
  34. Larsen 2005, পৃ. 3।
  35. Ferguson 2011, পৃ. 24।
  36. Stephen Hawking A BiographyGreenwood Press। ১৯৯৫।
  37. White ও Gribbin 2002, পৃ. 8।
  38. White ও Gribbin 2002, পৃ. 7–8।
  39. Larsen 2005, পৃ. 4।
  40. Ferguson 2011, পৃ. 25–26।
  41. White ও Gribbin 2002, পৃ. 14–16।
  42. "Dick Tahta"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১৯
  43. Ferguson 2011, পৃ. 26।
  44. White ও Gribbin 2002, পৃ. 19–20।
  45. Ferguson 2011, পৃ. 25।
  46. White ও Gribbin 2002, পৃ. 17–18।
  47. Ferguson 2011, পৃ. 27।
  48. White ও Gribbin 2002, পৃ. 41।
  49. Ferguson 2011, পৃ. 27–28।
  50. White ও Gribbin 2002, পৃ. 42–43।
  51. Ferguson 2011, পৃ. 28।
  52. Ferguson 2011, পৃ. 28–29।
  53. White ও Gribbin 2002, পৃ. 46–47, 51।
  54. Ferguson 2011, পৃ. 30–31।
  55. Hawking 1992, p. 44।
  56. White ও Gribbin 2002, পৃ. 50।
  57. "Origins of the universe: Stephen Hawking's J. Robert Oppenheimer Lecture" (ইংরেজি ভাষায়)। University of California, Berkeley। ২০০৮-০৬-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১৯
  58. Hawking, Stephen (জানুয়ারি ১৯৭০)। "The Singularities of Gravitational Collapse and Cosmology"Proceedings of the Royal Society A (ইংরেজি ভাষায়)। 314 (1519): 529–548। doi:10.1098/rspa.1970.0021 অজানা প্যারামিটার |doi_brokendate= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  59. Larsen 2005, পৃ. xiv।
  60. Ferguson 2011, পৃ. 37–40।
  61. Ferguson 2011, পৃ. 40।
  62. Ferguson 2011, পৃ. 43–44।
  63. Ferguson 2011, পৃ. 45–47।
  64. White ও Gribbin 2002, পৃ. 92–98।
  65. Ferguson 2011, পৃ. 65।
  66. Ferguson 2011, পৃ. 92।
  67. "Physicist Stephen Hawking dies aged 76" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি নিউজ। ১৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৮
  68. "Professor Stephen Hawking dies aged 76" (ইংরেজি ভাষায়)। নাইন নিউজ। ১৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৮
  69. মার্শ, সারা (১৪ মার্চ ২০১৮)। "Cambridge colleagues pay tribute to 'inspirational' Hawking"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯
  70. ওভারবাই, ডেনিস (১৪ মার্চ ২০১৮)। "Stephen Hawking Taught Us a Lot About How to Live"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯
  71. এলিয়ট, ক্রিস (৩১ মার্চ ২০১৮)। "How Cambridge fell silent to honour Stephen Hawking"ক্যামব্রিজ নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯
  72. "At Stephen Hawking Funeral, Eddie Redmayne and Astronomer Royal Give Readings"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯
  73. "Hawking legacy 'will live forever'"বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯
  74. "Professor Stephen Hawking to be honoured at the Abbey"ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯
  75. Sample, Ian (২ আগস্ট ২০০৬)। "The great man's answer to the question of human survival: Er, I don't know" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮
  76. Overbye, Dennis (১ মার্চ ২০০৭)। "Stephen Hawking Plans Prelude to the Ride of His Life"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। New York: নিউ ইয়র্ক টাইমস কোম্পানি। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮
  77. "Prof Stephen Hawking: disaster on planet Earth is a near certainty" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮
  78. Highfield, Roger (১৬ অক্টোবর ২০০১)। "Colonies in space may be only hope, says Hawking"দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। London। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮
  79. Warman, Matt (১৭ মে ২০১১)। "Stephen Hawking tells Google 'philosophy is dead'"দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। London। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮
  80. "Though A Brief History of Time brings in God as a useful metaphor, Hawking is an atheist" Anthony Burgess, 'Towards a Theory of Everything', The Observer, December 29, 1991, Pg. 42
  81. "Then, in 1999, his former wife published Music To Move The Stars: My Life with Stephen, in which she detailed (...) how her Christian faith clashed with his steadfast atheism; (...) The last line in A Brief History Of Time is famous for saying that, if we could tie together the equations describing the universe, we would "know the mind of God." But, as his former wife says, he is an atheist. So why is the deity making an appearance? The obvious answer is that it helps sell books." Charles Arthur, 'The Crazy World of Stephen Hawking', The Independent (London), October 12, 2001, Features, Pg. 7.
  82. "Jane took much of her dramatic hope at the time from her faith, and still sees something of the irony in the fact that her Christianity gave her the strength to support her husband, the most profound atheist. 'Stephen, I hope, had belief in me that I could make everything possible for him, but he did not share my religious - or spiritual - faith.' " Tim Adams, 'A Brief History of a First Wife', The Observer, April 4, 2004, Review Pages, Pg. 4.
  83. "Pope sees physicist Hawking at evolution gathering | Science" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়টার্স। ২০০৮-১০-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২২
  84. "Vice-Chancellor unveils Hawking statue" (ইংরেজি ভাষায়)। University of Cambridge। ২০০৭-১২-২১। ২০০৮-০৫-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১৯
  85. Komar, Oliver (অক্টোবর ২০০০)। "The Stephen W. Hawking Science Museum in San Salvador Central America Honours the Fortitude of a Great Living Scientist"Journal of College Science Teaching (ইংরেজি ভাষায়)। XXX (2)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৯-২৮
  86. "Books"Stephen Hawking Official Website (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২
  87. "Black Holes and Baby Universes"Kirkus Reviews (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১২
  88. "How Physics got Weird" (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ৫ ডিসেম্বর ২০১১।
  89. "A Brief History of Time: Synopsis" (ইংরেজি ভাষায়)। Errol Morris। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১২
  90. "Stephen Hawking's Universe" (ইংরেজি ভাষায়)। PBS। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১২
  91. Larsen 2005, পৃ. 79।
  92. "The Hawking Paradox" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২
  93. Richmond, Ray (৩ আগস্ট ২০০৭)। ""Masters of Science Fiction" too artistic for ABC" (ইংরেজি ভাষায়)। রয়টার্স। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১২
  94. Walton, James (৪ মার্চ ২০০৮)। "Last night on television: Stephen Hawking: Master of the Universe (Channel 4) - The Palace (ITV1)"দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৮
  95. "Into the Universe with Stephen Hawking" (ইংরেজি ভাষায়)। Discovery Channel। ২৫ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১০
  96. Moulds, Josephine (১৭ অক্টোবর ২০১১)। "Brave New World with Stephen Hawking, episode one, Channel 4, review"দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৮
  97. "Stephen Hawking's Grand Design" (ইংরেজি ভাষায়)। Discovery Channel UK। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১২
  98. Wollaston, Sam (৯ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Stephen Hawking: A Brief History of Mine – TV review"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৮
  99. Labrecque, Jeff (৬ আগস্ট ২০১৪)। "Eddie Redmayne plays Stephen Hawking in 'Theory of Everything' trailer"এন্টারটেইনমেন্ট উয়িকলি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৪

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.