লরন্স অলিভিয়ে
লরন্স কার অলিভিয়ে, ব্যারন অলিভিয়ে, OM (ইংরেজি: Laurence Olivier, /ˈlɒrəns
লরন্স অলিভিয়ে | |
---|---|
Laurence Olivier | |
![]() ১৯৭৩ সালে লর্ড অলিভিয়ে | |
জন্ম | লরন্স কার অলিভিয়ে ২২ মে ১৯০৭ ডর্কিং, সারে, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ১১ জুলাই ১৯৮৯ ৮২) স্টেনিং, ওয়েস্ট সাসেক্স, ইংল্যান্ড | (বয়স
সমাধি | ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে |
পেশা | অভিনেতা, পরিচালক |
দাম্পত্য সঙ্গী | জিল এসমন্ড |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
অলিভিয়ের সম্মাননার মধ্যে রয়েছে নাইটহুড (১৯৪৭), লাইফ পিরেজ (১৯৭০) এবং অর্ডার অব মেরিট (১৯৮১)। তার চলচ্চিত্র কর্মজীবনের জন্য তিনি চারটি একাডেমি পুরস্কার, দুটি বাফটা পুরস্কার, পাঁচটি এমি পুরস্কার ও তিনটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। জাতীয় নাট্যমঞ্চের সবচেয়ে বড় অডিটরিয়ামের নামকরণ করা হয় তার নামানুসারে, এবং সোসাইটি অব লন্ডন থিয়েটার প্রতি বছর তার স্মারক হিসেবে লরন্স অলিভিয়ে পুরস্কার প্রদান করে থাকে। তিনি তিনটি বিয়ে করেন। প্রথমটি অভিনেত্রী জিল এসমন্ড ১৯৩০ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত, দ্বিতীয়টি ভিভিয়েন লেই ১৯৪০ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত এবং জোন প্লোরাইট ১৯৬১ থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত।
জীবনী
প্রারম্ভিক জীবন (১৯০৭-২৪)
অলিভিয়ে ১৯০৭ সালের ২২ মে সারের ডর্কিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রেভড জেরার্ড কার অলিভিয়ে (১৮৬৯-১৯৩৯) এবং তার মাতা অ্যাগনেস লুইস (জন্মনাম ক্রুকেনডেন, ১৮৭১-১৯২০)। তিনি তার পিতামাতার তিন সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।[1] তার বড় ভাই সাইবিল (১৯০১-১৯৮৯) এবং জেরার্ড ডাক্রেস "ডিকি" (১৯০৪-১৯৫৮)।[2] তার প্র-প্র-পিতামহ ছিলেন ফরাসি হুগুয়েনো বংশোদ্ভূত এবং তার পূর্বপুরুষগণ প্রটেস্ট্যান্ট যাজক ছিলেন।[lower-alpha 1] তার পিতা জেরার অলিভিয়ে একজন স্কুলশিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, কিন্তু তার ত্রিশ বছর বয়সে তিনি ধর্মের প্রতি ভক্তিশীল হয়ে ওঠেন এবং চার্চ অব ইংল্যান্ডের পূজারি হিসেবে নিবেদিত হন।[4] তিনি উচ্চমাত্রার গির্জা ও ধর্মীয় আচারভিত্তিক অ্যাঞ্জলিকান রীতি পালন করতেন এবং তাকে "ফাদার অলিভিয়ে" নামে সম্বোধন করতে পছন্দ করতেন। এর ফলে অনেক অ্যাঞ্জেলিক রীতি পালনকারীদের কাছে তিনি অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েন,[4] এবং তার জন্য সাময়িক, ও অন্য পূজারির অনুপস্থিতিতে গির্জার দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দেওয়া হত। এর ফলে তিনি কিছুটা যাযাবর হয়ে পড়েন এবং লরন্স তার প্রথম পাঁচ বছর কোন এক স্থানে বেশি বাস করতে পারেন নি এবং তার কোন বন্ধু ছিল না।[5]
১৯১২ সালে যখন অলিভিয়ের বয়স পাঁচ, তার পিতা পিমলিকোর সেন্ট স্যাভিয়রে সহকারী পূজারি হিসেবে স্থায়ী চাকরি পান। তিনি ছয় বছর এই পদে ছিলেন এবং এর ফলে সেই স্থানে তার পরিবার নিয়ে থিতু হতে সমর্থ হন।[6] অলিভিয়ে তার মায়ের প্রতি ভক্তিশীল ছিলেন, কিন্তু পিতার প্রতি নয়, কারণ তিনি তার পিতা ছিলেন ঠাণ্ডা মেজাজের ও তার সাথে সম্পর্কের দুরত্ব ছিল।[7] তদুপরি, তিনি তার পিতার কাছ থেকে পরিবেশন শিল্পকলা বিষয়ে অনেক কিছু শিখেন। যুবক বয়সে জেরার্ড অলিভিয়ে মঞ্চের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং নাটকীয়তার সাথে ধর্ম প্রচার করতেন। অলিভিয়ে লিখেন যে "তাঁর পিতা জানত কখন গলার স্বর উচ্চ থেকে নিম্নে নিয়ে আসতে হবে, কখন অনুভূতিপ্রবণ হতে হবে... ভাবানুভুতি ও আচরণের এই দ্রুত পরিবর্তন আমার মধ্যে ঢুকে যায়, এবং আমি তা কখনো ভুলি নি।"[8]
প্রারম্ভিক অভিনয় কর্মজীবন (১৯২৪-২৯)
১৯২৪ সালে জেরার্ড অলিভিয়ে তার পুত্রকে বলেন সেন্ট্রাল স্কুল অব স্পিচ ট্রেনিং অ্যান্ড ড্রামাটিক আর্টে ভর্তির পাশাপাশি তাকে তার শিক্ষা ও জীবন নিরাবাহের খরচের জন্য বৃত্তি পেতে হবে।[9] জেরার্ডের বোন সেখানকার শিক্ষার্থীর ছিলেন এবং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এলসি ফোগার্টির প্রিয় ছিলেন। অলিভিয়ে ধারণা করেন যে তার সামর্থ্যের জন্য ফোগার্টি তাকে বৃত্তি প্রদান করেছিলেন।[9][lower-alpha 2]

স্কুলে অলিভিয়ের সমসাময়িকদের মধ্যে একজন ছিলেন পেগি অ্যাশক্রফ্ট, যিনি বলেন যে অলিভিয়ের স্লিভ খুবই ছোট ছিল এবং তার চুল দাঁড়িয়ে থাকত কিন্তু তিনি খুবই প্রাণবন্ত ও মজার মানুষ ছিলেন।"[11] ভর্তির পর তিনি খুব বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষার্থী ছিলেন না, কিন্তু ফোগার্টি তাঁকে পছন্দ করতেন এবং পরবর্তীতে বলেন যে তিনি ও অ্যাশক্রফ্ট তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল।[12] এক বছর পর স্কুল ত্যাগ করার সময়, অলিভিয়ে একটি ছোট পর্যটন কোম্পানিতে চাকরি পান। পরবর্তীতে ১৯২৫ সালে সাইবিল থর্নডিক ও তার স্বামী লুই কাসন তাঁকে তাদের লন্ডন কোম্পানিতে সহকারী মঞ্চ ব্যবস্থাপক হিসেবে তাদের সাথে নিয়ে যান।[13] তিনি জেরাল দ্যু মরিয়েকে তাঁর মডেল হিসেবে বেঁচে নেন এবং তার মত করে অভিনয় করতেন এবং তিনি মরিয়ে সম্পর্কে বলেন, "তাকে মঞ্চে মুক মনে হত কিন্তু তার কৌশল ছিল ত্রুটিহীন। যখন আমি শুরু করেছিলাম আমি দ্যু মরিয়ের মত অভিনয় করার ব্যস্ত ছিলাম যে আমি কি বলছিলাম তা কেউ শুনে নি।"[14]
পুরস্কার ও সম্মাননা
মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্রে
পাদটীকা
- জেরার্ডের পিতা হেনরি আর্নল্ড অলিভিয়ে (১৮২৬-১৯১২) ছিলেন একজন পূজারি এবং তার আট সন্তান ছিল, তার অন্য সকল সন্তানেরা ভিন্ন ভিন্ন স্তরে সফলতা লাভ করেছিল: সিডনি ছিল জামাইকার গভর্নর ও পরে ভারতের সচিব, হার্বার্ট ছিলেন একজন সফল চিত্রশিল্পী, এবং হেনরি (১৮৫০–১৯৩৫) সেনবাহিনীতে যোগ দেন এবং কর্নেল পদ থেকে অবসর নেন।[3]
- Olivier's biographers W. A. Darlington and Anthony Holden both suggest another reason: Fogerty's determination to recruit more male students, there being at the time only six boys to seventy girls enrolled at the school.[10]
তথ্যসূত্র
- Billington 2004।
- Holden 1988, পৃ. 12।
- Holden 1988, পৃ. 11।
- Darlington 1968, পৃ. 13।
- Beckett 2005, পৃ. 2।
- Holden 1988, পৃ. 14।
- Beckett 2005, পৃ. 6।
- Kiernan 1981, পৃ. 12।
- Holden 1988, পৃ. 29।
- Darlington 1968, p. 1; Holden 1988, p. 29.
- Billington 2004; Munn 2007, p. 23.
- Holden 1988, পৃ. 32।
- Beckett 2005, পৃ. 18–19।
- Mortimer 1984, পৃ. 61।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে লরন্স অলিভিয়ে সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিউক্তিতে নিচের বিষয় সম্পর্কে সংগৃহীত উক্তি আছে:: লরন্স অলিভিয়ে |
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে লরন্স অলিভিয়ে
(ইংরেজি) - ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে লরন্স অলিভিয়ে (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে লরন্স অলিভিয়ে
(ইংরেজি) - ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের স্ক্রিনঅনলাইনে লরন্স অলিভিয়ে