ডেভিড ফ্রস্ট
স্যার ডেভিড প্যারাডাইন ফ্রস্ট, ওবিই (ইংরেজি: David Paradine Frost; জন্ম: ৭ এপ্রিল, ১৯৩৯-মৃত্যু: ৩১ আগস্ট, ২০১৩) কেন্টের টেন্টারডেনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ সাংবাদিক, লেখক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। ১৯৭৭ সালে তদানীন্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনের স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করে সবিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন।
স্যার ডেভিড ফ্রস্ট | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ডেভিড প্যারাডাইন ফ্রস্ট ৭ এপ্রিল ১৯৩৯ টেন্টারডেন, কেন্ট, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ৩১ আগস্ট ২০১৩ ৭৪) এমএস কুইন এলিজাবেথ | (বয়স
জাতীয়তা | ইংরেজ |
যেখানের শিক্ষার্থী | গনভিল এন্ড কাইয়াস কলেজ, কেমব্রিজ |
পেশা |
|
পরিচিতির কারণ |
|
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ৩ |
প্রারম্ভিক জীবন
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। কেমব্রিজে থাকাকালে ছাত্রদের সংবাদপত্র "ভার্সিটি" এবং সাহিত্য সাময়িকী "গ্রান্তা’র" সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও, জনপ্রিয় "ফুটনাইট ড্রামা সোসাইটি’র" সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।[1] এরপর ১৯৬২ সালে ব্যাঙ্গাত্মক অনুষ্ঠান দ্যাট ওয়াজ দি উইক দ্যাট ওয়াজ পরিচালনার দায়িত্বে থেকে অতিথিদের নির্বাচন করতেন। পরবর্তীকালে বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরকে নিয়ে টেলিভিশন স্বাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছেন।
১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রবিবাসরীয় সকালের স্বাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান "ব্রেকফাস্ট উইদ ফ্রস্ট" পরিচালনা করেন। "থ্রো দ্য কীহোল" অনুষ্ঠানে দুই দশককাল ব্যয় করেন। ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আল জাজিরা ইংলিশ চ্যানেলে সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান "ফ্রস্ট ওভার দি ওয়ার্ল্ড" এবং ২০১২ থেকে "দ্য ফ্রস্ট ইন্টারভিউ" সাপ্তাহিকী পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
নিক্সনের স্বাক্ষাৎকার
১৯৭৭ সালে নিক্সনের স্বাক্ষাৎকার শিরোনামে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনের পাঁচটি ধারাবাহিকে ৯০-মিনিটব্যাপী একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। এতে নিক্সনকে $৬০০,০০০ মার্কিন ডলার প্রদানসহ স্বাক্ষাৎকারের লাভের অংশবিশেষ ফ্রস্ট নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করেন। এরপর মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্কে তাদের মধ্যকার এ ঘটনাকে "চেকবুক জার্নালিজম" নামে অভিহিত করে। চার সপ্তাহেরও অধিককাল নিক্সনের স্বাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানটি প্রায় ২৯ ঘন্টা ধারণ করেন। স্বাক্ষাৎকারটি আমেরিকার টেলিভিশনসহ বৈশ্বিকভাবে প্রদর্শিত হয়। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত নিক্সনের এটিই ছিল প্রথম অভিব্যক্তি।[2][3] এ স্বাক্ষাৎকারকে ঘিরে পরবর্তীকালে মঞ্চ নাটক ও চলচ্চিত্র তৈরী হয়।
বাংলাদেশে ডেভিড ফ্রস্ট
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ডেভিড ফ্রস্টের নাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার নেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারেই এদেশবাসীর ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন বঙ্গবন্ধু। সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ হওয়ার বিষয়টি।
তার নির্মিত সর্বশেষ তথ্যচিত্র ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে। যা তার মৃত্যুর কিছু দিন পর আল জাজিরায় সম্প্রচারিত হয়।[4][5][6]
তথ্যসূত্র
- TimeLine Theatre Company, Chicago: Frost/Nixon Study Guide Retrieved 2 October 2011
- "· David Frost Dies Aged 74"। Wall Street Journal। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- "David Frost, Who Interviewed Nixon, Is Dead at 74"। New York Times। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- BanglaNews24.com। "প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফ্রস্টের তথ্যচিত্র আল-জাজিরায় :: BanglaNews24.com mobile"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০২।
- Pratidin, Bangladesh। "ডেভিড ফ্রস্ট শেষ সাক্ষাৎকার নেন শেখ হাসিনার | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০২।
- "শেখ হাসিনার সঙ্গেই ডেভিড ফ্রস্টের শেষ সাক্ষাৎকার"। www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০২।