জে. কে. সিমন্স

জোনাথন কিম্বল সিমন্স (ইংরেজি: Jonathan Kimble Simmons জন্ম: ৯ জানুয়ারি ১৯৫৫)[1] হলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। টেলিভিশনে তিনি এনবিসির ল অ্যান্ড অর্ডার ধারাবাহিকে ডক্টর এমিল স্কোডা, এইচবিওর অজ ধারাবাহিকে ভেরনন শিলিঞ্জার, টিএনটি'র দ্য ক্লোজার ধারাবাহিকে সহকারী পুলিশ প্রধান উইল পোপ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত। ২০১৭ সাল থেকে তিনি স্টারজ-এর কাউন্টারপার্ট ধারাবাহিকে হাওয়ার্ড সিল্ক চরিত্রে অভিনয় করছেন।

জে. কে. সিমন্স
J. K. Simmons
২০০৯ সালে সিমন্স
জন্ম
জোনাথন কিম্বল সিমন্স

(১৯৫৫-০১-০৯)৯ জানুয়ারি ১৯৫৫
যেখানের শিক্ষার্থীমন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅভিনেতা
কার্যকাল১৯৮৬-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীমিশেল শুমেকার (বি. ১৯৯৬)
সন্তান

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ভূমিকাসমূহ হল স্যাম রেইমির স্পাইডার-ম্যান ত্রয়ীর জে. জোনা জেমসন এবং হুইপল্যাশ (২০১৪)-এ সঙ্গীত নির্দেশক টেরেন্স ফ্লেচার। তিনি হুইপল্যাশ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, বাফটা পুরস্কারসহ ত্রিশের অধিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

সিমন্স ১৯৫৫ সালের ৯ই জানুয়ারি মিশিগান রাজ্যের ডেট্রয়েট নগরী গ্রস পয়েন্ট উপশহরে জন্মগ্রহণ করেন।[2] তার পিতা ডোনাল্ড উইলিয়াম সিমন্স একজন সঙ্গীত শিক্ষক এবং মাতা প্যাট্রিশিয়া কিম্বল একজন প্রশাসক। ১৯৬৫ সালে তার যখন ১০ বছর বয়স, তখন তারা সপরিবারে ওহাইও রজায়ের কলম্বাস নগরীর ওর্দিংটন উপশহরে চলে যান।[2] ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সালে তিনি সিমন্স ওর্দিংটন হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি সেখানে নাটক, ফুটবল ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৩ সালে তার যখন ১৮ বছর বয়স, তখন তারা মন্টানার মিসোলা শহরে চলে যান। সেখানে তার পিতা মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মিউজিকের পরিচালক পদে যোগদান করেন। সিমন্স ১৯৭৮ সালে মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সঙ্গীত বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীকালে সিমন্স সিয়াটলে চলে যান এবং সিয়াটল রিপারটরি থিয়েটারের সদস্য হন।

কর্মজীবন

সিমন্স ২০১৪ সালে জ্যাজ সঙ্গীত বিষয়ক নাট্যধর্মী হুইপল্যাশ (২০১৪)-এ সঙ্গীত নির্দেশক টেরেন্স ফ্লেচার চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটিতে তার কাজ বিপুল প্রসংশিত হয়।[3] রোলিং স্টোন-এ বলা হয় "সিমন্সের অস্কারের জন্য বারবার ড্রামে আঘাত করেছেন"; শিকাগো সান-টাইমস-এর রিচার্ড রোপার লিখেন, "সিমন্স বছরের সবচেয়ে স্মরণীয় কাজটি উপহার দিয়েছেন", এন্টারটেইনমেন্ট উয়িকলি সিমন্সের অভিনয় সম্পর্কে লিখে, "তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে পুরস্কারের প্রধান দাবীদার"।[4] ২০১৫ সালের ১১ই জানুয়ারি সিমন্স শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, ৯ই ফেব্রুয়ারি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার,[5] এবং ২২শে ফেব্রুয়ারি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার গ্রহণ করেন।[6]

তথ্যসূত্র

  1. "J. K. Simmons Biography (1955-)"ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৯
  2. হিন্ডস, জুলি (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Tribute From The Heart"। দ্য ডেট্রয়েট ফ্রি প্রেস। পৃ. A1।
  3. "Whiplash"Metacritic.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৪, ২০১৭
  4. "J.K. Simmons: The friendly face behind this year's scariest movie villain"Insidemovies.ew.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৪, ২০১৭
  5. নদী, সেঁজুতি শোণিমা (৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "বাফটা মাত করলো 'বয়হুড', 'থিওরি অফ এভরিথিং'"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৯
  6. রায়, পিয়াস (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "জমকালো আসরে জমল অস্কার"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.