ওয়ালেস বিরি

ওয়ালেস ফিট্‌জেরাল্ড বিরি (ইংরেজি: Wallace Fitzgerald Beery; ১লা এপ্রিল, ১৮৮৫ - ১৫ই এপ্রিল, ১৯৪৯) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।[1] তিনি তার ৩৬ বছরের অভিনয় জীবনে ২৫০-এর অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একটি একাডেমি পুরস্কার এবং একটি ভল্পি কাপ অর্জন করেন।

ওয়ালেস বিরি
Wallace Beery
ওয়ালেস বিরি, আনু. ১৯৩০
জন্ম
ওয়ালেস ফিট্‌জেরাল্ড বিরি

(১৮৮৫-০৪-০১)১ এপ্রিল ১৮৮৫
ক্লে কাউন্টি, মিজুরি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু১৫ এপ্রিল ১৯৪৯(1949-04-15) (বয়স ৬৪)
বেভারলি হিলস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যুর কারণহার্ট অ্যাটাক
সমাধিফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, গ্লেনডেল
পেশাঅভিনেতা
কার্যকাল১৯১৩–১৯৪৯
দাম্পত্য সঙ্গীগ্লোরিয়া সোয়ানসন
(বি. ১৯১৬; বিচ্ছেদ. ১৯১৮)

রিটা গিলম্যান
(বি. ১৯২৪; বিচ্ছেদ. ১৯৩৯)
সন্তান(দত্তক)

মিজুরি ক্লে কাউন্টিতে জন্ম নেওয়া বিরি কানসাস সিটির চেজ স্কুলে পড়াশুনা করেন। ১৯০৪ সালে তিনি ব্রডওয়েতে কাজ শুরু করেন। ১৯১০-এর দশকের শুরুতে তিনি এসানে স্টুডিওজের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল হিজ অ্যাথলেটিক ওয়াইফ (১৯১৩)। ১৯৩০ সালে তিনি দ্য বিগ হাউজ ছবিতে অভিনয়ের জন্য তার প্রথম একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ভূমিকা হল মিন অ্যান্ড বিল ছবিতে বিল, দ্য চ্যাম্প ছবিতে নাম ভূমিকা, ট্রেজার আইল্যান্ড-এ লং জন সিলভার ও ভাইভা ভিলা!-এ পাঞ্চো ভিলা। দ্য চ্যাম্প ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার এবং ভাইভা ভিলা! ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ভল্পি কাপ লাভ করেন। ১৯৩২ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার স্টুডিওর সাথে তার চুক্তি হয় যে তিনি অন্য যে কোন অভিনয়শিল্পীর থেকে ১ মার্কিন ডলার বেশি পারিশ্রমিক গ্রহণ করবেন, ফলে তিনি সেসময়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা হয়ে ওঠেন।

অভিনেত্রী গ্লোরিয়া সোয়ানসন তার স্ত্রী ছিলেন। অভিনেতা নোয়া বিরি সিনিয়র তার ভাই এবং অভিনেতা নোয়া বিরি জুনিয়র তার ভাতিজা। চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের জন্য ১৯৬০ সালে মরণোত্তর তার নামে হলিউড ওয়াক অব ফেমে একটি তারকা খচিত হয়। তারকাটি ৭০০১ হলিউড বলেভার্ডে অবস্থিত।[2]

প্রারম্ভিক জীবন

বিরি ১৮৮৫ সালের ১লা এপ্রিল মিজুরির ক্লে কাউন্টিতে জন্মগ্রহণ করেন।[3] তার পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। কাজের সূত্রে ১৮৯০-এর দশকে তারা স্বপরিবারে ক্লে কাউন্টি ত্যাগ করে পার্শ্ববর্তী কানসাস সিটিতে চলে যান।

বিরি কানসাস সিটির চেজ স্কুলে পড়াশুনা করেন। পাশাপাশি তিনি পিয়ানো বাজানোর তালিম নেন। পড়াশুনার ব্যাপারে তার আগ্রহ কম ছিল। তিনি দুবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। প্রথমবার কয়েক দিন পর ফিরে আসেন এবং স্কুল ছেড়ে দিয়ে কানসাস সিটির রেল প্রাঙ্গনে ইঞ্জিন মুছার কাজ করতেন।[3] ১৬ বছর বয়সে তিনি দ্বিতীয়বার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান এবং রিংলিং ব্রাদার্স সার্কাসে হস্তী প্রশিক্ষকের সহকারী হিসেবে যোগ দেন। দুই বছর পর এক চিতাবাঘের আঁচর খেয়ে তিনি সার্কাস ত্যাগ করেন।

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

  • হিজ অ্যাথলেটিক ওয়াইফ (১৯১৩)
  • দ্য লিটল আমেরিকান (১৯১৭)
  • দ্য ফোর হর্সমেন অব দি অ্যাপোক্যালিপ্‌স (১৯২০)
  • রবিনহুড (১৯২২)
  • থ্রি এজেস (১৯২৩)
  • দ্য ফ্লেম অব লাইফ (১৯২৩)
  • দ্য নাইট ক্লাব (১৯২৫)
  • স্টেয়ারস অব স্যান্ড (১৯২৯)
  • দ্য বিগ হাউজ (১৯৩০)
  • মিন অ্যান্ড বিল (১৯৩০)
  • বিলি দ্য কিড (১৯৩০)
  • ওয়ে ফর আ সেইলর (১৯৩০)
  • আ লেডিজ মোরালস্‌ (১৯৩০)
  • দ্য চ্যাম্প (১৯৩১)
  • ট্রেজার আইল্যান্ড (১৯৩৪)
  • ভাইভা ভিলা! (১৯৩৪)

পুরস্কার ও মনোনয়ন

বছর পুরস্কার বিভাগ চলচ্চিত্র ফলাফল
১৯৩০ একাডেমি পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা দ্য বিগ হাউজ মনোনীত
১৯৩২ দ্য চ্যাম্প বিজয়ী(ফ্রেডরিক মার্চের সাথে যৌথভাবে)
১৯৩৪ ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ভল্পি কাপ ভাইভা ভিলা! বিজয়ী

তথ্যসূত্র

  1. Obituary Variety, April 20, 1949.
  2. "Walk of Fame Stars-Wallace Beery"হলিউড ওয়াক অব ফেম। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮
  3. Dictionary of Missouri Biography, Lawrence O. Christensen, University of Missouri Press, 1999.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.