আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড বা এ পি সি রোড (পূর্বনাম আপার সার্কুলার রোড) কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ১৭৯৯ সালে মারহাট্টা খাত বুজিয়ে সারকুলার রোড নামে এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই রাস্তাটিই কলকাতা দ্বিতীয় রাস্তা যেটি রোড নামে অভিহিত হয়। লৌকিক নামে সারকুলার রোড পরিচিত ছিল বাহার সড়ক নামে।[1] স্বাধীনতার পর দুই বিশিষ্ট বাঙালি বৈজ্ঞানিক আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর নামে রাস্তাটির উত্তর ও দক্ষিণভাগ নামাঙ্কিত হয়। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড ও আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড একত্রে কলকাতার দীর্ঘ রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড শ্যামবাজার অঞ্চলের প্রসিদ্ধ পাঁচ মাথার মোড় থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে খান্না মোড়, বিডন স্ট্রিট মোড়, মানিকতলা মোড়, রাজাবাজার মোড়, কলেজ স্ট্রিট মোড়, মহাত্মা গান্ধী রোড মোড়, শিয়ালদহ হয়ে বিদ্যাপতি সেতু নামক উড়ালপুল অবধি বিস্তৃত। এর পর থেকে রাস্তাটি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড নামে অভিহিত হয়েছে।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ভবন, স্থাপনা ও দ্রষ্টব্যগুলি হল : শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, খান্ন সিনেমা, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কেন্দ্রীয় ব্লাডব্যাংক, বসু বিজ্ঞান মন্দির, ক্যালকাটা ডেফ স্কুল, রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজ, ডক্টর এম এন চ্যাটার্জি চক্ষু চিকিৎসালয় এবং আয়ুর্বেদিক কলেজ (স্নাতক) ও হাসপাতাল, ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন, ইএসআই হসপিটাল, বিদ্যাপতি সেতু ও শিয়ালদহ রেলওয়ে টার্মিনাস।
তথ্যসূত্র
- কলকাতা: চার্নক থেকে সি.এম.ডি.এ. পর্যন্ত এক পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস, অতুল সুর, জেনারেল প্রিন্টার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ১৯৮১, পৃষ্ঠা ২৬৮
আরও দেখুন
- আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড
- প্রফুল্লচন্দ্র রায়