যশোর রোড

যশোর রোড [1] হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক।এই সড়কটি কলকাতার দমদম থেকে দেশের সীমান্ত শহর বনগাঁ এর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।এই সড়ক পথটি প্রায় ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ।বর্তমানে এই সড়কটির সম্প্রসারনের কাজ চলছে।সড়কটি চার লেনে উন্নিত করা হবে।দমদম থেকে বারাসাত পর্যন্ত যশোর রোড এর সম্প্রসারনের কাজ প্রায় শেষের দিকে।এই সড়কটি দমদম থেকে বারাসাত পর্যন্ত জাতীয় সড়ক ৩৪ এর অংশ এবং বারাসাত থেকে বনগাঁ এর পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার (৩৮ মা) জাতীয় সড়ক ৩৫ এর অংশ।সম্পূর্ণ যশোর রোড এএইচ১ এর অংশ।এই মহাসড়ক পথটি বাংলাদেশের সঙ্গে কলকাতার কম দূরত্বে যোগাযোগ ঘটায়। এই সড়ক পথে কলকাতা-ঢাকা, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলাকলকাতা -খুলনা রুটে আন্তর্জাতিক বাস পরিসেবা চালু রয়েছে।

বনগাঁর কাছে যশোর রোড

ইতিহাস

এই মহাসড়কটি নাম বাংলাদেশের যশোর জেলা বা যশোর এলাকার নাম থেকে নেওয়া হয়েছে। কারণ এই মহাসড়কটি ঐতিহাসিক ভাবে কলকাতা থেকে যশোর পর্যন্ত বিস্তৃত। ব্রিটিশ ভারতযশোর শহরে একটি বায়ু সেনার বিমান ঘাটি ছিল। ফলে সেই সময় এই বিমানঘাটির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি করার জন্য যশোর রোডের আধুনিক ভাবে নির্মাণ করা হয়।

যশোর রোড দমদম এর অংশ।

বর্তমানে যশোর রোড বলতে দমদম থেকে বনগাঁ এর পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত মহাসড়ককে বোঝায়।[2]

সম্প্রসারণ

দমদমে যশোর রোড ও বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে এর ক্রসিং

বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত যশোর রোড সম্প্রসারণে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন সূত্রের খবর, পরিকল্পনা রূপায়ণের নকশা তৈরি করতে আজ, শুক্রবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা বৈঠকে করেছেন। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সুপারিন্টেনডিং ইঞ্জিনিয়ার রাজীব চট্টরাজের অধিনে , ‘‘রাস্তা সম্প্রসারণে সমীক্ষা চলছে।’’ বারাসতের ডাকবাংলো মোড় থেকে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ যশোর রোড (৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক) সম্প্রসারণ করে চার লেন করা হবে। এ ব্যাপারে শাসক দলের জেলা নেতা ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, রাস্তার কাজ নির্বিঘ্নে এবং দ্রুত শেষ করতে হবে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করেছে যেখানে রাস্তাটির উপর রেলগেট রয়েছে যেমন বারাসতের কাজীপাড়া, অশোকনগর, হাবড়া এবং বনগাঁয় এই সমস্ত রেল গেটের স্থানে উড়ালপুল নির্মাণ করা হবে। কারা এই কাজ করবে, দরপত্র ডেকে তা-ও চূড়ান্ত হয়েছে।

চাঁদপাড়ার কাছে যশোর রোড

কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৯ কিলোমিটার যাওয়ার পরে বারাসতের ডাকবাংলো মোড়ে যশোর রোড দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক দিক চলে গিয়েছে ডালখোলা হয়ে উত্তরবঙ্গে, যার পোশাকি নাম ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। অন্যটি যশোর রোড নামেই (৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক) চলে গিয়েছে বনগাঁর পেট্রাপোলে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত। বর্তমানে অনেক বাধা-নিষেধ পেরিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চালু হয়েছে। এ বার ৩৫ নম্বর সম্প্রসারণে হাত দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারতে এই পথ দিয়েই পাড়ি জমিয়েছিল । এছাড়া এই সড়ক ও সড়কের গাছের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ১৭৪ বছরের ।

দমদমে যশোর রোড

এই সড়ক সম্পর্কে বিদেশী কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ লিখেছেন তাঁর সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড

আরো দেখুন

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড

তথ্যসূত্র

  1. "যশোর রোডের অবস্থান"। সংগ্রহের তারিখ ২৩-১২-২০১৬ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "যশোর রোডের প্রাচীন গাছের ছায়ায় ছায়ায় সত্তর কিমি সাইকেল যাত্রা"। সংগ্রহের তারিখ ২৩-১২-২০১৬ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.