বনগাঁ
বনগাঁ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। আদি নাম বনগ্রাম। এখানে বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। এই শহরের উপর দিয়ে ইছামতি নদী বয়ে গিয়েছে। এই শহরটি ভারতের সব থেকে বড় স্থল বন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় ও উল্লেখযোগ্য সীমান্তবর্তী এলাকা।
বনগাঁ বনগা | |
---|---|
নগর | |
![]() বনগাঁ বাটার মোর | |
![]() ![]() বনগাঁ | |
স্থানাঙ্ক: ২৩.০৩০৫° উত্তর ৮৮.৮৩২৯° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
অঞ্চল | পূর্ব ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | উত্তর চব্বিশ পরগনা |
মহুকুমা | বনগাঁ মহকুমা |
সরকার | |
• শাসক | পৌরসভা |
• সংসদ সদস্য | শান্তনু ঠাকুর |
• পৌর পিতা | শংকর আঢ্য |
আয়তন | |
• মোট | ১৪.২৭৪ কিমি২ (৫.৫১১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৭ মিটার (২৩ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,১০,১১৫ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা,ইংরাজি |
ভৌগোলিক উপাত্ত

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩.০৭° উত্তর ৮৮.৮২° পূর্ব.[1] সমূদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৭ মিটার (২২ ফুট)।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে বনগাঁ শহরের জনসংখ্যা হল ১০২,১১৫ জন।[2] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এই শহরের জনসংখ্যার ১০% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
পরিবহন
সড়ক পথ
শহরটি এন এইচ ৩৫ দ্বারা বারাসাত হয়ে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত। এই সড়কটি যশোর রোড নামে বিখ্যাত।বর্তমানে এই সড়কের সম্প্রসারনের কাজ চলছে।বনগাঁ শহরের আর একটি প্রধান সড়ক হল বনগাঁ-চাকদহ রোড। এই সড়কটি দ্বারা বনগাঁ শহর নদীয়া জেলার সঙ্গে যুক্ত।
রেলপথ

বনগাঁ শহরের এক মাত্র রেল স্টেশন হল বনগাঁ রেলওয়ে স্টেশন।এটি ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এটি স্টেশনটি হল শিয়ালদাহ-বনগাঁ শাখার প্রন্তিক স্টেশন।

এই স্টেশনটি বনগাঁ-শিয়ালদহ রেলপথ ও বনগাঁ-রানাঘাট রেলপথের প্রান্তীক বা শেষ স্টেশন।এই স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ জোড়ার বেশি ট্রেন চলাচল করে।
প্রধান লোকাল ট্রেন গুলি-
- বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল
- বনগাঁ-রানাঘাট লোকাল
- বনগাঁ-বারাসাত লোকাল
- বনগাঁ-শান্তিপুর লোকাল
- বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল
- বনগাঁ-ক্যানিং লোকাল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় বনগাঁও এর একমাত্র ডিগ্রী কলেজ যেটা বারাসত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় (অতীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্গত ছিল) এর সাথে সংযুক্ত।[3][4] বনগাঁ শহরে অনেক গুলি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ও সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চবিদ্যালয় হল বনগাঁ হাই স্কুল, এই শহরের প্রধান বালিকা বিদ্যালয় হল কুমোদিনি বালিকা বিদ্যালয়।
অর্থনীতি
.jpg)
বনগাঁ শহরে এখনও কোনো বড় বা বৃহৎ শিল্প গড়ে ওঠেনি।তবে এখানে বহু ছোট শিল্প গড়ে উঠেছে।কৃষি নির্ভর কিছু শিল্প দেখা যায় এখানে।বনগাঁ শহরে চিরুনি নির্মাণের অনেক কারখানা রয়েছে।এই শিল্পে বহু মানুষ নিযুক্ত রয়েছেন।এখানে তৈরি চিরুনি বিভিন্ন রাজ্য রপ্তানি করা হয়।বনগাঁ শহর ও তার পার্শবর্তী এলাকায় প্রায় ১০০ টি চিরুনি কারখানা রয়েছে।এখানে একটি রাইচ মিল বা চাল মিল গড়ে উঠেছে ₹৫ কোটি (US$০.৭ মিলিয়ন) ব্যায়ে।এটিই বনগাঁ শহর এলাকার বৃহত্তম শিল্প লগ্নি বর্তমান সময়ে।
স্থল বন্দর
বনগাঁ হল ভারত এর একটি গুরুত্বপূর্ন সীমান্ত শহর।এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বনগাঁয় রয়েছে দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর। যা পেট্রাপোল স্থলবন্দর নামে পরিচিত, এর অপর পারে বাংলাদেশের বেনাপোল অবস্থিত। বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এখানে বর্তমানে একটি সুসংহত চেকপোষ্ট গড়ে উঠেছে। বনগাঁ শহরকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশ এর বেশির ভাগ বাণিজ্য হয়।
তথ্যসূত্র
- Falling Rain Genomics, Inc - Bangaon
- "Urban Agglomerations/Cities having population 1 lakh and above" (PDF)। Provisional Population Totals, Census of India 2011। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-২১।
- Dinabandhu Mahavidyalay History ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুলাই ২০১২ তারিখে Retrieved 15 July 2012
- "Affiliated College of West Bengal State University"। ২৯ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৬। Retrieved 15 July 2012