নূরুল হক (বীর বিক্রম)

নূরুল হক (জন্ম: অজানা) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে। [1]

নূরুল হক
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর বিক্রম
একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন নূরুল হক

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

নূরুল হকের জন্ম যশোর জেলার সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের ইছালী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. শমসের আলী মোল্লা এবং মায়ের নাম রাহেলা বেগম। তাঁর স্ত্রীর নাম শাহানারা বেগম। তাঁদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

কর্মজীবন

নূরুল হক চাকরি করতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। তখন তাঁর পদবি ছিল হাবিলদার। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। যশোরের বেনাপোলে যুদ্ধ করার পর ভারতে যান। পুনর্গঠিত হওয়ার পর যুদ্ধ করেন নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। তখন তাঁর পদবি ছিল নায়েব সুবেদার।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সিলেট এমসি কলেজে শেষ রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নিঃশব্দে অবস্থান নিতে থাকলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান ঘিরে। মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি দলে বিভক্ত। একটি দলে আছেন নূরুল হক। কিছুক্ষণ পর সকাল হলো। চারদিক আলোয় ক্রমে উজ্জ্বল হচ্ছে। পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের দেখেও বুঝতে পারল না, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা। একটু পর সেখানে শুরু হলো প্রচণ্ড যুদ্ধ। ভোর চারটায় এমসি কলেজের টিলার ওপরে এসে মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুর গতিবিধি লক্ষ করা শুরু করেন। পজিশন না নিয়েই ছয়টা মেশিনগান দিয়ে তিন দিক থেকে ফায়ার শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। শত্রুপক্ষে বেশ কিছু হতাহতের পর তারা আরও উঁচু টিলায় অবস্থান নেন এবং তাদের সব শক্তি টিলার ওপর নিয়োগ করে। এতে ডি ও বি কোম্পানির যথেষ্ট ক্ষতিসাধিত হয়। প্লাটুন কমান্ডার সুবেদার ফয়েজসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। এমসি কলেজের যুদ্ধে নূরুল হক যথেষ্ট বীরত্ব ও সাহস প্রদর্শন করেন। যুদ্ধের একপর্যায়ে তিনি আহত হন। তাঁর পায়ে গুলি লাগে। এতে তিনি দমে যাননি। গুলিবিদ্ধ হয়েও অনেকক্ষণ যুদ্ধ করেন। পরে সহযোদ্ধারা তাঁকে উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেন ফিল্ড হাসপাতালে। এর আগে কামালপুর যুদ্ধেও শেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে তিনি আহত হয়েছিলেন। ৩১ জুলাই ওই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। গুয়াহাটিতে চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় যুদ্ধে যোগ দেন।[2]

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ০৯-০৪-২০১২
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধা (দ্বিতীয় খন্ড)। ঢাকা: প্রথমা প্রকাশন, ১৯, কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ২০১৩। পৃষ্ঠা ১১২। আইএসবিএন ৯৮৪-৯৮৪-৯০২৫৩-৭৫ |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid character (সাহায্য)

বহি:সংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.