চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চবি) চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সরকারি বহু-অনুষদভিত্তিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলায় স্থাপিত হয়। এটি দেশের তৃতীয় এবং শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়।[2] ২০১৯ সালের হিসাবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৭,৮৩৯ শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষক রয়েছেন৷[3]
![]() চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো | |
অন্যান্য নাম | চবি |
---|---|
ধরন | সরকারি, সহ-শিক্ষা |
স্থাপিত | ১৮ নভেম্বর ১৯৬৬ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ |
উপাচার্য | শিরীণ আখতার |
শিক্ষায়তনিক কর্মকর্তা | ৮৭২ |
প্রশাসনিক কর্মকর্তা | ৩১১ (পুরুষ ২৭৭, নারী ৩৪) |
শিক্ষার্থী | ২৭,৮৩৯ (ছাত্র ১৫,৫৯৮, ছাত্রী ৯,১৭৯) |
ঠিকানা | ফতেহপুর, হাটহাজারী , , ৪৩৩১[1] , ২২.৪৭১০০২১° উত্তর ৯১.৭৮৮৪৬৯৩° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | ২,১০০ একর (৮৫০ হেক্টর) |
ভাষা | বহুভাষিক |
ওয়েবসাইট | cu |
![]() | |
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। সে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এখানে রয়েছে চট্টগ্রামের সর্ববৃহত বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ ও অধ্যাপনা করেছেন যার মধ্যে ১ জন নোবেল বিজয়ী এবং একাধিক একুশে পদক বিজয়ী অর্ন্তভূক্ত রয়েছেন।[4]
অবস্থান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার (১৪ মা) উত্তরে হাটহাজারী থানার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার ২,১০০ একর (৮৫০ হেক্টর) একর পাহাড়ি এবং সমতল ভূমির উপর অবস্থিত।[5] পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ছিল ১,৭৫৩.৮৮ একর (৭০৯.৭৭ হেক্টর),[2] যা পরবর্তীতে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রায় ৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নিমার্ণের মাধ্যমে বর্ধিত করা হয়।[6] ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু হয়।[2]
ইতিহাস
.jpg)
.jpg)
.jpg)
বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে চট্টগ্রাম বিভাগে কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় চট্টগ্রামের অধিবাসিরা স্থানীয়ভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুভব করে । ১৯৪০ সালের ২৮ ডিসেম্বর, কলকাতায় অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সম্মেলনে মওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামবাদী সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি’ নির্মাণের কথা উপস্থাপন করেন এবং একই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার দেয়াঙ পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানের জন্য ভূমি ক্রয় করেন। দুই বছর পর, ১৯৪২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নূর আহমদ বঙ্গীয় আইন পরিষদে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করেন।[2]
ষাটের দশকে তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৬০-১৯৬৫) প্রণয়নকালে চট্টগ্রামে একটি ‘বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মানের স্থান হিসেবে শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত চট্টগ্রাম সরকারি কলেজকে সম্ভাব্য ক্যাম্পাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬২ সালে, তৎকালিন পূর্ব-পাকিস্তানের জনশিক্ষা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদাউস খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি প্রাথমিক খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেন।[5] একই বছর, ১৯৬২ সালের নির্বাচন প্রচারনায় ফজলুল কাদের চৌধুরী এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাধারণ প্রতিশ্রুতি দেন। এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।[2]
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের স্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ার পর, ১৯৬১ সালের ৭ মে চট্টগ্রামের নিবাসির উদ্যোগে স্থানীয় মুসলিম হলে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত প্রকাশ করেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে ৩০ ডিসেম্বর, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ’ নামে আরেকটি পরিষদ গঠিত হয়। এই সকল সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ ও স্মারকলিপি প্রদান, পত্রপত্রিকায় বিবৃতি, সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে থাকে। সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬২ সালের ৯ ডিসেম্বর লালদিঘী ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালের ৮ জানুয়ারি, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।[2]
.jpg)
১৯৬৩ সালের ২৯ নভেম্বর, ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার মনোনীত হন। প্রথমদিকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে স্থাপনের পরিকল্পনা করা হলেও ১৯৬৩ সালের ১২ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে ফজলুল কাদের চৌধুরী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এ.টি.এম মোস্তফাকে বিশ্ববিদ্যালয়টি কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ১৯৬৪ সালের ৯ মার্চ তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর এম ওসমান গণিকে চেয়ারম্যান এবং ডক্টর কুদরাত-এ-খুদা, ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এম ফেরদৌস খান ও ডক্টর মফিজউদ্দীন আহমদকে সদস্য নির্বাচিন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’ গঠিত হয়। এই কমিশন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজার নির্জন পাহাড়ি ভূমিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হিসেবে সুপারিশ করে। ১৯৬৪ সালের ১৭-১৯ জুলাই পাকিস্তানের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় ‘স্থান নির্বাচন কমিশন’-এর সুপারিশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহণ এবং এর চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়।[2] ১৯৬৪ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।[7]
১৯৬৫ সালের ৩ ডিসেম্বর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের প্রাক্তন কিউরেটর ড. আজিজুর রহমান মল্লিককে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প-পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর আজিজুর রহমান মল্লিককে চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৩নং সড়কের ‘কাকাসান’ নামের একটি ভবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের অফিস স্থাপন করেন। ১৯৬৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর, এক সরকারি প্রজ্ঞাপন বলে তৎকালীন পাকিস্তান শিক্ষা পরিদপ্তরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমস্ত কর্মকর্তাকর্মচারীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অফিসে বদলি করা হয়। স্থপতি মাজহারুল ইসলামের ‘বাস্তকলা’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাষ্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়। প্রাথমিকভাবে ১টি দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন, বিভাগীয় অফিস, শ্রেণিকক্ষ ও গ্রন্থাগারে জন্য একতলা ভবন তৈরি করার পাশাপাশি শিক্ষক ও ছাত্রদের আবাসনের ব্যবস্থাও করা হয়।[2]
২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করে।[8]
মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়
- আরও দেখুন: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ বছর পূর্বে চালু হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সহ দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে ১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো।[9]
১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. আজিজুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। ২৪ মার্চ, স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে প্রাক্তণ ছাত্র সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে আয়োজন করা হয় গণসঙ্গীত। ২৬ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দখল করে, এবং টানা নয় মাস তাদের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে। পাকিস্তানি সেনারা এখানে তাদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্প বানিয়েছিল। পরবর্তীতে যুদ্ধের শেষে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাফর ইমামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় এবং ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের নয়দিন পর ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানিদের আওতা মুক্ত হয়।[9]
১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, বারোজন শিক্ষার্থী সহ তিন জন কর্মকর্তা নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়।[10] হোসেন গণবাহিনী (সেক্টর-১)-এর অধিনে নৌ-কমান্ডো হিসাবে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন।[11] এই ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষে, মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে জিরো পয়েন্ট চত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ স্মরণ।[12]
মুক্তিযুদ্ধে নিহতরা হলেন:[9]
ক্রম | নাম | বিবরণ |
---|---|---|
০১ | বীর প্রতীক মোহাম্মদ হোসেন | প্রকৌশল দপ্তরের চেইনম্যান |
০২ | অবনী মোহন দত্ত। | দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক |
০৩ | আবদুর রব | চাকসুর সাধারণ সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের ছাত্র |
০৪ | প্রভাস কুমার বড়ুয়া | উপ-সহকারি প্রকৌশলী |
০৫ | মনিরুল ইসলাম খোকা | বাংলা বিভাগের ছাত্র |
০৬ | মোহাম্মদ হোসেন | বাংলা বিভাগের ছাত্র |
০৭ | মোস্তফা কামাল | বাংলা বিভাগের ছাত্র |
০৮ | নাজিম উদ্দিন খান | অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র |
০৯ | আবদুল মান্নান | অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র |
১০ | ফরহাদ উদ-দৌলা | ইতিহাস বিভাগের ছাত্র |
১১ | খন্দকার এহসানুল হক আনসারি | বাণিজ্য অনুষদের ছাত্র |
১২ | আশুতোষ চক্রবর্তী | ইংরেজি বিভাগের ছাত্র |
১৩ | ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ | সমাজতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র |
১৪ | আবুল মনসুর | রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র |
১৫ | ভুবন | গণিত বিভাগের ছাত্র (মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কেরা-নভেম্বর ১৮, ২০১৬-দৈনিক পূর্বকোন) |
১৬ | ছৈয়দ আহমদ | আলাওল হলের প্রহরী |
শিক্ষাঙ্গন
জাদুঘর
বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর
.jpg)
১৯৭৩ সালের ১৪ জুন, মধ্যযুগের চারটি কামান নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে জাদুঘরে বেলে পাথরের একাধিক ভাস্কর্যসহ বেশকিছু প্রাচীন পাথরের ভাস্কর্য এবং একটি কামান রয়েছে। জাদুঘর ভবনটি পাঁচটি গ্যালারিতে বিভক্ত। যেখানে রয়েছে: প্রাগৈতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক গ্যালারি, ভাস্কর্য গ্যালারি, ইসলামিক আর্ট গ্যালারি, লোকশিল্প গ্যালারি এবং সমসাময়িক আর্ট গ্যালারি।[13]
জাদুঘরের মূল কক্ষের প্রবেশ পথে রয়েছে দ্বাদশ শতকের একটি প্রাচীন শিলালিপি। এখানে অষ্টম শতকের পাহাড়পুর থেকে প্রাপ্ত পোড়ামাটির চিত্রফলক, বৌদ্ধমূর্তি, মধ্যযুগের ১০-১৫টি বিষ্ণুমূর্তি, সৈন্যদের ব্যবহৃত অস্ত্র-শস্ত্র, বিভিন্ন রকম মুদ্রা, প্রাচীন বই, বাদ্যযন্ত্র, আদবিাসীদের বিভিন্ন নিদর্শন, চিনামাটির পাত্র ইত্যাদি সংরক্ষিত রয়েছে। সমসাময়িক আর্ট গ্যালারিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, রশিদ চৌধুরী, জিয়া উদ্দীন চৌধুরী, নিতুন কুন্ডু চৌধুরীর পেইন্টিংস এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের ভাস্কর্য রয়েছে।[14] প্রাগৈতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আর্ট গ্যালারিতে প্রাচীনকালের চিত্রকর্ম, জীবাশ্ম, মাটির মূর্তি রয়েছে। ভাস্কর্য গ্যালারিতে রয়েছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়কালের কাঠের মূর্তি, বিষ্ণুমূর্তি, শিবলিঙ্গ প্রভৃতী। লোকশিল্প গ্যালারিতে সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকের তামা, পিতল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, বেতের ঝুড়ি, মাটির ভাস্কর্য, মাটির পুতুল প্রভৃতির বিশাল সম্ভার রয়েছে। ইসলামিক আর্ট গ্যালারিতে রয়েছে মোগল আমলের কামান, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, হস্তলিখিত কুরআন, মধ্যযুগীয় অস্ত্র, প্রাচীন মসজিদের ও তাদের ধ্বংসাবশেষের ছবি। জাদুঘরটি সকল খোলার দিনে দর্শকদের জন্য উম্মুক্ত থাকে।
প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের পাঠক্রমের সমর্থনে সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থাপিত হয়। জাদুঘরে প্রায় ৫৪০ টি নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে, এর মধ্যে প্রাণীর সংখ্যা ৫৭ টি এবং ফরমালিন (ভেজা সংরক্ষিত) নমুনার সংখ্যা ৪৮৫ টি।[15]
সমুদ্র সম্পদ জাদুঘর
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের একটি কক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে এ জাদুঘর। এখানে ৫৫০ টির মতো সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ করা হয়েছে। হাঙ্গর থেকে শুরু করে বৈদ্যূতিক মাছ, আজব বাণাকেল, অক্টোপাস, শামুক, বিভিন্ন প্রজাতীর সাপ সহ রয়েছে অসংখ্য বিস্ময়কর জীববৈচিত্রের সংরক্ষণ।[15]
স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য
.jpg)
.jpg)
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বিপরীত পাশে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ভাষ্কর্যটি স্থাপন করা হয় বলে স্তম্ভটির অবস্থান বুদ্ধিজীবী চত্বর নামে পরিচিত। প্রথিতযশা শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্মৃতিস্তম্ভের নকশা প্রণয়ন করেন। ১৯৮৫ সালে স্থাপিত স্মৃতিস্তম্ভটি এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃজনশীল কর্মের সূতিকাগার হিসাবে ভাবা হয়।[16][17]
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
ষাটের দশকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর, তিনটি স্তম্ভের আদলে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল।[18] পরবর্তীতে প্রাকৃতির দুযোর্গে সেটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায়, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের বিপরীত পাশে প্রায় দশ শতক জায়গার ওপর[19] ১৯৯৩ সালে বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।[9] এটির নকশা প্রনয়ন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ও ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ।[18] ত্রিভুজাকৃতির তিনটি মিনারের চূড়ায় রয়েছে একটি শাপলা ফুলের কলি।[19] বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ১৯৯৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।[19]
স্মরণ স্মৃতিস্তম্ভ
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথেই ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বরে স্থাপন করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ স্মরণ।[12] স্মৃতিস্তম্ভটির স্থপতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ সাইফুল কবীর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষক, ১১ জন ছাত্র এবং ৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ সর্বমোট ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগ আর বীরত্বের স্মৃতিস্বরূপ ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়েছে। ভূমি থেকে স্মরণের মূল বেদি পর্যন্ত সর্বমোট চারটি ধাপ যার প্রতিটি ধাপ বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। প্রথম ধাপ বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, দ্বিতীয় ধাপ ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, তৃতীয় ধাপ সত্তরের নির্বাচন ও চতুর্থ ধাপে প্রতিফলিত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।[16][17] স্মৃতিস্তম্ভে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ছবি রয়েছে, তারা হলেন- প্রকৌশল দপ্তরের চেইন ম্যান বীর প্রতীক মোহাম্মদ হোসেন, চাকসুর জিএস আব্দুর রব, শিক্ষার্থী ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, ফরহাদ-উদ-দৌলা, নাজিম উদ্দিন খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রভাষ কুমার বড়ুয়া এবং প্রহরী সৈয়দ আহমদ।
স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরাল
.jpg)
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনে ভাস্কর্যটির অবস্থান। খ্যাতিমান শিল্পী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক মুর্তজা বশীরের একক প্রচেষ্টায় এটি নির্মিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল কবীর ভাস্কর্যটির নকশায় করেন।[17][12] ভাস্কর্যটিতে ৪টি পাখির প্রতীকী নির্মাণে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাঙালির ছয় দফা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্রমধারা এবং পাখির ডানায় ২১টি পাথরের টুকরায় লিপিবদ্ধ হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সমৃতি। ভাস্কর্টির মূল ভিত্তি রচিত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলার ওপর।[16] ২৫ মার্চ, ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আবু ইউসুফ, ও উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এটি উদ্ভোধন করেন।[12]
জয় বাংলা
বুদ্ধিজীবি চত্ত্বরে নির্মিত জয় বাংলা ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয় অক্টোবর ২০১৮ সালে। সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব জাহানের নকশাকৃত ভাস্কর্যটির নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চে এবং তৈরি করতে সময় লাগে নয় মাস। এটি নির্মাণ সহযোগী ছিলেন মুজাহিদুর রহমান মূসা ও জয়াশীষ আচার্য।[20] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ভাস্কর্যের দুটি স্তরের, উপরের অংশে রয়েছে চামড়া সংযুক্ত তিনজন সরাসরি মুক্তিযোদ্ধার অবয়ব; যাাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। নিচের অংশে ব্যবহৃত ২০টি মানব অবয়বের মধ্যে রয়েছে রয়েছে দুজন পাহাড়ি-বাঙালির অবয়ব, যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি ও বাঙালিদের অংশগ্রহণ তুলে ধরা হয়েছে। বেদি থেকে প্রায় ১৮ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্যটির প্রস্থ প্রায় ২০ ফুট। উপরের স্তরে দুই পুরুষ মুক্তিযোদ্ধার উচ্চতা ১১ ফুট এবং নিচের স্তরে প্রতিটি মানব অবয়বের উচ্চতা ‘লাইফ সাইজ’ ফুট হিসাবে বিবেচিত।[20][21] ২০ লক্ষ টার্ক ব্যায়ে নির্মিত ভাস্কর্ডটি ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।[22][21]
- কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
- স্মরণ
- স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরালের টেরাকোটা নকশা
- জয় বাংলা
আবাসিক হলসমূহ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে ১২টি আবাসিক হল রয়েছে যার মধ্যে ৮টি ছাত্র হল ও ৪টি ছাত্রী হল।[23] এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১টি হোস্টেল রয়েছে।[2]
ছাত্র হল
|
ছাত্রী হল
ছাত্রাবাস
|
- শামসুন্নাহার হল
- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হল
- গোবিন্দ গুণালংকার ছাত্রাবাস
- প্রবেশদ্বার, গোবিন্দ গুণালংকার ছাত্রাবাস
- প্রবেশদ্বার, বিশ্বশান্তি প্যাগোডা
ক্যাফেটেরিয়া
.jpg)
বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে,[25] যার মধ্যে চাকসু ক্যাফেটেরিয়া, আইটি ক্যাফেটেরিয়া অন্যতম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদ চাকসু ভবনের ৩য় তলায় সাংবাদিক সমিতির অবস্থান। ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর এটির যাত্রা শুরু। শুরু থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যগণ পদাধিকারবলে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চবি সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অনুমোদিত একটি সংগঠন।
মেডিকেল সেন্টার
বিশ্ববিদ্যালয়েরর আইন অনুষদের কাছেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার অবস্থিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের এবং প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কাজ করে থাকে। পাশাপাশি এখানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের জন্যও বিনামূল্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এই মেডিকেল সেন্টারে সপ্তাহের প্রতিদিন সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে চিকিৎসকগণ পালা করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। এই সেন্টারে ১১ জন চিকিৎসক ও ৪ টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এছাড়াও মেডিকেল সেন্টার প্রাঙ্গনে ৬ টি অস্থায়ী বিছানার ব্যবস্থা রয়েছে।[26]
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাস প্রাকৃতিক সৌর্ন্দের লীলাভূমি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন জুড়ে রয়েছে আঁকাবাঁকা পথ, পাহাড়ী পথ, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং বন্য প্রাণী। প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটা পাহাড়, বাণিজ্য অনুষদের পেছনে, ফরেস্ট্রি একালাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশে ছোট আকারের লালচে বাদামী পিঙ্গল রংয়ের মায়া হরিণ দেখা যায়। এইসব মায়া হরিণগুলো খর্বকায় ও লাজুক স্বভাবের। তবে এই হরিণের প্রকৃত সংখ্যা কত তা জানাে নেই।[27] এছাড়াও কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পেছনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পাহাড়ি ঝরনা।[28]
অ্যাকাডেমিক
অনুষদসমূহ
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
.jpg)
অনুষদ | ৯[29] |
বিভাগ | ৫৪[30] |
ইনস্টিটিউট | ৭[31] |
গবেষণাকেন্দ্র | ৬[32] |
অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ | ২১ |
অনুষদসমূহ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৫২টি বিভাগ রয়েছে।
- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ
- জীব বিজ্ঞান অনুষদ
- ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ
- শিক্ষা অনুষদ
- প্রকৌশল অনুষদ
- আইন অনুষদ
- চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুষদ
- বিজ্ঞান অনুষদ
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
ইনস্টিটিউটসমূহ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।
- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
- চারুকলা ইনস্টিটিউট
- আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
- কমিউনিটি ওফথমোলজি ইনস্টিটিউট
- বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট
- ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিশ
- সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট
গবেষণা কেন্দ্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
- জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
- নজরুল গবেষণা কেন্দ্র
- ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ
- সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
- সেন্টার ফর এশিয়ান স্টাডিস
অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে বর্তমানে ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে:[33]
- সরকারি মেডিকেল কলেজ
- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
- কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
- চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ, চাঁদপুর
- আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী, নোয়াখালী
- কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার
- বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
- আন্তর্জাতিক ইসলামিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
- ইউনাইটেড কেয়ার ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
- চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
- বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কুমিল্লা
- মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম
- সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
- সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা
- মেডিকেল ইনস্টিটিউট
- চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, চট্টগ্রাম
- নার্সিং কলেজ
- চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ, চট্টগ্রাম
- ফৌজদারহাট নার্সিং কলেজ, ফৌজদারহাট, চট্টগ্রাম
- ডেন্টাল কলেজ
- চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
- অন্যান্য কলেজ
- চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম
- নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম
- ইনস্টিটিউট
- চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, চট্টগ্রাম
- চট্টগ্রাম ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম
.jpg)
গ্রন্থাগার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার যা দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই গ্রন্থাগারে বর্তমান সংগ্রহ সংখ্যা প্রায় ৩.৫ লক্ষ[34] যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও-ভিজ্যুয়াল উপাদান, পান্ডুলিপি এবং অন্ধদের জন্য ব্রেইল বই।[2][35] ১৯৬৬ সালের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোবধনের সাথে এই গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু হয় মাত্র ৩০০ বই নিয়ে।[35] লাইব্রেরি বর্তমান ভবনে স্থানান্তরিত হয় ১৯৯০ সালের নভেম্বরে। তিনতলা বিশিষ্ট গ্রন্থাগারটিতে শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষকদের জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে। গ্রন্থাগার ভবনে একটি মিলনায়তনও রয়েছে। গ্রন্থাগারে ফটোকপির ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রন্থাগারটিতে প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা পড়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। গ্রন্থাগারটিকে বর্তমানে অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে।[36]
সংগঠন
.jpg)
.jpg)
সাংস্কৃতিক
- বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী - চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ
- সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন
- চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ
- চবি বন্ধুসভা
- উত্তরায়ণ সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ
- লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন
- অঙ্গন, চবি
বিজ্ঞান
- প্রগতি বিজ্ঞান আন্দোলন
- বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ
- বাংলাদেশ ওপেন সায়েন্স অর্গানাইজেশন
- চবি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন
রাজনৈতিক
বিবিধ
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (সিইউডিএস)
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব ডিবেট (সিইউএসডি)
- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট ডিবেট অ্যাসোসিয়েশন
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য প্রযুক্তি সমাজ (সিইউআইটিএস)
- বিএনসিসি সেনা নৌ ও বিমান শাখা
সমাবর্তন
১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে ১৯৮১ সালে একটি বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[2] সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের জানুয়ারি ৩১ তারিখ।[37]
সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান
বছর | নাম | উপাধি | পরিচয় |
---|---|---|---|
১৯৮১ | আবদুস সালাম | ডক্টর অব সায়েন্স | তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী |
২০০৮ | জামাল নজরুল ইসলাম | ডক্টর অব সায়েন্স | একুশে পদক বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী |
২০১৮ | প্রণব মুখোপাধ্যায় | ডক্টর অব লেটার্স | ভারতের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি |
উপাচার্যবৃন্দ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরবর্তী এ যাবৎকাল পর্যন্ত মোট ১৮ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শিরীণ আখতার।
ক্রম | চিত্র | উপাচার্য | থেকে | পর্যন্ত |
---|---|---|---|---|
১ | ![]() |
অধ্যাপক আজিজুর রহমান মল্লিক | ০১-১০-১৯৬৬ | ৩১-০১-১৯৭২ |
২ | ইউ এন সিদ্দিকী (ভারপ্রাপ্ত) | ২১-০৪-১৯৭১ | ৩০-০১-১৯৭২ | |
৩ | ![]() |
অধ্যাপক এম ইন্নাস আলী | ০১-০২-১৯৭২ | ১৮-০৪-১৯৭৩ |
৪ | ![]() |
অধ্যাপক আবুল ফজল | ১৯-০৪-১৯৭৩ | ২৭-১১-১৯৭৫ |
৫ | ![]() |
অধ্যাপক আব্দুল করিম | ২৮-১১-১৯৭৫ | ১৮-০৪-১৯৮১ |
৬ | অধ্যাপক এম এ আজিজ খান[38] | ১৯-০৪-১৯৮১ | ১৮-০৪-১৯৮৫ | |
৭ | অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী | ১৯-০৪-১৯৮৫ | ২২-০৫-১৯৮৮ | |
৮ | অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দীন | ২৩-০৫-১৯৮৮ | ২৯-১২-১৯৯১ | |
৯ | অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী | ৩০-১২-১৯৯১ | ০৬-১১-১৯৯৬ | |
১০ | অধ্যাপক আব্দুল মান্নান | ০৬-১১-১৯৯৬ | ১৩-০২-২০০১ | |
১১ | অধ্যাপক মোহাম্মদ ফজলী হোসেন | ১৪-০২-২০০১ | ০২-০২-২০০২ | |
১২ | অধ্যাপক এ জে এম নুরউদ্দীন চৌধুরী | ০২-০২-২০০২ | ০২-০২-২০০৬ | |
১৩ | অধ্যাপক এম বদিউল আলম | ০৩-০২-২০০৬ | ২৪-০২-২০০৯ | |
১৪ | অধ্যাপক আবু ইউসুফ আলম[39][40] | ২৫-০২-২০০৯ | ২৮-১১-২০১০[41] | |
১৫ | অধ্যাপক মোহাম্মদ আলাউদ্দীন (ভারপ্রাপ্ত)[42] | ০৯-১২-২০১০[41] | ১৪-০৬-২০১১ | |
১৬ | অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম আরিফ[43] | ১৫-০৬-২০১১ | ০১-০৬-২০১৫ | |
১৭ | ![]() |
ডক্টর ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | ০২-০৬-২০১৫[44][45][46] | ?? |
১৮ |
ডক্টর শিরীণ আখতার | ৩ নভেম্বর ২০১৯ | বর্তমান |
বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তালিকা
প্রকাশনা
.jpg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জার্নাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন গবেষণাপত্র প্রকাশের উন্মুক্ত সাধারণ মাধ্যম। পূর্বে এর নাম ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টাডিজ। আলাদা পৃথক অনুষদ জন্য এর সাথে প্রত্যয়রূপে অনুষদের নাম যুক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল অব আর্টস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল অব সোশ্যাল সায়েন্স, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল অব বিজনেস এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল অব ল দুই বছর অন্তর প্রকাশিত হয়।[47] এছাড়াও বাংলা বিভাগ থেকে পান্ডুলিপি, ইতিহাস বিভাগ থেকে ইতিহাস পত্রিকা এবং অর্থনীতি বিভাগ থেকে ইকনমিক ইকো পত্রিকা প্রকাশিত হয়।[2]
যাতায়াত
.jpg)
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বাস এবং মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ১০টি বগি বিশিষ্ট দুইটি শাটল ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে।[5] প্রতিদিন প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থী শাটল ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানে ট্রেন দুইটি দৈনিক সাতবার বটতলি রেলওয়ে স্টেশন ও ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে পুনরায় বটতলি ও ষোলশহর স্টেশন পর্যন্ত নির্ধারিত সময়সূচী[48] অনুযায়ী যাতায়াত করে।[49]
১৯৮০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন হিসেবে শাটল ট্রেনের প্রথম যাত্রা শুরু হয়।[50] শাটল ট্রেনের পাশাপাশি রয়েছে ডেমু ট্রেনের ব্যবস্থাও রয়েছে।
গ্যালারি
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক
- দোলা স্বরণী
- কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের পেছনে পাহাড়ের ঝরনা
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- "চবি অবস্থান"। www.cu.ac.bd। cu.ac.bd। ১০ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২১, ২০১৬।
- ফয়েজুল আজিম (২০১২)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওসিএলসি 883871743।
- "At a glance"। cu.ac.bd। চবি। ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯।
- "বৈশ্বিক রাঙ্কিংক"। webometrics। ২০১৯। ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯।
- "Introducing"। cu.ac.bd। চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ৮ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১১, ২০১৫।
- "চবির আয়তন আরো প্রায় ৩৫০ একর বৃদ্ধি"। পরিবর্তনডটকম। ২৮ জুন ২০১৮। ৩ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯।
- খালেদ, মোহাম্মদ; দাশগুপ্ত, অরুণ; হক, মাহবুবুল, সম্পাদকগণ (নভেম্বর ১৯৯৫)। "বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা"। শিক্ষা। হাজার বছরের চট্টগ্রাম (৩৫ বর্ষপূর্তি বিশেষ সংখ্যা)। চট্টগ্রাম: এম এ মালেক, দৈনিক আজাদী: ১৮৬–১৮৭।
- মামুনুর রশিদ, গণিত বিভাগ, চবি (১৮ নভেম্বর ২০১৬)। "আলোকিত পঞ্চাশ বছর"। দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ। ঢাকা। ৬ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৯।
- হোসাইন, সাব্বির (২১ মার্চ ২০১৭)। "মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- রহমান, তারা (১১ নভেম্বর ২০১১)। "স্বাধীনতার ৪০ বছর তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা। প্রথম। প্রথমা প্রকাশন। এপ্রিল ২০১২। পৃষ্ঠা ১৭১। আইএসবিএন 9789843338884।
- "ক্যাম্পাসে স্মৃতির মিনার"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০ মার্চ ২০১১। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯।
- "Museums & Collections"। cu.ac.bd। ১০ মে ২০১৯। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯।
- শাহদাত হোসাইন (২৭ জানুয়ারি ২০১১)। "CU Museum sinks into obscurity"। দ্য ডেইলি স্টার। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৪।
- "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর"। রঙমহল.কম। ১০ মে ২০১৯। ৩০ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯।
- লিপটন কুমার দেব দাস (১৬ ডিসেম্বর ২০১৪)। "এক টুকরো স্বাধীনতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়"। banglatribune.com। ১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫।
- আশরাফ রেজা (মার্চ ২০১২)। "একাত্তরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় – এক ।। 'স্মৃতির মিনারে' স্বাধীনতার বর্ণিল প্রতিচ্ছবি"। দৈনিক আজাদী। চট্টগ্রাম। ২৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫।
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক (২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "চবির শহীদ মিনার নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষক নেতার"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি (২৬ অক্টোবর ২০১৮)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'"। কালের কণ্ঠ। ২৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- চবি প্রতিনিধি (২৫ অক্টোবর ২০১৮)। "চবিতে নির্মিত হলো ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "চবিতে মুক্তিযুদ্ধের ফিগারেটিভ ভাস্কর্য 'জয় বাংলা', চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন"। দৈনিক সংগ্রাম। ২৯ অক্টোবর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "Residence Halls"। চবি। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯।
- সাফাত জামিল শুভ (৯ অক্টোবর ২০১৫)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি"। ournewsbd.com। ournewsbd। ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৫।
- "Different Facilities : Cafeteria"। www.cu.ac.bd। চবি। ২১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৭, ২০১৬।
- "Different Facilities : Health Services: The University of Chittagong Medical Centre"। www.cu.ac.bd। চবি। ২১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৬।
- রফিকুল ইসলাম (২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: যে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায় মায়া হরিণ…"। campuslive24.com। চট্টগ্রাম: campuslive24.com। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৫।
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি (অক্টোবর ১৪, ২০১৫)। "ঝরনার পাড়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা"। প্রথম আলো। চট্টগ্রাম: প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৩, ২০১৫।
- "অনুষদসমূহ"। cu.ac.bd। চট্টগ্রাম। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫।
- "বিভাগ"। cu.ac.bd। চট্টগ্রাম। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫।
- "ইনস্টিটিউট"। cu.ac.bd। চট্টগ্রাম। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫।
- "গবেষণাকেন্দ্র"। cu.ac.bd। চট্টগ্রাম। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৫।
- "অধিভুক্ত কলেজ"। চবি। মে ২০১৯। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫।
- "গ্রন্থাগার"। cu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। চট্টগ্রাম: চবি। ৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৬, ২০১৫।
- গাজী মোহাম্মদ নুরউদ্দিন। "প্রাচীন পুঁথি-পাণ্ডুলিপির বিশাল সংগ্রহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার"। দৈনিক আজাদী। ২০১৫-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১০, ২০১৫।
- শাহদাত হোসাইন (ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১)। "A treasure trove of knowledge"। দ্য ডেইলি স্টার)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৪।
- "স্থগিত চতুর্থ সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫।
- "Professor Abdul Aziz Khan"। bas.org.bd। বাংলাদেশ: বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ২০১৫। ৯ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৯, ২০১৫।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১২।
- সুজন ঘোষ (৩০ নভেম্বর ২০১০)। "চবির জনপ্রিয় ভিসি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন, জানাজায় ঢল"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা: dailyjanakantha.com। ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৯, ২০১৫।
- "Dr Alauddin made CU acting VC"। BDBews24.com। ২০১০-১২-০৯। ২০১২-০৩-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-১৪।
- "University of Chittagong"। cu.ac.bd। ২০ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- "Professor Anwarul Azim Arif made CU acting VC"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১১-০৬-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৬-১৪।
- "Prof. Dr. Iftekhar Uddin Chowdhury has been appointed as the 17th Vice-Chancellor of the University of Chittagong"। cu.ac.bd। চট্টগ্রাম: চবি। ৬ মার্চ ২০১৫। ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৭, ২০১৫।
- "ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী চবির নতুন উপাচার্য"। www.ntvbd.com। ৩ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৫।
- মংক্যথোয়াই মারমা (২ জুন ২০১৫)। "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ"। priyo.com। প্রিয়। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৫।
- "Publication in the University of Chittagong"। cu.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১১, ২০১৫।
- "যাতায়াত"। ১০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৯।
- শাখাওয়াত হোসাইন (ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫)। "চবি শাটল ট্রেন বটতলী যায় না দেড় বছর"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৯, ২০১৫।
- "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন : শিক্ষার্থীদের আনন্দ-বেদনার প্রতিচ্ছবি"। probashikantha.com। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৩, ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
![]() |
উইকিভ্রমণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত ভ্রমণ নির্দেশিকা রয়েছে। |
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- আনঅফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- গ্রন্থাগারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বা কর্তৃক কাজ (ওয়ার্ল্ডক্যাট ক্যাটালগ) (ইংরেজি)