কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত একটি মেডিকেল কলেজ। এটি কুচাইতলী গ্রামে অবস্থিত। এটি একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ।[1] এটি ২৮-মে ১৯৭৯ সনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে প্রতি বছর ১৪০ এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তনের কারণে ১৯৮২ সনে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়। ডাঃ হাবিবুর রহমান আনছারী কর্তৃক ১৯৯২ সনের ১৫ অগাষ্ট প্রথম শিক্ষাবর্ষের ক্লাশ শুরু হয়। ডাঃ হাবিবুর রহমান ছিলেন এই মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ। ২০১৩ সালের মে মাস পর্যন্ত এমবিবিএস কোর্স'এ ১৭ ব্যাচ সম্পন্ন করা হয়।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
Comilla Medical College
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ভবন
ধরনসরকারি মেডিকেল কলেজ
স্থাপিত১৯৭৯ (1979)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যক্ষঅধ্যাপক ডাঃ মহসিন উজ জামান চৌধুরী
শিক্ষার্থী৯০০ এর অধিক
স্নাতকএমবিবিএস
অবস্থান, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
সংক্ষিপ্ত নামকুমেক
ওয়েবসাইটcomc.gov.bd

ইতিহাস

বৃহত্তর কুমিল্লা অঞ্চলে মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্দেশে ১৯৭৯ সালের ২৮শে মে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেন। রাজনীতিক পট পরিবর্তনের কারনে পরবর্তীকালে ১৯৮২ সালে কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে কলেজটি পুনরায় চালু করা হয়। পঞ্চাশ জন ছাত্রছাত্রী এবং এগার জন শিক্ষক নিয়ে প্রথম অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমান আনসারী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন। শুরুতে মাত্র দুটি বিভাগ নিয়ে চালু হলেও বর্তমানে চিকিৎসা শিক্ষার সবকয়টি বিভাগ চালু আছে।

বর্তমান পরিস্থিতি

একটি মাত্র দোতলা ভবন নিয়ে পথচলা শুরু করা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিজস্ব জমিতে বর্তমানে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা- কলেজ ভবন, অডিটোরিয়াম, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল ইত্যাদি। শুরুতে দোতলা ভবনেই বিভিন্ন বর্ষের ক্লাস হলেও স্থান সংকুলান না হওয়ার কারনে ভবনটি পাঁচতলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়।২০০৬ সালে কলেজটি নতুন করে সম্প্রসারিত করা হয়। ২০০৫-২০০৬ সাল থেকে এই কলেজে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হয়। সাতজন পাকিস্তানি ছাত্র, পাঁচজন নেপালি শিক্ষার্থী, মালদ্বীপের দুইজন শিক্ষার্থী ও একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী এখন এই মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছে। এখানে শিক্ষণের মাধ্যম ইংরেজি। ৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ১০০০ জনকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কুমিল্লা এবং বৃৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজন এই হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগ থেকে সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকেন। একই সাথে চলতে থাকে ৩য় থেকে ৫ম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের হাতে কলমে শিক্ষাদান। প্রতিবছর ১১০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয় এমবিবিএস কোর্সে। তিনটি পেশাগত পরীক্ষার বাধা পেরিয়ে একজন শিক্ষার্থী ডাক্তার হবার যোগ্যতা অর্জন করে এবং এরপর একবছর ইণ্টার্নশিপ করতে হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ২০১১সাল থেকে স্নাতকোত্তর কোর্স (ডিপ্লোমা) চালু করা হয়েছে। ২০১৫ সালের মে মাস পর্যন্ত এই কলেজ থেকে ঊনিশটি ব্যাচ পাশ করেছে।

ছাত্রাবাস

বর্তমানে ছাত্রদের জন্য দুইটি পাঁচতলাবিশিষ্ট হোস্টেল এবং ছাত্রীদের জন্য দুটি হোস্টেল আছে। এছাড়াও একটি পুরুষ ইন্টার্নি হোস্টেল এবং একটি মহিলা ইন্টার্নি হোস্টেল রয়েছে।

অধ্যক্ষ সমূহের তালিকা

শুরু থেকেই অদ্যাবধি যাঁরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন:

  • অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান আনসারী
  • অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল হক
  • অধ্যাপক ডাঃ সাহারা খাতুন
  • অধ্যাপক ডাঃ আতাউর রহমান
  • অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ
  • অধ্যাপক ডাঃ মহসিনুজ্জামান চৌধুরী

কৃতি শিক্ষার্থী

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Comilla Medical College"। Entireeducation.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.