অধ্যক্ষ (অ্যাকাডেমিক)

অধ্যক্ষ বা প্রিন্সিপাল হচ্ছেন যে-কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মহাবিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী ব্যক্তিত্ব। এটি এক পদবী বিশেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক হিসেবে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অধিকারী। অধ্যক্ষ নামের সমার্থক হিসেবে অনেক দেশে বিশেষতঃ কমনওয়েলথভূক্ত দেশে উপাচার্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আচার্য বা চ্যান্সেলর এবং ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টের সমগোত্রীয় পর্যায়ের।

প্রয়োগ ক্ষেত্র

মূলত কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অধ্যক্ষ শব্দের যথাযথ প্রয়োগ হতে দেখা যায়। অধ্যক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বা প্রধান শিক্ষানুক্রমিক কর্মকর্তা। সচরাচর অধ্যক্ষ পদবীর পরিবর্তে প্রিন্সিপাল শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ

ভারত

ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষতঃ যেগুলো শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত রাখার স্বার্থে শিক্ষার্থীদেরকে ধরে রেখেছে, ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল ইন চার্জ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ রয়েছে। তন্মধ্যে - সুইনডন কলেজ এবং ওয়েস্ট নটিংহ্যামশায়ার কলেজ অন্যতম।[1][2]

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন অনেক কলেজের প্রধানগণ প্রিন্সিপাল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছেন।[3] তন্মধ্যে - ব্রেসনোজ, গ্রীন ট্যাম্পেলটন, হ্যারিস ম্যানচেস্টার, হার্টফোড, জিসাস, ল্যাডি মার্গারেট হল, লিনাক্রে, ম্যান্সফিল্ড, সেন্ট এ্যানি'জ, সেন্ট এডমান্ড হল, সেন্ট হিল্ডা'স, সেন্ট হিউজেস এবং সমারভিল অন্যতম। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নিউনহ্যাম কলেজ, ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির নিয়ন্ত্রণাধীন অধিকাংশ মহাবিদ্যালয়ের প্রধানগণের পরিচিত হচ্ছে প্রিন্সিপাল।

কানাডা

মহারাণী ভিক্টোরিয়ার রাজকীয় সনদে স্বাক্ষর ও স্কটল্যান্ডে উৎপত্তিজনিত কারণে ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে কানাডায় ১৬ অক্টোবর, ১৮৪১ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত কুইন'স ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল পদবী ব্যবহার করা হয়।[4][5]

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অধ্যক্ষ পরিচালনা পরিষদ ও সিনেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত হন। তিনি শিক্ষাক্রম ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যাবলীও তদারক করে থাকেন।[6] ১৯৭৪ সাল থেকে অধ্যক্ষ ৫ বছর মেয়াদকালের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। এছাড়াও, কার্যসন্তুষ্টি ও বিবেচনাপূর্বক তিনি পুণরায় নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারেন।

স্কটল্যান্ড

স্কটল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান হিসেবে প্রিন্সিপাল নিয়োগ করেন ইউনিভার্সিটি কোর্ট কিংবা পরিচালনা পরিষদ। তিনি পরবর্তীতে শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রিন্সিপাল একাডেমিক সিনেটের সভাপতি হিসেবে আসীন ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভাইস-চ্যান্সেলর পদবী ধারণ করে আছেন। কিন্তু তার ক্ষমতা শুধুমাত্র সনদ প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভাইস-চ্যান্সেলর বা উপাচার্য ও চ্যান্সেলর বা আচার্য - উভয় পদই নামেমাত্র পদ হিসেবে বিবেচিত।

তথ্যসূত্র

  1. A New Principal for Swindon College ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৪ জুলাই ২০১১ তারিখে, Swindon College, UK.
  2. Janet Murray, The college principal. The Guardian, 3 June 2008.
  3. Colleges and Halls A–Z, University of Oxford, UK.
  4. Office of the Principal, Queen's University, Canada.
  5. The Principal and the Vice-Chancellor, McGill University, Canada.
  6. "Consolidated Royal Charter Queen's University" (PDF)। Queen's University। অক্টোবর ২০১১। ১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.