রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ

রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (Internship)৷ স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস. শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে; যাতে প্রতিবছর ৫১ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে।[1]

অবস্থান

রাঙ্গামাটি জেলা সদরে এই প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।

ইতিহাস

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মেডিকেল কলেজ শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়।স্থানীয় পাহাড়ি সংগঠন গুলোর বাধার মুখে প্রতিষ্ঠালগ্নের পর থেকে প্রথম তিন মাস এর পাঠদান স্থগিত ছিল।পরবর্তীতে ছাত্র -ছাত্রী অভিভাবকদের অান্দোলনের মুখে পুনরায় এই মেডিকেলের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।বর্তমানে মোট চারটি ব্যাচ এই মেডিকেলে অধ্যয়নরত অাছে।

অবকাঠামো

রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল (যেটি জেলা সদর হাসপাতাল নামে পরিচিত ) এর কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট বর্তমানে এটির মুল একাডেমিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।খুব শিঘ্রীই "সুখী নীলগঞ্জ " এলাকায় প্রস্তাবিত নিজস্ব ক্যাম্পাস এর কাজ শুরু হবে।এছাড়া শিক্ষার্থীদের অাবাসনের জন্য বর্তমানে দুটি ছাত্রীবাস এবং তিনটি ছাত্রাবাস রয়েছে।অধ্যক্ষের এবং কলেজের অন্যান্য স্টাফদের জন্য বাংলো রয়েছে।কলেজ শিক্ষকদের যাতায়াতের জন্য মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা রয়েছে।

অনুষদ ও বিভাগ

অন্যান্য মেডিকেল কলেজের মতই এই কলেজে এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, কমিউনিটি মেডিসিন, ফরেনসিক মেডিসিন,মাইক্রোবায়োলজি সহ মেডিসিন,সার্জারি,গাইনি প্রভৃতি ক্লিনিক্যাল বিষয়াদি সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত হয়।

সুযোগ-সুবিধা

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম ও সংগঠন

রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজের মত প্রতিবছর আর.এফ.এস.টি সফর, শিক্ষা সফর,বনভোজনের আয়োজন করে থাকে।এছাড়া নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বর্ষবরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রতিবছর আয়োজন করা হয়।২০১৬ সালে টি.আই.বি কর্তৃক অায়োজিত মুক্তমঞ্চ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাঙামাটি সরকারি কলেজকে হারিয়ে বিজয়ী দল হিসেবে শিরোপা অর্জন করে।এছাড়া এই কলেজ থেকে নিয়মিত আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল,ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

কৃতী শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

দেশ বরেণ্য অনুজীব বিজ্ঞানী ডা. টিপু সুলতান বর্তমানে এর অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত অাছেন।প্রতিষ্ঠা লগ্নের শুরুর দিকে এর শিক্ষক সংকট থাকলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি সেই সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে।

চিত্রশালা

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "ভর্তিচ্ছু ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা" (PDF)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৫

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.