খুলনা মেডিকেল কলেজ
খুলনা মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের খুলনা শহরে অবস্থিত একটি চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম সরকারী মেডিকেল কলেজ। ১৯৯২ সালে ৪০.২৫ একর জমির উপর এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে স্নাতক পর্যায়ে প্রায় ৯০০ ছাত্রছাত্রীর পাশাপাশি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রশিক্ষনও প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া এখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে স্বল্পকালীন কোর্স ও প্রশিক্ষন চালু আছে।
![]() খুলনা মেডিকেল কলেজ লোগো | |
ধরন | সরকারি মেডিকেল কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৯২ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | প্রফেসর ডাঃ আব্দুল আহাদ |
শিক্ষায়তনিক কর্মকর্তা | ১৩৫ |
শিক্ষার্থী | ৯০০ এর অধিক |
স্নাতক | এমবিবিএস |
স্নাতকোত্তর | ডি.অর্থো,ডিজিও,ডিএলও |
অবস্থান | , ২২.৮২৯০৮৭° উত্তর ৮৯.৫৩৭০৪০° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
সংক্ষিপ্ত নাম | খুমেক/KMC |
ইতিহাস
১৯৭৮-৭৯ সালে বাংলাদেশ সরকার দেশে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে খুলনা, বগুড়া, কুমিল্লা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালীতে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৮০-৮১ সালে খুলনা, কুমিল্লা, পাবনা এবং আইপিএমজিআর (ঢাকা) - এ সেখানকার মেডিকেল কলেজগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু কিছু সমস্যার কারনে সেই মেডিকেল কলেজগুলোর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীদের দেশে বিদ্যমান আটটি মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। আবার ১৯৯১-৯২ সালে সরকার আবারও আরও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং আরও ৫টি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেজন্য উক্ত বছরে সরকার খুলনা, দিনাজপুর, বগুড়া, ফরিদপুর এবং কুমিল্লাতে প্রতিটিতে ৫০ জন ছাত্র ভর্তি করানোর মাধ্যমে আরোও ৫টি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।
বিভাগ
- শারীরস্থান
- অ্যানেস্থেসিওলজি
- রক্তদান
- পোড়া ও প্লাস্টিক সার্জারি
- কার্ডিওলজি
- হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার
- কমিউনিটি মেডিসিন
- ত্বক
- ফরেনসিক মেডিসিন
- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি
- স্ত্রীরোগবিদ্যা এবং ধাত্রীবিদ্যা
- হেপাটলজি
- ঔষধ
- অণুজীববিজ্ঞান
- নিউরোলজি
- নিউরোসার্জারি
- অপথ্যালমোলজি
- ওরাল এবং ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি
- অস্থি চিকিৎসা
- ওটোলারিঙ্গোলজি এবং মাথা-ঘাড়
- সার্জারি
- রোগবিদ্যা
- পেডিয়াট্রিক সার্জারি
- শিশুচিকিত্সা
- ঔষধবিজ্ঞান
- মনোরোগ বিজ্ঞান
- সি রেডিওলজি
- রেডিওথেরাপি
- নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস মেডিসিন
- সার্জারি
- সার্জিকাল অনকোলজি
- মূত্রব্যবস্থা-বিজ্ঞান
বর্তমান ব্যাচ
কে-২৪ সাম্প্রতিক স্নাতক ব্যাচের এর সাথে কে-২৫, কে-২৬, কে-২৭ এবং কে-২৮ সেশন রয়েছে। সর্বশেষ ভর্তি হওয়ার ব্যাচ কে-২৯ যারা ২০১৯-২০ সেশনে ভর্তি হয়েছে।
কে.এম.সি ডে
খুলনা মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হওয়ার ২৮ বছর পরেও বিভিন্ন কারনে মেডিকেল কলেজে কোনো কেএমসি ডে পালন হতো না। ২৮ বছর পর কেএমসি ডে পালনের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের আলোচনায় প্রতিবছর "৮-জুলাই" কেএমসি ডে পালনের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। । উল্লেখ্য ১৯৯২ সালের ৮-জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রথম ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
সংগঠন
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, খুমেক শাখা
- খুলনা মেডিকেল কলেজ বিতর্ক ক্লাব
- ইন্টার্নী চিকিৎসক পরিষদ
- জালালাবাদ ছাত্র কল্যাণ সমিতি, খুমেক শাখা
চিত্রশালা
- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ছাত্রাবাস
- আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র ছাত্রাবাস