মাহফুজা খানম

তিনি বাংলা বাজার গার্লস স্কুলে পড়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে মাস্টার্স করেছেন। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পান। কিন্তু রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে তৎকালীন পাকিস্তানের মোনায়েম সরকার ওনাকে পাসপোর্ট দেননি। যারফলে তার আর স্কলারশিপ গ্রহণ করার সুযোগ হয়নি।

তিনি শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৬-৬৭ ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটরের সদস্য হিসেবে আছেন। এছাড়াও তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্ব শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছেন এবং সামাজিক সমাজসেবামূলক বিভিন্ন সংস্থার চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছেন।

তিনি বিশেষ করে শিক্ষায় অবহেলিতদের পাশে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্র। শিক্ষার আর্থিক তহবিলের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৭টি শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন।

মাহফুজা খানম ২০১২ সালে নারী শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য "'রোকেয়া পদক"' লাভ করেন। তিনি ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট ‘অনন্যা শীর্ষ দশ ২০১৩’ পুরস্কার ও সম্মাননা পান। এছাড়াও বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আর টিভি থেকে "'জয়া আলোকিত নারী-২০১৭"' পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে দুই পুত্র ও এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।