২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ নকআউট পর্ব
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব হচ্ছে গ্রুপ পর্বের পর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ পর্ব। এই পর্যায়ের খেলাগুলি ২৮শে জুন থেকে ১৬ দলের পর্ব হিসেবে শুরু হবে এবং ১৩ জুলাই ফাইনালের মাধ্যমে শেষ হবে যা এস্তাদিও দো মারাকানায়, রিউ দি জানেইরুতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি গ্রুপ হতে ২টি দল (সর্বমোট ১৬) নকআউট পর্বে উত্তীর্ণ হবে এবং সিঙ্গেল এলিমিনেশন পদ্ধতিতে টুর্নামেন্টটি সম্পন্ন হবে।
নকআউট পর্বে যদি কোন খেলা সাধারণ ৯০ মিনিট সময়ের মধ্যে শেষ না হয়, তবে ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময় প্রদান করা হবে (১৫ মিনিট করে দুইবার)। যদি এতেও খেলা শেষ না হয়, তাহলে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।[1]
নিম্নোক্ত সকল সময় ব্রাজিলের স্থানীয় সময় অনুসারে (ইউটিসি−৩)।
উত্তীর্ণ দলসমূহ
গ্রুপ | বিজয়ী | রানার-আপ |
---|---|---|
এ | ![]() |
![]() |
বি | ![]() |
![]() |
সি | ![]() |
![]() |
ডি | ![]() |
![]() |
ই | ![]() |
![]() |
এফ | ![]() |
![]() |
জি | ![]() |
![]() |
এইচ | ![]() |
![]() |
বন্ধনী
কোয়ার্টার ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | ফাইনাল | ||||||||||||
২৮ জুন – বেলো অরিজন্ঠ | ||||||||||||||
![]() |
১ (৩) | |||||||||||||
৪ জুলাই – ফর্তালিজা | ||||||||||||||
![]() |
১ (২) | |||||||||||||
![]() |
২ | |||||||||||||
২৮ জুন – রিউ দি জানেইরু | ||||||||||||||
![]() |
১ | |||||||||||||
![]() |
২ | |||||||||||||
৮ জুলাই – বেলো অরিজন্ঠ | ||||||||||||||
![]() |
০ | |||||||||||||
![]() |
১ | |||||||||||||
৩০ জুন – ব্রাজিলিয়া | ||||||||||||||
![]() |
৭ | |||||||||||||
![]() |
২ | |||||||||||||
৪ জুলাই – রিউ দি জানেইরু | ||||||||||||||
![]() |
০ | |||||||||||||
![]() |
০ | |||||||||||||
৩০ জুন – পোর্তো আলেগ্রে | ||||||||||||||
![]() |
১ | |||||||||||||
![]() |
২ | |||||||||||||
১৩ জুলাই – রিউ দি জানেইরু | ||||||||||||||
![]() |
১ | |||||||||||||
![]() |
১ | |||||||||||||
২৯ জুন – ফর্তালিজা | ||||||||||||||
![]() |
০ | |||||||||||||
![]() |
২ | |||||||||||||
৫ জুলাই – সালভাদোর | ||||||||||||||
![]() |
১ | |||||||||||||
![]() |
০ (৪) | |||||||||||||
২৯ জুন – রেসিফি | ||||||||||||||
![]() |
০ (৩) | |||||||||||||
![]() |
১ (৫) | |||||||||||||
৯ জুলাই – সাও পাওলো | ||||||||||||||
![]() |
১ (৩) | |||||||||||||
![]() |
০ (২) | |||||||||||||
১ জুলাই – সাও পাওলো | ||||||||||||||
![]() |
০ (৪) | তৃতীয় স্থান | ||||||||||||
![]() |
১ | |||||||||||||
৫ জুলাই – ব্রাজিলিয়া | ১২ জুলাই – ব্রাজিলিয়া | |||||||||||||
![]() |
০ | |||||||||||||
![]() |
১ | ![]() |
০ | |||||||||||
১ জুলাই – সালভাদোর | ||||||||||||||
![]() |
০ | ![]() |
৩ | |||||||||||
![]() |
২ | |||||||||||||
![]() |
১ | |||||||||||||
১৬ দলের পর্ব
ব্রাজিল বনাম চিলি
দল দুইটি এর আগে ৬৮টি খেলায় মুখোমুখি হয়েছে।[2] এর মধ্যে তিনবার ফিফা বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে, যার সবকয়টি জিতেছে ব্রাজিল (১৯৬২, সেমি-ফাইনাল: ৪–২; ১৯৯৮, ১৬ দলের পর্ব: ৪–১; ২০১০, ১৬ দলের পর্বে: ৩–০)।
খেলার প্রথম গোলটি আসে ব্রাজিলের পক্ষে। কর্নার কিক থেকে বল থিয়াগো সিলভার মাথায় স্পর্শ করে দাভিদ লুইজের পায়ে লেগে গোলপোস্টে ঢুকে যায়। তবে রিপ্লেতে দেখা যায় যে বল লুইজের পায়ে লাগার আগে সম্ভবত চিলিয় ডিফেন্ডার গঞ্জালো হারার মাথায় স্পর্শ করেছিল।[3] এরপর আলেক্সিস সানচেজের গোলে সমতায় ফিরে চিলি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছু বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। হাকের একটি গোল বাতিল করে দেন রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েব। রেফারির সিদ্ধান্ত ছিল গোল করার পূর্বে বলটিকে নিচে নামানোর জন্য হাক তার নিজের হাত ব্যবহার করেছেন এবং এজন্য তাকে হলুদ কার্ডও দেখান রেফারি।[4] এরপর উভয় দলই কিছু সুযোগ সৃষ্টি করলেও সেগুলো সফল হয়নি। হাকের একটি শট রুখে দেন ক্লাউদিও ব্রাভো। এছাড়া, খেলার একদম শেষ দিকে মাউরিসিও পিনিয়ার শট ক্রসবারে গিয়ে লাগে। অবশ্য তিনি পেনাল্টি শুটআউটের সময়ও অসফল ছিলেন। পেনাল্টি শুটআউটের চতুর্থ শটের পর স্কোরে সমতা ছিল, এবং পঞ্চম শটে নেইমার গোল করায়, চিলিরও গোল করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, কিন্তু হারার শটটি অসফল হয়।[5]
ব্রাজিল ![]() | ১–১ | ![]() |
---|---|---|
দাভিদ লুইজ ![]() |
প্রতিবেদন | সানচেজ ![]() |
পেনাল্টি | ||
দাভিদ লুইজ ![]() উইলিয়ান ![]() মার্সেলো ![]() হাক ![]() নেইমার ![]() |
৩–২ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ব্রাজিল
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() চিলি
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
কলম্বিয়া বনাম উরুগুয়ে
দুটি এর আগে ৩৮ বার মুখোমুখি হয়েছে,[6] যার মধ্যে ১৯৬২ ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচ রয়েছে, যেটিতে উরুগুয়ে ২-১ জয়ী হয়। ম্যাচের ২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আবেল আগিলারের হেড বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায় শর্ট করে প্রথম গোল করেন জেমস রদ্রিগেজ।[7] ৫০তম মিনিটে আবারো জেমস রদ্রিগেজ গোল করে কলম্বিয়াকে ২-০তে এগিয়ে নেই। ম্যাচের পরবর্তী সময়ে কোন দলই আর গোল করতে পারেন নি। ইতালির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জর্জো কেল্লিনিকে কামড় দিয়ে লুইস সুয়ারেজ এই ম্যাচের আগে ফিফা কর্তৃক টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ হন।[8]
খেলায় কলম্বিয়া ২–০ গোলে জয় লাভ করে। দুইটি গোলই করেন হামেস রদ্রিগেস, প্রথমটি প্রায় একক নৈপুণ্যে এবং দ্বিতীয়টি দলীয়ভাবে। এই জয়ের মাধ্যমে কলম্বিয়া তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়।
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() কলম্বিয়া
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() উরুগুয়ে
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
নেদারল্যান্ডস বনাম মেক্সিকো
দল দুইটি এর আগে ছয়টি খেলায় মুখোমুখি হয়েছে,[9] যার মধ্যে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলাটি উল্লেখযোগ্য, যা ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। একাধিক হলুদ কার্ড দেখার কারণে এই খেলা থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন মেক্সিকোর মিডফিল্ডার হোসে হুয়ান ভাসকেস। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকেই জিওভানি দস সান্তোসের গোলে এগিয়ে যায় মেক্সিকো। পেনাল্টি অঞ্চলের বাহিরে থেকে বাম পায়ের ভলিতে গোল করেন তিনি। ৮৮ মিনিটের আগ পর্যন্ত খেলার নিয়ন্ত্রন ছিল মেক্সিকোর অধীনে, কিন্তু এরপর ওয়েসলি স্নাইডারের গোলে সমতায় ফিরে নেদারল্যান্ডস। ইনজুরি সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে, নেদারল্যান্ডসের আরিয়েন রোবেন একটি বিতর্কিত পেনাল্টি আদায় করেন। এই পেনাল্টি থেকেই নেদারল্যান্ডসের পক্ষে জয়সূচক গোল করেন ক্লাস-ইয়ান হুন্তেলার।[10]
নেদারল্যান্ডস ![]() | ২–১ | ![]() |
---|---|---|
স্নাইডার ![]() হুন্তেলার ![]() |
প্রতিবেদন | দস সান্তোস ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() নেদারল্যান্ডস
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() মেক্সিকো
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
কোস্টা রিকা বনাম গ্রিস
কোস্টা রিকা ![]() | ১–১ (অ.স.প.) | ![]() |
---|---|---|
রুইস ![]() |
প্রতিবেদন | পাপাস্তাথোপুলোস ![]() |
পেনাল্টি | ||
বোর্হেস ![]() রুইস ![]() গোঞ্জালেজ ![]() কাম্পবেল ![]() উমানিয়া ![]() |
৫–৩ | ![]() ![]() ![]() ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() কোস্টা রিকা
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() গ্রিস
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
নোট
- খেলেন নি, বেঞ্চ থেকে একটি হলুদ কার্ড পেয়েছেন।
ফ্রান্স বনাম নাইজেরিয়া
ফ্রান্স ![]() | ২–০ | ![]() |
---|---|---|
পগবা ![]() ইয়োবো ![]() |
প্রতিবেদন |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ফ্রান্স
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() নাইজেরিয়া
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
জার্মানি বনাম আলজেরিয়া
দল দুইটি এর আগে দুইটি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল,[11] যার মধ্যে ১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলাটি উল্লেখযোগ্য, যেখানে আলজেরিয়া ২-১ গোলে জয় লাভ করে।
৯০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর, অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটেই টমাস মুলারের ক্রস থেকে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে নিয়ে যান আন্দ্রে শুর্লে। ১২০ মিনিটে শুর্লের শট আলজেরিয়ার গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ফিরতি শটে গোল করেন মেসুত ওজিল। ১ মিনিটের মধ্যেই আলজেরিয়া একটি গোল শোধ করেন, সুফিয়ান ফাইঘুলির ক্রস থেকে গোল করেন বদলি খেলোয়াড় আব্দ আলমুমিন জাবু।[12]
জার্মানি কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌছায়, যেখানে তারা ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়, এর মাধ্যমে তারা ১৯৫৪ বিশ্বকাপের পর থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌছানোর ধারা অব্যহত রাখে।[13] জাবুর গোলটি ছিল খেলার ১২০ মিনিট ৫১ সেকেন্ডে, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোন খেলার সবচেয়ে দেরীতে হওয়া গোল, আগের রেকর্ডটি ছিল আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরোর, ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে খেলার ১২০ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে তিনি গোলটি করেন।[14]
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() জার্মানি
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() আলজেরিয়া
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
আর্জেন্টিনা বনাম সুইজারল্যান্ড
![]() | ১–০ (অ.স.প.) | ![]() |
---|---|---|
দি মারিয়া ![]() |
প্রতিবেদন |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() আর্জেন্টিনা
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() সুইজারল্যান্ড
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
বেলজিয়াম বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বেলজিয়াম ![]() | 2–1 (অ.স.প.) | ![]() |
---|---|---|
De Bruyne ![]() Lukaku ![]() |
Report | Green ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() Belgium
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() United States
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
কোয়ার্টার-ফাইনাল
ফ্রান্স বনাম জার্মানি
দল দুইটি এর আগে ২৫টি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল, যার মধ্যে তিনবার ফিফা বিশ্বকাপে (১৯৫৮, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী: ফ্রান্স ৬–৩ পশ্চিম জার্মানি; ১৯৮২ সেমি-ফাইনাল: ফ্রান্স ৩–৩ (অ.স.প) পশ্চিম জার্মানি, পেনাল্টি শুটআউটে ৫–৪ ব্যবধানে জিতে পশ্চিম জার্মানি; ১৯৮৬, সেমি-ফাইনাল: ফ্রান্স ০–২ পশ্চিম জার্মানি)।
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ফ্রান্স
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() জার্মানি
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
|
ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়া
দল দুইটি এর আগে ২৫টি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল, তবে ফিফা বিশ্বকাপে এই প্রথম। এই প্রথম কলম্বিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌছায়। ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডার লুইজ গুস্তাভো একাধিক হলুদ কার্ড দেখার কারণে এই খেলা থেকে বহিষ্কৃত হন। এই খেলায় ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফাউলের (৫৪) রেকর্ড স্থাপিত হয়। খেলার ৮৮তম মিনিটে কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার হুয়ান কামিলো জুনিউগা ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড নেইমারকে ট্যাকল করেন, যার ফলাফলস্বরূপ তার কশেরুকা ভেঙ্গে যায় এবং তিনি প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েন।[15]
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ব্রাজিল
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() কলম্বিয়া
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
আর্জেন্টিনা বনাম বেলজিয়াম
এর আগে দল দুইটি চারটি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল, যার মধ্যে দুইবার ফিফা বিশ্বকাপে (১৯৮২, গ্রুপ পর্ব: আর্জেন্টিনা ০–১ বেলজিয়াম; ১৯৮৬, সেমি-ফাইনাল: আর্জেন্টিনা ২–০ বেলজিয়াম)। উভয় দলই এই বিশ্বকাপে ১৬ দলের পর্ব পর্যন্ত তাদের সবকয়টি খেলায় জয় লাভ করে। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো একাধিক হলুদ কার্ড দেখার জন্য এই খেলা থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন।
আর্জেন্টিনা ![]() | ১-০ | ![]() |
---|---|---|
ইগুয়াইন ![]() |
প্রতিবেদন |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() আর্জেন্টিনা
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() বেলজিয়াম
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারি:
|
নেদারল্যান্ডস বনাম কোস্টা রিকা
দুই দল এর আগে কখনও মুখোমুখি হইনি। এই প্রথম কোস্টা রিকা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌছায়। কোস্টা রিকার ডিফেন্ডার অস্কার দুয়ার্তে ১৬ দলের পর্বে গ্রিসের বিপক্ষে খেলায় লাল কার্ড দেখায় এই খেলা থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন।
নেদারল্যান্ডস ![]() | ০-০ (অ.স.প.) | ![]() |
---|---|---|
প্রতিবেদন | ||
পেনাল্টি | ||
ফন পার্সি ![]() রোবেন ![]() স্নাইডার ![]() কাইট ![]() |
৪–৩ | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() নেদারল্যান্ডস
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() কোস্টা রিকা
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
সেমি-ফাইনাল
ব্রাজিল বনাম জার্মানি
এর আগে দুই দল ২১টি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল, যার মধ্যে ২০০২ বিশ্বকাপের ফাইনাল উল্লেখযোগ্য (এটিই ছিল প্রতিযোগিতার ইতিহাসে তাদের একমাত্র সাক্ষাৎ), যেখানে ব্রাজিল ২–০ গোলে জয় লাভ করে। ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা একাধিক হলুদ কার্ডের জন্য এই খেলা থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন, এবং ফরোয়ার্ড নেইমারের কোয়ার্টার ফাইনালের খেলার সময় কশেরুকা ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে পোরেন।[15]
ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয় (১৯২০ সালে উরুগুয়ের বিপক্ষে ৬–০ গোলে পরাজয়ের সাথে যৌথভাবে)। এই পরাজয় ব্রাজিলের নিজেদের মাঠে টানা ৬২টি খেলায় অপরাজিত থাকার ধারার অবসান ঘটায়।[16] ২৩ মিনিটে মিরোস্লাভ ক্লোজের গোলটি (খেলায় জার্মানির দ্বিতীয় গোল) ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৬তম বিশ্বকাপ গোল। এই গোলের মধ্যমে তিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর ১৫ গোলের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েন।[17] খেলায় জার্মানি ৭-১ গোলে জয় লাভ করে যা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ব্রাজিলের বিপক্ষে এক খেলায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। এর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে এক খেলায় ৫ গোল হজম করেছিল (১৯৩৮ বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে), যদিও তারা ঐ খেলায় ৫-৬ গোলে জয় লাভ করেছিল।
ব্রাজিল ![]() | ১–৭ | ![]() |
---|---|---|
অস্কার ![]() |
প্রতিবেদন | মুলার ![]() ক্লোজে ![]() ক্রুস ![]() খেদিরা ![]() শুর্লে ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ব্রাজিল
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() জার্মানি
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনা
এর আগে দল দুইটি আটটি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল,[18] যার মধ্যে চারবার ফিফা বিশ্বকাপে: ১৯৭৪ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে (৪-০) এবং ১৯৯৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে (২-১) জয়ী হয় নেদারল্যান্ডস। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা ৩-১ (অতিরিক্ত সময়ের পর) গোলে জয়ী হয়। ২০০৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলাটি গোলশূন্য ড্র হয়।
আর্জেন্টিনা এর আগে দুইবার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে (১৯৭৮ ও ১৯৮৬); অবশ্য তারা ১৯৯০ এর পর প্রথমবারের মত সেমি-ফাইনালে পৌঁছেছে। নেদারল্যান্ডস সেমি-ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছে একবার (১৯৯৮) এবং ফাইনাল খেলেছে তিনবার (১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে একবার); তারা কখনও প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
গ্রুপ পর্বের ড্র অনুযায়ী গ্রুপ এফ-এ আর্জেন্টিনার সাথে ছিল নাইজেরিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ও ইরান। তারা পুরো ৯ পয়েন্ট গ্রুপ পর্ব পাড় হয় এবং ১৬ দলের পর্বে সুইজারল্যান্ড ও কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামকে হারায়। গ্রুপ বি-তে নেদারল্যান্ডসের সাথে ছিল চিলি, স্পেন ও অস্ট্রেলিয়া। তারাও পুরো ৯ পয়েন্ট গ্রুপ পর্ব পাড় হয় এবং ১৬ দলের পর্বে মেক্সিকো ও কোয়ার্টার-ফাইনালে কোস্টা রিকাকে হারায়।
![]() | ০-০ (অ.স.প.) | ![]() |
---|---|---|
প্রতিবেদন | ||
পেনাল্টি | ||
ফ্লার ![]() রোবেন ![]() স্নাইডার ![]() কাইট ![]() |
২–৪ | ![]() ![]() ![]() ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() নেদারল্যান্ডস
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() আর্জেন্টিনা
|
|
![]() |
|
সহকারী রেফারিগণ:
|
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী: ব্রাজিল বনাম নেদারল্যান্ডস
![]() | ০–৩ | ![]() |
---|---|---|
প্রতিবেদন | ফন পার্সি ![]() ব্লিন্দ ![]() উইনালদুম ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ব্রাজিল
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() নেদারল্যান্ডস
|
|
![]() |
|
Man of the Match:
Assistant referees:
|
ফাইনাল: জার্মানি বনাম আর্জেন্টিনা
![]() | ১-০ (অ.স.প.) | ![]() |
---|---|---|
গোটজে ![]() |
প্রতিবেদন |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() জার্মানি
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() আর্জেন্টিনা
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
তথ্যসূত্র
- Regulations 2014 FIFA World Cup Brazil FIFA, 2014.
- "Brazil - Chile"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৪।
- "Brazil progress as Chile pay penalty"। ইএসপিএন। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪।
- Brewin, John। "Hulk revels in supporting act"। ইএসপিএন। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪।
- "Brazil through as Chile pay the penalty"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৪।
- "Colombia - Uruguay"। FIFA.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৪।
- http://www.prothomalo.com/sports/article/254206
- "Luis Suárez suspended for nine matches and banned for four months from any football-related activity"। ফিফা। ২৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৪।
- "Netherlands - Mexico"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৪।
- "José Vázquez Yellow Card: Mexico Midfielder Will Miss Next Game"। Epoch Times। ২৩ জুন ২০১৪।
- "Germany - Algeria"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৪।
- "Germany 2 Algeria 1"। বিবিসি স্পোর্ট। ৩০ জুন ২০১৪।
- "Germany Have No Need to Panic Ahead of World Cup Quarter-Final with France"। ব্লিচার রিপোর্ট। ১ জুলাই ২০১৪।
- "Djabou cancella il record di Alex Del Piero" (Italian ভাষায়)। ইয়াহু! স্পোর্ট ইতালিয়া। ১ জুলাই ২০১৪।
- Daly, Jim (৪ জুলাই ২০১৪)। "Neymar OUT of the World Cup with a 'fractured vertebrae' suffered in quarter-final win over Colombia"। ডেইলি মিরর। ৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৪।
- Klein, Jeff। "World Cup 2014: Germany Defeats Brazil, 7-1"। নিউ ইয়র্ক টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪।
- "Hosts stunned as Thomas Muller and Co score four goals in SIX minutes to reach World Cup final"। ডেইলি মেইল। ৮ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪।
- "Netherlands – Argentina: Head to head"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪।