ক্যামেরুন জাতীয় ফুটবল দল

ক্যামেরুন জাতীয় ফুটবল দল (ফরাসি: Équipe du Cameroun de football) আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে ক্যামেরুনের জাতীয় দল হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছে। দলটি ফরাসি ভাষায় লেস লায়ন্স ইনডম্পটেবলস ডাকনামে পরিচিত যার অর্থ দাঁড়ায় ‘অদম্য সিংহ’। ফেডারেশন ক্যামেরুনাইস দ্য ফুটবল সংস্থা কর্তৃক দলটি পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এ পর্যন্ত দলটি ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে সাতবার অংশগ্রহণ করে। এ সংখ্যাটি আফ্রিকা মহাদেশের যে-কোন জাতীয় দলের চেয়ে বেশী। কিন্তু দলটি কেবলমাত্র একবারই গ্রুপ-পর্বের স্তর অতিক্রম করতে পেরেছে। ১৯৯০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অতিরিক্ত সময় পরাজিত হয়। এছাড়াও ক্যামেরুন দল আফ্রিকান নেশন্স কাপে চারবার শিরোপা লাভ করেছে।

ক্যামেরুন
ডাকনাম(সমূহ) লেস লায়ন্স ইনডম্পটেবলস
(অদম্য সিংহ)
অ্যাসোসিয়েশনফেডারেশ ক্যামেরুনেইজ দ্য ফুটবল
কনফেডারেশনকাফ (আফ্রিকা)
সাব-কনফেডারেশনইউনিফ্যাক
(মধ্য আফ্রিকা)
প্রধান কোচভল্কার ফিনকে
অধিনায়কস্যামুয়েল ইতো
সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়রিগোবার্ট সং (১৩৭)
শীর্ষ গোলদাতাস্যামুয়েল ইতো (৫৫)
স্বাগতিক স্টেডিয়ামস্টেড আহমাদো আহিদজো
ফিফা কোডCMR
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান৫০
সর্বোচ্চ১১ (নভেম্বর, ২০০৬)
সর্বনিম্ন৭৯ (ফেব্রুয়ারি, ২০১৩)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান৫৬
সর্বোচ্চ১২ (জুন, ২০০৩)
সর্বনিম্ন৭৬ (এপ্রিল, ১৯৯৫)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Belgian Congo ৩-২ ফরাসি ক্যামেরুন
(Belgian Congo; September 1956)
বৃহত্তম জয়
 Cameroon ৯-০ চাদ 
(DR Congo; April 1965)
বৃহত্তম হার
 নরওয়ে ৬-১ ক্যামেরুন
(অসলো, নরওয়ে; ৩১ অক্টোবর ১৯৯০)
 রাশিয়া 6–1 Cameroon
(Palo Alto, California, USA; 28 June 1994)
 কোস্টা রিকা 5–0 Cameroon
(San José, Costa Rica; 9 March 1997)
বিশ্বকাপ
উপস্থিতি৭ (প্রথম ১৯৮২)
সেরা সাফল্যকোয়ার্টার-ফাইনাল; ১৯৯০
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স
উপস্থিতি১৬ (প্রথম ১৯৭০)
সেরা সাফল্যবিজয়ী, ১৯৮৪, ১৯৮৮,
২০০০, ২০০২
কনফেডারেশন্স কাপ
উপস্থিতি২ (প্রথম ২০০১)
সেরা সাফল্যরানার্স-আপ, ২০০৩

আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স

১৯৬০ সালে জিবুতি দলের বিপক্ষে ক্যামেরুন সর্বপ্রথম খেলতে নামে। খেলায় ক্যামেরুন ৯-২ গোলের বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়। ১৯৭০ সালের আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স প্রতিযোগিতায় সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করে। কিন্তু প্রথম-পর্বেই দলটিকে ফিরে আসতে হয়। দুই বছর পর ১৯৭২ সালে আফ্রিকান নেশন্স কাপে স্বাগতিকের মর্যাদা লাভ করে দলটি। খেলায় অদম্য সিংহ দল তৃতীয় স্থান লাভ করে। এরপর পরবর্তী দশ বছরের মধ্যে দলটি এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। ১৯৮৪ সালের নেশন্স কাপে অংশ নিয়ে গ্রুপ-পর্বে দ্বিতীয় হয় ও পেনাল্টি গোলে আলজেরিয়াকে সেমি-ফাইনালে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে। চূড়ান্ত খেলায় তারা ৩-১ গোলের ব্যবধানে নাইজেরিয়াকে পরাজিত করার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শিরোপা লাভ করে।

ফিফা বিশ্বকাপ

১৯৮২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরে ক্যামেরুন। স্পেনে অনুষ্ঠিত ঐ প্রতিযোগিতায় ১৬ দল থেকে ২৪ দলে উন্নীত করা হয়। আলজেরিয়ার পাশাপাশি তারাও আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করে। গ্রুপ-পর্বে ইতালি (১-১), পোল্যান্ড (০-০) ও পেরুর (০-০) সাথে ড্র করে দলটি। তা স্বত্ত্বেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হতে পারেনি।

বাছাই পর্বে তিউনিসিয়াকে পরাজিত করে ও নাইজেরিয়াকে পাশ কাটিয়ে ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ক্যামেরুন। বি গ্রুপে অবস্থান করে উদ্বোধনী খেলায় ফ্রাঙ্কো ওমাম-বায়িকের গোলে পূর্বতন চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে ১-০ ও রোমানিয়াকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন দলের কাছে ৪-০ ব্যবধানে হেরে যায়। এরফলে গোল পার্থক্যে দলটি শীর্ষস্থান অর্জন করে। দ্বিতীয় পর্বে অতিরিক্ত সময়ে ৩৮ বছর বয়সী রজার মিলা’র দুই গোলে কলম্বিয়াকে হারায় তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে গ্যারি লিনেকারের পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়। রুশ ম্যানেজার ও সাবেক খেলোয়াড় ভ্যালেরি নেপোমিয়াচি দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় আফ্রিকা মহাদেশ থেকে নাইজেরিয়ামরক্কোর পাশাপাশি ক্যামেরুনও প্রতিযোগিতার মূল পর্বে উন্নীত হয়। বি গ্রুপে তারা সুইডেনের সাথে ২-২ ড্র এবং ব্রাজিলরাশিয়ার কাছে যথাক্রমে ৩-০ ও ৬-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়। রাশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ-পর্বের শেষ খেলায় ৪২ বছর বয়সী রজার মিলা সর্বাপেক্ষা বয়োজ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান ও দলের একমাত্র গোলটি করেন।

১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলে দল সংখ্যা ২৪ থেকে ৩২-এ উপনীত হয়। ক্যামেরুন পাঁচটি আফ্রিকান দেশের অন্যতম ছিল। গ্রুপ-পর্বে ৯০ মিনিটের পূর্ব পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও অস্ট্রিয়ার সাথে ১-১ ও দুই গোল বাতিল হওয়ায় চিলির সাথে ১-১ ড্র হয়। এছাড়া ইতালির সাথে ৩-০ ব্যবধানে পরাভূত হয়। প্রতিযোগিতায় যে-কোন দলের চেয়ে ক্যামেরুন খেলোয়াড়দেরকে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়। প্রতি খেলায় গড়ে সর্বোচ্চ কার্ড পায়। প্রতি খেলায় গড়ে দলটির প্রতি খেলোয়াড় চারটি কার্ড পায়।[1]

তারকা খেলোয়াড়

তথ্যসূত্র

  1. "Top Cards – France 1998"। fifa.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২১, ২০০৯

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Football in Cameroon

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.