নাইজেরিয়া জাতীয় ফুটবল দল
নাইজেরিয়া জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Nigeria national football team) নাইজেরিয়ার জাতীয় দল হিসেবে ফুটবল খেলায় প্রতিনিধিত্ব করছে। সুপার ঈগল কিংবা গ্রীন ঈগল ডাক নামেও নাইজেরিয়া জাতীয় ফুটবল দলের পরিচিতি রয়েছে। নাইজেরিয়া ফুটবল সংস্থা (এনএফএফ) কর্তৃক এ দলটি পরিচালিত হয়। স্মরণীয় সাফল্য হিসেবে এপ্রিল, ১৯৯৪ সালে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৫ম স্থান অধিকার করেছিল। এ র্যাঙ্কিংটিই আফ্রিকা মহাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে যে-কোন দলের জন্যে সর্বোচ্চ সাফল্য। বর্তমানে দলটি ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত আফ্রিকা নেশন্স কাপের শিরোপাধারী দল। দলীয় শক্তিমত্তার বিচারে খুবই শক্তিশালী্ দলটি এ যাবৎকাল তিনবার আফ্রিকা নেশন্স কাপ জয়ের পাশাপাশি দুইবার বিশ্বকাপ ফুটবলের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা লাভ করেছে। এছাড়াও প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক লাভ করেছে।
ডাকনাম(সমূহ) | সুপার ঈগল, গ্রীন ঈগল | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | নাইজেরিয়া ফুটবল সংস্থা | ||
কনফেডারেশন | ক্যাফ (আফ্রিকা) | ||
সাব-কনফেডারেশন | ওয়েস্ট আফ্রিকান ফুটবল ইউনিয়ন (পশ্চিম আফ্রিকা) | ||
প্রধান কোচ | স্টিফেন কেশি | ||
অধিনায়ক | জোসেফ ইয়োবো | ||
সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় | জোসেফ ইয়োবো (৯৫)[1] | ||
শীর্ষ গোলদাতা | রশীদি ইয়েকিনি (৩৭) | ||
স্বাগতিক স্টেডিয়াম | আবুজা স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | NGA | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২৮ | ||
সর্বোচ্চ | ৫ (এপ্রিল, ১৯৯৪) | ||
সর্বনিম্ন | ৮২ (নভেম্বর, ১৯৯৯) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৩০ | ||
সর্বোচ্চ | ১৪ (৩১ মে, ২০০৪) | ||
সর্বনিম্ন | ৮৭ (২৭ ডিসেম্বর, ১৯৬৪) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (ফ্রীটাউন, সিয়েরালিওন; ১০ আগস্ট, ১৯৯৪)[2] | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (লাগোস, নাইজেরিয়া; ২৮ নভেম্বর, ১৯৫৯) | |||
বৃহত্তম হার | |||
![]() ![]() (আক্রা, গোল্ড কোস্ট; ১ জুন, ১৯৫৫) | |||
বিশ্বকাপ | |||
উপস্থিতি | ৪ (প্রথম ১৯৯৪) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ | ||
আফ্রিকান নেশন্স কাপ | |||
উপস্থিতি | ১৭ (প্রথম ১৯৬৩) | ||
সেরা সাফল্য | বিজয়ী, ১৯৮০, ১৯৯৪ ও ২০১৩ | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
উপস্থিতি | ১ (প্রথম ১৯৯৫) | ||
সেরা সাফল্য | ৪র্থ, ১৯৯৫ |
ইতিহাস
১৯৩০-এর দশকে অন্যান্য উপনিবেশের সাথে নাইজেরিয়া দলটি অনানুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলে খেলায় অংশগ্রহণ করে।[3] বর্তমানে দলটি ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৫২তম স্থান দখল করে আছে। ব্রিটিশ উপনিবেশ হওয়া সত্ত্বেও অক্টোবর, ১৯৪৯ সালে নাইজেরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম খেলায় অংশ নেয়। ডালউইচ হ্যামলেট, বিশপ অকল্যান্ড, সাউথ লিভারপুল প্রভৃতি সৌখিন দলের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সফরে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। ১৯৭৩ সালে দলটি প্রথম বৃহৎ সাফল্য লাভ করে। ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত ২য় অল-আফ্রিকা গেমসে স্বর্ণপদক পায়। এছাড়াও, ১৯৭৬ ও ১৯৭৮ সালের আফ্রিকান নেশন্স কাপে তৃতীয় স্থান দখল করেছিল। লাগোসে অনুষ্ঠিত ১৯৮০ সালের আফ্রিকা নেশন্স কাপে জন চিদোজি, তাঞ্জি ব্যাঞ্জো, মুদা লল, ক্রিশ্টিয়ান চুকু প্রমূখ ফুটবলারগণ অংশ নেন ও সুপার ঈগলকে প্রথমবারের মতো জয়ে সহায়তা করেন। ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে ফাইনালে পৌঁছলেও ক্যামেরুন দলের কাছে হেরে যায়। ক্যামেরুন চারবার আফ্রিকান কাপ জয় করে; তন্মধ্যে তিনবারই তারা নাইজেরিয়াকে হারায়। ক্যামেরুনের কাছে এজাতীয় ঘটনার বেশ কয়েকবার পুণরাবৃত্তি ঘটে। এরফলে উভয় দলই অলিখিতভাবে একে-অপরের চীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে আছে।
বিশ্বকাপ
১৪ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত বাছাই-পর্বের খেলায় কেনিয়াকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে পরাভূত করে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[4]
বিশ্বকাপের মূল পর্বে উদ্বোধনী খেলায় গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জের হেডে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ০-১ গোলে হেরে যায়।[5] দ্বিতীয় খেলায় শুরুতেই উচের গোলে গ্রীসের বিরুদ্ধে এগিয়ে যায়। কিন্তু সানি কাইতার লাল কার্ডপ্রাপ্তিতে গ্রীস সুবিধা পেয়ে যায় ও ২-১ গোলে জয়ী হয়। এরপর ২-২ গোলে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ড্র করে। ৩০ জুন, ২০১০ তারিখে প্রতিযোগিতা থেকে দ্রুত বিদায় ও দূর্বল ফলাফলের জন্যে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন জাতীয় দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলার জন্যে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।[6] এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ফিফা থেকেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের দরুন দলটিও নিষেধাজ্ঞার পর্যায়ে পড়ে।[7] ৫ জুলাই, ২০১০ তারিখে নাইজেরিয় সরকার ফিফা/ক্যাফ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।[8] কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ফিফা কর্তৃপক্ষের কাছে তিন মাস পর থেকে কার্যকরী হয়।[9] ৪ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে বিশ্বকাপ ফুটবলের পর সরকারীভাবে হস্তক্ষেপ করায় দলটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।[9] এর চারদিন পর নাইজেরিয় ফুটবলারদের জাতীয় সংস্থা থেকে অভিযোগ দাখিল করায় তা সাময়িকভাবে তুলে নেয়া হয়।[10]
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স
ইতিমধ্যে দলটি ১৯৮০, ১৯৯৪ ও ২০১৩ সালের আফ্রিকান নেশন্স কাপ ছয় করে এবং ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০ ও ২০০০ সালে তারা চারবার রানার্স-আপ হয়। এছাড়াও, সাতবার তৃতীয় স্থান দখল করে। ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তারিখে বুরকিনা ফাসোকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো এ কাপটি জয় করে। ১৯৯৪ সালে অ্যাফকন চ্যাম্পিয়নধারী নাইজেরিয়া দলের অধিনায়ক ও বর্তমান নাইজেরিয় কোচ স্টিফেন কেসি প্রথমবারের মতো সুপার ঈগলদেরকে এ কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।[11]
দলীয় কর্মকর্তা
অবস্থান | নাম |
---|---|
প্রধান কোচ | স্টিফেন কেশি |
সহকারী কোচ | ড্যানিয়েল অ্যামোকাচি |
প্রধান কোচের ব্যক্তিগত সহকারী | ভ্যালেরে হোয়ানডিনো ![]() |
গোলরক্ষক প্রশিক্ষক | ইকে শোরানমু |
সহকারী গোলরক্ষক প্রশিক্ষক | সিলভেনাস ওকপালা |
খেলোয়াড়
বর্তমান দল
নিচের ৩০জন খেলোয়াড়কে মে, ২০১৩ সালে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে খেলার জন্য ও জুনে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে অংশগ্রহণের জন্য ক্যাম্পে ডাকা হয়।
খেলা ও গোলের সংখ্যা ২৩ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত সঠিক। সকল খেলা/গোল ফিফা সদস্যভূক্ত দেশসমূহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।[12]
# | অব. | খেলোয়াড় | জন্ম তারিখ (বয়স) | ম্যাচ | গোল | ক্লাব |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | গো | ভিনসেন্ট এনিয়েমা | ২৯ আগস্ট ১৯৮২ | ৭৮ | ০ | ![]() |
১৬ | গো | অস্টিন এজিদ | ৮ এপ্রিল ১৯৮৪ | ২৪ | ০ | ![]() |
২৩ | গো | চিগোজি এগবিম | ২৮ নভেম্বর ১৯৮৪ | ৫ | ০ | ![]() |
৩০ | গো | ড্যানিয়েল একপেয়ি | ৩ আগস্ট ১৯৮৬ | ০ | ০ | ![]() |
৩ | র | ইউয়া এল্ডারসন একিয়েজিলে | ২০ জানুয়ারি ১৯৮৮ | ২৭ | ১ | ![]() |
৫ | র | এফি অ্যামব্রোস | ১৮ অক্টোবর ১৯৮৮ | ২২ | ১ | ![]() |
২২ | র | কেনেথ ওমিরু | ১৭ অক্টোবর ১৯৯৩ | ৮ | ০ | ![]() |
২৫ | র | ফ্রান্সিস বেঞ্জামিন | ২ জানুয়ারি ১৯৯৩ | ০ | ০ | ![]() |
৬ | র | আজুবুইকি এগুইকুয়ে | ২৮ নভেম্বর ১৯৮৮ | ১২ | ০ | ![]() |
১৪ | র | গডফ্রে ওবোয়াবোনা | ১৬ আগস্ট ১৯৯০ | ১৯ | ০ | ![]() |
২ | র | সলোমন কোয়াম্বি | ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ | ৩ | ০ | ![]() |
২৪ | র | ইবেনেজার ওদুনলামি | ৫ মার্চ ১৯৯০ | ০ | ০ | ![]() |
৪ | ম | জন ইউগোচুকু | ২০ এপ্রিল ১৯৮৮ | ১ | ০ | ![]() |
৭ | ম | আহমেদ মুসা | ১৪ অক্টোবর ১৯৯২ | ২৬ | ৪ | ![]() |
১০ | ম | মাইকেল জন ওবি | ২২ এপ্রিল ১৯৮৭ | ৪৬ | ৩ | ![]() |
১২ | ম | রিউবেন গ্যাব্রিয়েল | ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ | ১০ | ১ | ![]() |
১৩ | ম | ফেগর ওগুদে | ২৯ জুলাই ১৯৮৭ | ১১ | ০ | ![]() |
১৫ | ম | মাইকেল বাবাতুন্দে | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯২ | ০ | ০ | ![]() |
১৭ | ম | ওগেনি ওনাজি | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯২ | ৯ | ১ | ![]() |
১৮ | ম | ওবিন্না নোচুকু | ১৮ জানুয়ারি ১৯৯২ | ৪ | ০ | ![]() |
১৯ | ম | সানডে এম্বা | ২৮ নভেম্বর ১৯৮৮ | ১১ | ৫ | ![]() |
২০ | ম | নামদি ওদুয়ামাদি | ১৭ অক্টোবর ১৯৯০ | ২ | ১ | ![]() |
২৭ | ম | এমেকা ইজে | ২২ ডিসেম্বর ১৯৯২ | ০ | ০ | ![]() |
৮ | আ | ইদিয়ে এইদ ব্রাউন | ১০ অক্টোবর ১৯৮৮ | ১৪ | ২ | ![]() |
১১ | আ | ভিক্টর মোসেজ | ১২ ডিসেম্বর ১৯৯০ | ১৩ | ৪ | ![]() |
২১ | আ | মোহাম্মদ গ্যাম্বো | ১০ মার্চ ১৯৮৮ | ০ | ০ | ![]() |
৯ | আ | ইমানুয়্যাল ইমেনিয়েকে | ১০ মে ১৯৮৭ | ১৪ | ৫ | ![]() |
২৮ | আ | অ্যান্থনি ইউজাহ | ১৪ অক্টোবর ১৯৯০ | ০ | ০ | ![]() |
আ | জোসেফ আকপালা | ২৪ আগস্ট ১৯৮৬ | ৫ | ১ | ![]() | |
২৬ | আ | কালু ইউচে | ১৫ নভেম্বর ১৯৮২ | ৩৪ | ৫ | ![]() |
২৯ | আ | গোমো অন্দুকু | ১ জানুয়ারি ১৯৯৩ | ০ | ০ | ![]() |
তথ্যসূত্র
- Elassal, Mahmoud। "Yobo becomes Nigeria's most capped player"। ahramonline। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১১।
Nigeria captain says victory at 2013 African Cup of Nations would make his joy complete.
- Courtney, Barrie। "Sierra Leone – List of International Matches"। Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১০।
- http://www.tribune.com.ng/27122009/news/sports7.html%5B%5D Nigeria's First Football Captain
- "Kenya 2–3 Nigeria"। ESPN। ১৪ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০০৯।
- "Argentina 1–0 Nigeria"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১০।
- "Nigeria president suspends team"। BBC Sport। ৩০ জুন ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১০।
- Adigun, Bashir; Gambrell, Jon (৩০ জুন ২০১০)। "Nigeria's president suspends soccer team"। USA Today। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১০।
- "Nigerian government rescinds ban"। ESPN Soccernet। 5 July 2010। সংগ্রহের তারিখ 2010-07-0। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - "Fifa issues world ban to Nigeria"। BBC News। ৪ অক্টোবর ২০১০।
- "Fifa lifts Nigeria's suspension"। BBC Sport। ৮ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১০।
- "Mba's wondergoal wins African Cup of Nations for Nigeria"। Eurosport। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "www.mtnfootball.com, "Eagles skipper Yobo stays dropped", Retrieved 5 May, 2013."। ৮ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৩।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- কিক অফ নাইজেরিয়া - নাইজেরিয়া ফুটবল / সকার সংবাদ
- সাইবার ঈগস - নাইজেরিয়ান ফুটবল আলোচনা ফোরাম
- GreenEagles.org – নাইজেরিয়ার সুপার ঈগলসের অপ্রাতিষ্ঠানিক ডাটাবেস
- RSSSF ফলাফল ১৯৫৫-২০০৮ আর্কাইভ
টেমপ্লেট:Football in Nigeria
টেমপ্লেট:African football টেমপ্লেট:WAFU Football