ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ

ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ হলো অনূর্ধ্ব-১৭ পুরুষ খেলোয়াড়দের জন্য ফিফা কর্তৃক আয়োজিত একটি ফুটবল প্রতিযোগিতা। ফিফা অনূর্ধ্ব-১৬ বিশ্বকাপ নামে শুরু হলেও ২০০৭ সালে বর্তমান নাম করা হয়।

ফিফা অ-১৭ বিশ্বকাপ
প্রতিষ্ঠিত১৯৮৫ (1985)
অঞ্চলআন্তর্জাতিক (ফিফা)
দলের সংখ্যা২৪
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড (১ম শিরোপা)
সর্বাধিক সফল দল নাইজেরিয়া (৫ টি শিরোপা)
ওয়েবসাইটঅ-১৭ বিশ্বকাপ
২০১৯ ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ

যোগ্যতা নির্ধারণ

স্বাগতিক দেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।বাকি দলগুলো ছয়টি আঞ্চলিক কনফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত বাছাইপর্ব খেলে উত্তীর্ণ হয়।

কনফেডারেশন নাম
এএফসি (এশিয়া) এএফসি অ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ
কাফ (আফ্রিকা) আফ্রিকান অ-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ
কনকাকাফ (উত্তর,মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল) কনকাকাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ
কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ
ওএফসি (ওশেনিয়া) ওএফসি অ-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ
উয়েফা (ইউরোপ) উয়েফা ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

ইতিহাস

সিঙ্গাপুরের লায়ন সিটি কাপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই প্রতিযোগিতাটিটি শুরু করা হয়। লায়ন সিটি কাপ বিশ্বের সর্বপ্রথম অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতা।১৯৮২ সালে ফিফার তৎকালীন সেক্রেটারি-জেনারেল ১৯৮২ লায়ন সিটি কাপ প্রতিযোগিতাটি দেখেন।তখন তিনি এর জন্য সুপারিশ করেন।[1] ১৯৮৫ সাল থেকে চীনে এই প্রতিযোগিতার প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়।[2] তারপর থেকে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।প্রথমে অ-১৬ হলেও ১৯৯১ সাল থেকে অ-১৭ করা হয়।

৫ টি শিরোপা নিয়ে সবচেয়ে সফল দল হলো নাইজেরিয়া। ৩ টি শিরোপা নিয়ে ২য় অবস্থানে ব্রাজিল। মেক্সিকো ও ঘানার ২টি করে শিরোপা আছে।

ফলাফল

সারসংক্ষেপ

ফিফা অ-১৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ

# বছর স্বাগতিক ফাইনাল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ দলের সংখ্যা
বিজয়ী Score রানার্স-আপ তৃতীয় স্থান Score চতুর্থ স্থান
১৯৮৫
বিশদ
চীন
নাইজেরিয়া
২–০
পশ্চিম জার্মানি

ব্রাজিল
৪–১
গিনি
১৬
১৯৮৭
বিশদ
কানাডা
সোভিয়েত ইউনিয়ন
১–১ (অ.স.প.)
৪–২ পেনাল্টি

নাইজেরিয়া

কোত দিভোয়ার
২–১ (অ.স.প.)
ইতালি
১৬
১৯৮৯
বিশদ
স্কটল্যান্ড
সৌদি আরব
২–২ (অ.স.প.)
৫–৪ পেনাল্টি

স্কটল্যান্ড

পর্তুগাল
৩–০
বাহরাইন
১৬

অ-১৭

ফিফা অ-১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ
# বছর স্বাগতিক ফাইনাল তৃতীয় স্থাব নির্ধারণী ম্যাচ দলের সংখ্যা
বিজয়ী Score রানার্স-আপ তৃতীয় স্থান Score চতুর্থ স্থান
১৯৯১
বিশদ
ইতালি
ঘানা
১–০
স্পেন

আর্জেন্টিনা
১–১ (অ.স.প.)
৪–১ পেনাল্টি

কাতার
১৬
১৯৯৩
বিশদ
জাপান
নাইজেরিয়া
২–১
ঘানা

চিলি
১–১ (অ.স.প.)
৪–২ টেমপ্লেট:Pen

পোল্যান্ড
16
১৯৯৫
বিশদ
ইকুয়েডর
ঘানা
৩–২
ব্রাজিল

আর্জেন্টিনা
২–০
ওমান
১৬
১৯৯৭
বিশদ
মিশর
ব্রাজিল
২–১
ঘানা

স্পেন
২–১
জার্মানি
১৬
১৯৯৯
বিশদ
নিউজিল্যান্ড
ব্রাজিল
০–০ (অ.স.প.)
৮–৭ পেনাল্টি

অস্ট্রেলিয়া

ঘানা
২–০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৬
২০০১
বিশদ
 Trinidad and Tobago
ফ্রান্স
৩–০
নাইজেরিয়া

বুর্কিনা ফাসো
২–০
আর্জেন্টিনা
১৬
১০ ২০০৩
Details
ফিনল্যান্ড
ব্রাজিল
১–০
স্পেন

আর্জেন্টিনা
১–১ (অ.স.প.)
৫–৪ পেনাল্টি

কলম্বিয়া
১৬
১১ ২০০৫
বিশদ
পেরু
মেক্সিকো
৩–০
ব্রাজিল

নেদারল্যান্ডস
২–১
তুরস্ক
১৬
ফিফা অ-১৭ বিশ্বকাপ
# বছর স্বাগতিক ফাইনাল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ দলের সংখ্যা
বিজয়ী Score রানার্স-আপ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ Score চতুর্থ স্থান
১২ ২০০৭
বিশদ
দক্ষিণ কোরিয়া
নাইজেরিয়া
০–০ (অ.স.প.)
৩–০ পেনাল্টি

স্পেন

জার্মানি
২–১
ঘানা
২৪
১৩ ২০০৯
বিশদ
নাইজেরিয়া
সুইজারল্যান্ড
১–০
নাইজেরিয়া

স্পেন
১–০
কলম্বিয়া
২৪
১৪ ২০১১
বিশ্বকাপ
মেক্সিকো
মেক্সিকো
২–০
উরুগুয়ে

জার্মানি
৪–৩
ব্রাজিল
২৪
১৫ ২০১৩
বিশদ
 UAE
নাইজেরিয়া
৩–০
মেক্সিকো

সুইডেন
৪–১
আর্জেন্টিনা
২৪
১৬ ২০১৫
বিশদ
চিলি
নাইজেরিয়া
২–০
মালি

বেলজিয়াম
৩–২
মেক্সিকো
২৪
১৭ ২০১৭
বিশদ
ভারত
ইংল্যান্ড
৫–২
স্পেন

ব্রাজিল
২–০
মালি
২৪
১৮ ২০১৯
বিশদ
পেরু ২৪
  • সংক্ষিপ্ত:
    • aet - অতিরিক্ত সময়ে জয়

দেশ হিসেবে সফলতা

অবস্থান দল শিরোপা রানার্স-আপ তৃতীয় স্থান চতুর্থ স্থান পদক
 নাইজেরিয়া ৫ (১৯৮৫, ১৯৯৩, ২০০৭, ২০১৩, ২০১৫) ৩ (১৯৮৭, ২০০১, ২০০৯)
 ব্রাজিল ৩ (১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৩) ২ (১৯৯৫, ২০০৫) ২ (১৯৮৫, ২০১৭) ১ (২০১১)
 ঘানা ২ (১৯৯১, ১৯৯৫) ২ (১৯৯৩, ১৯৯৭) ১ (১৯৯৯) ১ (২০০৭)
 মেক্সিকো ২ (২০০৫, ২০১১) ১ (২০১৩) ১ (২০১৫)
 সোভিয়েত ইউনিয়ন ১ (১৯৮৭)
 সৌদি আরব ১ (১৯৮৯)
 ফ্রান্স ১ (২০০১)
  সুইজারল্যান্ড ১ (২০০৯)
 ইংল্যান্ড ১ (২০১৭)
১০  স্পেন ৪ (১৯৯১, ২০০৩, ২০০৭, ২০১৭) ২ (১৯৯৭, ২০০৯)
১১  জার্মানি ১ (১৯৯৫) ২ (২০০৭, ২০১১) ১ (১৯৯৭)
12  মালি ১ (২০১৫) ১ (২০১৭)
১৩  স্কটল্যান্ড ১ (১৯৮৯)
 অস্ট্রেলিয়া ১ (১৯৯৯) 1
 উরুগুয়ে ১ (২০১১)
১৬  আর্জেন্টিনা ৩ (১৯৯১, ১৯৯৫, ২০০৩) ২ (২০০১, ২০১৩)
১৭  কোত দিভোয়ার ১ (১৯৮৭)
 পর্তুগাল ১ (১৯৮৯)
 চিলি ১ (১৯৯৩)
 বুর্কিনা ফাসো ১ (২০০১)
 নেদারল্যান্ডস ১ (২০০৫)
 সুইডেন ১ (২০১৩)
 বেলজিয়াম ১ (২০১৫)
২৪  কলম্বিয়া ২ (২০০৩, ২০০৯)
২৫  গিনি ১ (১৯৮৫)
 ইতালি ১ (১৯৮৭)
 বাহরাইন ১ (১৯৮৯)
 কাতার ১ (১৯৯১)
 পোল্যান্ড ১ (১৯৯৩)
 ওমান ১ (১৯৯৫)
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১ (১৯৯৯)
 তুরস্ক ১ (২০০৫)

মহাদেশীয় সফলতা

৭ টি শিরোপা নিয়ে সবচেয়ে সফল মহাদেশ আফ্রিকা

কনফেডারেশন
(মহাদেশ)
কৃতি
বিজয়ী রানার্স-আপ তৃতীয় চতুর্থ
কাফ (আফ্রিকা) ৭ বার: নাইজেরিয়া (৫), ঘানা (২) ৬ বার: নাইজেরিয়া (৩), ঘানা (২), মালি (১) ৩ বার: ঘানা (১), আইভরি কোস্ট (১), বুরকিনা ফাসো (১) ৩ বার: ঘানা (১), গিনি (১), মালি (১)
উয়েফা (ইউরোপ) ৪ বার: ফ্রান্স (১), সোভিয়েত ইউনিয়ন (১), সুইজারল্যান্ড (১), ইংল্যান্ড (১) ৬ বার: স্পেন (৪), জার্মানি (১), স্কটল্যান্ড (১) ৮ বার: জার্মানি (২), স্পেন (২), বেলজিয়াম (১), নেদারল্যান্ডস (১), পর্তুগাল (১), সুইডেন (১) ৪ বার: জার্মানি (১), ইতালি (১), পোল্যান্ড (১), তুরস্ক (১)
কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিজা) ৩ বার: ব্রাজিল (৩) ৩ বার: ব্রাজিল (২), উরুগুয়ে (১) ৬ বার: আর্জেন্টিনা (৩), ব্রাজিল (২), চিলি (১) ৫ বার: ব্রাজিল (১), আর্জেন্টিনা (২), কলম্বিয়া (২)
কনকাকাফ (উত্তর,মধ্য ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল) ২ বার: মেক্সিকো (২) ১ বার: মেক্সিকো (১) নাই ২ বার: মেক্সিকো (১), যুক্তরাষ্ট্র (১)
এএফসি (এশিয়া) ১ বার: সৌদি আরব (১) নাই নাই ৩ বার: বাহরাইন (১), কাতার (১), ওমান (১)
ওএফসি (ওশেনিয়া) নাই ১ বার: অস্ট্রেলিয়া (১) নাই নাই
Map of the best results for each country

পুরষ্কার

  • সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় গোল্ডেন বিল পুরষ্কার।
  • সবচেয়ে বেশি গোলদাতা খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় গোল্ডেন বুট পুরষ্কার।
  • সবচেয়ে ভালো গোলকিপারকে দেওয়া হয় গোল্ডেন গ্লোভস পুরষ্কার।
  • সবচেয়ে বেশি নিয়মানুবর্তী দলকে দেওয়া হয় ফেয়ার প্লে পুরষ্কার।
আসর গোল্ডেন বল গোল্ডেন বুট গোল গোল্ডেন গ্লোভস ফেয়ার প্লে
১৯৮৫ চীন উইলিয়াম মার্সেল দেওয়া হয় নি  পশ্চিম জার্মানি
১৯৮৭ কানাডা ফিলিপ ওসুন্ডো মূসা ট্রাওরে  সোভিয়েত ইউনিয়ন
১৯৮৯ স্কটল্যান্ড জ্যামস উইল ফোদে কামারা  বাহরাইন
১৯৯১ ইতালি নি ল্যাম্পটে আদ্রিয়ানো  আর্জেন্টিনা
১৯৯৩ জাপান ড্যানিয়েল আদ্দো উইলসন ওরুমা  নাইজেরিয়া
১৯৯৫ ইকুয়েডর মোহাম্মদ কাথরি ড্যানিয়েল  ব্রাজিল
১৯৯৭ মিশর সার্জিও সান্টামারিয়া ডেভিড  আর্জেন্টিনা
১৯৯৯ নিউজিল্যান্ড লন্ডিন ডনোভান ইসমায়েল অ্যাড  মেক্সিকো
২০০১ ট্রিনিদাদ এবং টোবাগো ফ্লোরেন্ট সিনামা ফ্লোরেন্ট সিনামা  নাইজেরিয়া
২০০৩ ফিনল্যান্ড সেস্‌ ফাব্রিগাস সেস্‌ ফাব্রিগাস  কোস্টা রিকা
২০০৫ পেরু এন্ডারসন কার্লোস ভেলা  উত্তর কোরিয়া
২০০৭ দক্ষিণ কোরিয়া টনি ক্রুস ম্যাকালি ক্রিশান্টাস  কোস্টা রিকা
২০০৯ নাইজেরিয়া সামি এমানুয়েল বোর্হা বেঞ্জামিন সিগ্রিস্ট  নাইজেরিয়া
২০১১ মেক্সিকো জুলিও গোমেস সুলেয়মান কলুবালি জোনাথান কুবেরু  জাপান
২০১৩ সংযুক্ত আরব আমিরাত কেলেচি ইহিয়ানাচো ভালমির বেরিশা ডেলে আলামপাসু  নাইজেরিয়া
২০১৫ চিলি কেলেচি নাওয়াকালি ভিক্টর ওসিমেন ১০ স্যামুয়েল দিয়ারা  ইকুয়েডর
২০১৭ ভারত ফিল ফোডেন রিহান ব্রিউস্টার গাব্রিয়েল ব্রাজাও  ব্রাজিল

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Youth Cup revived"eresources। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৮
  2. "India could shatter Under 17 World Cup attendance record - Times of India"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। ২০ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.