১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপ

১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপ ১৭ জুন থেকে ১৭ জুলাই, ১৯৯৪ তারিখ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হয়। ফিফা বিশ্বকাপের এ আসরটি ছিল ১৫তম। ৪ জুলাই, ১৯৮৮ তারিখে বিশ্ব ফুটবলের প্রধান পরিচালনাকারী সংস্থা ফিফা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে স্বাগতিক দেশের মর্যাদা দেয়। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় ইতালিকে পেনাল্টি শ্যুট আউটে পরাজিত করে ব্রাজিল দল প্রথম দেশ হিসেবে চারটি বিশ্বকাপের শিরোপা লাভ করে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এবারই প্রথম অতিরিক্ত সময়ে ০-০ গোলে ড্র থাকায় ৩-২ ব্যবধানে শিরোপা নির্ধারণ করা হয়। মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি আল গোর ব্রাজিল [[অধিনায়ক (ফুটবল)|অধিনায়ক দুঙ্গা’র হাতে মর্যাদাপূর্ণ ট্রফি তুলে দেন। ব্রাজিল দল শিরোপাটি আড়াই মাস পূর্বে প্রয়াত ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন এয়ার্তো সেনাকে উৎসর্গ করে। বুলগেরিয়ার স্টইচকভ ও রাশিয়ার সালেঙ্কোকে যৌথভাবে ৬ গোল করায় গোল্ডেন বুট পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় রোমারিওকে ৫ গোল করায় গোল্ডেন বল উপহার দেয়া হয়।

১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপ
বিশ্বকাপ ’৯৪
১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক লোগো
টুর্নামেন্টের বিবরণ
স্বাগতিক দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
তারিখসমূহ১৭ জুন - ১৭ জুলাই ১৯৯৪ (৩১ দিন)
দলসমূহ২৪ (৫টি কনফেডারেশন থেকে)
ভেন্যু(সমূহ) (৯টি আয়োজক শহরে)
শীর্ষস্থানীয় অবস্থান
চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল (৪র্থ শিরোপা)
রানার-আপ ইতালি
তৃতীয় স্থান সুইডেন
চতুর্থ স্থান বুলগেরিয়া
প্রতিযোগিতার পরিসংখ্যান
ম্যাচ খেলেছে৫২
গোল সংখ্যা১৪১ (ম্যাচ প্রতি ২.৭১টি)
উপস্থিতি৩৫,৮৭,৫৩৮ (ম্যাচ প্রতি ৬৮,৯৯১ জন)
শীর্ষ গোলদাতা হ্রিস্টো স্টইচকভ
ওলেগ সালেঙ্কো
(৬ গোল)
সেরা খেলোয়াড় রোমারিও

এছাড়াও, প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সেরা দর্শক সমাগমের রেকর্ড ঘটে। খেলাপ্রতি প্রায় ৬৯,০০০ দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিল।[1][2] ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ২৪ থেকে ৩২ দলে উন্নীত ও খেলার সংখ্যা ৫২ থেকে ৬৪ খেলায় উপনীত হওয়া স্বত্ত্বেও প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৩.৬ মিলিয়ন দর্শক সমাগমের বিষয়টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।[1][2] আনুষ্ঠানিকভাবে এডিডাস কুইস্ত্রা বল খেলায় সরবরাহ করা হয়। ফিফা বিশ্বকাপের মাস্কট হিসেবে স্ট্রাইকার নামকরণ করা হয়।

সংক্ষিপ্ত বিবরণ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মরক্কো - এ তিন দেশ স্বাগতিক হবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।[3] ৪ জুলাই, ১৯৮৮ তারিখে জুরিখে অনুষ্ঠিত ভোট প্রক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্ধেকেরও বেশি ভোট পেয়ে স্বাগতিক দেশ নির্বাচিত হয়।[3] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতাটি ব্যাপকভাবে সফল হয়। ইউরোপ ও ল্যাটিন আমেরিকার ছোট্ট স্টেডিয়ামের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেডিয়ামগুলোর দর্শক ধারণ সক্ষমতায় ব্যাপকসংখ্যক দর্শকের সমাগম ঘটে যা ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের রেকর্ড ভঙ্গ করে। ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম, ইতালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শীর্ষ দলরূপে চিহ্নিত করে নেভাদার লাস ভেগাসে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ড্র অনুষ্ঠান হয়।[4]

১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের ন্যায় একই ধরনের পদ্ধতি বহাল রেখে ২৪ দলকে ৬ গ্রুপে বিভক্ত করে প্রতি গ্রুপে চার দল রাখা হয়। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল ও তৃতীয় স্থানের সেরা চার দল নিয়ে ১৬ দলের নক-আউট প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। পরবর্তী বিশ্বকাপে ৩২ দল রাখায় এ পদ্ধতির সর্বশেষ ব্যবহার ঘটে। প্রথমবারের মতো জয়ের জন্য দুই পয়েন্টের পরিবর্তে ৩ পয়েন্টের ব্যবস্থা করা হয়। এর প্রধান কারণ ছিল ১৯৯০ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত রক্ষণাত্মক খেলার পরিবর্তে আক্রমণধর্মী খেলায় উৎসাহিত করা।

চতুর্থবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী আর্জেন্টাইন দিয়েগো মারাদোনা ওজন হ্রাসজনিত নিষিদ্ধ মাদক এফিড্রিনের রক্তে উপস্থিতি ও মাদক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কৃত হন। কলম্বিয়া দলের ডিফেন্ডার আন্দ্রেস এস্কোবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আত্মঘাতি গোল করলে দলটি প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়। দশদিন পর মেডেলিনের উপকণ্ঠে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।[5]

মাস্কট

ফিফা বিশ্বকাপের প্রাতিষ্ঠানিক মাস্কটের নামকরণ করা হয় স্ট্রাইকার, দি ওয়ার্ল্ড কাপ পাপফুটবল নিয়ে একটি কুকুরকে লাল, সাদা ও নীল পোষাক পরিহিত অবস্থায় মাস্কটরূপে দেখানো হয়েছে।[6] ওয়ার্নার ব্রাদার্স কোম্পানির অ্যানিমেশন দল স্ট্রাইকারের নকশা অঙ্কন করে।[7] কুকুরকে মাস্কটরূপে বল পায়ে আটকিয়ে রাখা অবস্থায় তুলে ধরার কারণ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কুকুর একটি সাধারণ পোষা প্রাণী হিসেবে অতি পরিচিত।[7]

স্থান

যুক্তরাষ্ট্রের নয়টি শহরে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সবগুলো স্টেডিয়ামেই কমপক্ষে ৫৩,০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল। মূলতঃ এগুলোয় জাতীয় ফুটবল লীগ অথবা এনসিএএ ফুটবল দলের মধ্যকার খেলা আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে সর্বাপেক্ষা অধিক ব্যবহৃত মাঠ ছিল রোজ বোল।

গ্রুপ পর্ব

গ্রুপ এ

১৮ জুন, ১৯৯৪
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১-১  সুইজারল্যান্ডপন্টিয়াক সিলভারডোম, পন্টিয়াক
কলম্বিয়া ১-৩ রোমানিয়ারোজ বোল, পাসাদেনা
২২ জুন, ১৯৯৪
রোমানিয়া ১-৪  সুইজারল্যান্ডপন্টিয়াক সিলভারডোম, পন্টিয়াক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২-১ কলম্বিয়ারোজ বোল, পাসাদেনা
২৬ জুন, ১৯৯৪
সুইজারল্যান্ড  ০-২ কলম্বিয়াস্ট্যানফোর্ড স্টেডিয়াম, স্ট্যানফোর্ড
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ০-১ রোমানিয়ারোজ বোল, পাসাদেনা

গ্রুপ বি

১৯ জুন, ১৯৯৪
ক্যামেরুন ২-২ সুইডেনরোজ বোল, পাসাদেনা
২০ জুন, ১৯৯৪
ব্রাজিল ২-০ রাশিয়াস্ট্যানফোর্ড স্টেডিয়াম, স্ট্যানফোর্ড
২৪ জুন, ১৯৯৪
ব্রাজিল ৩-০ ক্যামেরুনস্ট্যানফোর্ড স্টেডিয়াম, স্ট্যানফোর্ড
সুইডেন ৩-১ রাশিয়াপন্টিয়াক সিলভারডোম, পন্টিয়াক
২৮ জুন, ১৯৯৪
রাশিয়া ৬-১ ক্যামেরুনস্ট্যানফোর্ড স্টেডিয়াম, স্ট্যানফোর্ড
ব্রাজিল ১-১ সুইডেনপন্টিয়াক সিলভারডোম, পন্টিয়াক

গ্রুপ সি

১৭ জুন, ১৯৯৪
জার্মানি ১-০ বলিভিয়াসোলজার ফিল্ড, শিকাগো
স্পেন ২-২ দক্ষিণ কোরিয়াকটন বোল, ডালাস
২১ জুন, ১৯৯৪
জার্মানি ১-১ স্পেনসোলজার ফিল্ড, শিকাগো
২৩ জুন, ১৯৯৪
দক্ষিণ কোরিয়া ০-০ বলিভিয়াফক্সবোরো স্টেডিয়াম, ফক্সবোরো
২৭ জুন, ১৯৯৪
বলিভিয়া ১-৩ স্পেনসোলজার ফিল্ড, শিকাগো
জার্মানি ৩-২ দক্ষিণ কোরিয়াকটন বোল, ডালাস

গ্রুপ ডি

২১ জুন, ১৯৯৪
আর্জেন্টিনা ৪-০ গ্রিসফক্সবোরো স্টেডিয়াম, ফক্সবোরা
নাইজেরিয়া ৩-০ বুলগেরিয়াকটন বোল, ডালাস
২৫ জুন, ১৯৯৪
আর্জেন্টিনা ২-১ নাইজেরিয়াফক্সবোরো স্টেডিয়াম, ফক্সবোরা
২৬ জুন, ১৯৯৪
গ্রিস ০-৪ বুলগেরিয়াসোলজার ফিল্ড, শিকাগো
৩০ জুন, ১৯৯৪
আর্জেন্টিনা ০-২ বুলগেরিয়াকটন বোল, ডালাস
গ্রিস ০-২ নাইজেরিয়াফক্সবোরো স্টেডিয়াম, ফক্সবোরা

গ্রুপ ই

১৮ জুন, ১৯৯৪
ইতালি ০-১ প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডজায়ান্টস স্টেডিয়াম, ইস্ট রাদারফোর্ড
১৯ জুন, ১৯৯৪
নরওয়ে ১-০ মেক্সিকোআরএফকে স্টেডিয়াম, ওয়াশিংটন
২৩ জুন, ১৯৯৪
ইতালি ১-০ নরওয়েজায়ান্টস স্টেডিয়াম, ইস্ট রাদারফোর্ড
২৪ জুন, ১৯৯৪
মেক্সিকো ২-১ প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ডসিট্রাস বোল, অরল্যান্ডো
২৮ জুন, ১৯৯৪
ইতালি ১-১ মেক্সিকোআরএফকে স্টেডিয়াম, ওয়াশিংটন
প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড ০-০ নরওয়েজায়ান্টস স্টেডিয়াম, ইস্ট রাদারফোর্ড

গ্রুপ এফ

১৯ জুন, ১৯৯৪
বেলজিয়াম ১-০ মরক্কোসিট্রাস বোল, অরল্যান্ডো
২০ জুন, ১৯৯৪
নেদারল্যান্ডস ২-১ সৌদি আরবআরএফকে স্টেডিয়াম, ওয়াশিংটন
২৫ জুন, ১৯৯৪
সৌদি আরব ২-১ মরক্কোজায়ান্টস স্টেডিয়াম, ইস্ট রাদারফোর্ড
বেলজিয়াম ১-০ নেদারল্যান্ডসসিট্রাস বোল, অরল্যান্ডো
২৯ জুন, ১৯৯৪
বেলজিয়াম ০-১ সৌদি আরবআরএফকে স্টেডিয়াম, ওয়াশিংটন
মরক্কো ১-২ নেদারল্যান্ডসসিট্রাস বোল, অরল্যান্ডো

তৃতীয় স্থান অধিকারী দলের র‌্যাঙ্কিং

গ্রুপ দল খে ড্র স্ব গো প্র গো গো পা পয়েন্ট
ডি আর্জেন্টিনা +৩
এফ বেলজিয়াম +১
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
 ইতালি
বি রাশিয়া +১
সি দক্ষিণ কোরিয়া −১

নক-আউট পর্ব

১৬ দলের পর্ব কোয়ার্টার ফাইনাল সেমি ফাইনাল ফাইনাল
                           
৩ জুলাই – পাসাদেনা            
  রোমানিয়া  
১০ জুলাই - স্ট্যানফোর্ড
  আর্জেন্টিনা    
  রোমানিয়া  ২ (৪)
৩ জুলাই – ডালাস
    সুইডেন (পে.)  ২ (৫)  
  সৌদি আরব  
১৩ জুলাই - পাসাদেনা
  সুইডেন    
  সুইডেন  
৪ জুলাই - অরল্যান্ডো
    ব্রাজিল    
  নেদারল্যান্ডস  
৯ জুলাই - ডালাস
  প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড    
  নেদারল্যান্ডস  
৪ জুলাই - স্ট্যানফোর্ড
    ব্রাজিল    
  ব্রাজিল  
১৭ জুলাই - পাসাদেনা
  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র    
  ব্রাজিল (পে.)  ০ (৩)
৫ জুলাই - রাদারফোর্ড
    ইতালি  ০ (২)
  মেক্সিকো  ১ (১)
১০ জুলাই - ইস্ট রাদারফোর্ড
  বুলগেরিয়া (পে.)  ১ (৩)  
  বুলগেরিয়া  
২ জুলাই - শিকাগো
    জার্মানি    
  জার্মানি  
১৩ জুলাই - ইস্ট রাদারফোর্ড
  বেলজিয়াম    
  বুলগেরিয়া  
৫ জুলাই - ফক্সবোরা
    ইতালি     তৃতীয় স্থান
  নাইজেরিয়া  
৯ জুলাই - ফক্সবোরা ১৬ জুলাই - পাসাদেনা
  ইতালি (অ.)    
  ইতালি     সুইডেন  
২ জুলাই - ওয়াশিংটন
    স্পেন       বুলগেরিয়া  
  স্পেন  
   সুইজারল্যান্ড    

১৬-দলীয় রাউন্ড

জার্মানি ৩-২ বেলজিয়াম
ফোলার  ৬', ৪০'
ক্লিন্সমান  ১১'
প্রতিবেদন গ্রান  ৮'
আলবার্ট  ৯০'
সোলজার ফিল্ড, শিকাগো
দর্শক সংখ্যা: ৬০,২৪৬
রেফারি: কুর্ট রোদলিসবার্গার (সুইজারল্যান্ড)

স্পেন ৩-০  সুইজারল্যান্ড
হিয়েরা  ১৫'
লুইজ এনরিক  ৭৪'
বেজিরিস্টেইন  ৮৬' (পেনাল্টি)
প্রতিবেদন
আরএফকে স্টেডিয়াম, ওয়াশিংটন
দর্শক সংখ্যা: ৫৩,১২১
রেফারি: মারিও ফন দার এন্ডে, নেদারল্যান্ডস

সৌদি আরব ১-৩ সুইডেন
আল-ঘেশিয়ান  ৮৫' প্রতিবেদন ডাহলিন  ৬'
কে. অ্যান্ডারসন  ৫১', ৮৮'
কটন বোল, ডালাস
দর্শক সংখ্যা: ৬০, ২৭৭
রেফারি: রেনাতো মার্সিগলিয়া (ব্রাজিল)

রোমানিয়া ৩-২ আর্জেন্টিনা
দুমিত্রিস্কু  ১১', ১৮'
হ্যাজি  ৫৮'
প্রতিবেদন বাতিস্তুতা  ১৬' (পে.)
বাল্বো  ৭৫'
রোজ বোল, পাসাদেনা
দর্শক সংখ্যা: ৯০,৪৬৯
রেফারি: পিয়েরলুইগি পেয়ারেতো (ইতালি)

নেদারল্যান্ডস ২-০ প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড
বের্গকাম্প  ১১'
জঙ্ক  ৪১'
প্রতিবেদন
সিত্রাস বোল, অরল্যান্ডো
দর্শক সংখ্যা: ৬১,৩৫৫
রেফারি: পিটার মাইকেলসেন (ডেনমার্ক)

ব্রাজিল ১-০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বেবেতো  ৭২' প্রতিবেদন
স্ট্যানফোর্ড স্টেডিয়াম, স্ট্যানফোর্ড
দর্শক সংখ্যা: ৮৪,১৪৭
রেফারি: জোয়েল কুইনো (ফ্রান্স)

নাইজেরিয়া ১-২ (অ.স.প.) ইতালি
আমুনেকে  ২৫' প্রতিবেদন আর. বাজ্জো  ৮৮', ১০২' (পে.)
ফক্সবোরো স্টেডিয়াম, ফক্সবোরো
দর্শক সংখ্যা: ৫৪,৩৬৭
রেফারি: আর্তুরো ব্রিজিও কার্টার (মেক্সিকো)

মেক্সিকো ১-১ (অ.স.প.) বুলগেরিয়া
গার্সিয়া আস্পে  ১৮' (পে.) প্রতিবেদন স্টইচকভ  ৬'
পেনাল্টি
গার্সিয়া আস্পে
বার্নাল
রদ্রিগুয়েজ
সুয়ারেজ
১-৩ বালাকভ
জেনচেভ
বোরিমিরভ
লেচকভ
জায়ান্টস স্টেডিয়াম, পূর্ব রাদারফোর্ড
দর্শক সংখ্যা: ৭১,০৩০
রেফারি: জামাল আফ শরীফ (সিরিয়া)

কোয়ার্টার ফাইনাল

ইতালি ২-১ স্পেন
ডি. বাজ্জো  ২৫'
আর. বাজ্জো  ৮৮'
প্রতিবেদন ক্যামিনেরো  ৫৮'
ফক্সবোরো স্টেডিয়াম, ফক্সবোরা
দর্শক সংখ্যা: ৫৩,৪০০
রেফারি: স্যান্ডর পুল (হাঙ্গেরি)

নেদারল্যান্ডস ২-৩ ব্রাজিল
বের্গকাম্প  ৬৪'
উইন্টার  ৭৬'
প্রতিবেদন রোমারিও  ৫৩'
বেবেতো  ৬৩'
ব্রাঙ্কো  ৮১'
কটন বোল, ডালাস
দর্শক সংখ্যা: ৬৩,৫০০
রেফারি: রদ্রিগো বাদিল্লা (কোস্টারিকা)

বুলগেরিয়া ২-১ জার্মানি
স্টইচকভ  ৭৫'
লেচকভ  ৭৮'
প্রতিবেদন মাথেউস  ৪৭' (পে.)
জায়ান্টস স্টেডিয়াম, পূর্ব রাদারফোর্ড
দর্শক সংখ্যা: ৭২,০০০
রেফারি: জোস তোরেস কাদেনা (কলম্বিয়া)

রোমানিয়া ২-২ (অ.স.প.) সুইডেন
রাদুসিউ  ৮৮', ১০১' প্রতিবেদন ব্রোলিন  ৭৮'
কে. অ্যান্ডারসন  ১১৫'
পেনাল্টি
রাদুসিউ
হ্যাজি
লুপেস্কু
পেত্রেস্কু
দুমিত্রেস্কু
বেলোদেদিসি
৪-৫ মাইল্ড
কে. অ্যান্ডারসন
ব্রোলিন
ইঙ্গেসন
আর. নিলসন
লারসন
স্ট্যানফোর্ড স্টেডিয়াম, স্ট্যানফোর্ড
দর্শক সংখ্যা: ৮৩,৫০০
রেফারি: ফিলিপ ডন (ইংল্যান্ড)

সেমি-ফাইনাল

বুলগেরিয়া ১-২ ইতালি
স্টইচকভ  ৪৪' (পে.) প্রতিবেদন আর. বাজ্জো  ২১', ২৫'
জায়ান্টস স্টেডিয়াম, পূর্ব রাদারফোর্ড
দর্শক সংখ্যা: ৭৪,১১০
রেফারি: জোয়েল কুইনো (ফ্রান্স)

সুইডেন ০-১ ব্রাজিল
প্রতিবেদন রোমারিও  ৮০'
রোজ বোল, পাসাদেনা
দর্শক সংখ্যা: ৯১,৮৫৬
রেফারি: জোস তোরেস কাদেনা (কলম্বিয়া)

তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা

সুইডেন ৪-০ বুলগেরিয়া
ব্রোলিন  ৮'
মাইল্ড  ৩০'
লারসন  ৩৭'
কে. অ্যান্ডারসন  ৪০'
প্রতিবেদন
রোজ বোল, পাসাদেনা
দর্শক সংখ্যা: ৯১,৫০০
রেফারি: আলী বুজসাইম (সংযুক্ত আরব আমিরাত)

ফাইনাল

ব্রাজিল ০-০ (অ.স.প.) ইতালি
প্রতিবেদন
পেনাল্টি
মার্সিও সাঁন্তোস
রোমারিও
ব্রাঙ্কো
দুঙ্গা
৩-২ বারেসি
আলবের্তিনি
ইভানি
মাসারো
রবের্তো বাজ্জো
রোজ বোল, পাসাদেনা
দর্শক সংখ্যা: ৯৪,১৯৪
রেফারি: Sándor Puhlসান্দর পুল (হাঙ্গেরি)

পরিসংখ্যান

গোলদাতা

হ্রিস্টো স্টইচকভ এবং ওলেগ সালেঙ্কো ছয় গোল করে যৌথভাবে ফিফা বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট পুরস্কার পান। ৮১ খেলায় সর্বমোট ১৪১টি গোল হয়। তন্মধ্যে কলম্বিয়া দলের আন্দ্রেস এস্কোবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে একমাত্র আত্মঘাতি গোলটি করেন।

৩ গোল
২ গোল
১ গোল
আত্মঘাতি গোল

পুরস্কার

গোল্ডেন শু বিজয়ী গোল্ডেন বল বিজয়ী ইয়াসিন পুরস্কার সেরা তরুণ খেলোয়াড় ফিফা ফেয়ার প্লে ট্রফি সেরা বিনোদনধর্মী দল
হ্রিস্টো স্টইচকভ
ওলেগ সালেঙ্কো
রোমারিও মাইকেল প্রিউদহোম মার্ক ওফারমার্স  ব্রাজিল  ব্রাজিল

সেরা দল

ফিফা’র টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপ ১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের সেরা ১১জন চিত্তাকর্ষক খেলোয়াড় নির্বাচন করে।

গোলরক্ষক রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আক্রমণভাগের খেলোয়াড়

মাইকেল প্রিউদহোম

জর্জিনহো
মার্সিও সাঁন্তোস
পাওলো মালদিনি

দুঙ্গা
ক্রাসিমির বালাকভ
গিওর্গি হ্যাজি
টমাস ব্রোলিন

রোমারিও
হ্রিস্টো স্টইচকভ
রবের্তো বাজ্জো

চূড়ান্ত অবস্থান

প্রতিযোগিতার পর ফিফা সামগ্রিক ফলাফল ও প্রতিপক্ষের অবস্থার গুণাগুণ বিচারপূর্বক র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে।[8]

র‌্যাঙ্ক দল গ্রুপ খেলা জয় ড্র পরাজয় স্বপক্ষে গোল বিপক্ষে গোল পার্থক্য পয়েন্ট
 ব্রাজিলবি১১+৮১৭
 ইতালি+৩১৫
 সুইডেনবি১৫+৭১২
 বুলগেরিয়াডি১০১১−১১০
কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায়
 জার্মানিসি+২১০
 রোমানিয়া১০+১১০
 নেদারল্যান্ডসএফ+২
 স্পেনসি১০+৪
১৬-দলীয় রাউন্ড থেকে বিদায়
 নাইজেরিয়াডি+৩
১০ আর্জেন্টিনাডি+২
১১ বেলজিয়ামএফ
১২ সৌদি আরবএফ−১
১৩ মেক্সিকো
১৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র−১
১৫  সুইজারল্যান্ড−২
১৬ প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড−২
গ্রুপ-পর্ব থেকে বিদায়
১৭ নরওয়ে
১৮ রাশিয়াবি+১
১৯ কলম্বিয়া−১
২০ দক্ষিণ কোরিয়াসি−১
২১ বলিভিয়াসি−৩
২২ ক্যামেরুনবি১১−৮
২৩ মরক্কোএফ−৩
২৪ গ্রিসডি১০−১০

তথ্যসূত্র

  1. "FIFA World Cup competition records" (PDF)FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৩
  2. "Previous World Cups", FIFA.com. Retrieved 21 November 2013
  3. "FIFA World Cup host announcement decision" (PDF)FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৩
  4. History of the World Cup Final Draw FIFA
  5. World Cup Hall of Fame — Andrés Escobar (1967–1994). CNN/Sports Illustrated. 8 May 2002.
  6. Wojciech Dzierzbicki XV FIFA World Cup (USA '94) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ মে ২০০২ তারিখে World Cup History Page
  7. "Funny... It Doesn't Look Like Football" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১২
  8. "All-time FIFA World Cup Ranking 1930–2010" (PDF)। Fédération Internationale de Football Association। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.