দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দল
দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় ফুটবল দল হল আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি। দলটি ফিফার কাছে ইংরেজিতে Korea Rebublic বা কোরিয়া প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত।
![]() | |||
ডাকনাম(সমূহ) | তায়েগেউক জিওন্সা (তায়েগেউক যোদ্ধা) (태극전사 / 太極戰士), এশিয়ার বাঘ, রেড ডেভিলস (붉은 악마) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | হিউ জুং-মু | ||
অধিনায়ক | পার্ক জি-সুং | ||
সর্বাধিক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় | হং মিউং-বো (১৩৬) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | চা বাম-কুন (৫৫) | ||
স্বাগতিক স্টেডিয়াম | সিউল ওয়ার্ল্ড কাপ স্টেডিয়াম pattern_la1=_kore18h | ||
ফিফা কোড | KOR | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৪৭ | ||
সর্বোচ্চ | ১৭ (ডিসেম্বর ১৯৯৮) | ||
সর্বনিম্ন | ৫৬ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২৫ | ||
সর্বোচ্চ | ১৫ (সেপ্টেম্বর ১৯৮০, জুন ২০০২) | ||
সর্বনিম্ন | ৫৯ (আগস্ট ১৯৬৭) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() (হং কং; ৬ জুলাই, ১৯৪৮) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (ইনচিওন, দক্ষিণ কোরিয়া; ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৩) | |||
বৃহত্তম হার | |||
![]() ![]() (লন্ডন, ইংল্যান্ড; ৫ আগস্ট, ১৯৪৮) | |||
বিশ্বকাপ | |||
উপস্থিতি | ৮ (প্রথম ১৯৫৪) | ||
সেরা সাফল্য | চতুর্থ স্থান, ২০০২ | ||
এশিয়ান কাপ | |||
উপস্থিতি | ১১ (প্রথম ১৯৫৬) | ||
সেরা সাফল্য | বিজয়ী, ১৯৫৬, ১৯৬০ | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
উপস্থিতি | ১ (প্রথম ২০০১) | ||
সেরা সাফল্য | প্রথম পর্ব, ২০০১ |
দক্ষিণ কোরিয়া এখন পর্যন্ত আট বার ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। সেই সাথে এই দলটিই এশিয়ার একমাত্র দল যারা বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২০০২ সালের বিশ্বকাপে দলটি এই গৌরব অর্জন করে। দক্ষিণ কোরিয়া একই সাথে এশিয়ার সবচেয়ে সফলতম একটি জাতীয় ফুটবল দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপে দলটি একমাত্র এশীয় দল যারা বাছাই পর্বে কোনো খেলায় না হেরেই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।[1] এছাড়াও দলটি এএফসি এশিয়ান কাপের প্রথম দুই আসরের শিরোপাধারী।
বিশ্বকাপ ইতিহাস
দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ার অন্যতম ফুটবল পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। এশিয়ার বেশ কয়েকটি সম্মান জনক ফুটবল প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করেছে দলটি। এর মধ্যে আছে প্রথম দুইবারে এশিয়ান কাপ জয়। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়াই এশিয়ার একমাত্র দল যারা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে ধারাবাহিকভাবে ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলে আসছে।
১৯৫৪ সালে দলটির প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় তারা হাঙ্গেরি ও তুরস্কের বিপক্ষে দুটি খেলা অংশ নেয়। দুটি খেলাতেই তারা যথাক্রমে ৯–০ ও ৭–০ গোলে পরাজিত হয়। এরপর ৩২ বছর পরে তারা আবার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পায়। মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে তারা দ্বিতীয় বারের মতো অংশ নেয়। এবার তারা তুলনামূলকভাবে ভালো করে। প্রথম খেলায় তারা আর্জেন্টিনার সাথে ৩–১ গোলে পরাজিত হয়, দ্বিতীয় খেলায় বুলগেরিয়ার সাথে ১–১ গোলে ড্র করে, এবং তৃতীয় খেলায় ইতালির সাথে ৩–২ গোলে পরাজিত হয়।
২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের আগ পর্যন্ত দলটি বিশ্বকাপের কোনো খেলায় জয়লাভ করতে পারেনি। সেবার দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের সাথে যৌথভাবে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিলো।
তথ্যসূত্র
- "Korean derby takes centre stage"। Fifa.com। ২০০৮-০১-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০৭।
বহিঃসংযোগ
- (কোরীয়) South Korean FA (KFA: Korean Football Association) – official site
- (ইংরেজি) Korean National Team page at ROKfootball
- RSSSF archive of most capped players and highest goalscorers
- RSSSF archive list of every international match up to 2005
- (ইংরেজি) Taeguk-Soccer Korean soccer forum
- (চীনা) A Chinese Korean soccer forum-Dynamic Korea forum