২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল যা ১৩ জুলাই ২০১৪ তারিখে এস্তাদিও দো মারাকানা, রিউ দি জানেইরুতে অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের বিজয়ী নির্ধারন করে।[2][3] ফাইনাল জার্মানি এবং আর্জেন্টিনার মধ্যে খেলা হয়। ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ ফাইনালে পরে, এই দু'দেশের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বকাপ ফাইনাল হয় যা একটি বিশ্বকাপ রেকর্ড।
![]() বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে লুকাস পোডলস্কি (ডান থেকে তৃতীয়) | |||||||
ইভেন্ট | ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||
অতিরিক্ত সময়ের পর | |||||||
তারিখ | ১৩ই জুলাই, ২০১৪ | ||||||
ভেন্যু | এস্তাদিও দো মারাকানা, রিউ দি জানেইরু | ||||||
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ | মারিও গোটজে (জার্মানি) | ||||||
রেফারি | নিকোলা রিজ্জলি (ইতালি) | ||||||
দর্শক সংখ্যা | ৭৪,৭৩৮ | ||||||
আবহাওয়া | আংশিক মেঘযুক্ত ২৩ °সে (৭৩ °ফা) ৬৫% আদ্রতা[1] | ||||||
এই ম্যাচের আগে জার্মানি সাত বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে (১৯৫৪ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পশ্চিম জার্মানি হিসাবে), এর মধ্যে তিন বার জয়ী হয় (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০) এবং চার বার পরাজিত হয় (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২); অন্যদিকে আর্জেন্টিনা চার বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে, দুই বার জয়ী হয় (১৯৭৮, ১৯৮৬) এবং দুইবার পরাজিত হয় (১৯৩০, ১৯৯০)।
ফাইনালে জার্মানি আর্জেন্টিনার সাথে ১-০ ব্যবধানে বিজয়ী হয়। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মারিও গোটজে গোলটি করেন; তিনি আন্দ্রে শুর্লের একটি ক্রস বুক দিয়ে ঠেকিয়ে বাতাসে থাকায় অবস্থায় বাম পায়ে গোলতী করেন।
এটি ছিল জার্মানির চতুর্থ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়, জার্মান পুনঃএকত্রীকরণ পর প্রথম এবং ইউরোপের বাইরে প্রথম জয়। জার্মানির এই বিজয়ে একই মহাদেশ থেকে পরপর তিন বার দলগুলি বিশ্বকাপ জয় করে, এর আগে ২০০৬ ও ২০১০ সালে যথাক্রমে ইতালি ও স্পেন জয় করে; যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ঘটে। এছাড়াও জার্মানি প্রথম ইউরোপীয় দল যারা আমেরিকায় আয়োজিত কোন বিশ্বকাপের শিরোপা লাভ করে। মিরোস্লাভ ক্লোসা যিনি সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে গোল করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে শীর্ষ স্কোরার হল, এইভাবে ইতিহাসের সপ্তম খেলোয়াড় হিসাবে বিশ্বকাপে তার জাতীয় দলের সঙ্গে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে হয়ে শেষ করেন। জার্মানি এছাড়াও ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশন কাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে।
পটভূমি
.jpg)
এর আগে দুটি দল মোট ২০ বার মুখোমুখি হয়, যেখানে জার্মানি ৬ বার ও আর্জেন্টিনা ৯ বার জয় লাভ করে এবং বাকি ৫টি ম্যাচ ড্র হয়। ওই খেলাগুলিতে দুটি দল মোট ২৮টি গোল করে।
ফাইনালে আসার পথ
জার্মানি | রাউন্ড | আর্জেন্টিনা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিপক্ষ | ফলাফল | গ্রুপ পর্ব | বিপক্ষ | ফলাফল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() |
৪–০ | ম্যাচ ১ | ![]() |
২–১ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() |
২–২ | ম্যাচ ২ | ![]() |
১–০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() |
১–০ | ম্যাচ ৩ | ![]() |
৩–২ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গ্রুপ জি জয়ী
|
চূড়ান্ত অবস্থান | গ্রুপ এফ জয়ী
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিপক্ষ | ফলাফল | নকআউট পর্ব | বিপক্ষ | ফলাফল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() |
২–১ (অসপ) | ১৬ দলের পর্ব | ![]() |
১–০ (অসপ) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() |
১–০ | কোয়াটার-ফাইনাল | ![]() |
১–০ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
![]() |
৭–১ | সেমি-ফাইনাল | ![]() |
০–০ (অসপ) (৪–২ পেন.) |
বেস ক্যাম্প এবং মাঠ
দল | বেস ক্যাম্প | ম্যাচ ১ | ম্যাচ ২ | ম্যাচ ৩ | ১৬ দলের রাউন্ড | কোয়াটার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
ভেসপাসিয়ানো (মিনাস জেরাইস)[4] | রিউ দি জানেইরু[5] | বেলো অরিজন্তে[6] | পোর্তো আলেগ্রে[7] | সাও পাওলো[8] | ব্রাসিলিয়া[9] | সাও পাওলো[10] |
![]() |
সান্তা ক্রুজ কাব্রালিয়া (বাইয়া)[4] | সালভাদোর[11] | ফর্তালিজা[12] | রেসিফি[13] | পোর্তো আলেগ্রে[14] | রিউ দি জানেইরু[15] | বেলো অরিজন্তে[16] |
জার্মানি ব্রাজিলের উত্তর পূর্ব অঞ্চল, বাইয়য় তাদের নিজস্ব বেস ক্যাম্প কাম্পো বাহিয়া তৈরি করে; এটি তৈরিতে £২৫ মিলিয়ন খরচ পড়ে।[17] তারা ৮ জুন ২০১৪ তারিখে ব্রাজিলে আসে।[18]
ম্যাচ
![]() | ১-০ (অ.স.প.) | ![]() |
---|---|---|
গোটজে ![]() |
প্রতিবেদন |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() জার্মানি
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() আর্জেন্টিনা
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
তথ্যসূত্র
- "Tactical line-up – Germany –Argentina" (PDF)। FIFA.com (Fédération Internationale de Football Association)। ১৩ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৪।
- "Groups & Schedule"। BBC Sport (British Broadcasting Corporation)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৪।
- "Matches"। FIFA.com (Fédération Internationale de Football Association)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৪।
- "Team Base Camps for Brazil 2014 announced"। fifa.com। ২১ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৪।
- "গ্রুপ পর্ব Argentina – Bosnia and Herzegovina"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Argentina – Iran"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Nigeria – Argentina"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Argentina – Switzerland"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Argentina – Belgium"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Netherlands – Argentina"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Germany – Portugal"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Germany – Ghana"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "USA – Germany"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Germany – Algeria"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "France – Germany"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- "Brazil – Germany"। ফিফা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৪।
- Hoffert, Josh। "Germany Built Their Own Base Camp in Brazil for the World Cup"। Sporttechie। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৪।
- "German team arrives in Brazil for 2014 World Cup"। ডয়চে ভেলে। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৪।