জো

জোয়াও আলভেস দ্য অ্যাসিস সিলভা (পর্তুগিজ: João Alves de Assis Silva; জন্ম: ২০ মার্চ, ১৯৮৭) সাঁউ পাউলু এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ব্রাজিলীয় ফুটবলার। সর্বসমক্ষে তিনি জো (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ʒo]) নামেই সর্বাধিক পরিচিত। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের স্ট্রাইকার জো অ্যাতলেটিকো মাইনেরিও দলের হয়েও খেলছেন। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী[1] জো পূর্বে করিন্থিয়ান্স, সিএসকেএ মস্কো, ম্যানচেস্টার সিটি, এভার্টন, গালাতাসারেইন্টারন্যাশিওনালের ন্যায় আন্তর্জাতিকমানের ক্লাব দলের সদস্য ছিলেন।

জো
২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে জাপানের বিপক্ষে জো
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম জোয়াও আলভেস দ্য অ্যাসিস সিলভা
জন্ম (1987-03-20) ২০ মার্চ ১৯৮৭
জন্ম স্থান সাঁউ পাউলু, ব্রাজিল
উচ্চতা ১৮৯ সেমি (৬ ফু ২ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান স্ট্রাইকার
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান ক্লাব অ্যাতলেটিকো মাইনেরিও
জার্সি নম্বর
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন
২০০০-২০০৩ করিন্থিয়ান্স
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন*
বছর দল উপস্থিতি (গোল)
২০০৩-২০০৫ করিন্থিয়ান্স ৮১ (১৭)
২০০৫-২০০৮ সিএসকেএ মস্কো ৫২ (৩০)
২০০৮-২০১১ ম্যানচেস্টার সিটি ২১ (১)
২০০৯এভার্টন (ধার) ১২ (৫)
২০০৯-২০১০এভার্টন (ধার) ১৫ (০)
২০১০গালাতাসারে (ধার) ১৩ (৩)
২০১১-২০১২ ইন্তারন্যাশিওনাল ১৬ (২)
২০১২- অ্যাতলেটিকো মাইনেরিও ৪৯ (১৫)
জাতীয় দল
২০০৮ ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ (৩)
২০০৭– ব্রাজিল ১৫ (৫)
  • পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগের জন্য গণনা করা হয়েছে এবং ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)।

‡ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সংখ্যা এবং গোল ৫ মার্চ, ২০১৪ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

২০০৭ সালে ব্রাজিলের পক্ষে তার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ঘটে। ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসে ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী ব্রাজিল দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ বিজয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য।

ক্লাবে অংশগ্রহণ

সাঁও পাউলুতে জন্মগ্রহণকারী জো ব্রাজিলের বিখ্যাত ক্লাব দল করিন্থিয়ান্সের পক্ষে ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত খেলেন। দলের পক্ষে ৫৪ খেলায় অংশ নিয়ে ২৩ গোল করেছিলেন তিনি। এরপর তিনি ২০০৫ সালে রুশ ক্লাব সিএসকেএ মস্কোতে চলে যান। প্রথম মৌসুমেই মস্কোর পক্ষে ১৮ খেলায় ১৪ গোল করেন। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে দুই গোল করলেও স্যান সিরোতে অনুষ্ঠিত খেলায় তার দল নাটকীয়ভাবে ৪-২ ব্যবধানে হেরে যায়। সর্বসাকুল্যে মস্কোর পক্ষে ৭৭ খেলায় ৪৪ গোল করেছিলেন জো।

৩১ জুলাই, ২০০৮ তারিখে ম্যানচেস্টার সিটি দলের সাথে £১৯ মিলিয়ন পাউন্ড-স্টার্লিংয়ের বিনিময়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হন তিনি। ঐ সময়ে তার এ স্থানান্তরে আর্থিক মূল্যমান ক্লাব রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত ছিল।[2] কিন্তু তিনি কেবলমাত্র পোর্টসমাউথ দলের বিপক্ষে একটিমাত্র গোল করেন লীগের ৪ খেলায় অংশ নিয়ে।[3] এছাড়াও উয়েফা কাপে তিনি ওমোনিয়া নিকোসিয়া দলের বিপক্ষে জয়সূচক গোল করেছিলেন।[4] এরফলে ২০০৮-০৯ মৌসুমের প্রিমিয়ার লীগে সিটি দলের পক্ষে কেবলমাত্র প্রথম ছয়টি খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন যা তার জন্য নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার অন্তরায়।

আন্তর্জাতিক ফুটবল

মে, ২০০৭ সালে জো প্রথমবারের মতো ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পান। ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ব্রাজিল দলে অন্তর্ভুক্ত হলেও তিনি মাঠে নামেননি। অতঃপর জুন, ২০০৭ সালে তুরস্কের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২০ বছর বয়সে তার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ঘটে তার।

বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসে জোকে ব্রাজিল দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অলিম্পিক-পূর্ব প্রীতিখেলায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়ী ব্রাজিল দলের পক্ষে একটি গোল করেন তিনি। অলিম্পিকের অধিকাংশ ফুটবল খেলাতেই তিনি অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২ গোল করেন তিনি। ফলে ব্রাজিল দল ৩-০ ব্যবধানে জয়ী হয়ে ব্রোঞ্জপদক লাভ করে।

৭ জুন, ২০১৩ তারিখে লিয়েনদ্রো ড্যামিয়াওয়ের আঘাতজনিত কারণে ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে পরিবর্তিত খেলোয়াড়রূপে দলে জায়গা হয় তার।[5] ১৫ জুন, ২০১৩ তারিখে তিনি তার প্রথম গোল করেন ও দল ৩-০ ব্যবধানে জাপানের বিপক্ষে জয়ী হয়। চারদিন পর ১৯ জুন, ২০১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় খেলায় মেক্সিকোর বিপক্ষে দ্বিতীয় গোল করেন। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি খেলায় তৃতীয় ও চতুর্থ গোল করেন।

আন্তর্জাতিক গোল

গোল ও ফলাফলের তালিকায় ব্রাজিলের গোলকে পূর্বে দেখানো হয়েছে।
নংতারিখস্থানপ্রতিপক্ষগোলফলাফলপ্রতিযোগিতা
১৫ জুন ২০১৩এস্তাদিও ন্যাশিওনাল মানে গারিঞ্চা, ব্রাসিলিয়া, ব্রাজিল জাপান–০৩–০২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ
১৯ জুন ২০১৩কাস্তেলাও, ফোর্তেলিজা, ব্রাজিল মেক্সিকো–০২–০
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩এস্তাদিও ন্যাশিওনাল মানে গারিঞ্চা, ব্রাসিলিয়া, ব্রাজিল অস্ট্রেলিয়া–০৬–০আন্তর্জাতিক প্রীতিখেলা
–০
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩জিলেট স্টেডিয়াম, ফক্সবোরা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্তুগাল–১৩–১আন্তর্জাতিক প্রীতিখেলা

খেলোয়াড়ী পরিসংখ্যান

ক্লাব মৌসুম লীগ কাপ লীগ কাপ মহাদেশীয় রাজ্য লীগ সর্বমোট
অংশগ্রহণগোলঅংশগ্রহণগোলঅংশগ্রহণগোলঅংশগ্রহণগোলঅংশগ্রহণগোলঅংশগ্রহণগোল
করিন্থিয়ান্স ২০০৩ ১৪১৪
২০০৪ ৪২৪২
২০০৫ ২৫২৫
মোট ৮১১৭৮১১৭
সিএসকেএ মস্কো ২০০৬ ১৮১৪--৩০২২
২০০৭ ২৭১৩--৩৮১৮
২০০৮ --১০
মোট ৫৩৩০১৩১২--৭৮৪৪
ম্যানচেস্টার সিটি ২০০৮-০৯ --১৫
মোট --১৫
এভার্টন (ধার) ২০০৮-০৯ ১২--১২
২০০৯-১০ ১৫--২৩
মোট ২৭--৩৫
গালাতাসারে (ধার) ২০০৯-১০ ১৩--১৫
মোট ১৩--১৫
ম্যানচেস্টার সিটি ২০১০-১১ ১২--২৩
মোট ১২--২৩
ইন্তারন্যাশিওনাল ২০১১ ১৬--১৮
২০১২ ১৩১৮
মোট ১৬১৩৩৬
অ্যাতলেটিকো মাইনেরিও ২০১২ ২৯১০--২৯১০
২০১৩ ২১--১৬১৩৫২১৯
২০১৪ --
মোট ৫০১৬১৮১৮৮৮৩৪
সর্বমোট ২৬১৭৪২৫১০৫৫১৯৩১১২৩৭৩১১৬

গ্যালারী চিত্র

তথ্যসূত্র

  1. "Jo"fifa.com। FIFA। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৪
  2. "Man City complete record Jo deal"। BBC Sport। ৩ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
  3. Whyatt, Chris (২১ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Man City 6–0 Portsmouth"। BBC Sport।
  4. Bevan, Chris (১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Omonia Nicosia 1–2 Man City"। BBC Sport।
  5. http://esportes.terra.com.br/futebol/copa-das-confederacoes/medico-da-selecao-brasileira-confirma-corte-de-leandro-damiao,8a2cbefc69f1f310VgnVCM20000099cceb0aRCRD.html

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Clube Atlético Mineiro squad

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.