থিয়াগো সিলভা

থিয়াগো এমিলিয়ানো ডি সিলভা (ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [tʃiˈaɡu ẽmiˈljɐ̃nu dɐ ˈsiwvɐ]; জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪) রিও ডি জেনিরোতে জন্মগ্রহণকারী ব্রাজিলের ফুটবলার। কিন্তু, তিনি সর্বসমক্ষে থিয়াগো সিলভা নামে পরিচিত। এছাড়াও, রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ফরাসী ফুটবল প্রতিযোগিতা লিগ ১-এ প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন এফ.সি.তে খেলে থাকেন। বর্তমানে তিনি ব্রাজিল জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

থিয়াগো সিলভা
২০১৩ সালে সিলভা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম থিয়াগো এমিলিয়ানো ডি সিলভা
জন্ম (1984-09-22) ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪
জন্ম স্থান রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল
উচ্চতা ১.৮৩ মি (৬ ফু ০ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান রক্ষণভাগ
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেন্ট-জার্মান
জার্সি নম্বর
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৯৮ ফ্লুমেনিজ
২০০০-২০০১ বার্সেলোনা-আরজে
২০০১-২০০২ আরএস ফুটবল
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন*
বছর দল উপস্থিতি (গোল)
২০০৩ আরএস ফুটবল
২০০৪ জুভেনটুড ২৯ (৩)
২০০৪-২০০৫ পোর্তো (০)
২০০৫-২০০৬ ডায়নামো মস্কো (০)
২০০৬-২০০৮ ফ্লুমেনিজ ৮১ (৬)
২০০৯-২০১২ মিলান ৯৩ (৫)
২০১২– প্যারিস সেন্ট-জার্মান ১৯৯ (১০)
জাতীয় দল
২০০৮-২০১২ ব্রাজিল অলিম্পিক (০)
২০০৮– ব্রাজিল ৭৬ (৬)
  • পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগের জন্য গণনা করা হয়েছে এবং ০২ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)।

‡ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সংখ্যা এবং গোল ১৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

খেলোয়াড়ী জীবন

কিশোর বয়সে থিয়াগো ফ্লুমেনিজ দলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কিন্তু বড় হয়ে ঐ দলে খেলার জন্যে তিনি কোন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি। রিও গ্রান্দ দো সুল নামীয় ছোট রাজ্য দল আরএস ফুটবল দলে পেশাদারী পর্যায়ে খেলার প্রস্তাব পান। এরপর ২০০৪ সালে তিনি খুব দ্রুত পার্শ্ববর্তী জুভেনটুডেতে যোগ দিয়ে প্রথম বিভাগ ক্যাম্পিওনাতো ব্রাসিলিয়েরো সিরি এ প্রতিযোগিতায় চমৎকার মৌসুম কাটান। এ সময়ে পূর্বেকার মধ্যমাঠে রক্ষণভাগের আক্রমণের দায়িত্ব থেকে সরে এসে রক্ষণভাগের দায়িত্ব নেন। এরফলে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর দৃষ্টি তার প্রতি নিবদ্ধ হয়। প্রথমে তিনি পোর্তো, তারপর মস্কোতে বিক্রয়ের তালিকায় স্থান পান।[1] কিন্তু খেলায় আঘাতপ্রাপ্তি ও অসুস্থতাজনিত কারণে ব্রাজিলে ফিরে আসতে বাধ্য হন।

ক্লাব পর্যায়ে

থিয়াগো সিলভা ফ্লুমেনিজে থাকা অবস্থায় আঘাত কাটিয়ে উঠে অবশেষে নিজস্ব ছন্দ ফিরে পান। মৌসুমে ফ্লুমেনিজ দল পঞ্চদশ স্থান অধিকার করে। পরের বছর দলটি ক্যাম্পিওনাতো ব্রাসিলেইরো সিরি এ প্রতিযোগিতায় ৪র্থ হয়েছিল। এতে ৩৮ খেলায় দলটি মাত্র ৩৯ গোল করে এবং কোপা দো ব্রাসিল জয় করে।[2] দলের প্রধান খেলোয়াড়রূপে থিয়াগো কোপা লিবার্তাদোরেজ প্রতিযোগিতায় ২য় হয়। চূড়ান্ত খেলায় এলডিইউ কুইটো'র কাছে দলটি পেনাল্টিতে হেরে যায়।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে

২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেন। কোচ দুঙ্গার অন্যতম পছন্দের খেলোয়াড় হিসেবে ২৩ বছরের অধিক আরেক খেলোয়াড় ছিলেন রোনালদিনহো। সেখানে তিনি তিন খেলায় অংশ নেন। এরপূর্বে তিনি মাত্র দুইটি প্রীতি ম্যাচে খেলেছেন যথাক্রমে সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামের বিপক্ষে। ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে ব্রাজিলের পক্ষ হয়ে ইতালির বিরুদ্ধে এমিরেটস স্টেডিয়ামে খেলেন। ৯ অক্টোবর কাতারে অনুষ্ঠিত খেলায় জুয়ানের পরিবর্তে ৭৭ মিনিটের সময় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন।

২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের সদস্য হিসেবে অংশ নেন। এর প্রধান কারণ ছিল মিলানের পক্ষ হয়ে চমৎকার খেলা প্রদর্শন। কিন্তু বিশ্বকাপের একটি খেলায় তিনি অংশ নিতে পারেননি। বর্তমানেও ব্রাজিলের নতুন কোচ মানো মেনেজেসের প্রথম পছন্দের পাত্র সিলভা ১০ আগস্ট, ২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সেখানে ব্রাজিলের পক্ষ হয়ে তার প্রথম গোল করেন। নেইমারের কর্ণার কিক থেকে বলকে মাথায় স্পর্শ করার মাধ্যমে বিপক্ষের জালে প্রবেশ করান।

তথ্যসূত্র

  1. "Derlei leads Dinamo influx"। UEFA। ১ অক্টোবর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০০৯
  2. "Futpédia: Thiago Silva (Thiago Emiliano da Silva de Souza)"। Globo Esporte। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০০৯

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
লুসিও
ব্রাজিল অধিনায়ক
২০১০–২০১৪
উত্তরসূরী
নেইমার
পূর্বসূরী
ক্রিস্টোফি জ্যালেট
প্যারিস সেন্ট জার্মেই অধিনায়ক
২০১২–বর্তমান
নির্ধারিত হয়নি
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.