কিলিয়ান এমবাপে
কিলিয়ান সানমি এমবাপে লত্তিন (ফরাসি উচ্চারণ: [kiljan (ə)mbape]; জন্ম ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৮) হলেন একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়ার। তিনি স্ট্রাইকার হিসেবে মোনাকো থেকে ধারে প্যারিস সেন্ট জার্মেই এবং ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দলে খেলে থাকেন।[1]
![]() ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে এমবাপে | |||
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কিলিয়ান সানমি এমবাপে লত্তিন | ||
জন্ম | ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৮ | ||
জন্ম স্থান | বন্দি, ফ্রান্স | ||
উচ্চতা | ১.৭৮ মি (৫ ফু ১০ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | স্ট্রাইকার | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান ক্লাব | প্যারিস সেন্ট জার্মেই | ||
জার্সি নম্বর | ৭ | ||
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন | |||
২০১০–২০১৩ | এএস বন্দি | ||
২০১১–২০১৩ | আইএনএফ ক্লেয়ারফন্তেইন | ||
২০১৩–২০১৫ | মোনাকো | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন* | |||
বছর | দল | উপস্থিতি† | (গোল)† |
২০১৫–২০১৬ | মোনাকো ২ | ১২ | (৫) |
২০১৫– | মোনাকো | ৪১ | (১৬) |
২০১৭–২০১৮ | → প্যারিস সেন্ট জার্মেই (ধার) | ২৭ | (১৩) |
২০১৮- | প্যারিস সেন্ট জার্মেই | ১৭ | (১৮) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১৪–২০১৫ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৭ | ২ | (০) |
২০১৬ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৯ | ১১ | (৭) |
২০১৭– | ফ্রান্স | ২৮ | (১০) |
† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)। |
অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে খেলার পর ২০১৭ সালে ফ্রান জাতীয় দলের হয়ে এমবাপের অভিষেক হয়। ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে তিনি ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ড করেন এবং পেলের পর দ্বিতীয় তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেন।[2] ফ্রান্স এই আসরে বিজয়ী হয় এবং তিনি যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন।[3]
প্রারম্ভিক জীবন
এমবাপে ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের বন্দিতে জন্মগ্রহণ করেন।[4] তার পিতা উইলফ্রিড ক্যামেরুন থেকে ফ্রান্সে আসেন। তিনি এমবাপের প্রতিনিধি এবং এএস বন্দির কোচ হিসেবে কর্মরত। তার দত্তক নেওয়া ভাই জাইরে কেম্বো একোকোও একজন পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তার মা ফায়জা আলজেরীয় বংশোদ্ভূত এবং তিনি একজন হ্যান্ডবল খেলোয়াড়। তার ছোট ভাই আদেয়েমি এমবাপে।[5][6]
প্রারম্ভিক কর্মজীবন
এমবাপের খেলোয়াড়ী জীবন শুরু হয় এএস বন্দি ক্লাবে তার বাবা উইলফ্রিডের অধীনে। পরে তিনি প্রখ্যাত ক্লেয়ারফন্তেইন একাডেমিতে ভর্তি হন। তার ক্রীড়া নৈপুণ্যের জন্য বিভিন্ন ফরাসি ক্লাস, এবং স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও ভ্যালেন্সিয়া তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। এমবাপে ১১ বছর বয়সে ইংরেজ ক্লাব চেলসিতে যান এবং সেখানে যুব দলের হয়ে চার্ল্টনের বিপক্ষে একটি ম্যাচও খেলেন।[7] পরে এমবাপে এএস মোনাকোতে থিতু হন।[5]

কর্মজীবন পরিসংখ্যান
তথ্যসূত্র
- "France - K. Mbappe Lottin - Profile with news, career statistics and history - Soccerway"। soccerway.com। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৭।
- "পেলের পাশে এমবাপে"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ১৬ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- "সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় এমবাপে | বিশ্বকাপ ফুটবল | The Daily Ittefaq"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৬ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- "MBAPPE LOTTIN KYLIAN"। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৭।
- "Kylian Mbappe: the Monaco teen who might be Europe's most wanted youngster"। FourFourTwo। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৭।
- "Coupe de la Ligue: Un joueur avec des origines Algériennes marque un triplé"। Dzballon। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
- "Arsene Wenger has likened him to Thierry Henry - but who is Arsenal target Kylian Mbappe?"। দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- National-Football-Teams.com-এ "Mbappé, Kylian" (ইংরেজি ভাষায়)। জাতীয় ফুটবল দল। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- সাটক্লিফ, স্টিভ (১৬ জুন ২০১৮)। "France 2–1 Australia"। বিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।