দিদিয়ে দেশঁ
দিদিয়ে ক্লোদ দেশঁ (ফরাসি উচ্চারণ: [didje deʃɑ̃]; জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৯৬৮) হলেন একজন ফরাসি অবসরপ্রাপ্ত ফুটবলার এবং ২০১২ সাল থেকে ফ্রান্স জাতীয় দলের ম্যানেজার। তিনি ফ্রান্সের মার্সেই, নঁত, বর্দো; ইতালির ইউভেন্তুস; ইংল্যান্ডের চেলসি ও স্পেনের বালেন্সিয়া দলে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে ১০৩টি খেলা এবং তিনটি উয়েফা ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেন। তার অধিনায়কত্বে ফ্রান্স ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপ ও উয়েফা ইউরো ২০০০ জয়লাভ করে।
![]() ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে ফ্রান্স জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে দেশঁ | ||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | দিদিয়ে ক্লোদ দেশঁ | |||||||||||||||||||||
জন্ম | ১৫ অক্টোবর ১৯৬৮ | |||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | বায়োন, ফ্রান্স | |||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৬৯ মিটার | |||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | |||||||||||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | ||||||||||||||||||||||
বর্তমান ক্লাব | ফ্রান্স (ম্যানেজার) | |||||||||||||||||||||
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন | ||||||||||||||||||||||
১৯৭৬–১৯৮৩ | বায়োন | |||||||||||||||||||||
১৯৮৩–১৯৮৫ | নঁত | |||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন* | ||||||||||||||||||||||
বছর | দল | উপস্থিতি† | (গোল)† | |||||||||||||||||||
১৯৮৫–১৯৮৯ | নঁত | ১১১ | (৪) | |||||||||||||||||||
১৯৮৯–১৯৯৪ | মার্সেই | ১২৩ | (৬) | |||||||||||||||||||
১৯৯০–১৯৯১ | → বর্দো (ধার) | ২৯ | (৩) | |||||||||||||||||||
১৯৯৪–১৯৯৯ | ইউভেন্তুস | ১২৪ | (৪) | |||||||||||||||||||
১৯৯৯–২০০০ | চেলসি | ২৭ | (১) | |||||||||||||||||||
২০০০–২০০১ | বালেন্সিয়া | ১৩ | (০) | |||||||||||||||||||
মোট | ৪২৭ | (১৭) | ||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||
১৯৮৮–১৯৮৯ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ | ১৮ | (০) | |||||||||||||||||||
১৯৮৯–২০০০ | ফ্রান্স | ১০৩ | (৪) | |||||||||||||||||||
দলসমূহ পরিচালিত | ||||||||||||||||||||||
২০০১–২০০৫ | মোনাকো | |||||||||||||||||||||
২০০৬–২০০৭ | ইউভেন্তুস | |||||||||||||||||||||
২০০৯–২০১২ | মার্সেই | |||||||||||||||||||||
২০১২– | ফ্রান্স | |||||||||||||||||||||
সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||||
|
ম্যানেজার হিসেবে মোনাকোতে দেশঁ তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ক্লাবটিকে ২০০৩ সালে কুপ দ্য লা লিগ জিতাতে এবং ২০০৪ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালের নিয়ে যেতে সাহায্য করেন। ২০০৪ সালে তিনি লিগ ওয়ানের বর্ষসেরা ম্যানেজার খ্যাতি লাভ করেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে তিনি তার প্রাক্তন ক্লাব ইউভেন্তুসকে সিরি বি শিরোপা জয়ে সাহায্য করেন এবং পূর্ববর্তী মৌসুমে কাল্কোপলি কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পদবনতি পাওয়া ক্লাবটিকে সিরি এ'তে ফিরিয়ে আনেন। তিনি পরবর্তীতে তার আরেক প্রাক্তন ক্লাব মার্সেইয়ে ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন এবং ২০০৯-১০ মৌসুমে লিগ ওয়ান শিরোপা জিতেন এবং ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা তিনটি কুপ দ্য লা লিগ শিরোপা এবং ২০১০ ও ২০১১ সালে টানা দুটি ট্রফি দে শাম্পিওঁ শিরোপা জিতেন। ২০১২ সালের ৮ই জুলাই দেশঁ ফ্রান্স জাতীয় দলের ম্যানেজার পদে অধিষ্ঠিত হন এবং দলটিকে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, উয়েফা ইউরো ২০১৬-এর ফাইনাল এবং ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যান।[1] ফাইনাল খেলায় তার দল ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিজয়ী হয়।[2] ফ্রান্সের জয়ের ফলে তিনি মারিও জাগালো ও ফ্রান্ৎস বেকেনবাউয়ারের পর তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে খেলোয়াড় ও ম্যানেজার হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেন[3] এবং বেকেনবাউয়ারের পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে অধিনায়ক ও ম্যানেজার হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেন।[4]
তথ্যসূত্র
- "উমতিতির গোলে ফ্রান্স পৌঁছে গেল রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে"। দৈনিক জনকন্ঠ। ১১ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- "ইউরো হারে আজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আমরা: দিদিয়ে"। একুশে টেলিভিশন। ১৬ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- "বেকেনবাওয়ার, জাগালোকে ছুঁয়ে বিশ্বজয় দেশঁ'র"। জি২৪ঘন্টা। ১৫ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
- "বিশ্বকাপের ফাইনালে যে যে রেকর্ড হল ..."। জি২৪ঘন্টা। ১৬ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে দিদিয়ে দেশঁ সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- Didier Deschamps at Premier League
- Didier Deschamps at UEFA.com
- National-Football-Teams.com-এ দিদিয়ে দেশঁ (ইংরেজি)
টেমপ্লেট:উয়েফার সদস্য জাতীয় দলসমূহের ম্যানেজার