এসি মিলান
অ্যাসোসিয়েজিওন ক্যালসিও মিলান একটি ইতালীয় ফুটবল দল যেটি ইতালির মিলানে অবস্থিত। তারা লাল ও কালো ডোরাকাটা রঙের কাপড় পরে খেলে, তাই তাদের ডাকনাম হয়েছে রোজোনেরি (Rossoneri) ("লাল-কালো")। দলটি মিলান নামেও সমাধিক পরিচিত। এ.সি. মিলান বিশ্বের অন্যতম সফল দল। তার সম্মানজনক উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ (বা সমমানের ইউরোপীয়ান কাপ) জিতেছে সাত বার, (আন্তমহাদেশীয় কাপ) ৩ বার, উয়েফা সুপার কাপ ৫ বার, সিরি এ শিরোপা ১৮ বার (কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী দল জুভেন্টাস ফুটবল ক্লাব মিলানের চেয়ে বেশি স্কুডেট্টো জিতেছে) এবং কোপা ইতালীয়া (ইতালীয় কাপ) ৫ বার। সবমিলিয়ে তারা রেকর্ডসংখ্যক ১৮টি ইউরোপীয় ও ফিফা ট্রফি জিতেছে যা, বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ ও ইতালিতে সর্বোচ্চ।[4] বিশ্বের জনপ্রিয়তম দলগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম, এবং জুভেন্টাস ও ইন্টারের মত ইতালীয় জনপ্রিয় দল।
![]() | ||||
পূর্ণ নাম | অ্যাসোসিয়েজিওন ক্যালচিও মিলান (Associazione Calcio Milan) | |||
---|---|---|---|---|
ডাকনাম | Rossoneri (লাল-কালো) Il Diavolo (দানব (The Devil)) | |||
প্রতিষ্ঠিত | ডিসেম্বর ১৬, ১৮৯৯ [1] | |||
মাঠ | সান সিরো (স্ত্যাদিয়ো জিউসেপ্পে মিইয়েৎসা), মিলান | |||
ধারণক্ষমতা | ৮০,০৭৪ [2] | |||
চেয়ারম্যান | ![]() | |||
প্রধান কোচ | স্তেফানো পিওলি | |||
লীগ | সেরিয়ে আ | |||
২০১৮-১৯ | সিরি এ, ৫ম | |||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | |||
|
আলফ্রেড এডওয়ার্ডস নামের একজন ব্রিটিশ ভদ্রলোক ক্রিকেট দল হিসেবে ১৮৯৯ সালে এসি মিলান প্রতিষ্ঠা করেন। তার সম্মানে দলটির নাম মিলান শহরের ইংরেজিরুপ মিলানো (Milan) হিসেবে রাখা হয়েছে, যদিও শহরের ইতালীয় নাম মিলানো (Milano)। তবে ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় এটির নাম কিছুদিন পরিবর্তন করা হয়েছিল।
ঐতিহাসিকভাবে এসি মিলান দক্ষিণ ইতালীর শহরের শ্রমিক শ্রেণী সমর্থিত দল ছিল। পক্ষান্তরে এর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অন্য বড় দল ইন্টার ছিল উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী সমর্থিত দল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দল দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক বলয়ে অবস্থান করছে, কেননা বর্তমানে মিলানের মালিক হচ্ছেন গণমাধ্যম ব্যবসায়ী ও রক্ষণশীল দল থেকে নির্বাচিত ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকনি, এবং ইন্টারের মালিক মধ্য-বামপন্থী তেল ব্যবসায়ী ম্যাসিমো মোরাত্তি। তবুও এসি মিলানের সমর্থকের এখনও সাধারণত বামপন্থী এবং ইন্টারের সমর্থকেরা ডানপন্থী হয়ে থাকেন। ১৯৮০ সালে মিলানকে পাতানো ম্যাচ খেলার অভিযোগে অভিযুক্ত করে শাস্তিস্বরুপ সিরি বি তে নামিয়ে দেয়া হয়। এই কলঙ্কিত ঘটনার পিছনে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়ের হাত ছিল। ২০০৬ সালে মিলান আবার ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। মিলানের বিরুদ্ধে পছন্দের রেফারিকে ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। শাস্তিস্বরুপ ২০০৬-০৭ মৌসুমে মিলানকে সিরি এ লীগে ১৫ পয়েন্ট কেটে নেয়া হয়। শাস্তির বিরুদ্ধে আপীলের পর শাস্তি কমিয়ে ৮ পয়েন্ট করা হয়।
দলটির ৩ ও ৬ নং জার্সি দুইটি দুই কিংবদন্তি খেলোয়াড় পাওলো মালদিনি ও ফ্র্যাঙ্কো বারেসির জন্য উৎসর্গকৃত । এই জার্সি দুটি অন্য কোন খেলোয়াড়কে দেয়া হবে না । তবে পাওলো মালদিনির কোন ছেলে মিলানের হয়ে খেললে তাকে ৩ নং জার্সি দেয়া হতে পারে ।
খেলোয়াড়দের তালিকা
প্রাথমিক দল
নোট: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফা যোগ্যতার নিয়ম অধীন নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
সম্মাননা

মিলান বিশ্বের অন্যতম সফল দল, যাদের ইতালীয় ২৭টি ও আন্তর্জাতিক ১৭টি শিরোপা রয়েছে। তারা রেকর্ড ১৩টি ইউরোপীয়ান ট্রফি জিতেছে। মিলান তাদের জার্সিতে একটী তারকা বসানোর অধিকার লাভ করেছে কেননা তারা ১০টি স্কুডেট্টো জিতেছে। এছাড়া ৫টির বেশি ইউরোপীয়ান ট্রফি জেতায় মিলানকে তাদের পোষাকে উয়েফা ব্যাজ অব অনার বসানোর অধিকার দেয়া হয়েছে।[5]
- স্কুডেট্টো (ইতালীয় চ্যাম্পিয়নশিপ)
- শিরোপা (১৮): ১৯০১, ১৯০৬, ১৯০৭, ১৯৫০-৫১, ১৯৫৪-৫৫, ১৯৫৬-৫৭, ১৯৫৮-৫৯, ১৯৬১-৬২, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭৮-৭৯, ১৯৮৭-৮৮, ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৫-৯৬, ১৯৯৮-৯৯, ২০০৩-০৪, ২০১০-২০১১
- রানার্স-আপ (১৬): ১৯০২, ১৯১০-১১, ১৯১১-১২, ১৯৪৭-৪৮, ১৯৪৯-৫০, ১৯৫১-৫২, ১৯৫৫-৫৬, ১৯৬০-৬১, ১৯৬৪-৬৫, ১৯৬৮-৬৯, ১৯৭০-৭১, ১৯৭১-৭২, ১৯৭২-৭৩, ১৯৮৯-৯০, ১৯৯০-৯১, ২০০৪-০৫
- সিরি বি (দ্বিতীয় বিভাগ)
- শিরোপা (২): ১৯৮০-৮১, ১৯৮২-৮৩
- কোপা ইতালিয়া (ইতালীয় কাপ)
- শিরোপা (৫): ১৯৬৬-৬৭, ১৯৭১-৭২, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৬-৭৭, ২০০২-০৩
- রানার্স-আপ (৭): ১৯৪১-৪২, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭০-৭১, ১৯৭৪-৭৫, ১৯৮৪-৮৫, ১৯৮৯-৯০, ১৯৯৭-৯৮
- সুপার কোপা ডি লিগা (ইতালীয় সুপার কাপ)
- শিরোপা (৫): ১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৩, ১৯৯৪, ২০০৫
- রানার্স-আপ (৩): ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩
- উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ (সাবেক ইউরোপীয়ান কাপ)
- শিরোপা (৭): ১৯৬২-৬৩, ১৯৬৮-৬৯, ১৯৮৮-৮৯, ১৯৮৯-৯০, ১৯৯৩-৯৪, ২০০২-০৩, ২০০৬-০৭
- রানার্স-আপ (৪): ১৯৫৭-৫৮, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৪-৯৫, ২০০৪-০৫
- উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ
- শিরোপা (২): ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩
- রানার্স-আপ (১): ১৯৭৩-৭৪
- ইউরোপীয়ান সুপার কাপ
- শিরোপা (৪): ১৯৮৯, ১৯৯০, ১৯৯৪, ২০০৩
- রানার্স-আপ (২): ১৯৭৩, ১৯৯৩
- বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ (সাবেক ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ)
- শিরোপা (৩): ১৯৬৯, ১৯৮৯, ১৯৯০
- রানার্স-আপ (৪): ১৯৬৩, ১৯৯৩, ১৯৯৪, ২০০৩
- মিত্রোপা কাপ
- শিরোপা (১): ১৯৮১-৮২
- ল্যাটিন কাপ
- শিরোপা (২): ১৯৫০-৫১, ১৯৫৫-৫৬
- রানার্স-আপ (১): ১৯৫২-৫৩
তথ্যসূত্র
- "History"। acmilan.com। Associazione Calcio Milan। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১০।
- "Struttura"। sansiro.net (Italian ভাষায়)। San Siro। ১২ জুন ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১০।
- "Struttura societaria"। bilanciomilan.it (Italian ভাষায়)। Associazione Calcio Milan। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১০।
- https://web.archive.org/web/20141222201343/http://www.insidespanishfootball.com/141480/real-madrid-match-ac-milan-and-boca-juniors-with-18-international-titles/
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০০৮।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে এসি মিলান সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- আনঅফিসিয়াল সমর্থক ওয়েবসাইট
- সমর্থক ওয়েবসাইট
- অন্যান্য
- Brigate Rossonere
- Guerrieri Ultras
- Commandos Tigre
- Alternativa Rossonera
- Fossa dei Leoni (folded in 2006)
জি-১৪-এর সদস্যগণ (২০০০–২০০৮) | |
---|---|
২০০০–২০০৮ | |
২০০২–২০০৮ |