হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ
হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ বা বড় মসজিদ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক মসজিদটি।[1]
হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ | |
---|---|
![]() হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ | |
ধর্ম | |
জেলা | চাঁদপুর জেলা |
অঞ্চল | চট্টগ্রাম |
প্রভুত্ব | আহম্মদ আলী পাটওয়ারী ওয়াকফ এস্টেট |
নেতৃত্ব | আহম্মদ আলী পাটওয়ারী ওয়াকফ এস্টেট |
পৃষ্ঠপোষক | আহম্মদ আলী পাটওয়ারী ওয়াকফ এস্টেট |
পবিত্রীকৃত বছর | ১৯৩১ খ্রিঃ |
অবস্থা | সংরক্ষিত |
অবস্থান | |
অবস্থান | ![]() |
পৌরসভা | হাজীগঞ্জ পৌরসভা |
দেশ | বাংলাদেশ |
এলাকা | হাজীগঞ্জ |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
সৃষ্টিকারী | আহম্মদ আলী পাটওয়ারী (রঃ) |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৩৭ খ্রিঃ |
নির্দিষ্টকরণ | |
ধারণ ক্ষমতা | ১০,০০০ |
গম্বুজসমূহ | ২টি |
মিনারসমূহ | ১টি |
মিনারের উচ্চতা | ১৮৮ ফুট |
স্থানের এলাকা | ২৮,৪০৫ বর্গফুট |
উপাদানসমূহ | ইট, টেরাকোটা ও টাইল |
অবস্থান
হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ এর অবস্থান চাঁদপুর জেলার উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে। এটি হাজীগঞ্জ মৌজায় পড়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে আলীয়া মাদ্রাসা, হাফেজীয়া মাদ্রাসা, ফোরকানীয়া মাদ্রাসা ও ইসলামীয়া পাঠাগার।[2]
ইতিহাস
প্রায় ১৯৩১ খ্রিঃ নির্মিত হয়েছে এই হাজীগঞ্জ বড় মসজিদটি। এই মসজিদটিকেই চাঁদপুর জেলার সবচেয়ে পুরোনো মসজিদ হিসেবে ধরা হয়। এই মসজিদটির প্রথম উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হাজী আহম্মদ আলী পাটওয়ারী (রঃ)। মসজিদটি তৈরি করার সময় হাজীগঞ্জ বা এর আশাপাশের কোনো এলাকাতে কোনো ইট ভাটা ছিলোনা। তখন মসজিদটির উদ্যোক্তা সেখানে একটি ইট ভাটা তৈরি করেন। তারপর সেখানে ইট তৈরি করে সেই ইট দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেন। এছাড়াও তিনি মসজিদ নির্মাণের জন্য জাহাজ ভাড়া করে ভারতের কলকাতায় গিয়ে লোহার বীম ও মর্মর পাথর কিনে আনেন। পরবর্তীতে মসজিদটির কাজ ১৯৩৭ খ্রিঃ দিকে শেষ হয় এবং শুক্রবার দিন মসজিদে আজান দেওয়ার মাধ্যমে মসজিদটির উদ্বোধন করা হয়। [3]
মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা
মসজিদটির পাশাপাশি রযেছে আলীয়া মাদ্রাসা, হাফেজীয়া মাদ্রাসা, ফোরকানীয়া মাদ্রাসা ও ইসলামীয়া পাঠাগার। আলীয়া মাদ্রাসা ছাড়া বাকী মাদ্রাসাগুলো মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধায়নে চলে।
অবকাঠামো
মসজিদটি দুই তলা বিশিষ্ট, ১টি ১৮৮ ফুট লম্বা মিনার ও ২টি গুম্বজ রয়েছে।