পাগলা জামে মসজিদ
পাগলা জামে মসজিদ (রায়পুর বড় মসজিদ নামেও পরিচিত; সিলেটি ꠞꠣꠄꠚꠥꠞ ꠛꠠ ꠝꠌ꠆ꠌꠤꠖ) হল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি মহাশিং নদীর তীরে অবস্থিত। এটি ইয়াসিন মির্জা নামক একটি স্থানীয় ব্যবসায়ী কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল।[1][2]
পাগলা জামে মসজিদ | |
---|---|
ꠙꠣꠉꠟꠣ ꠎꠣꠝꠦ ꠝꠌ꠆ꠌꠤꠖ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
শাখা/ঐতিহ্য | সুন্নি |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | ![]() |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | মুমিন অস্তাগর |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামি স্থাপত্য |
ভূমি খনন | ১৯২৪ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৪১ |
নির্মাণ ব্যয় | ৳১০ লক্ষ টাকা |
নির্দিষ্টকরণ | |
দৈর্ঘ্য | ১৫০ ফুট |
প্রস্থ | ৫০ ফুট |
উচ্চতা (সর্বোচ্চ) | ৪০ ফুট |
গম্বুজসমূহ | ৩ |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ২৫ ফুট |
মিনারসমূহ | ৬ |
ইতিহাস
উপমহাদেশ ভবন ভ্রমণ করার সময় এর বিভিন্ন ভবন দেখার পর, বিশেষ করে কলকাতার, ইয়াসিন মির্জা নামক একটি স্থানীয় ব্যবসায়ী তার স্থানীয় গ্রাম রায়পুরে একটি মসজিদ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য ১৯২৪ সালে ভূমি খননের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৩১ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি সম্পন্ন হতে ১০ বছর লেগেছিল। ইয়াসিন মির্জা ব্রিটিশ রাজের শহর কলকাতা ও দিল্লির থেকে স্থপতি ও নির্মাতা আনিয়েছিলেন। প্রধান স্থপতি ছিলেন মুমিন আস্তাগর, যিনি তাজমহলের স্থপতিদের একজনের বংশধর ছিলেন। এই সময়কালে মুমিন ঢাকাতে বসবাস করতেন।[3]
বিবরণ
এটি একটি দুই তলা ভবন। ভবনের সামনে একটি বড় ঈদগাহ আছে। উত্তর দিকে একটি ফটক আছে। ভবনে তিনটি গম্বুজ আছে। মসজিদটির আয়তন হল দৈর্ঘ্যে ১৫০ মিটার ও প্রস্থে ১০০ মিটার। নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থান দ্বিতীয় তলায়। সেখানকার মেঝে ও তার আশপাশের কারুকাজ রয়েছে। মেঝেতে শ্বেতপাথর ও তার চারপাশে কালোপাথর লাগানো।[3]
তথ্যসূত্র
- "সুনামগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা বড় জামে মসজিদ"। দি ঢাকা টাইমস। ১৬ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯।
- ইয়াকুব শাহরিয়ার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "পাগলা বড় জামে মসজিদে ছিলো দর্শনার্থীদের বাড়তি ভিড়"। sunamganjerkhobor.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯।
- মুহাম্মদ বুরহান (২৬ অক্টোবর ২০১৬)। "স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন পাগলা জামে মসজিদ"। sylheterdak.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯।