বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি এএফসির সদস্য। দলটি এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এশিয়ান কাপে ১৯৮০ সালে তারা মাত্র একবার অংশ নিতে পেরেছে এবং সেখানে তারা প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে। উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ফুটবল খেলাটি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার কারণে স্তিমিত হয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৪ সালে ফিফার সদস্যপদ লাভ করে।
![]() | |||
ডাকনাম(সমূহ) | দ্য বেঙ্গল টাইগার (বাংলার বাঘ) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
সাব-কনফেডারেশন | সাফ (দক্ষিণ এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | ![]() | ||
শীর্ষ গোলদাতা | ![]() | ||
স্বাগতিক স্টেডিয়াম | বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | BAN | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৯৪ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১১০ (এপ্রিল ১৯৯৬) | ||
সর্বনিম্ন | ১৯৭ (মে ২০১৭) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২০৯ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১৪৭ (সেপ্টেম্বর ১৯৮৬) | ||
সর্বনিম্ন | ২০৯ (অক্টোবর ২০১৬) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া; জুলাই ২৬, ১৯৭৩) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (ঢাকা, বাংলাদেশ; ডিসেম্বর ২১, ১৯৮৫) | |||
বৃহত্তম হার | |||
![]() ![]() (ইনছন, দক্ষিণ কোরিয়া; ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯) ![]() ![]() (করাচী, পাকিস্তান; ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২) | |||
এশিয়ান কাপ | |||
উপস্থিতি | ১ (প্রথম ১৯৮০) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ স্টেজ ১৯৮০ | ||
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
উপস্থিতি | ১১ (প্রথম ১৯৯৫) | ||
Best result | চ্যাম্পিয়ন ২০০৩ |
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শুভসূচনা করলেও (ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিজয়) তা ধরে রাখতে পারেনি। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা এশিয়ান কাপেও বাংলাদেশের ফলাফল সন্তোষজনক নয়।
তবে ভিশন এশিয়া প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ ফুটবলের মানোন্নয়নে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে ঘরোয়া লীগ ও যুব ফুটবল উন্নয়নে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ফুটবল উন্নয়নের এই সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে হয়েছে বলে সবাই মনে করেন।
ফুটবল বাংলাদেশে এখনও খুব জনপ্রিয়। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ২০০৩ সালের দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কাপ (সাফ ফুটবল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ৫০,০০০ সমর্থকের উপস্থিতিতে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে বাংলাদেশ এ বিজয় অর্জন করেছে। এই ফলাফল বাংলাদেশের কাছে এতদিন অধরাই থেকে যাচ্ছিল। জয়ের ধারায় বাংলাদেশ উপমহাদেশের পরাশক্তি ভারতকে ২-১ গোলে সেমিফাইনালে পরাজিত করে। বাংলাদেশের সবাই আশা করেন এ ধরনের ফলাফল মহাদেশীয় পর্যায়ে তাদেরকে সফলতা অর্জনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
কাজী সালাউদ্দিন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কিংবদন্তি খেলোয়াড়। তিনি হংকংয়ে পেশাদারী ফুটবল খেলেছেন, যা কোন বাংলাদেশী ফুটবলার হিসেবে প্রথম।
২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, আর্জেন্টিনা এবং নাইজেরিয়ার মধ্যকার খেলা অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। যা ছিল বাংলাদেশ ফুটবলের সাম্প্রতিক স্মরণীয় ঘটনা।
ইতিহাস
বিংশ শতাব্দী
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছে থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ এবং ১৯৭২ সালের ১৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ১৯৭৩ সালের ২৬ জুলাই, প্রথম অফিসিয়াল খেলায় থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। খেলাটি ২–২ সমতায় শেষ হয়। ২৬ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত এশিয়ার বিভিন্ন দলের বিপক্ষে ১৩টি প্রীতি খেলায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ, যার তিনটিতে ড্র এবং দশটিতে পরাজিত হয় তারা। এক বছর পর আরও দুইটি প্রীতি খেলায় তারা অংশগ্রহণ করে এবং দুইটিতেই পরাজিত হয়।
১৯৭৮ সালে ভারত এবং মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুইটি প্রীতি খেলায় পরাজিত হয় বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে তারা ১৯৮০ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করে। প্রথম দুই খেলায় কাতার এবং আফগানিস্তানের সাথে ড্র করে তারা। তবে কাতারের বিপক্ষে দ্বিতীয় খেলায় ৪–০ ব্যবধানে পরাজিত হয় তারা। অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় খেলায় ৪–১ ব্যবধানে জয় লাভ করে এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এটিই ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ইতিহাসের প্রথম জয়। এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি হিসেবে চারটি প্রীতি খেলায় অংশ নেয় বাংলাদেশ। এর তিনটিতে পরাজয় এবং একটিতে জয় লাভ করে তারা।
১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতে এএফসি এশিয়ান কাপ আয়োজিত হয়, গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন ইরান, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া এবং চায়না। কিন্তু বাংলাদেশ উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ৩-২, সিরিয়ার বিপক্ষে ১-০, ইরানের বিপক্ষে ৭-০ এবং চায়নার বিপক্ষে ৬-০ এর বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত হয়। এবং পয়েন্ট তালিকার নিম্নে ১৫ গোলের ব্যাবধানে পড়ে থাকে। এটিই ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের একমাত্র কোন বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
প্রায় দেড় বছর কোন ম্যাচ না খেলার পর, ১৯৮২ তে করাচি, পাকিস্তানে ৪-টি ম্যাচ খেলে, যার ৩-টিতে পরাজয় ও একটি ম্যাচ ড্র করে তারা। পরবর্তী ৫ প্রীতি ম্যাচের ২-টিতে জয় ও ৩-টিতে পরাজয়। ১৯৮৪ সালে ১০ বছরের ক্যারিয়ারে তারা মাত্র ৪-টি জয় পায়।
১৯৮৪ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব আগস্টে অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ইরান, সিরিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন। এই আসরে বাংলাদেশ ফিলিপাইনের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পেলেও বাকি সব ম্যাচেই পরাজিত হয়।
মাসখানেক পর তারা নেপাল এবং মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে এবং দুইটিতেই ৫-০ গোলে জয়লাভ করে। কিন্তু এর থিক দুইদিন পর, নেপাল এর বিপক্ষে অন্য এক ম্যাচে তারা ৪-২ গোলে পরাজিত হয়।
১৯৮৫ সালে, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল প্রথমবারের মত ফিফা বিশ্বকাপের জন্য বাছাইপর্ব খেলতে যায়। গ্রুপে ছিল ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড। ৬ ম্যাচে ৪-টিতে পরাজয় ও ২-টিতে জয় নিয়ে তারা পয়েন্ট তালিকার নিম্নে থাকে।
১৯৮৮ এএফসি এশিয়ান কাপ ও ১৯৯০ ফিফা বিশকাপে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হওয়ার পূর্বে, এপ্রিল ১৯৮৫ থেকে নভেম্বর ১৯৮৭, তারা ১৩-টি ম্যাচ খেলে। যার মধ্যে ৪-টি জয়, ২-টি ড্র এবং ৭-টিতে পরাজয়। পরবর্তী ১১ ম্যাচে ১ টিতে জয়, ১০ টিতে পরাজয়।
পুনরায় এশিয়ান কাপে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হওয়ার পূর্বে, ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত তারা ৮-টি ম্যাচ খেলেন। যার ৩-টিতে জয়, ১-টিতে ড্র এবং ৪-টিতে পরাজয়।
২ বছর পরা ১৯৯৪ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ৮ ম্যাচে তারা মাত্র ২ টিতে জয় পায়।
১৯৯৫ এ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল দক্ষিণ এশীয় গেমসে সিলভার পদক পায়। ফাইনালে তারা স্বাগতিক ইন্ডিয়ার কাছে হেরে যায়। কিন্তু ১৯৯৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তারা পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে। এমন কি তারা চাইনিজ তাইপের কাছেও পরাজয় বরন করে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তাদের খেলার ভাগ্য উন্নতি পায় ১৯৯৯ সাফ গোল্ড কাপে, যখন তারা পুনরায় ফাইনালে যায়। কিন্তু ইন্ডিয়ার কাছে হেরে যায় এবং সিলভার পদক পায়। কিন্তু একই বছরের দক্ষিণ এশীয় কাপ কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়, এবং তারা অবশেষে ফাইনালে জয়ালাভ করে ও স্বর্ণপদক লাভ করে। যদিও তারা তাদের সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ হয় ২০০০ এশিয়ান কাপে। যাখানে প্রথম ম্যাচেই তারা উজবেকিস্তানের কাছে ৬-০ গোলে পরাজিত হয়।
একবিংশ শতাব্দী
এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত ঘটে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য ১২-ই জানুয়ারি, ২০০১, যখন তারা সর্বপ্রথম এশিয়ার বাইরের কোন টিমের সাথে ম্যাচ খেলে বসনিয়ার বিরুদ্ধে।
২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ ও ফিফা বিশ্বকাপে বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হয়নি। কিন্তু একই সময়ের মাঝে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০০৩ এর চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক দেশ হিসেবে। ২০১০ দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় স্বর্ণপদক লাভ করে স্বাগতিক দেশ হিসেবে।
২৯-ই জুন ২০১১, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকায় বাংলাদেশ ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পাকিস্তানকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল লাহোর স্টেডিয়াম, পাকিস্তানে খেলতে যায় ৩-রা জুলাই ২০১১। সেখানে তারা গোলশূন্য ড্র করে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এর সাথে তারা দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ হয় লেবাননের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচতি হয় চামিলে চামৌন স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়াম, বৈরুতে ২৩-ই জুলাই ২০১১। সেখানে তারা ৪-০ গোলে পরাজিত হয়। দ্বিতীয় খেলাটি হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকায়। বাংলাদেশ ২-০ গোলে জয়লাভ করলেও বাংলাদেশ বাদ পড়ে যায় বাছাইপর্ব থেকেই। বাংলাদেশ ২০১১ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের সাথে ড্র এবং নেপাল ও মালদ্বীপের কাছে পরাজিত হওয়ায় সেমি ফাইনালে উঠতে পারেনা। ২০১২ সালে বাংলাদেশ ৩-টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলেছে। যার মাঝে নেপাল ও মালদ্বীপের সাথে ড্র এবনফ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০ গোলের বড় ব্যাবধানের পরাজয় রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের হোস্ট হয় ২০১৫ সালে। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে এশিয়ার ছয়টি দল অংশগ্রহণ করে এবং এই প্রতিযোগিতা ফিফার অফিশিয়াল স্বীকৃতি পায়। এই প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশ ফাইনালে উঠে এবং প্রতিপক্ষ মালয়শিয়া। মালয়শিয়া ৩-২ গোলে জয়ী হয়। প্রথমার্ধে মালয়শিয়ান ক্যাপ্টেন অসাধারণ দুটি গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ খেলায় ফিরে এবং খুব দ্রুত দুই গোল করে সমতা আনে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রন ছিলো বাংলাদেশি টাইগারদের হাতেই। কিন্তু খেলার শেষ ৯৩.৪৫ মিনিটে বিতর্কিত কর্ণার থেকে গোল করে মালয়শিয়া কাপ নিয়ে যায়।
২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে বাংলাদেশ ৩ টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে,যার মধ্যে ১ হার ও ২ ড্র। সিংগাপুরের সাথে ২-১ গোলে হারলেও, আফগানিস্তানের সাথে ১-১ গোলের ড্র করে এবং মালয়েশিয়ায় মালয়েশিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করে।
তবে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সুখকর ছিলো না। আট ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট(তাজিকিস্তানের সাথে ড্র) নিয়ে টেবিলের তলানিতে থেকে বাছাইপর্ব শেষ করে।
এশিয়া কাপ বাছাইপর্বেও তাজিকিস্তানের কাছে হেরে যায়। পরে ভুটানের কাছে প্লে অফ ম্যাচে হেরে এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা হারায়। যাকে বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে ঊল্লেখ করা হয়।এই হারের ফলে পর্রবর্তী বাছাইপর্বের আগে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ ছাড়া আর কোন খেলা নেই।তবে এই সময় বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দলকে দেখার জন্য এন্ড্রিউ ওর্ডকে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি যাওয়ার পর ২০১৮ এর মে তে জেমি ডি কে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
জার্সির ইতিহাস
|
|
|
|
|
|
|
প্রতিযোগিতার রেকর্ড
ফিফা বিশ্বকাপ রেকর্ড
- ১৯৩০ থেকে ১৯৮২ - অংশগ্রহণ করেনি; ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের অন্তর্গত ছিল
- ১৯৮৬ থেকে ২০০৬ - যোগ্যতা অর্জন করেনি
এএফসি এশিয়ান কাপ রেকর্ড
- এশিয়ান কাপ ১৯৫৬ থেকে ১৯৭৬ - অংশগ্রহণ করেনি
- এশিয়ান কাপ ১৯৮০ – রাউন্ড ১
- এশিয়ান কাপ ১৯৮৪ থেকে ১৯৯২ - যোগ্যতা অর্জন করেনি
- এশিয়ান কাপ ১৯৯৬ - প্রত্যাহার
- এশিয়ান কাপ ২০০০ থেকে ২০১১ - যোগ্যতা অর্জন করেনি
- এশিয়ান কাপ ২০১৪ - "প্রথম পর্ব থেকে বিদায়"
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ রেকর্ড
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
বছর | রাউন্ড | খেলেছে | জয় | ড্র | হার | GF | GA |
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | রাউন্ড | খেলা | জয় | ড্র | পরাজয় | গো. প | গো. বি |
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() ![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
![]() | |||||||
<left>
পূর্বসূরী ১৯৯৯ ভারত ![]() |
দক্ষিণ এশীয় চ্যাম্পিয়নস ২০০৩ (প্রথম শিরোপা) |
উত্তরসূরী ২০০৫ ভারত ![]() |
দক্ষিণ এশীয় গেম্স
দক্ষিণ এশীয় গেম্স | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
প্রতিযোগিতার বিবরণ | পদক | ||||||
১৯৮৪ কাঠমুন্ডু | |||||||
১৯৮৫ ঢাকা | |||||||
১৯৮৭ কোলকাতা | |||||||
১৯৮৯ ইসলামাবাদ | |||||||
১৯৯১ কলম্বো | |||||||
১৯৯৩ ঢাকা | |||||||
১৯৯৫ মাদ্রাজ | |||||||
১৯৯৯ কাঠমুন্ডু | |||||||
২০০৪ ইসলামাবাদ | |||||||
২০০৬ কলম্বো | |||||||
২০১০ ঢাকা |
স্মরণীয় সাবেক খেলোয়াড়
গোলরক্ষক:
|
ডিফেন্ডার:
|
মিডফিল্ডার:
|
স্ট্রাইকার:
|
বর্তমান দল
১ আগস্ট, ২০১২ তারিখ পর্যন্ত -
# | অব. | খেলোয়াড় | জন্ম তারিখ (বয়স) | ম্যাচ | গোল | ক্লাব | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | গো | রাসেল মাহমুদ লিটন | ৩০ নভেম্বর ১৯৯৪ | ২ | ০ | ![]() | ||
২২ | গো | সামিউল ইসলাম মাসুদ | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ | ০ | ০ | ![]() | ||
২৫ | গো | শহিদুল ইউসুফ সোহেল | ১ মে ১৯৯২ | ৬ | ০ | ![]() | ||
২৩ | গো | মাজহারুল হক হিমেল | ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ | ০ | ০ | ![]() | ||
২ | র | আশরাফ মাহমুদ লিংকন | ৬ জুন ১৯৯০ | ১১ | ০ | ![]() | ||
৩ | র | মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম | ২০ ডিসেম্বর ১৯৮৭ | ১৪ | ০ | ![]() | ||
৭ | র | আশরাফ মাহমুদ লিংকন | ৬ জুন ১৯৯০ | ৪ | ০ | ![]() | ||
১৩ | র | মোহাম্মদ মামুন মিয়া | ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ | ৫ | ০ | ![]() | ||
১৯ | র | আতিকুর রহমান মিশু | ২৬ আগস্ট ১৯৮৮ | ০ | ০ | ![]() | ||
১৯ | র | নাসিরুল ইসলাম | ৫ অক্টোবর ১৯৮৮ | ৮ | ০ | ![]() | ||
১৯ | র | অরূপ কুমার বৈদ্য | ২ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ | ০ | ০ | ![]() | ||
৮ | ম | আব্দুল বাতেন মজুমদার কোমল | ২ আগস্ট ১৯৮৭ | ৪ | ০ | ![]() | ||
১৫ | ম | মামুনুল ইসলাম (ক্যাপ্টেন) | ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৮ | ৪ | ১ | ![]() | ||
১৫ | ম | মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন | ১৫ জুন ১৯৮৮ | ১৬ | ৩ | ![]() | ||
১৫ | ম | মনেম খান রাজু | ৭ জুলাই ১৯৯০ | ৩ | ০ | ![]() | ||
১৫ | ম | জামাল ভূইয়াঁ | ১০ এপ্রিল ১৯৯০ | ০ | ০ | ![]() | ||
৯ | আ | জাহিদ হাসান এমিলি | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৭ | ৩১ | ৬ | ![]() | ||
১২ | আ | মিঠুন চৌধুরি | ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ | ৯ | ১ | ![]() |
কোচের তালিকা
|
|
|
^ অন্তর্বর্তীকালীন
সম্মান ও অর্জন
- চ্যাম্পিয়ন (১): ২০০৩
- রানার আপ (২): ১৯৯৯, ২০০৫
- দক্ষিণ এশীয় গেম্স
- স্বর্ণ পদক (২): ১৯৯৯, ২০১০
- সিলভার পদক (৪): ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৯, ১৯৯৫
- ব্রোঞ্জ পদক (১): ১৯৯১
- কু-আইদ-এ-আজম আন্তর্জাতিক কাপ
- রানার আপ (১): ১৯৮৫
- ৩- য় স্থান(১): ১৯৮৭
- চার-দেশীয় আন্তর্জাতিক প্রস্তাবনামুলক ফুটবল টুর্নামেন্ট মিয়ানমার ১৯৯৫
- চ্যাম্পিয়ন (১): ১৯৯৫
বহিঃসংযোগ
- (ইংরেজি) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- (ইংরেজি) বাংলাদেশ ফিফা.কম এ।