ভারত জাতীয় ফুটবল দল
ভারত জাতীয় ফুটবল দল ভারতের জাতীয় ফুটবল দল এবং এর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। এটি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এবং ফিফা এর সদস্য।
![]() | |||
ডাকনাম(সমূহ) | নীল বাঘ (Blue Tiger) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | এএফসি (এশিয়া) | ||
প্রধান কোচ | ![]() | ||
অধিনায়ক | সুনীল ছেত্রী | ||
স্বাগতিক স্টেডিয়াম | যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, বিধাননগর জওয়াহারলাল নেহেরু স্টেডিয়াম, দিল্লি | ||
ফিফা কোড | IND | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৯৬ | ||
সর্বোচ্চ | ৯৪ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬) | ||
সর্বনিম্ন | ১৬৫ (মার্চ ২০০৭) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১৬০ | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (লন্ডন, ইংল্যান্ড; জুলাই ৩১, ১৯৪৮) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (বাঙ্গালোর, ভারত; ডিসেম্বর ১৬, ১৯৬৩) ![]() ![]() (নয়া দিল্লী, ভারত; আগস্ট ১৭, ২০০৭) | |||
বৃহত্তম হার | |||
![]() ![]() (মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন; সেপ্টেম্বর ১৬, ১৯৫৫) | |||
এএফসি এশিয়ান কাপ | |||
উপস্থিতি | ২ (প্রথম ১৯৬৪) | ||
সেরা সাফল্য | রানার্স-আপ, ১৯৬৪ |
বাছাইপর্বে তাদের সকল প্রতিদ্বন্দ্বী খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে ১৯৫০ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ভারত অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিল।[1]
১৯৫৬ সালের অলিম্পিকে ভারত চতুর্থ অবস্থান লাভ করে এবং ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে তারা স্বর্ণ পদক জিতে নেয়। তারা পরবর্তী দুই এশিয়ান গেমস এশিয়ান গেমসের সেমি-ফাইনালে উন্নীত হয়েছিল। এই যুগ ভারতের ফুটবলের স্বর্ণযুগ হিসেবে খ্যাত।
ভারতের সর্বশেষ সাফল্য হচ্ছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কাপ জেতা, ২০০২ সালে ইংরেজ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এর অধীনে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত এলজি কাপ জয়, এবং ২০০৭ সালে ববি হাফটনের অধীনে নেহেরু কাপ জেতা।
বর্তমানে ভারত দলের কোচের দায়িত্বে আছেন ববি হাফটন যিনি ২০০৬ সালের জুনে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ইনি ৩০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত আছেন এবং আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্য প্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে যথেষ্ট সফল ছিলেন।
ভারতের জার্সির নির্মাতা হচ্ছে নাইকি।
ইতিহাস
হোমগ্রাউন্ড
জার্সি
বর্তমান টেকনিক্যাল স্টাফ

খেলোয়ারেরা
গাঢ় রঙে প্রথম পছন্দের খেলোয়াড় কে বোঝানো হয়েছে।
বর্তমান খেলোয়ারেরা
নাম | জন্মস্থান | রাজ্য | জাতীয় দলের সদস্য | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ | বিশেষত্ব |
---|---|---|---|---|---|
গোলরক্ষক | |||||
করণজিৎ সিং | হোশিয়ারপুর | - | ২০১০ | চেন্নাইয়িন এফসি | |
গুরপ্রীত সিং সিন্ধু | রূপনগর, পাঞ্জাব, ভারত | - | ২০১১ | বেঙ্গালুরু এফসি | |
অমরিন্দর সিং | মাহিলপুর, পাঞ্জাব, ভারত | - | ২০১৭ | মুম্বাই সিটি এফসি | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এ সর্বোচ্চ ভারতীয় সেভ |
বিশাল কাইথ | হিমাচল প্রদেশ | - | ২০১৮ | এফসি পুনে সিটি | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এ সর্বোচ্চ ভারতীয় স্বচ্ছ খাতা |
রক্ষণভাগের খেলোয়াড় | |||||
নারায়ণ দাস | ত্রিবেনী | পশ্চিমবঙ্গ | ২০১১ | এফসি গোয়া | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এ সর্বোচ্চ ভারতীয় আটক রক্ষন |
আদিল খান | গোয়া | গোয়া | ২০১২ | এফসি পুনে সিটি | |
সন্দেশ ঝিঙ্গান | চণ্ডীগড় | - | ২০১৫ | কেরালা ব্লাস্টার্স | |
প্রীতম কোটাল | উত্তরপাড়া কোতরং, হুগলী | পশ্চিমবঙ্গ | ২০১৫ | এটিকে | |
আনাস এড্যাথডিকা | মালাপ্পুরম | - | ২০১৭ | কেরালা ব্লাস্টার্স | |
জেরি লালরিনজুয়ালা | মিজোরাম | - | ২০১৭ | চেন্নাইয়ান এফসি | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এ সর্বোচ্চ ভারতীয় পাস |
লালরুয়াতথারা | মিজোরাম | - | ২০১৮ | কেরালা ব্লাস্টার্স | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এ সর্বোচ্চ ভারতীয় রক্ষন |
সুভাশিষ বোস | কলকাতা | পশ্চিমবঙ্গ | ২০১৮ | মুম্বাই সিটি এফসি | |
সালাম রঞ্জন সিং | মণিপুর | - | ২০১৮ | ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব | |
মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | |||||
জ্যাকিচাঁদ সিং | মণিপুর | মণিপুর | ২০১৫ | এফ সি গোয়া | |
রোওলিন বোর্জেস | দক্ষিণ গোয়া জেলা | - | ২০১৫ | নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি | |
প্রণয় হালদার | ব্যারাকপুর | পশ্চিমবঙ্গ | ২০১৫ | এটিকে | |
হোলিচরণ নার্জারি | কোকড়াঝাড় জেলা | - | ২০১৫ | নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি | |
উদান্তা সিং | মণিপুর | - | ২০১৬ | বেঙ্গালুরু এফসি | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এ সর্বোচ্চ ভারতীয় গোল সহায়তা |
মহম্মদ রফিক | কলকাতা | পশ্চিমবঙ্গ | ২০১৬ | কেরালা ব্লাস্টার্স | |
অনিরুদ্ধ থাপা | দেরাদুন | - | ২০১৭ | চেন্নাইয়ান এফসি | |
আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | |||||
সুনীল ছেত্ৰী | হায়দ্রাবাদ | - | ২০০৫ | বেঙ্গালুরু এফসি | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এ সর্বোচ্চ ভারতীয় গোলদাতা |
বলবন্ত সিং | হোশিয়ারপুর | - | ২০১০ | এটিকে | |
জেজে লালপেখলুয়া | হ্নাহথিয়াল | - | ২০১১ | চেন্নাইয়ান এফসি | ইন্ডিয়ান সুপার লীগ এ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভারতীয় গোলদাতা |
সুমিত পাস্সি | যমুনানগর | হরিয়াণা | ২০১৬ | জামশেদপুর এফসি | |
জব্বি জাস্টিন | তিরুবনন্তপুরম | কেরল | ২০১৯ | এটিকে | |
পূর্বের খেলোয়ারেরা
খেলা ও ফলাফল
২০১৫
২০১৬
তুলনামূলক রেকর্ডসমূহ
ফিফা বিশ্বকাপ রেকর্ড
- ১৯৫০ - মূল-পর্বে খেলার জন্য যোগ্য নির্বাচিত, কিন্তু প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার - স্বাগতিক ব্রাজিল ও বিশ্বকাপজয়ী ইতালি ছাড়া ইউরোপের ৭ টি, আমেরিকা থেকে ৬টি ও এশিয়া থেকে ১ টি দল নিয়ে মোট ১৬ টি দলের খেলার কথা হয়। ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে খালি পায়ে (কয়েকজন মোজা পড়ে খেলেছিলেন) ফুটবল খেলে ফ্রান্সের সাথে নির্ধারিত সময় অবধি ১-১ ড্র ও অতিরিক্ত সময়ে ১-২ গোলে হেরে গেলেও বিশ্ব ফুটবলে ভারতীয় দল সাড়া ফেলে দেয়। তাই এশিয়া থেকে যোগ্যতা অর্জন পর্বে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) এর সঙ্গে ভারতও ডাক পায়। প্রথম তিনটি দল অংশ নিতে না চাইলে ভারত বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। অথচ, ভারতের ফুটবল ফেডারেশন (AIFF), খেলার সূচী তৈরি (২২শে মে, ১৯৫০) হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় দলের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। কারণ হিসেবে, ব্রাজিল যাওয়া আসার খরচ, প্র্যাকটিস করার সময়ের অভাব, দল নির্বাচন নিয়ে সমস্যা ইত্যাদি নানা কারণ দেখায়।যদিও ফিফা পরিবহন খরচের অনেকটাই নিজেরা বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।[2]
এশিয়ান কাপ রেকর্ড
- ১৯৬৪ - রানার্স-আপ
সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন কাপ রেকর্ড
- ১৯৯৩ - বিজয়ী
- ১৯৯৫ - রানার্স-আপ
- ১৯৯৭ - বিজয়ী
- ১৯৯৯ - বিজয়ী
- ২০০৫ - বিজয়ী
এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ রেকর্ড
- ২০০৬ - কোয়ার্টার ফাইনাল
নেহরু কাপ রেকর্ড
- ২০০৭ - বিজয়ী
সম্মাননা
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- Prem Panicker Barefoot in Bengal and Other Stories. yfittopostblog.com (2010-06-14). Retrieved on 2012-01-21.
- https://sobbanglay.com/sob/india-in-1950-fifa-worldcup/