বিহসুদ জেলা
বিহসুদ জেলা (পশতু: بهسود, পূর্বে জালালাবাদ জেলা) (ফার্সি: ولسوالی بهسود) আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশের একটি জেলা। জেলাটির মধ্যে ৪০ টি প্রধান গ্রাম রয়েছে যা কাবুল নদীর উভয় পাশ জালালাবাদ শহরের কাছাকাছি অবস্থান করছে। পূর্বে জালালাবাদ জেলার শহরটি ছিল একটি অংশ ছিল কিন্তু ২০০৪ সালে শহরটি স্বাধীনভাবে পৌরসভা ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হতে থাকে। এছাড়া এটি কোন শহরের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত না হয়ে নিজস্ব নাম বিহসুদ জেলা নিয়ে আবির্ভূত হয়। জেলার মধ্যে মূলত কমলা, চাল এবং আখ চাষ করা হয় এবং রাজধানী শহর বিচ্ছিন্ন প্রকৃতির ফসল লক্ষ্য করা যায়। জেলাটি সারা বছরের দৈনন্দিন আবহাওয়া বহু দর্শনার্থীদের মনযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বিহসুদ জেলা Bihsud District بهسود | |
---|---|
District | |
বিহসুদ জেলার গ্রাম্য চিত্র যেটি উত্তর পাশ থেকে জালালাবাদের উত্তর পর্যন্ত | |
![]() বিহসুদ জেলা নঙ্গরহার প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। | |
দেশ | ![]() |
প্রদেশ | নাঙ্গারহার প্রদেশ |
সময় অঞ্চল | D† (আফগানিস্তান স্ট্যান্ডার্ড টাইম) (ইউটিসি+৪:৩০) |
২০০২ সালের আদমশুমারী হিসাবে অনুযায়ী, জনসংখ্যা ছিল ১২০,০০০ যার ৫৫% পশতুন ভাষা, ৪০% মানুষ আফগান আরব ভাষা এবং ৫% মানুষ তাজিক ভাষায় কথা বলে থাকেন। এখানকার মানুষের প্রাথমিক কর্মসংস্থান হচ্ছে কৃষিচাষ করা এবং পশুপালন করা।
ইতিহাস
গ্রিক-বৌদ্ধ যুগ
অতীতে জালালাবাদ ছিল প্রাচীন গ্রীক-বৌদ্ধদের প্রধান কেন্দ্র শহর। বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীরা ফ্যাক্সিয়ান শহরে ৪০০ খ্রিষ্টাব্দে জেলাটি পরিদর্শন করেন এবং তাদের ভ্রমণব্যবস্থায় বর্ণিত যে, অনেক বৌদ্ধগনের আশ্রয়স্থল এলাকা ছিল এটি। জেলাটির মধ্যে হদ্দু শহরের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি অবস্থিত এবং বৌদ্ধ মূর্তিগুলির সাথে কনিষ্কের সময় থেকে বৌদ্ধদের কেন্দ্রস্থল ছিল যেগুলি প্রায় ছেষ্টি ফুট উচ্চতা বিরাজমান ছিল।[1]
ইসলামিক বিজয়ের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত, কপিসির বৌদ্ধ রাজত্ব বামিয়ান থেকে জালালাবাদ জেলা পর্যন্ত প্রসারিত করেছিলেন।[2]
যোগাযোগ ব্যবস্থা
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে জালালাবাদ জেলায় ইন্টারনিউজ রেডিও শরফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট নামে একটি রেডিও স্টেশন স্থাপন করেন।[3]
২০০৭ সালের ১লা আগষ্ট তারিখে, নতুন জেলা কমিউনিকেশনস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। আফগানিস্তানের কনস্যুলেট ফোর্সেস কমান্ড কর্তৃক জেলা কমিউনিকেশনস সেন্টার এর নির্মাণ কাজ প্রায় নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু সমাপ্তির তত্ত্বাবধানের জন্য নঙ্গারার প্রাদেশিক পুনর্গঠন দল (পিআরটি) হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে কাজগুলি সমাপ্তির জন্য নঙ্গারার প্রাদেশিক পুনর্গঠন দল (পিআরটি) এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। নতুন ভবনের নির্মাণকাজ নানগারারের পিআরটি থেকে শুরু করে আমিরিজি সেঙ্গি পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।[4]
কৃষি
২০০৭ সালের জুন মাসে দুধ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি মেল গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে জালালাবাদ জেলায় অন্যতম একটা এলাকা হিসেবে মর্যাদা পায়। একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, শহরটির কাছাকাছি এলাকায় নতুনভাবে উৎপাদিত দুদ্ধজাত দ্রব্যাদি ও স্থানীয় বাজার যথাযথভাবে পরিবেশন করা এবং পাশ্ববর্তী রাজ্য কাবুল বা পাকিস্তানের মধ্য সামগ্রীসমূহ বিক্রি করা।[5]
তথ্যসূত্র
- Pratapaditya Pal, Los Angeles County Museum of Art. Indian sculpture: a catalogue of the Los Angeles County Museum of Art collection, Volume 0. University of California Press, 1986
- Ramesh Chandra Majumdar. The Arab invasion of India. Sheikh Mubarak Ali, 1974
- Sanjar Qiam. Independent Radio in Afghanistan. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ জুন ২০০৯ তারিখে Internews Initiatives, Afghanistan. August 2004.
- Spc. Henry Selzer. Afghans take ownership of Jalalabad District Communications Center ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে 173rd ABCT Public Affairs. September 1, 2007.
- John J. M. Bonnier Study on Dairy Production and Processing in Afghanistan ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে. Horticulture and Livestock Project/HLP Ministry of Agriculture, Irrigation and Livestock/MAIL Afghanistan. June 2007.
বহিঃসংযোগ
- Map of Jalalabad district (AIMS) (PDF)
- UNHCR District Profile, dated 2002-04-08, accessed 2006-07-18 (PDF).
- UNHCR District Assessment: Behsud District