বিনোদপুর ইউনিয়ন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বিনোদপুর রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। শিবগঞ্জ পৌরসভা থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত।

বিনোদপুর
ইউনিয়ন
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
উপজেলাশিবগঞ্জ উপজেলা
আয়তন
  মোট২৭.০৯৭৭৫ কিমি (১০.৪৬২৫০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট৪২,০১৪
সাক্ষরতার হার
  মোট৬০ %
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

বিনোদপুর ইউনিয়ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা, শিবগঞ্জ উপজেলা এর ১১ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এ ইউনিয়নের উত্তরে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ এবং শাহ্‌বাজপুর ইউনিয়ন, দক্ষিণে মনাকষা ইউনিয়ন, পূর্বে শ্যামপুর ইউনিয়ন, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

সড়ক পথ- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর হইতে সম্পূর্ন পাকা সড়ক পথে ১৯ কিঃমিঃ চলার পর শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ তারপর আবার সড়ক পথে ১১ কিঃমিঃ চলার পর অত্র বিনোদপুর ইউনিয়নে আসা যায়। নদী পথ- মহানন্দা ও পাগলা নদী পথে অত্র ইউনিয়নে আসা যায়।

প্রশাসনিক এলাকা

বিনোদপুর ইউনিয়নে গ্রামের সংখ্যা ২৩টি, মৌজার সংখ্যা ১২টি।

গ্রামসমূহঃ
  • সাধারীটোলা
  • কবিরাজটোলা
  • এরাদত বিঃ টোলা
  • জমিনপুর
  • কালিগঞ্জ
  • টাপ্পু
  • রাধানগর
  • রসুনচক
  • খোন্দা
  • একবরপুর
  • পাঁকাটোলা
  • আইরামারী
  • বিশ্বনাথপুর
  • কিরনগঞ্জ
  • সাতরশিয়া
  • লছমানপুর
  • কামাত
  • চাঁদশিকারী

ইতিহাস

একসময় লাক্ষার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী বর্ধিষ্ণু গ্রাম বিনোদপুরকে বলা হতো ‘সোনার বিনোদপুর’। এখানকার লাক্ষাচাষিদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ঈর্ষা করত আশপাশের গ্রামের লোকজন। নানা গল্প প্রচলিত ছিল বিনোদপুরের লাক্ষাচাষিদের ‘টাকার গরম’ নিয়ে।

বিনোদপুরে চাষিদের দেখাদেখি পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ছড়াতে থাকে লাক্ষার চাষ। চাহিদা বৃদ্ধি ও লাক্ষার অপার সম্ভাবনা দেখে ১৯৬১ সালে কৃষি বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০০ বিঘা জমির ওপর লাক্ষা বীজের খামার স্থাপন করে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৮৫ সালে স্থাপন করে দেশের একমাত্র লাক্ষা গবেষণা কেন্দ্র। কিন্তু চারপাশে আমবাগানে কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি ও লাক্ষা বিপণনের ক্ষেত্রে চোরাচালানের অজুহাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে চাষি হয়রানির কারণে ক্রমে লাক্ষা হারিয়ে যায় বিনোদপুর থেকে। হারিয়ে যায় লাক্ষার সোনালি দিন।

১৯৭১ এ বিনোদপুরের রয়েছে এক স্বর্ণজ্জল ইতিহাস। এই এলাকার অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাগণ যেভাবে পাক হানাদার দের সামনে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন জাতি তা মনে রাখবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আমজাদ হোসেন (বিডিয়ার) ও লালূ মহাম্মদ এর মুক্তিযুদ্ধে অসীম সহসিকতার কাহিনী গুলো আজও মানুষের মুখে মুখে কিংবদন্তির মত ছড়িয়ে রয়েছে।

জনসংখ্যা[1]

ওর্য়াড নংগ্রাম সমূহলোক সংখ্যা
০১জমিনপুর,কিরনগঞ্জ,নামোটোলা৫২৮৭
০২রাধানগর,বাবলাবোনা,টাপ্পু৪৬২৩
০৩কালিগঞ্জ,সুজাপুর,ইঃবিঃটোলা৪২৬১
০৪লছমানপুর,কামাত,চাঁদশিকারী৪৫৫৩
০৫বিনোদপুর(বাজার),কবিরাজটোলা,সাধারীটোলা,এরাদত বিঃটোলা৪০০৭
০৬পাঁকাটোলা,একবরপুর,রসুনচক৪২১০
০৭পাঁকাটোলা,একবরপুর,রসুনচক৪৫২৯
০৮ক্যাপড়াটোলা,লজিবটোলা, আইড়ামারী৪০৬৯
০৯বিশ্বনাথপুর,বাখরালী৪৫৪২

শিক্ষা

২০০১ সালের শিক্ষা জরীপ অনুযায়ী এখানকার শিক্ষার হার ৬০%। এখানে রয়েছেঃ

  • সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় - ৮টি,
  • বে-সরকারী রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয় - ৯টি,
  • কলেজ - ১টি,
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৭টি
  • মাদ্রাসা - ৪টি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ

কৃতী ব্যক্তিত্ব

  • মোহাঃ তাহাস উদ্দীন- প্রফেসর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
  • মুহাম্মাদ মিজানউদ্দিন - উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
  • মোহাঃ শারওয়ার জাহান- প্রফেসর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
  • ড.সারোয়ার জাহান - শিক্ষাবিদ;
  • রফিকুল আলম - বাংলাদেশের প্রথিতযশা সঙ্গীত শিল্পী;
  • ড. মোহা.এমরান হোসেন - ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "গ্রামভিত্তিক লোকসংখ্যা"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.