বড়াইগ্রাম উপজেলা

বড়াইগ্রাম বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

বড়াইগ্রাম
উপজেলা
বড়াইগ্রাম
বাংলাদেশে বড়াইগ্রাম উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৮′২৭″ উত্তর ৮৯°১০′০″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলানাটোর জেলা
আয়তন
  মোট২৯৯.৬ কিমি (১১৫.৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট২,৯৪,৭২৩[1]
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৬৯ ১৫
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান

বড়াইগ্রাম উপজেলার আয়তন ২৯৯.৬১ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে গুরুদাসপুর উপজেলা এবং নাটোর সদর উপজেলা, দক্ষিণে পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলাঈশ্বরদী উপজেলা, পূর্বে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলা, পশ্চিমে লালপুর উপজেলাবাগাতিপাড়া উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

বড়াইগ্রাম থানা সৃষ্টি হয় ১৮৬৯ সালে ও থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। নির্বাচনী এলাকা-৬১- নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম। ইউনিয়ন-০৭টি (সাত)

  1. জোয়ারী
  2. বড়াইগ্রাম
  3. জোনাইল
  4. নগর
  5. গোপালপুর
  6. চান্দাই
  7. মাঝগাঁও
*পৌরসভা-০২টি 
  1. বড়াইগ্রাম
  2. বনপাড়া
  • মৌজা-১৫২ টি
আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ-২৬,২০৯ হেক্টর । সরকারী হাসপাতাল-০১ টি । স্বাস্থ্য কেন্দ্র/ক্লিনিক-০৬ টি / ৩২ টি । বেসরকারী ক্লিনিক-০৫ টি । পোষ্ট অফিস-১৯ টি । নদ-নদী-০২ টি । হাট-বাজার-২১ টি । ব্যাংক-১৩ টি ।

ইতিহাস

বড়াইগ্রাম উপজেলার নামকরণ সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কিছু জানা যায় না। এ উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বড়াল নদীর দুটি শাখা। উপজেলার অধিকাংশ গ্রামই বড়াল নদীর দুই ধারে অবস্থিত সে কারণে একে বড়ালগ্রাম বলা হত। কালক্রমে বড়াল নদী থেকেই বড়াইগ্রামের উৎপত্তি হয়েছে। এককালের খালে ভরা জঙ্গলাবৃত্ত স্থানটুকুই বর্তমানে বড়াইগ্রাম নামে পরিচিত।

সেসময়ে এ অঞ্চলে শিক্ষিত পরিবার ছিল জোয়াড়ীর বিশি পরিবার, দ্বারীকুশির জমিদার পরিবার, নগরের রায় পরিবার এবং কালিকাপুরের জমিদার পরিবার। বিশি পরিবারেরই বাংলার প্রখ্যাত লেখক প্রমথ নাথ বিশি। আর শিক্ষিত পরিবার ছিল হারোয়ার চক্রবর্তী পরিবার।

জনসংখ্যার উপাত্ত

জনসংখ্যা-২,৯৪,৭২৩ । ৯৮২ জন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ।

শিক্ষা

  1. জোনাইল এম.এল. উচ্চ বিদ্যালয়
  • বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
  • জোনাইল ডিগ্রী কলেজ
  • জোনাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • পিওভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • দ্বারিকুশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • দ্বারিকুশী প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ
  • বনপাড়া ডিগ্রী কলেজ।
  • কালিকাপুর-বনপাড়া কৃষি ও কারিগরি কলেজ।
  • আহম্মেদপুর ডিগ্রী কলেজ।
  • রামাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় স্হাপিত: ১৯৯৩ ইং।
  • রামাগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
  • আহমেদপুর এম, এইচ উচ্চ বিদ্যালয়
  • ধানাইদহ ফাজিল মাদ্রাসা, স্থাপিত:১৯৪৭ সাল।
  • মৌখাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।
  • সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়।
  • বড়াইগ্রাম অনার্স কলেজ
  • রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • রাজাপুর ডিগ্রী কলেজ
  1. জোনাইল মহিলা কলেজ

অর্থনীতি

ফসল: রসুন, আখ, ধান, মোমকালাই, গম, মসুর, ভুট্টা ইত্যাদি।

  • জোনাইল বাজার পাট,রসুন, পেঁয়াজ,ধান, গম, নারিকেল, কলা, আম, কাঁঠালসহ নানারকম কৃষি পন্য ও ফল ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বিখ্যাত।
  • বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে যে পরিমান খেজুর গুড় বিক্রয় হয় তা সারা বাংলাদেশে বাজারজাত করা হয়।
  • মৌখড়া হাট, রসুনের জন্য বিখ্যাত।
  • লক্ষীকোল বাজার রসুন কেনাবেচার জন্য বিখ্য্যাত।
  • পুকুরের মাছ চাষের জন্য বড়াইগ্রামের সুখ্যাতি রয়েছে।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

  • প্রমথ নাথ বিশি।
  • নীল মাথিউস পল্লব।
  • আব্দুল বারী

দর্শনীয় স্থান

  • জোয়াড়ী বিশি বাড়ী
  • বনপাড়া লুর্দের রাণী মা মারিয়া ধর্মপল্লী
  • মারীয়াবাদ ধর্মপল্লী[2]
  • রামাগাড়ী কাঁচারী বাড়ী ও রামাগাড়ী বাজারে প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো একটি বট গাছ রয়েছে।
  • রামাগাড়ী সুইটগেট (আটঘড়ীয়া)।
  • মৌখাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।

বিবিধ

প্রাচীন ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অন্যান্য উপজেলা হতে বড়াইগ্রাম উপজেলাকে সহজেই পৃথক করা যায়। এক সময়ের বড়াইগ্রাম উপজেলা হেড কোয়ার্টার বনজঙ্গলে ভরা ছিল। বনপাড়া-পাবনা মহাসড়ক এ্বং বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে বড়াইগ্রাম উপজেলার গুরুত্ব অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বৃদ্ধি পায়। বড়াইগ্রাম উপজেলার শতকরা ৮০ ভাগ লোক কৃষিজীবি। খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। শীতে এখানে প্রচুর খেজুরের গুড় উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করা হয।  এলাকার উঁচু জমিতে সারা বছর বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি জন্মে। বর্ষায় বিস্তীর্ণ এলাকার ধান ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়। এতে নানা রকম দেশী মাছের সমারোহ দেখা যায়। অনেক পূর্ব হতেই বড়াইগ্রামের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। ফলে কৃষিজাত পণ্য, মাছ,ফল ও শাক সবজী দেশের অন্যত্র প্রেরণ সহজ হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ২৬২০৯ হেকটর আবাদী জমি রয়েছে। এখানকার মাটি বেশ উর্বর। প্রায় ১০০% জমি সেচ সুবিধার আওতায় রয়েছে। [3]

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বড়াইগ্রাম"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৪
  2. http://baraigram.natore.gov.bd/site/page/f81d836b-1aaf-11e7-8120-286ed488c766/%E0%A6%8F%E0%A6%95%20%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%AC%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%20%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.