দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল
দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দল বা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল (ইংরেজি: South Africa national cricket team) বহিঃবিশ্বে দ্য প্রোটিয়াস নামেও খ্যাত। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থা ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা বা সাউথ আফ্রিকা দলটি পরিচালিত হচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা | |
---|---|
![]() দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ক্রেস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ক্রেস্ট | |
টেস্ট মর্যাদা | ১৮৮৯ |
প্রথম টেস্ট | বনাম ![]() |
অধিনায়ক | টেস্ট: হাশিম আমলা ওডিআই: ফাফ ডু প্লেসিস টি২০আই: ফাফ দু প্লেসিস |
কোচ | ![]() |
আইসিসি টেস্ট, ওডিআই এবং টি২০আই র্যাঙ্কিং | টেস্ট ক্রিকেট: ১ম, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট: ৩য়, টি২০: ৬ষ্ঠ[1] |
টেস্ট ম্যাচ – বর্তমান বছর | ৩৯০ ১ |
সর্বশেষ টেস্ট | বনাম ![]() |
জয়/পরাজয় – বর্তমান বছর | ১৪৪/১২৯[2] ১/০[3] |
২২ জুন, ২০১৫ পর্যন্ত |
দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি'র পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে টেস্ট ক্রিকেট, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের অধিকারী। গত শতকের মধ্য নব্বুইয়ের দশক থেকে অদ্যাবধি প্রোটিয়াসরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চোকার্স নামে খ্যাত। কেননা, তারা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তারা খুব শক্তিশালী দল হয়েও এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।[4][5]
১৩ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত আফ্রিকান দলটি ৩৭৯টি টেস্টে অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে জয় পায় ১৩৮টি (৩৬.৪১%), পরাজয় ১২৭টি (৩৩.৫১%) এবং ড্র করে ১১৪টি (৩০.০৮%)।[6]
১৩ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ৪৯৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে জয় পায় ৩০৭টি (৬১.৬৫%), পরাজয় ১৭২টি (৩৪.৫৪%), ড্র করে ৬টি (১.২০%) এবং ফলাফল হয়টি ১৩টি (২.৬১%)।[7]
২৮ আগস্ট, ২০১২ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি প্রথম দল হিসেবে তিন ধরনের ক্রিকেটেই বিশ্বের ১নং দলের মর্যাদা লাভ করেছিল।[8]
ইতিহাস

১৯৭০ সালে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রদান করে ঐ দেশের সরকারের বর্ণবাদ নীতির কারণে। দলটি শুধুমাত্র শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই খেলবে - দক্ষিণ আফ্রিকান সরকারের এ ঘোষণার বিরুদ্ধে আইসিসি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। ফলে, গ্রেইম পোলক, ব্যারি রিচার্ডস, মাইক প্রোক্টরের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়াও, অ্যালান ল্যাম্ব, রবিন স্মিথের ন্যায় উদীয়মান ক্রিকেটাররাও অভিবাসিত হয়ে ইংল্যান্ড এবং কেপলার ওয়েসেলস অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেন। পরবর্তীতে অবশ্য কেপলার ওয়েসেলস পুণরায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার কর্তৃক দেশ পুণর্গঠনের প্রেক্ষাপটে ১৯৯১ সালে আইসিসি দলটির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। ১৯৭০ সালের পর ১মবারের মতো ১০ নভেম্বর, ১৯৯১ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে কলকাতায় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে দলটি।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে পুণরায় সদস্য পদ বহাল রাখার পরপরই তারা মিশ্র সফলতা অর্জন করে। ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নির্বাচিত করে আইসিসি। অধিকন্তু, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও বিশ্বাসযোগ্য যে - অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, গ্যারি কার্স্টেন এবং হান্সি ক্রোনিয়ের মতো স্বীকৃত খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও চোকার্স হিসেবে দলটি আখ্যায়িত হয়। বিশ্বকাপে তিন বার দলটি সেমি-ফাইনালে খেললেও ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয়। বিশেষতঃ ১৯৯৯ সালে সুপার সিক্স পর্যায়ে হার্সেল গিবস কর্তৃক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ'র ক্যাচ ফেলে দেয়াটা ছিল স্মরণীয় ঘটনা।
১৯৯০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে যে-কোন দলের বিপক্ষে জয়ের দিক দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গড়ের অধিকারী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাসত্ত্বেও দলটি ১৯৯৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব পেরোতে ব্যর্থ হয়। ২০০৩ সালে শিরোপা প্রত্যাশী দলের একটি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলটি ১ রানের জয়ের ভুল বুঝাবুঝিতে গ্রুপ পর্যায় উৎরাতে পারেনি।
এছাড়াও তারা অন্যান্য বিশ্ব প্রতিযোগিতা হিসেবে ২০০২ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারেনি।[9]
অ্যালান ডোনাল্ডের অবসর, হ্যান্সি ক্রোনিয়ের পাতানো খেলার পর বিমান দূর্ঘটনায় অকালমৃত্যু এবং শন পোলকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের প্রেক্ষাপটে দলটি আরো একবার পরিবর্তনের ধাক্কায় পড়ে। অধিনায়ক হিসেবে গ্রেইম স্মিথ নিজ দায়িত্ব পালন করেন এবং তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন জাক কালিস, অ্যাশওয়েল প্রিন্স প্রমূখ। ১২ জুলাই, ২০০৬ তারিখে ২৯ বছর বয়সী অ্যাশওয়েল প্রিন্স প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি হিসেবে একদা শ্বেতাঙ্গ দল হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বর্ণ কোটার প্রেক্ষাপটে তাকে দলে কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় হিসেবে নেয়া হয়। কিন্তু ২০০৭ সাল থেকে এ নীতিটির পরিবর্তন হয়েছে।[10]
কীর্তিগাঁথা
টেস্ট ক্রিকেটে
- ১৯৩৫ সালে ডেভ নোর্স জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে টেস্টে ২৩১ রান করে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন।[11]
- ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল ইংল্যান্ড সফর করে। নটিংহ্যামে অনুষ্ঠিত টেস্টে অধিনায়ক অ্যালেন মেলভিলে ও সহ-অধিনায়ক ডেভ নোর্স ৩য় উইকেটে ৩১৯ রান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। পরের বছর ৩৮ বছর বয়সী নোর্স অধিনায়ক হয়ে এমসিসি'র টেস্ট ম্যাচ খেলেন।[11]
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
- দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি পরবর্তীতে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষের রান টপকিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়ে। ২০০৬ সালে ৫ম খেলায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার রানকে অতিক্রম করে ৪৯.৫ ওভারে ৪৩৮/৯ এবং ১ উইকেটে জয়ী হয়। এর মাধ্যমেই একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে অনেকগুলো সেরা খেলার একটি হিসেবে বিবেচিত এ খেলাটি।
- ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মোহালীতে অনুষ্ঠিত খেলায় ২৩১ রানের বিরাট ব্যবধানে নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জয়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপে যে-কোন দলের বিপক্ষে ৪র্থ বড় বিজয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিজয়। এছাড়াও ৩ মার্চ, ২০১১ইং তারিখের এ খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টি তাদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২য় বড় বিজয়।
- ৮৭ রান করে জেপি ডুমিনি-কলিন ইনগ্রাম জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বিশ্বকাপে ৬ষ্ঠ উইকেটে তাদের সর্বোচ্চ রান করে। অথচ, ১৯৯৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হান্সি ক্রোনিয়ে-শন পোলকের গড়া ১৩৭ রানের জুটিই তাদের ৬ষ্ঠ উইকেটে সেরা। বিশ্বকাপে ৭মবারের মতো একশত বা তারও বেশি রানে জয়ী হয় দলটি।
টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ
দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজিত হবার রেকর্ড রয়েছে বড় কোন টুর্ণামেন্ট জয়ের। যেমন : ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমি-ফাইনালে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে তারা হারে। ১৩ বলে ২২ রানের প্রয়োজন হলেও এ পদ্ধতির কারণে বৃষ্টি শেষ হলে জয়ের জন্য তাদের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১ বলে ২২ রান।
১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপে ১ম হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে সুপার সিক্স ম্যাচের শেষ খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয় দলটি।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে স্বাগতিক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় জয়লাভের জন্য কত রান করতে হবে তা জানতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নেয় দলটি। এরফলে অধিনায়ক হিসেবে শন পোলক অধিনায়কত্ব থেকে অব্যহতি নেন ও গ্রেইম স্মিথের অধিনায়কত্বে খেলা চালিয়ে যান। স্মিথের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফলকাম হয়। কিন্তু, কয়েক মাসের মধ্যেই অনেক তারকাখচিত খেলোয়াড়ের অবসরজনিত কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তন্মধ্যে- ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড, একদিনের ক্রিকেটে অভিজ্ঞ জন্টি রোডস অন্যতম। ফলশ্রুতিতে ২০০৪ সালে একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধেই কেবল জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১৪৯ রানে অল-আউট হয় যা বিশ্বকাপে তাদের সর্বনিম্ন রান হিসেবে রেকর্ডের খাতায় নাম লেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। ফলে, অস্ট্রেলিয়া খুব সহজেই ৭ উইকেটে জয়ী হয়। দলটি সেরা দলগুলোর একটি হলেও এখনো বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয় করতে পারেনি।
২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১০ম আসরে বি গ্রুপে প্রতিটি দলকেই তারা অল-আউট করে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে নাটকীয়ভাবে ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামে এবং ৬৮ রান নিতেই তারা ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে। ফলে, নিউজিল্যান্ড দল জয়ী হয়। এ পরাজয়ের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আবারো প্রমাণ করলো যে, নক-আউটভিত্তিক খেলায় তারা কখনো জিততে পারেনি এবং সর্বত্র চোকার্স নামেই তাদের অপবাদ হয়েছে।[12][13][14][15]
প্রতিযোগিতার ইতিহাস
বিশ্বকাপ ক্রিকেট
১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হয় এবং আইসিসি সদস্যভূক্ত দেশ ছিল না বিধায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা পর্যন্ত অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায়। পরবর্তীতে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে দলটি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ১ম অংশগ্রহণ করে ১৯৯২ সালে।
- ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট: সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়;
- ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট: কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজিত হয়;
- ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট: সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়;
- ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট: প্রথম রাউন্ড উত্তীর্ণ হতে পারেনি;
- ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট: সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়;
- ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট: কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়।
আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০
- ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০: সুপার এইট পর্বে অংশগ্রহণ;
- ২০০৯ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০: সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ;
- ২০১০ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০: সুপার এইট পর্বে অংশগ্রহণ;
- ২০১২ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০: সুপার এইট পর্বে অংশগ্রহণ;
- ২০১৪ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০: সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ।
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
- ২০০২ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ;
- ২০০৪ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম রাউন্ডে বিদায়;
- ২০০৬ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ;
- ২০০৯ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম রাউন্ডে বিদায়;
- ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ।
আইসিসি নক-আউট পর্ব
- ১৯৯৮ সালের আইসিসি নক-আউট ট্রফি বিজয়ী;
- ২০০০ সালের আইসিসি নক-আউট ট্রফি'র সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ।
কমনওয়েলথ গেমস
১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দল স্বর্ণপদক লাভ করে।
খেলোয়াড়গণের তালিকা
বিগত বছরগুলোতে যারা দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে খেলেছেন, নীচের তালিকায় তাদের নাম ও কোন স্তরে তারা খেলেছেন তা উল্লেখ করা হলো। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক দলে খেলার জন্য ১৭জন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করে।[16] চুক্তিতে উপনীত না হওয়া খেলোয়াড়েরাও দলে নির্বাচিত হতে পারেন। এ সকল খেলোয়াড়গণ যদি নিয়মিতভাবে দলে নির্বাচিত হন, তাহলে তারাও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা’র সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবে।
খেলোয়াড়ের নাম | বয়স | ব্যাটিংয়ের ধরণ | বোলিংয়ের ধরণ | অভ্যন্তরীণ দল | খেলার স্তর | জার্সি নং |
---|---|---|---|---|---|---|
টেস্ট, ওডিআই ও টুয়েন্টি২০ অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান | ||||||
ফ্রাঙ্কোইজ দু প্লেসিস | ৩৫ বছর, ১৬০ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ডানহাতি লেগ ব্রেক | চেন্নাই সুপার কিংস | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | ২৮ |
ব্যাটসম্যান | ||||||
এবি ডি ভিলিয়ার্স | ৩৫ বছর, ৩০৬ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | ১৭ |
হাশিম আমলা | ৩৬ বছর, ২৬৪ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | কেপ কোবরাস | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | ১ |
জেপি ডুমিনি | ৩৫ বছর, ২৫০ দিন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | অফ-স্পিন | মুম্বই ইন্ডিয়ান্স | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | ২১ |
ডেভিড মিলার | ৩০ বছর, ১৯৩ দিন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | অফ-স্পিন | কিংস এলেভেন পাঞ্জাব | ওডিআই, টি-২০ | ৩৬ |
ডিন এলগার | ৩২ বছর, ১৯২ দিন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | লেফট আর্ম অর্থোডক্স স্পিন | নাইটস | টেস্ট | |
কলিন ইনগ্রাম | ৩৪ বছর, ২৮৮ দিন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | লেগ স্পিন | ওয়ারিয়রস্ | ওডিআই | ৪১ |
ফারহান বেহার্ডিন | ৩৬ বছর, ১০১ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | টাইটান্স | টি-২০ | ২৪ |
উইকেট-রক্ষক | ||||||
কুইন্টন ডি কক | ২৭ বছর, ৩ দিন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর | ওডিআই, টি২০আই | ||
অল-রাউন্ডার | ||||||
ভার্নন ফিল্যান্ডার | ৩৪ বছর, ১৭৯ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | কেপ কোবরাস | টেস্ট, ওডিআই | ২৪ |
ক্রিস মরিস | ৩২ বছর, ২৩৪ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | ২ |
বিউরেন হেনড্রিক্স | ২৯ বছর, ১৯৫ দিন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | কেপ কোবরাস | টি-২০ | |
পেস বোলার | ||||||
ডেল স্টেইন | ৩৬ বছর, ১৭৬ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | কেপ কোবরাস | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | ৮ |
লনয়াবো সতসবে | ৩৫ বছর, ২৮৮ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | বামহাতি ফাস্ট বোলিং | লায়ন্স | ওডিআই, টি-২০ | |
মরনে মরকেল | ৩৫ বছর, ৭৫ দিন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | ডানহাতি ফাস্ট বোলিং | টাইটানস্ | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | ৬৫ |
কাইল এ্যাবট | ৩২ বছর, ১৮৫ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | ডলফিন্স | টেস্ট, টি২০ | |
ওয়েন পার্নেল | ৩০ বছর, ১৪৩ দিন | বামহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | কেপ কোবরাস | ওডিআই, টি-২০ | ৯৪ |
কাগিসো রাবাদা | ২৪ বছর, ২০৯ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | |
লুঙ্গি এনগিডি | ২৩ বছর, ২৬৬ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | ফাস্ট বোলিং | চেন্নাই সুপার কিংস | টেস্ট, ওডিআই, টি-২০ | |
স্পিন বোলার | ||||||
ইমরান তাহির | ৪০ বছর, ২৬৮ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | লেগ স্পিন | চেন্নাই সুপার কিংস | টেস্ট, ওডিআই, টি২০আই | ৯৯ |
এ্যারন ফাঙ্গিসো | ৩৫ বছর, ৩৩৩ দিন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | বামহাতি অর্থডোক্স স্পিন | লায়ন্স | টি-২০ | ৬৯ |
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "ICC rankings - ICC Test, ODI and Twenty20 rankings"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৫।
- "Results summary"। Stats.espncricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-২৪।
- "Records | 2012 - South Africa | Records by calendar year"। Stats.espncricinfo.com। অজানা প্যারামিটার
|http://stats.espncricinfo.com/southafrica/engine/records/team/results_summary.html?class=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); - Cricinfo Until we win world cup, the chokers tag will stay - Herschelle Gibbs retrieved on 3 November 2010
- Cricinfo Suffocating on the big stage retrieved on 3 November 2010
- Cricinfo Test Team Records page retrieved on 22 December 2010
- Cricinfo ODI retrieved 21 July 2013
- McGlashan A (2012), Amla ton leads SA to third No. 1 spot, ESPN Sports Media Ltd., retrieved 25 September 2013, <http://www.espncricinfo.com/england-v-south-africa-2012/content/story/579730.html>
- South Africa choke on their lines again Hugh Chevallier in Durban 20 September 2007 Cricinfo
- South Africa Remove Racial Quotas 7 November 2007 BBC Sport
- The Times, 27 October 1948, Cricket South Africa's Captain
- http://www.kingcricket.co.uk/south-africa-choke-in-1999-world-cup-semi-final-against-australia/2007/09/21/
- http://www.cricket-blog.com/archives/2007/04/26/South-Africa-choke-Australia-to-meet-Sri-Lanka-in-final/
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১১।
- "De Kock, Miller in as CSA trims contracts list"।