থিম্ফু
থিম্পু ভুটানের পশ্চিম অংশে অবস্থিত দেশটির রাজধানী শহর। শহরটি হিমালয় পর্বতমালার একটি উঁচু উপত্যকায় অবস্থিত। থিম্পু শহরটি আশেপাশের উপত্যকা এলাকায় উৎপাদিত কৃষি দ্রব্যের একটি বাজার কেন্দ্র। এখানে খাবার ও কাঠ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। থিম্পু দেশের অন্যান্য অংশ এবং দক্ষিণে ভারতের সাথে একটি মহাসড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে সংযুক্ত। তবে শহরটির সাথে কোন বিমান যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। থিম্পুতে ভুটানের রাজপ্রাসাদ এবং দেশের বৃহত্তম বৌদ্ধমন্দিরগুলির একটি অবস্থিত। অতীতে থিম্পু দেশটির শীতকালীন রাজধানী ছিল (পুনাখা ছিল গ্রীষ্মকালীন রাজধানী)। ১৯৬২ সালে শহরটিকে দেশের স্থায়ী প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত করা হয়।
থিম্পু | |
---|---|
![]() থিম্পু | |
![]() ![]() থিম্পু | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°২৮′০০″ উত্তর ৮৯°৩৮′৩০″ পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ![]() |
District | Thimphu District |
উচ্চতা | ৭৬৫৬ ফুট (২৩২০ মিটার) |
জনসংখ্যা (2005) | |
• মোট | ৯৮,৬৭৬ |
পরিবহন
রেলপথে
ভুটানে কোনো রেল পথ নেই। সড়কপথে ফুন্টসলিং গিয়ে , সেখানথেকে ভুটান পরিবহন সংস্থার বাসে ভারতের শিলিগুড়ি শহর যাওয়া যায় , যা শিলিগুড়ি জংশন রেলওয়ে স্টেশন ও নিউ জলপাইগুড়ি জংশন রেলওয়ে স্টেশন-এর নিকটবর্তী।
আকাশপথে
এই শহরটির নিকটবর্তী বিমানবন্দর ৫৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাড়ো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
খেলাধুলা
চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম থিমফুর একটি বহুমুখী ও ভুটানের জাতীয় স্টেডিয়াম। ১৯৭৪ সালে চতুর্থ ড্রুক গিয়াল্পো, জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক -এর রাজ্যাভিষেকের উদযাপনের জন্য নির্মিত হয়। নির্মাণকালে এই স্টেডিয়ামে ছিল ১০,০০০ দর্শককে রাখার ক্ষমতা। তবে ভুটানের ওয়াংচুক রাজবংশের শতাষ্ফীর জন্য এবং জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, ভুটানের পঞ্চম রাজ্যের রাজ্যাভিষেক উৎসবের জন্য ২৫,০০০ দর্শককে স্থান দিতে এটি পুরোপুরি সংস্কার করা হয়।