তুর্কমেনিস্তান

১৯৯১ সালে দেশটি স্বাধীন হয় এবং ১৯৯২ সালে নতুন সংবিধান কার্যকর করে।

তুর্কমেনিস্তানের রাজনীতি একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। রাষ্ট্রপতি হলেন একাধারে রাষ্ট্রের প্রধান ও সরকারপ্রধান। তুর্কমেনিস্তানে বর্তমানে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান, কিন্তু সম্প্রতি দেশটি বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০০৭ সালে গুর্বাংগুলি বের্দিমুহামেদভ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তবে নির্বাচনটি বিদেশী পর্যবেক্ষকেরা ভুয়া আখ্যা দেন। তুর্কমেনিস্তান পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে ১৯৯১ সাল থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

তুর্কমেনিস্তানের ভূসংস্থানিক মানচিত্র

তুর্কমেনিস্তান মধ্য এশিয়ার একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। এর পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণে ইরান ও আফগানিস্তান, উত্তর-পূর্বে উজবেকিস্তান, এবং উত্তর-পশ্চিমে কাজাকিস্তান।

তুর্কমেনিস্তানের অধিকাংশ এলাকা সমতল বা ঢেউখেলানো বালুময় মরুভূমি, যার মধ্যে স্থলে স্থলে বালিয়াড়ি দেখতে পাওয়া যায়। দক্ষিণে ইরানের সাথে সীমান্তে রয়েছে পর্বতমালা। কারাকুম মরুভূমির কাছে অবনমিত ভূমি দেখতে পাওয়া যায়।

এখানে বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস সম্ভার রয়েছে। তুর্কমেনিস্তান পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে ১৯৯১ সাল থেকে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

তুর্কমেন ভাষা এবং রুশ ভাষা তুর্কমেনিস্তানের সরকারি ভাষা। তুর্কমেন ভাষাতে এখানকার জনগণের প্রায় ৮০% এবং রুশ ভাষাতে প্রায় ৮% কথা বলেন। এখানে প্রচলিত অন্যান্য ভাষার মধ্যে আছে বেলুচি ভাষা ও উজবেক ভাষা।

এখানে কুকুরের জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

• নরকের দরজা