মালদহ জেলা
মালদহ জেলা বা মালদা জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা বিভাগের একটি জেলা। ৩১শে শ্রাবণ ১৩৫৪(১৭ই আগষ্ট ১৯৪৭) বঙ্গাব্দে পুর্বতন মালদহ জেলার অংশবিশেষ নিয়ে মালদহ জেলা স্থাপিত হয়৷ জেলাটির জেলাসদর ইংরেজ বাজার। মালদহ ও চাঁচল মহকুমা দুটি নিয়ে মালদহ জেলা গঠিত। জেলাটির অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে ৩৪৭ কিলোমিটার উত্তরে ৷
মালদা জেলা মালদহ জেলা | |
---|---|
পশ্চিমবঙ্গের জেলা | |
![]() পশ্চিমবঙ্গে মালদার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
প্রশাসনিক বিভাগ | মালদা |
সদরদপ্তর | ইংরেজ বাজার |
তহশিল | ১৫টি |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ |
• বিধানসভা আসন | হাবিবপুর, গাজোল, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতীপুর, রতুয়া, মানিকচক, মালদহ, ইংরেজ বাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর |
আয়তন | |
• মোট | ৩৭৩৩ কিমি২ (১৪৪১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩৯,৮৮,৮৪৫ |
• জনঘনত্ব | ১১০০/কিমি২ (২৮০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৫,৪১,৬৬০ |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৬১.৭৩ |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৪৪ |
প্রধান মহাসড়ক | ৩৪ নং জাতীয় সড়ক, ৮১ নং জাতীয় সড়ক |
ওয়েবসাইট | [www |
নামকরণ
মালদহ জেলার নামকরণ এই জেলার আদি বাসিন্দা ‘মলদ’ কৌমগোষ্ঠীর নাম থেকে। অন্যমতে ফার্সি ‘মাল’ (ধনসম্পদ) ও বাংলা ‘দহ’ শব্দদ্বয়ের সমন্বয়ে এই জেলার নামটির উৎপত্তি।
ইতিহাস
প্রাক-গৌড় সময়কাল
বিশিষ্ট দার্শনিক ও বৈয়াকরণ পাণিনি তার লেখায় গৌড়পুরা নামক একটি প্রাচীন জনপদের কথা উল্লেখ করেন৷ সম্ভবতঃ উল্লেখিত জনপদটিই বর্তমানে মালদহ জেলায় উপস্থিত গৌড় অঞ্চল, যার বিস্তৃৃতি পুরাতন গৌড় ও পাণ্ডুয়া (পুণ্ড্রবর্দ্ধন) অবধি৷ প্রাচীন ও মধ্যযুগ সমকালীন নগরদুটির অবস্থান মালদহ জেলার বর্তমান সদর ইংরেজ বাজার এর উত্তর ও দক্ষিণে বলে অনুমান করা হয়৷
সাম্যাজ্যটির সীমানা বিস্তৃৃতি ও পরিবর্তনের প্রমাণ পৌরাণিক বিভিন্ন পুস্তিকাতে পাওয়া যায়৷ পুণ্ড্রনগর ছিলো মৌর্য সাম্রাজ্যের পূর্বপাশ্বীয় বিভাগীয় সদর৷ বর্তমান বাংলাদেশের বগুড়া জেলার মহাস্থানগড় নামক স্থান থেকে উদ্ধারীকৃৃৃত ব্রাহ্মীলিপিতে খোদাই করা এক শিলালেখ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে গৌড় ও পুণ্ড্রবর্দ্ধন অঞ্চল পুর্বে মৌর্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিলো৷
সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ স্তম্ভ ও দিনাজপুরের কিছু প্রত্নতাাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে বোঝা যায় যে সমগ্র উত্তর বঙ্গ থেকে কামরূপ ]গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷ সপ্তম শতাব্দীর প্রারম্ভে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর প্রায় তিন দশক যাবৎ কর্ণসুবর্ণের রাজা তথা গৌড়রাজ শশাঙ্ক স্বাধীনভাবে শাসনভার নেন৷
আবার অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে একাদশ শতাব্দীর শেষভাগ অবধি ঐ অঞ্চলে পাল সাম্রাজ্য বিস্তৃৃতিলাভ করে ৷ পালরাজারা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের পৃৃৃষ্ঠপোষক ৷ পাল বংশের শাসনকালে বরেন্দ্র ভূমির বৌদ্ধবিহার জগদল্লবিহার ; নালন্দা , বিক্রমশিলা ও দেবীকোট বিহারের সমকক্ষে উন্নীত হয় ৷[1]
গৌড় সমকালীন
পাল সাম্রাজ্যের পতনের পর উত্থান ঘটে সেন বংশের৷ সেনরাজারা আবার হিন্দু ধর্মের পৃৃষ্ঠপোষক ছিলেন৷ তাদের সাম্রাজ্য বৃৃদ্ধির ও শাসনের পদ্ধতি ছিলো কিছুটা যাযাবর প্রকৃতির ফলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার কিছু ক্ষেত্রে হলেও হ্রাস পায় এবং একসময় লুপ্তপ্রায় হয়ে যায়৷ সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনের কালে গৌড়ের নাম হয় লক্ষ্মণাবতী৷ পরে বখ্তিয়ার খিলজির দ্বারা ১২০৪ খ্রীষ্টাব্দে সেন বংশের পতন ঘটে৷
এর পর থেকে মুসলিম শাসকদের দ্বারা গৌড় অঞ্চল চালিত হয়৷ মধ্যযুগ সমকালীন সুলতাানদের মধ্যে ইলিয়াস শাহ , ফারুখ শাহ , সিকন্দর শাহ , অালাউদ্দিন হুসেন শাহ , নাসির উদ্দিন নসরত শাহ ইত্যিদি উল্লেখ্য৷ এরই মাঝে হিন্দু রাজা গণেশের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাও উল্লেখযোগ্য৷
আফগান যোদ্ধা শের শাহ সুরি একদা মালদা অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করলেও তা মোগল সম্রাট হুমায়ূণ দ্বারা পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হয়৷ গৌড় অঞ্চলখ্যাত আমের স্বাদে তৃৃপ্ত হয়ে তিনি এ অঞ্চলের নাম দেন জান্নাতাবাদ৷
ফিরোজ শাহ তুঘলক , গিয়াস উদ্দিন সহ বিভিন্ন মোগল সম্রাটদের দ্বারা মালদহ গৌড় বারবার আক্রান্ত হয়৷ মুসলিম শাসনকালের কিছু উল্লেখযোগ্য নিদর্শনগুলির মধ্যে ফিরোজ মিনার, আদিনা মসজিদ ( কেউ কেউ এটিকে আদিনাথ হিন্দু মন্দিরের সাথেও তুলনা করেন ), কোতোয়ালী দরজা ইত্যাদি৷ মুঘল শাসনকালে পূর্বাঞ্চলীয় বাংলা-ভুক্তির সদর গঙ্গা প্রবাহের তারতম্য ও অন্যকিছু কারণে গৌড় থেকে ঢাকাতে স্থানান্তরিত করা হয়৷
১৭৫৭ খ্রীষ্টাব্দের পর মুসলিম সাম্রাজ্যের পতন ঘটে ও ব্রিটিশসহ কোচ রাজবংশের প্রভাব বাড়তে থাকে৷
গৌড়-পরবর্তী ইংরেজ শাসন
১৭৫৭ খ্রীষ্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরেজ সরকার শাসনভার গ্রহণ করে ও তাঁরা মহানন্দা নদীর দক্ষিণ পাড়ে স্থিত হয় ৷ তারা প্রাথমিকভাবে সেখানে নীলচাষ , পরিবহন ও ব্যবসার কেন্দ্র ও কিছু সরকারী দপ্তর চালু করে ৷ উইলিয়াম ক্যারি-কে এই দায়িত্বভার দেওয়া হয় ৷ তাসত্ত্বেও গৌড়ের পুরোনো খ্যাতি ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে থাকে ৷
ব্রিটিশ শাসনের আদিপর্বে মালদহ জেলার কোনো অস্তিত্ব ছিল না৷ ১৭৯৩ সালে মালদহ অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়।[2] পরবর্তীকালে ১৮১৩ খ্রীষ্টাব্দে মালদহ গৌড় অঞ্চলে তীব্র প্রতিবাদের ফলে দিনাজপুর জেলার গাজোল, মালদা, হবিবপুর, বামনগোলা থানাগুলি; অবিভক্ত পূর্ণিয়া জেলার রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর, মানিকচক, কালিয়াচক থানাগুলি; অবিভক্ত রাজশাহী জেলার শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নাচোল, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর থানাগুলি নিয়ে মালদহ জেলা গঠিত হয়৷ জেলাটির তিনটি মহকুমা ছিলো যথাক্রমে চাঁচল, মালদহ ও নবাবগঞ্জ৷
১৮৩২ খ্রীষ্টাব্দে জেলাটি বিশেষ মর্যাদা পায় , ১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দে ম্যাজিস্ট্রেট কালেক্টর নিযুক্ত করা হয় এবং একটি সম্পূর্ণ জেলাতে উন্নীত হয় ৷ ১৮৭৬ অবধি জেলাটি রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত ছিলো , ১৯০৫ অবধি যা ভাগলপুর বিভাগভুক্ত করা হয় , যদিও পরবর্তীকালে স্বাধীনতালাভ পর্যন্ত অবিভক্ত মালদহ জেলা পুণরায় রাজশাহী বিভাগে অন্তর্ভুক্ত জেলা হিসাবে পরিগণিত হয় ৷ ১৯০৫ এ প্রথমবার বঙ্গভঙ্গের (বাংলা ভাগ) সময় মালদহ জেলা পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশটির অংশ হিসাবে ঘোষিত হয় ৷ মালদহের ইতিহাসে রফিক মন্ডলের নেতৃৃত্বে নীল আন্দোলন এবং জিতুর সাহচর্যে সাঁওতালদের ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ দখল জাজ্জ্বল্যমান ৷
স্বাধীনতাকালীন
১৯৪৭ সালের দেশভাগ মালদহ জেলাকে সর্বাধিক প্রভাবিত করে৷ স্যার র্্যাডক্লিফ এর অদূরদর্শিতা ও দেশভাগের সীমানা অনিশ্চিত থাকার দরুণ ১৯৪৭ এ ১২-১৫ আগষ্টের মধ্যে এটা ঠিক করা যায় না যে মালদহ জেলা কোন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুক্ত হবে৷ এযাবৎ জেলাটির সুশাসন পুর্ববঙ্গের ম্যাজিস্ট্রেটের উপর বজায় থাকে৷ র্্যাডক্লিফ এর পুণর্বিবেচনার পর ১৭ ই আগষ্ট জেলাটির অধিকাংশ ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যুক্ত করা হয় মালদহ জেলারূপে এবং নবাবগঞ্জ মহকুমা পুর্ববঙ্গে থেকে যায় কিন্তু রাজশাহী জেলার মহকুমারূপে৷
- অবিভক্ত মালদহ জেলা - ৫৪৩৬ বর্গকিলোমিটার
- মালদহ জেলা - ৩৭৩৩ বর্গকিলোমিটার(৬৯%)
- চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা - ১৭০৩ বর্গকিলোমিটার(৩১%)
১৭০৩ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট অবিভক্ত মালদহ জেলার দক্ষিণপূর্ব ভাগ বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা৷ আবার ৩৭৩৩ বর্গকিলোমিটার ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট অবিভক্ত মালদহ জেলার সদর ও উত্তরপূর্ব ভাগ বর্তমানে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত মালদহ জেলা৷
ঐতিহাসিক আন্দোলন
সাঁওতালদের স্থানীয় আন্দোলন -
জনচর্চিত আন্দোলনগুলির মধ্যে জিতু সাঁওতালের নেতৃত্বে ১৯৩২ সনে ঘটে যাওয়া আন্দোলনটি গুরুত্বপুর্ণ৷ তনিকা সরকারের মতো ঐতিহাসিকদের মতে এটি ছিলো মালদহে বসবাসরত উপজাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্বের সংগ্রাম৷ সাঁওতাল ও তাদের জমিদার এ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয় মূলত ১৯১০ সনে৷ যেহেতু বরেন্দ্র ভূমি অঞ্চলটি কৃৃষিভিত্তিক ও কৃৃষিতে যথেষ্ট উৎকৃৃষ্ট তাই সেখানকার জমিদাররা সাধারণের ওপর করের পরিমাণ বাড়াতে শুরু করে৷ ফলে সাঁওতাল জনজাতির লোকেদের পরিপুর্ণ জীবনযাপনে বাধা হয়ে উঠতে থাকে এই করের বোঝা এবং জমিদারদের আড়ম্বর দিন দিন বাড়তে থাকে৷ এভাবে জমিদারদের ওপর সাধারণের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে৷ ক্ষোভ মাত্রা অতিক্রম করে যখন বুলবুলচণ্ডীর জমিদার করের পরিমান বৃৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়৷ ফলস্বরূপ, হবিবপুরের কোচকান্দাহার গ্রামের জিতু সাঁওতালের নেতৃত্বে সমস্ত সাঁওতালরা একত্রিত হতে থাকে৷ ১৯২৬ সনে সাঁওতালরা হিন্দুধর্মে দীক্ষিত হতে থাকে ও জিতু সাঁওতালের নেতৃৃত্বে 'জিতু সন্যাসীদল' গঠন করে৷ ১৯২৮ সনে দলটি শিখরপুরে সঞ্চিত সমস্ত মজুত শস্য লুঠ করে এবং এমন অাারো লুঠের খবর আসতে থাকে৷ পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ সুপিরের সহযোগিতায় ১৯৩২ সনে জিতু সহ তার ৬০ অনুগামীকে কারারুদ্ধ করা হয়৷
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন-
মালদহ জেলার রাধেশ চন্দ্র শেঠের সম্পাদনায় প্রকাশিত 'গৌড়বার্তা' ও 'গৌড়দূত' এবং কালীপ্রসন্ন চক্রবর্তীর 'মালদা সমাচার' পত্রিকার অবদান অনস্বীকার্য৷ ১৯৪৪ থেকে ৪৭ এর মধ্যে বহুবার পত্রিকাগুলিকে সরকারীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা সফল হয় নি৷ কলকাতাকেন্দ্রিক স্বদেশী আন্দোলনকে ভালুকা , রতুয়া, মালদহ, হরিশ্চন্দ্রপুরে ছড়িয়ে দেওয়া সহ আইন অমান্য ও অসহযোগ আন্দোলনে মালদা জেলার ভুমিকা রয়েছে৷ ১৯১৪ থেকে মালদহের পুলিশ থানা ও সরকারী অফিসে দাঙ্গা ব্রিটিশ বিরোধী আকার ধারণ করে যা ১৯৩০ এর রতুয়াতে আন্দোলন ও অগ্নিসংযোগের দ্বারা তীব্র আকার ধারণ করে৷ তেভাগা আন্দোলনে মালদহ নারীবাহিনীর অবদান উল্লেখযোগ্য৷
ভূপ্রকৃতি
মালদহ জেলার মৃৃত্তিকা সমতল প্রকৃতির যা জেলাটির উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহিত মহানন্দা নদীর উভয়তীরে পরিলক্ষিত হয় ৷ অপরপক্ষে জেলাটির দক্ষিণভাগ গঙ্গার পললমৃৃত্তিকা সমৃদ্ধ ফলে অঞ্চলটি উর্বর ও কৃষিসমৃদ্ধ ৷ মালদহ জেলার ভূ-প্রকৃৃতি মূলত সমতল প্রকৃতির হলেও কিছুস্থানের উঁচু-নীচু ভূমি দেখতে পাওয়া যায় ৷ গঙ্গা ,মহানন্দা , টাঙ্গন ,পুনর্ভবা নদী ইত্যাদি প্রতুল নদীসমূহ উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত ৷ নদীগুলি যেমন কৃষিতে উন্নতির কারণ তেমনি তা কখনো বন্যার কারণ ও হয় ৷
বনভূমি
মালদহ জেলার মাত্র ১৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা বনভূমি আচ্ছাদিত যা উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির তুলনায় নগন্য ৷ দক্ষিণ ও মধ্যভাগে বিস্তৃত বনভূমিগুলির অধিকাংশ মহানন্দা ও কালিন্দী নদীর তটবরাবর অবস্থিত ৷
কৃৃষিভূমি
মালদহ জেলার ২১৮০ বর্গকিমি অঞ্চলজুড়ে কৃষি ও চারণক্ষেত্র বিস্তৃত ৷ ঊষর ভূমি ৯০১ বর্গকিমি জুড়ে বিস্তৃত ৷
অর্থনীতি
মালদহ একটি কৃষিনির্ভর জেলা। বৃহৎ শিল্পে এই জেলা বিশেষ অনুন্নত হলেও এখানকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। সুলতানি যুগের বিভিন্ন স্থাপত্য নিদর্শনকে কেন্দ্র করে একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন শিল্পও এখানে বিকাশলাভ করেছে। মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। মালদা জেলা ফজলি আম-এর জন্য সুপরিচিত। আমের অন্যান্য প্রকারগুলি হলো গোপালভোগ, বৃৃন্দাবনী , ল্যাংড়া , ক্ষীরশাপাটি , কৃষ্ণভোগ ৷ এছাড়া পাটচাষ ও সিল্কের কাজ বহুল ৷ পশ্চিমবঙ্গে কাঁচা সিল্ক তৈরীতে মাালদার অবদান ৮৫% , যার বাজারদর মূল্য প্রায় ৪ কোটি ভারতীয় টাকা ৷
কৃৃষি ছাড়াও মালদহ, গৌড়-পান্ডুয়া বহু পুরানো ঐতিহ্য ও পর্যটনস্থল যা জেলাটির অর্থনীতীর অন্যতম উৎস৷
অবস্থান এবং জনসংখ্যা[3]
- জেলাটির উত্তরে : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলা
- জেলাটির উত্তর পূর্বে(ঈশান) : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা
- জেলাটির পূর্বে : বাংলাদেশ রাষ্ট্র
- জেলাটির দক্ষিণ পূর্বে(অগ্নি) : বাংলাদেশ রাষ্ট্র
- জেলাটির দক্ষিণে : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলা
- জেলাটির দক্ষিণ পশ্চিমে(নৈঋত) : ঝাড়খণ্ড রাজ্য
- জেলাটির পশ্চিমে : ঝাড়খণ্ড রাজ্য
- জেলাটির উত্তর পশ্চিমে(বায়ু) : বিহার রাজ্য
- অক্ষাংশ: ২৪ ডিগ্রী ৪০' ২০" উঃ থেকে ২৫ ডিগ্রী ৩২' ০৮" উঃ
- দ্রাঘিমাংশ: ৮৭ ডিগ্রী ৪৫' ৫০" পূঃ থেকে ৮৮ ডিগ্রী ২৮' ১০" পূঃ
- জেলার আয়তন: ৩৭৩৩ বর্গ কিমি
- রাজ্যের জেলায়তনভিত্তিক ক্রমাঙ্ক : ২৩ টি জেলার মধ্যে ১১তম
- জেলার আয়তনের অনুপাত : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪.২১% আয়তন
- মোট জনসংখ্যা (২০০১ জনগণনা): ৩,২৯০,৪৬৮ (২০১১ জনগণনা): ৩,৯৮৮,৮৪৫
- রাজ্যে জনসংখ্যাভিত্তিক ক্রমাঙ্ক : ২৩ টি জেলার মধ্যে ১১তম
- জেলার জনসংখ্যার অনুপাত : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪.৩৭% লোক মালদহ জেলাতে বাস করেন ৷
- জেলার জনঘনত্ব : ২০০১ সালে ৮৮১ এবং ২০১১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০৬৯
- জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার : ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃৃদ্ধির হার ২১.২২% , যা ১৯৯১-২০১১ সালের ২৪.৭৮% বৃদ্ধির হারের থেকে কম ৷
- লিঙ্গানুপাত : ২০১১
- সমগ্র : ৯৪৪
- শিশু(০-৬ বৎ) : ৯৫০
- স্বাক্ষরতা : ৫০.২৮%(২০০১) ৬১.৭৩%(২০১১)
- পুরুষ : ৫৮.৮০%(২০০১) ৬৬.২৪%(২০১১)
- নারী : ৪১.২৫%(২০০১) ৫৬.৯৬% (২০১১)
- শিশুর অনুপাত : সমগ্র জনসংখ্যার ১৫.২৭%
ভাষা
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অনুযায়ী ভাষাভিত্তিক তালিকাবদ্ধ জনসংখ্যা নিম্নরূপ :
চাঁচল মহকুমা
চাঁচল মহকুমাটিতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাটি হলো বাংলা যা সমগ্র মহকুমার ১৩৩৮৩৭৯ জনের মধ্যে ১২৮২২৮৩(৯৫.৮১%) জনের মাতৃভাষা ৷
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা - ২০১১ | সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | তৃৃতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | চতুর্থ সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | অন্যান্য ভাষাসমূহের জনসংখ্যা | পাই চিত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | চাঁচল-১ | ২০৪৭৪০ | বাংলা - ২০৩২১৬ (৯৯.২৬%) | অন্যান্য - ১৫২৪ | চাঁচল-১ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৯.২৬%) অন্যান্য (০.৭৪%)
| |||
২ | চাঁচল-২ | ২০৫৩৩৩ | বাংলা - ১৯৬৮০০ (৯৫.৮৪%) | সাঁওতালি - ৩৭৭৭ (১.৮৪%) | ওরাওঁ - ১৭১২ (০.৮৩%) | খোরঠা - ১১৫৮ (০.৫৬%) | অন্যান্য - ১৮৮৬ | চাঁচল-২ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৫.৮৪%) সাঁওতালি (১.৮৪%) ওরাওঁ (০.৮৩%) খোরঠা (০.৫৬%) অন্যান্য (০.৯৩%)
|
৩ | রতুয়া-১ | ২৭৫৩৮৮ | বাংলা - ২৭০৬৩৬ (৯৮.২৭%) | খোরঠা - ২৩৫১ (০.৮৫%) | হিন্দী - ১৮৭২ (০.৬৮%) | অন্যান্য - ৫২৯ | রতুয়া-১ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৮.২৭%) খোরঠা (০.৮৫%) হিন্দী (০.৬৮%) অন্যান্য (০.২০%)
| |
৪ | রতুয়া-২ | ২০২০৮০ | বাংলা - ১৯৬১৮১ (৯৭.০৮%) | খোরঠা - ৪৫০১ ( ২.২৮%) | অন্যান্য - ১৩৯৮ | রতুয়া-২ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৭.০৮%) খোরঠা (২.২৮%) অন্যান্য (০.৬৪%)
| ||
৫ | হরিশ্চন্দ্রপুর-১ | ১৯৯৪৯৩ | বাংলা - ১৯৩১৬৩ (৯৬.৮৩%) | হিন্দী - ২৮৫৯ (১.৪৩%) | ওরাওঁ - ১৫২৫ (০.৭৫%) | অন্যান্য - ১৯৪৬ | হরিশ্চন্দ্রপুর-১ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৬.৮৩%) হিন্দী (১.৪৩%) ওরাওঁ (০.৭৫%) অন্যান্য (০.৯৯%)
| |
৬ | হরিশ্চন্দ্রপুর-২ | ২৫১৩৪৫ | বাংলা - ২২২২৮৭ (৮৮.৪৪%) | খোরঠা - ১৪৮৭৫ (৫.৯২%) | হিন্দী - ৫৮৮৩ (২.৩৪) | সাভারা - ৩৩৯৭ (১.৩৫%) | সাঁওতালি - ২৮৭৪ (১.১৪%) , অন্যান্য - ২০২৯ | হরিশ্চন্দ্রপুর-২ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৮৮.৪৪%) খোরঠা (৫.৯২%) হিন্দী (২.৩৪%) সাভারা (১.৩৫%) সাঁওতালি (১.১৪%) অন্যান্য (০.৮১%)
|
মালদহ সদর মহকুমা
মালদহ সদর মহকুমাটিতে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাটি হলো বাংলা যা সমগ্র মহকুমার ২৬৫০৪৬৬ জনের মধ্যে ২৩৪৮৯৭৯(৮৮.৬৩%) জনের মাতৃভাষা ৷
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা - ২০১১ | সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | তৃৃতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | চতুর্থ সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা | অন্যান্য ভাষাসমূহের জনসংখ্যা | পাই চিত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | গাজোল | ৩৪৩৮৩০ | বাংলা - ২৭৫৪৩০ (৮০.১১%) | সাঁওতালি - ৫৬৬৮৯ (১৬.৪৯%) | কোড়া - ৩১৭৮ (০.৯২%) | হিন্দী - ২১০৪ (০.৬১%) | অন্যান্য - ৬৪২৯ | গাজোল এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৮০.১১%) সাঁওতালি (১৬.৪৯%) কোড়া (০.৯২%) হিন্দী (০.৬১%) অন্যান্য (১.৮৭%)
|
২ | বামনগোলা | ১৪৩৯০৬ | বাংলা - ১১৪৭৭৮ (৭৯.৭৬%) | সাঁওতালি - ২৩০৯৫ (১৬.০৫%) | হিন্দী - ২০১৫ (১.৪০%) | ওরাওঁ - ১১৩৭ (০.৭৯%) | কুড়মালী - ১০৬০ (০.৭৪%) ,অন্যান্য - ১৮২১ | বামনগোলা এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৭৯.৭৬%) সাঁওতালি (১৬.০৫%) হিন্দী (১.৪০%) ওরাওঁ (০.৭৯%) কুড়মালী (০.৭৪%) অন্যান্য (১.২৫%)
|
৩ | হবিবপুর | ২১০৬৯৯ | বাংলা - ১৪২৩৯৭ (৬৭.৫৮%) | সাঁওতালি - ৫৭৫৮৭ (২৭.৩৩%) | হিন্দী - ৬১১৩ (২.৯০%) | খোরঠা - ২৪২৮ (১.১৫%) | অন্যান্য - ২১৭৪ | হবিবপুর এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৬৭.৫৮%) সাঁওতালি (২৭.৩৩%) হিন্দী (২.৯০%) খোরঠা (১.১৫%) অন্যান্য (১.০৪%)
|
৪ | মালদহ | ১৫৬৩৬৫ | বাংলা - ১৩০৩৯৩ (৮৩.৩৯%) | সাঁওতালি - ১৯৬৮৬ (১২.৫৯%) | হিন্দী - ৩৮১৭ (২.৪৪%) | অন্যান্য - ২৪৬৯ | মালদহ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৮৩.৩৯%) সাঁওতালি (১২.৫৯%) হিন্দী (২.৪৪%) অন্যান্য (১.৫৮%)
| |
৫ | ইংরেজ বাজার | ২৭৪৬২৭ | বাংলা - ২৬৮৪৯৩ (৯৭.৭৭%) | হিন্দী - ২৮৭৩ (১.০৫%) | খোরঠা - ১৯৬২ (০.৭১%) | অন্যান্য - ১২৯৯ | ইংরেজ বাজার এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৭.৭৭%) হিন্দী (১.০৫%) খোরঠা (০.৭১%) অন্যান্য (০.৪৭%)
| |
৬ | মানিকচক | ২৬৯৮১৩ | বাংলা - ২০৯৪৫৫ (৭৭.৬৩%) | খোরঠা - ৪৩৩৭৫ (১৬.০৮%) | কিশান - ৯৭৩৯ (৩.৬১%) | হিন্দী - ৬২১৮ (২.৩০%) | অন্যান্য - ১০২৬ | মানিকচক এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৭৭.৬৩%) খোরঠা (১৬.০৮%) কিশান (৩.৬১%) হিন্দী (২.৩০%) অন্যান্য (০.৩৮%)
|
৭ | কালিয়াচক-১ | ৩৯২৫১৭ | বাংলা - ৩৮১২২৭ (৯৭.১২%) | খোরঠা - ১০৭৫৯ (২.৭৪%) | অন্যান্য - ৫৩১ | কালিয়াচক-১ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৭.১২%) খোরঠা (২.৭৪%) অন্যান্য (০.১৪%)
| ||
৮ | কালিয়াচক-২ | ২১০১০৫ | বাংলা - ২০৮৮৪২ (৯৯.৪০%) | অন্যান্য - ১২৬৩ | কালিয়াচক-২ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৯.৪০%) অন্যান্য (০.৬০%)
| |||
৯ | কালিয়াচক-৩ | ৩৫৯০৭১ | বাংলা - ৩৫০০৫৬ (৯৭.৪৯%) | খোরঠা - ৫৮৯৭ ( ১.৬৪%) | অন্যান্য - ৩১১৮ | কালিয়াচক-৩ এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৭.৪৯%) খোরঠা (১.৬৪%) অন্যান্য (০.৮৭%)
| ||
১০ | পুরানো মালদহ পৌরসভা | ৮৪০১২ | বাংলা - ৭৮৩২৬ (৯৩.২৩%) | হিন্দী - ৫৪৭৯ (৬.৫২%) | অন্যান্য - ২০৭ | মালদহ পৌরসভা এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯৩.২৩%) হিন্দী (৬.৫২%) অন্যান্য (০.২৫%)
| ||
১১ | ইংরেজ বাজার পৌরসভা | ২০৫৫২১ | বাংলা - ১৮৯৫৮২ (৯২.২৪%) | হিন্দী - ১৪২০৫ (৬.৯১%) | অন্যান্য - ১৭৩৪ | ইংরেজবাজার পৌরসভা এ ভাষার পাই চিত্র বাংলা (৯২.২৪%) হিন্দী (৬.৯১%) অন্যান্য (০.৮৫%)
|
ধর্ম
মালদহ জেলার বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ২০১১[4]
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অনুযায়ী বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা নিম্নরূপ[6] -
চাঁচল মহকুমা
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা ২০১১ - ১৩৩৮৩৭৯ | হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৩৯৫৫৩৩ (২৯.৫৫%) | ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৯৩৯০০২ (৭০.১৬%) | খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৯৩২ (০০.০৭%) | শিখ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ১৩৩ (০০.০১%) | বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৫৪ | জৈন ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৩০০ (০০.০৩%) | অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ২৪২৫ (০০.১৮%) | সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম ২০১১ - ইসলাম |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | চাঁচল-১ | ২০৪৭৪০ | ৫৮৫৭৫ (২৮.৬১%) | ১৪৫৮২৪ (৭১.২২%) | ১৭৮ | ১৮ | ৭ | ৫১ | ৮৭ | ইসলাম |
২ | চাঁচল-২ | ২০৫৩৩৩ | ৫৭১২৫ (২৭.৮২%) | ১৪৬২৯৯ (৭১.২৫%) | ১৫০ | ২১ | ৯ | ৫ | ১৭২৪ (০০.৮৪%) | ইসলাম |
৩ | রতুয়া-১ | ২৭৫৩৮৮ | ৯০৮০২ (৩২.৯৭%) | ১৮৪১৭৭ (৬৬.৮৮%) | ১৬১ | ৩৬ | ১৬ | ২৬ | ১৭০ | ইসলাম |
৪ | রতুয়া-২ | ২০২০৮০ | ৪২৮০২ (২১.১৮%) | ১৫৯০৫৫ (৭৮.৭১%) | ৮৬ | ২২ | ২ | ২ | ১১১ | ইসলাম |
৫ | হরিশ্চন্দ্রপুর-১ | ১৯৯৪৯৩ | ৮০৪১৭ (৪০.৩১%) | ১১৮৫২৩ (৫৯.৪১%) | ১৮০ | ১৮ | ৮ | ২০৯ | ১৩৮ | ইসলাম |
৬ | হরিশ্চন্দ্রপুর-২ | ২৫১৩৪৫ | ৬৫৮১২ (২৬.১৮%) | ১৮৫১২৪ (৭৩.৬৫%) | ১৭৭ | ১৮ | ১২ | ৭ | ১৯৫ | ইসলাম |
মালদহ সদর মহকুমা
ক্রম | সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নাম | সর্বমোট জনসংখ্যা ২০১১ - ২৬৫০৪৬৬ | হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ১৫১৮৮১৯ (৫৭.৩০%) | ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ১১০৬১৪৯ (৪১.৭৩%) | খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ১২২৭৭ (০০.৪৭%) | শিখ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৬১৪ (০০.০২%) | বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৩০৫ (০০.০১%) | জৈন ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ৩৩৯ (০০.০১%) | অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনসংখ্যা ২০১১ - ১১৯৬৩ (০০.৪৫%) | সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম ২০১১ - হিন্দু |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | গাজোল | ৩৪৩৮৩০ | ২৫৬১৭৫ (৭৪.৫১%) | ৮১১৫৬ (২৩.৬০%) | ৪০২১ (১.১৭%) | ৭২ | ৩৫ | ১৩ | ২৩৫৮ (০০.৬৯%) | হিন্দু |
২ | বামনগোলা | ১৪৩৯০৬ | ১২৯৪৬০ (৮৯.৯৬%) | ১২৭৭১ (০৮.৮৮%) | ১২৬১ (০০.৮৮%) | ২০ | ৬ | ১৫ | ৩৭৩ | হিন্দু |
৩ | হবিবপুর | ২১০৬৯৯ | ২০০০৭৪ (৯৪.৯৬%) | ২৬৯২ (০১.২৮%) | ৪২৭২ (০২.০৩%) | ৩৫ | ৩৭ | ৫ | ৩৫৮৪ (০১.৭০%) | হিন্দু |
৪ | মালদহ | ১৫৬৩৬৫ | ১০৯৪৫৭ (৭০.০০%) | ৪৪৭২৭ (২৮.৬০%) | ১২২৮ (০০.৭৮%) | ৭২ | ৩১ | ৭ | ৮৪৩ | হিন্দু |
৫ | ইংরেজ বাজার | ২৭৪৬২৭ | ১৩২৭৪৬ (৪৮.৩৪%) | ১৪১৪১০ (৫১.৪৯%) | ১৮৮ | ৩৯ | ১৭ | ১৫ | ২১২ | ইসলাম |
৬ | মানিকচক | ২৬৯৮১৩ | ১৫০৯৭৫ (৫৫.৯৬%) | ১১৮৩৯১ (৪৩.৮৮%) | ১৩৯ | ২৫ | ১৭ | ১৯ | ২৪৭ | হিন্দু |
৭ | কালিয়াচক-১ | ৩৯২৫১৭ | ৪১৪৫৬ (১০.৫৬%) | ৩৫০৪৭৫ (৮৯.২৯%) | ১৫৯ | ২৮ | ২৯ | ৬৮ | ৩০২ | ইসলাম |
৮ | কালিয়াচক-২ | ২১০১০৫ | ৭১১৭৫ (৩৩.৮৮%) | ১৩৮৬৩২ (৬৫.৯৮%) | ৭২ | ২২ | ১৬ | ১৭ | ১৭১ | ইসলাম |
৯ | কালিয়াচক-৩ | ৩৫৯০৭১ | ১৭৫৯৭৪ (৪৯.০১%) | ১৮২১৩১ (৫০.৭২%) | ২৩৩ | ১২৭ | ২৮ | ২১ | ৫৫৭ | ইসলাম |
১০ | পুরানো মালদহ পৌরসভা | ৮৪০১২ | ৭২৬১৭ (৮৬.৪৪%) | ১১১১১ (১৩.২৩%) | ৯৪ | ৬৮ | ১৫ | ১০ | ৯৭ | হিন্দু |
১১ | ইংরেজ বাজার পৌরসভা | ২০৫৫২১ | ১৭৮৭১০ (৮৬.৯৫%) | ২২৬৫৩ (১১.০২%) | ৬১০ | ১০৬ | ৭৪ | ১৪৯ | ৩২১৯ (০১.৫৭%) | হিন্দু |
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের জনগননা অনুসারে মালদা জেলার জনসংখ্যা ৩,৯৮৮,৮৪৫ [7] যেটি লাইবেরিয়ার জনসংখ্যার সমান [8] অথবা ইউনাইটেড স্টেট অফ অরেগনর সমান।[9] ভারতে ৬৪০টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যা অনুসারে এটির স্থান ৫৮তম।[7] জেলার জনঘনত্ব ১,০৭১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,৭৭০ জন/বর্গমাইল)।[7] ২০০১-২০১১ তে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২১.২২%। [7] মালদার লিঙ্গানুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৪৪ জন নারী[7] এবং সাক্ষরতার হার ২০০১ সালে ৫০.২৮% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ সালে ৬১.৭৩% (পুরুষ সাক্ষরতা ৬৬.২৪% ও নারী সাক্ষরতা ৫৬.৯৬%) হয়েছে।[7] শিশু সংখ্যা (০-৬ বৎসর অবধি) ৬০৯০৪০ , যা সমগ্র জনসংখ্যার ১৫.২৭% ৷
নদ নদী
- মহানন্দা নদী (মহানন্দা নদী তীরে মালদহ ও ইংরেজ বাজার পৌরসভাদ্বয় অবস্থিত)
- পাগলা নদী
- ফুলহার নদ
- গঙ্গা নদী
- বড়মসিয়া নদী
- তিলজলা নদী
- কালিন্দী নদী
- চিন্তামণি নদী
- টাঙ্গন নদী
- পুনর্ভবা নদী
- হরিয়া নদী
- ভাগীরথী নদী
- বেহুলা নদী
পরিবহন ও যোগাযোগ
মালদহ জেলাটি রাজধানী নগর কলকাতা সহ রাজ্যের ও ভিনরাজ্যের পার্শ্ববর্তীজেলাগুলির সাথে পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত ৷
রেল
মালদহ জেলাতে সমগ্র রেলপথের দৈর্ঘ ৯৫ কিলোমিটার ৷ কিছু গুরুত্বপুর্ণ রেলস্টেশন ও জংশনগুলি হল -
- মালদা টাউন রেলওয়ে স্টেশন
- ওল্ড মালদা জংশন
- সিঙ্গাবাদ প্রান্তিক স্টেশন
- একলাখি জংশন
- কুমেদপুর জংশন
সড়ক
মালদহ জেলাটিতে ১৩৩ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক ও ৬৭ কিলোমিটার রাজ্য সড়ক বিস্তৃৃত ৷ এছাড়াও ১০৮৩ কিলোমিটার জেলা সড়ক ও ৪৩৪০ কিলোমিটার অন্যান্য গ্রামীণ সড়ক দীর্ঘায়িত ৷ জাতীয় সড়কগুলি হলো - ৩৪ নং, ৮১ নং, ১৩১-এ নং ও ১২ নং
রাজ্য সড়কটি হলো - ১০ নং
বিমানবন্দর
মালদা বিমানবন্দরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ইংরেজ বাজারের মধ্যস্থল থেকে ৩ কিমি দূরে অবস্থিত। বিমানবন্দরটি ৩৫০ একর এলাকায় ১৪৫০ মিটার লম্বা ও ৩০ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট রানওয়ে আছে। এই বিমানবন্দরে হেলিকপ্টর সহ মধ্যমবর্গের বিমান নামতে পারে। মালদা বিমানবন্দর থেকে কলকাতা ও বালুরঘাটের জন্যে সাপ্তাহিক বিমান পরিষেবা উপলব্ধ।
পর্যটন ও দর্শনীয় স্থান
- ১) রামকেলি অষ্টকুণ্ড
- ২)বড়সোনা মসজিদ
- ৩)দাখিল দরবাজা
- ৪)মা জহুরা মন্দির
- ৫)কদম রসুল মসজিদ
- ৬)ফিরোজ মিনার
- ৭)মালদহ জেলা সংগ্রহশালা
- ৮)চামকাটি মসজিদ
- ৯)লুকোচুরি গেট
- ১০)আদিনা হরিণ অরণ্য
- ১১)আদিনা মসজিদ
- ১২)একলাখি সমাধিস্থল
- ১৩)জগজীবনপুর বৌদ্ধ বিহার
- ১৪)চাঁচল রাজবাড়ী
- ১৫)আদিনা গোলঘর
- ১৬)চিকা মসজিদ
- ১৭)বারোদুয়ারী মসজিদ
- ১৮)একোয়াটিক বেঙ্গল
- ১৯)নিমাই সরাই স্তম্ভ
ধর্মীয় উৎসব
সকল ধর্মের উৎসবই খুব আনন্দ সহকারে উৎযাপিত হয় ৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
- দুর্গাপূজা
- কালীপূজা
- রথযাত্রা
- শিবরাত্রি
- ঈদ উল ফিতর
- ঈদুল আজহা
- গুরু নানক জয়ন্তী
- বড়দিন
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি
'কুসুম' হলো ১৮৯০ এর দশকে শ্রী রাধেশ চন্দ্র শেঠের সম্পাদনায় প্রকাশিত মালদহ জেলার প্রথম মাসিক সংবাদ মাধ্যম ৷ লোক-সংস্কৃৃতির অঙ্গ গম্ভীরা হলো নাটক উপস্থাপনের এক অনন্য প্রকার ৷ এর মাধ্যমে প্রধাণত প্রাত্যহিক দিনের সুখ-দুঃখ বা অন্তর্দেশীর সংবাদ প্রচার করা হয় ৷ এছাড়াও আলকাপ ও কবিগান উল্লেখযোগ্য ৷ বঙ্গদেশের প্রাচীন ও অধুনালুপ্ত শাস্ত্রীয় নৃৃত্য তথা গৌড়ীয় নৃৃৃত্যের উৎপত্তি মালদহ জেলাতেই ৷
গম্ভীরা
গম্ভীরা মালদহ জেলার একটি ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যপুর্ণ অনুষ্ঠান ৷ এ অঞ্চলে গম্ভীরার প্রচলন সুপ্রাচীন ৷ বিশেষত চৈত্রের শেষ সপ্তাহে তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান উৎযাপিত হয় ৷ 'গম্ভীরা' এটি একধরনের গান যা হিন্দু শাস্ত্রের দেবতা শিবের সাথে সম্পর্কযুক্ত ৷ বর্তমানে এটি একটি বিশেষ তালে নাচের সাথে উপস্থাপিত হয় যায় মুলচরিত্রগুলি তথা নাতি ও দাদামশাই(নানা)কে দেখা যায় সমাজের কোনো এক দিক নিয়ে অালোচনা-সমালোচনা করতে ৷ গম্ভীরায় নাচের সময় নাচিয়েদের কাঠের মুখোশ ব্যবহার করতে দেখা যায় ৷
আলকাপ
মালদহ জেলায় প্রসিদ্ধ অপর একটি বাঙালী লোকাচার হলো আলকাপ ৷ মালদহ ছাড়াও মুর্শিদাবাদ বীরভূম ও রাজশাহীতেও এর প্রচলন আছে ৷ আল মানে অংশবিশেষ আর কাপ বলতে কাব্যকে বোঝানো হয় ৷ এটি নাচ গান ও নাটকের এক সংমিশ্রণ যেখানে মুলত দুধরনের চরিত্র দেখা যায় , একটি গুরু চরিত্র অপরটি চাকরের চরিত্র এছাড়া সাাথে থাকে গায়েন , দোহার ও সমবেতসঙ্গীতশিল্পীরা ৷ অালকাপ ৫ টি খণ্ডে উপস্থাপন করা হয় - আসর বন্দনা , ছড়া , কাপ , বৈঠকি গান ও খেমটা পালা ৷ এর মাধ্যমে গ্রাম্য সমাজ চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয় ৷
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষার ক্ষেত্রে মালদহ জেলা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনগ্রসর ৷ কিছু অগ্রগণ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
- পুরাতন মালদা কালাচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়
- নঘরিয়া হাই স্কুল
- রামকৃৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির
- বার্লো উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- আকরুমণি করোনেশন প্রতিষ্ঠান
- মালদা টাউন উচ্চ বিদ্যালয়
- ললিত মোহন শ্যাম মোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়
- মালদা চিন্তামণিবাবু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- মালদা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- মালদা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়
- মহেশমাটি ধীরেন্দ্র নাথ সাহা বিদ্যাভবন
- দ্য সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল (ইংরাজী মাধ্যম)
- হোলি চাইল্ড ইংলিশ একাডেমি
- নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ একাডেমি
- উষা মার্টিন স্কুল, মালদা (ইংরাজী মাধ্যম)
- সেন্ট মেরি স্কুল (ইংরাজী মাধ্যম)
- সাতটারী উচ্চ বিদ্যালয়
- জোত আরাপুর পরেশনাথ উচ্চ বিদ্যালয়
- আইহো উচ্চ বিদ্যালয়
- আইহো উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- আড়াইডাঙা ডি.বি.এম একাডেমি
- পাকুয়াহাট এ.এন.এম উচ্চ বিদ্যালয়
- মানিকচক শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়
- পোপড়া ঈশ্বরলাল উচ্চ বিদ্যালয়
- শ্যমলালপাড়া টিওরপাড়া ব্রাহ্মণগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়
- দরিয়াপুর বাইশি উচ্চ মাদ্রাসা
- টালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসা (H.S)
- টালবাংরুয়া আল কালাম আবাসিক মিশন(মাধ্যমিক)
প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়(ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ)
- গণী খান চৌধুরী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি সংস্থান
- আই.এম.পি.এস প্রকৌশল ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়
স্নাতক মহাবিদ্যালয়(ডিগ্রি কলেজ)
- মালদহ মহাবিদ্যালয়
- মালদহ বালিকা মহাবিদ্যালয়
- গৌড় মহাবিদ্যালয়
- মানিকচক মহাবিদ্যালয়
- সামসি মহাবিদ্যালয়
- চাঁচল মহাবিদ্যালয়
- গাজোল মহাবিদ্যালয়
- হরিশ্চন্দ্রপুর মহাবিদ্যালয়
- কালিয়াচক মহাবিদ্যালয়
- পাকুয়াহাট মহাবিদ্যালয়
- দক্ষিণ মালদা মহাবিদ্যালয়
চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়(মেডিকাল কলেজ)
- মালদহ চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ও চিকিৎসালয়
বহুশিল্পপ্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়(পলিটেকনিক কলেজ)
- মালদহ বহুশিল্পপ্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়
- রতুয়া সত্যেন্দ্রনাথ বোস বহুশিল্পপ্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়
- অাই.টি.আই (শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান), মালদা
- কালিয়াচক সরকারী শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান
বিশ্ববিদ্যালয়
- গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনিক বিভাগ
ক্ষেত্রফলভিত্তিক
- মালদহ জেলা : ৩৭৩৩.১৩ বর্গকিলোমিটার
- চাঁচল মহকুমা : ১১৬০.৪৪ বর্গকিলোমিটার
- হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক : ১৭১.৪১ বর্গকিলোমিটার
- হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক : ২১৭.২১ বর্গকিলোমিটার
- চাঁচল-১ ব্লক : ১৬২.১৪ বর্গকিলোমিটার
- চাঁচল-২ ব্লক : ২০৫.২২ বর্গকিলোমিটার
- রতুয়া-১ ব্লক : ২৩০.৫৩ বর্গকিলোমিটার
- রতুয়া-২ ব্লক : ১৭৩.৯৩ বর্গকিলোমিটার
- মালদহ সদর মহকুমা : ২৫৭২.৬৯ বর্গকিলোমিটার
- গাজোল ব্লক : ৫১৩.৬৫ বর্গকিলোমিটার
- বামনগোলা ব্লক : ২০৫.৯১ বর্গকিলোমিটার
- হবিবপুর ব্লক : ৩৯৬.০৭ বর্গকিলোমিটার
- মালদহ ব্লক : ২১৫.৬৬ বর্গকিলোমিটার
- ইংরেজ বাজার ব্লক : ২৫১.৫২ বর্গকিলোমিটার
- মানিকচক ব্লক : ৩২১.৭৭ বর্গকিলোমিটার
- কালিয়াচক-১ ব্লক : ১০৫.৩৭ বর্গকিলোমিটার
- কালিয়াচক-২ ব্লক : ২২২.৭৩ বর্গকিলোমিটার
- কালিয়াচক-৩ ব্লক : ২৬০.১২ বর্গকিলোমিটার
- ইংরেজ বাজার পৌরসভা : ৫৭.৬৮ বর্গকিলোমিটার
- পুরানো মালদহ পৌরসভা : ২২.২১ বর্গকিলোমিটার
- চাঁচল মহকুমা : ১১৬০.৪৪ বর্গকিলোমিটার
প্রশাসনিক
মালদহ জেলা দুটি মহকুমাতে বিভক্ত
১) চাঁচল মহকুমা
চাঁচল মহকুমার অবস্থান জেলাটির উত্তর পশ্চিমে যা ৬ টি তহশিল বা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক নিয়ে গঠিত৷
তহশিলটি ১০০ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৮ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - অলিহণ্ডা, চাঁচল, খরবা, মকদমপুর, ভগবানপুর, কালীগ্রাম, মহানন্দাপুর, মোতিহারপুর৷ সদরটি চাঁচলে অবস্থিত৷
তহশিলটি ৯২ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৭ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - ভাকরি, ধানগাড়া-বিষাণপুর, গৌড়হণ্ডা, ক্ষেমপুর, চন্দ্রপাড়া, জালালপুর, মালতীপুর৷ সদরটি মালতীপুরে অবস্থিত৷
তহশিলটি ১০১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১০ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বাহারাল, চাঁদমণি ১ ও ২, মহানন্দাতলা, ভাদো, বিলাইমারি, দেবীপুর, রতুয়া, কাহালা, সামসি৷ সদরটি রতুয়াতে অবস্থিত৷
তহশিলটি ৫১ গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৮ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - আড়াইডাঙা, পরাণপুর, পুখুরিয়া, শ্রীপুর ১ ও ২, মহারাজগঞ্জ, পীরগঞ্জ, সম্বলপুর৷ সদরটি পুখুরিয়াতে অবস্থিত৷
তহশিলটি ১০৫ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৭ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - ভিঙ্গোলে, কুশিধা, রসিদাবাদ, বারুই, মহেন্দ্রপুর, তুলসীহট্ট, হরিশ্চন্দ্রপুর৷ সদরটি হরিশ্চন্দ্রপুরে অবস্থিত৷
তহশিলটি ৭৪ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৯ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - দৌলতপুর, দৌলতনগর, সুলতাননগর, চাঁদপুর(ইসলামপুর), মশালদহ, ভালুকা, মালিওর ১ ও ২, সাদলিচক৷ সদরটি বারদুয়ারীতে অবস্থিত৷
মালদহ সদর মহকুমার অবস্থান জেলাটির পুর্ব ও দক্ষিণ পশ্চিমে যা ৯ টি তহশিল বা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ও দুটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত৷
তহশিলটি ৮৯ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১১ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - চৌকি মীরদাদপুর, এনায়েৎপুর, মানিকচক, নূরপুর, উত্তর চণ্ডীপুর, দক্ষিণ চণ্ডীপুর, গোপালপুর, মথুরাপুর, ধরমপুর, হীরানন্দপুর, নাজীমপুর৷ সদরটি মনিকচকে অবস্থিত৷
তহশিলটি ৫৫ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১৪ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - আলিনগর, গয়েশবাড়ি, কালিয়াচক ১ ও ২, শিলামপুর ১ ও ২, আলিপুর ১ ও ২, জালালপুর, মোজামপুর, সুজাপুর নওদা-যদুপুর, জালুয়াবাধাল, বামনগ্রাম-মশিমপুর৷ সদরটি কালিয়াচকে অবস্থিত৷
তহশিলটি ৬৫ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৯ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বাঙ্গীটোলা, রাজনগর, উত্তর লক্ষ্মীপুর, গঙ্গাপ্রসাদ, রথবাড়ি, মোথাবাড়ি, উত্তর পঞ্চানন্দপুর ১ ও ২, হামিদপুর৷ সদরটি মোথাবাড়িতে অবস্থিত৷
তহশিলটি ৭৩ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১৪ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - আকন্দবাড়ীয়া, ভগবানপুর, লক্ষ্মীপুর, বখরাবাদ, চারি অনন্তপুর, বেদ্রাবাদ, পারদেওনাপুর-শোভাপুর, গোলাপগঞ্জ, বীরনগর ১ ও ২, কৃষ্ণপুর, শাহবাজপুর, কুম্ভিরা, সহবানচক৷ সদরটি দরিয়াপুরে অবস্থিত৷
- ঙ. ইংরেজ বাজার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
তহশিলটি ১৩২ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১১ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - অমৃতি, যদুপুর ১ ও ২, কোতোয়ালি, নরহট্ট, বিনোদপুর, মহদীপুর, শোভানগর, ফুলবাড়ীয়া, কাজীগ্রাম, মিলকী৷ সদরটি মিলকীতে অবস্থিত৷
তহশিলটি ১১৫ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৬ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - ভাবুক, মহিষবাথানী, মুচিয়া, যাত্রাডাঙা, মঙ্গলবাড়ি, সাহাপুর৷ সদরটি কালুদেওয়ানে অবস্থিত৷
তহশিলটি ২৯১ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১৫ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - আলাল, চকনগর, কর্কচ, রাণীগঞ্জ ১ ও ২, বাইরগাছি ১ ও ২, দেওতলা, মাঝড়া, শাহজাদপুর, গাজোল ১ ও ২, পাণ্ডুয়া, শলাইডাঙা, বাবুপুর৷ সদরটি গাজোলে অবস্থিত৷
তহশিলটি ২৮৭ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ১১ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - আকতাইল, বুলবুলচণ্ডী, জাজাইল, ঋষিপুর, ধুমপুর, শ্রীরামপুর, বৈদ্যপুর, হাবাবপুর, মঙ্গলপুর, কাঁতুরকা, আইহো৷ সদরটি হবিবপুরে অবস্থিত৷
তহশিলটি ১৪২ টি গ্রামের সমন্বয়ে তথা ৬ টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত; যথাক্রমে - বামনগোলা, গোবিন্দপুর-মহেশপুর, পাকুয়াহাট, চাঁদপুর, মদনহাটি, জগদলা৷ সদরটি পাকুয়াহাটে অবস্থিত৷
- পৌরসভাদ্বয় হলো যথাাক্রমে ইংলিশবাজার এবং পুরনো মালদহ৷
সীমান্ত
অন্তর্রাজ্য সীমান্ত
উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক; দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর, বংশিহারী, তপন সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক; মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের সাথে মালদহ জেলার সীমানা বন্টিত৷
অান্তঃরাজ্য সীমান্ত
বিহারের কাটিহার জেলার পরাণপুর, বারসোই, অজমগড়, আমদাবাদ তহশিল ও ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার রাজমহল, উদুয়া তহশিলের সাথে মালদহ জেলার সীমানা বন্টিত৷
আন্তর্জাতিক সীমান্ত
বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, শিবগঞ্জ উপজেলা ও নওগাঁ জেলার সাপাহার, পরশা উপজেলার সাথে মালদহ জেলার আন্তর্জাতিক সীমানা বন্টিত৷
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
- আবু বরকত আতাউর গণী খান চৌধুরী ; ভারতের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী
- গোলাম হুসেইন ; ঐতিহাসিক
- অধ্যাপক বিনয় কুমার সরকার ; অর্থনীতিবিদ ও সমাজ বৈজ্ঞানিক
- শিবরাম চক্রবর্তী , প্রখ্যাত লেখক
- আবিদ আলি খান ; ঐতিহাসিক
- হরিদাস পালিত ; লোকাচারবিদ
- রজনীকান্ত চক্রবর্তী ; ঐতিহাসিক
- সুভাষ ভৌমিক ; প্রাক্তন ভারতীয় জাতীয় ফুটবলার
- চারুচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ; প্রখ্যাত লেখক
- বিধু শেখর শাস্ত্রী ; অধ্যাপক
- অসীম দাশগুপ্ত ; পশ্চিমবঙ্গ সরকার অর্থমন্ত্রী
- বিষ্ণুসেবক মিশ্র ; শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ
- সৌরিন্দ্র মোহন মিশ্র ; পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষামন্ত্রী
তথ্যসূত্র
- ধনঞ্জয় রায়, দিনাজপুর জেলার ইতিহাস, কে পি বাগচী অ্যান্ড কোম্পানি কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ২০০৬, পৃষ্ঠা ২১১
- https://www.census2011.co.in/census/district/6-maldah.html
- http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
- "DISTRIBUTION OF THE 22 SCHEDULED LANGUAGES-INDIA/STATES/UNION TERRITORIES - 2011 CENSUS" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৬।
- http://www.censusindia.gov.in/2011census/c-01.html
- "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১।
Liberia 3,786,764 July 2011 est.
- "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
Oregon 3,831,074