খালিদ হাসান মিলু

খালিদ হাসান মিলু (১৯৬০২৯ মার্চ, ২০০৫)[2] ছিলেন একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী। ১৯৮০ সালে তার সঙ্গীত জীবন শুরু হয়। মিলুর প্রকাশিত অ্যালবাম সংখ্যা ১২টি। তিনি ৫০০০ এর মতো গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। মিলুর গাওয়া কিছু জনপ্রিয় গান হলো : ‘অনেক সাধনার পরে আমি’, ‘কতদিন দেহি না মায়ের মুখ’, ‘নিশিতে যাইয়ো ফুলবনে’, ‘নীলা তুমি আবার এসো ফিরে’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’, তুমি আমার হৃদয়ে যদি থাকো’, ‘পৃথিবীকে ভালোবেসে সুরে সুরে কাছে এসে’, ‘শোনো শোনো ও প্রিয়া প্রিয়া গো’, ‘যে নদী মরুর পথে পথটি হারাল’, ‘যতদূরে যাও মনে রেখো’, ‘মনের আকাশে কালো মেঘ’, ‘যদি পারো ভালোবেসে এসো’ প্রভৃতি ।[3] তিনি ১৯৯৪ সালে 'হৃদয় থেকে হৃদয়' চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন।

খালিদ হাসান মিলু
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম১৯৬০
আদর্শপাড়া গ্রাম, পিরোজপুর জেলা, বরিশাল বিভাগ, বাংলাদেশ [1]
মৃত্যু২৯ মার্চ ২০০৫(2005-03-29) (বয়স ৪৪–৪৫)
মনোয়ারা হাসপাতাল
ধরনএকক সঙ্গীত, আধুনিক বাংলা গান, দেশাত্মবোধক গান, চলচ্চিত্রের গান
পেশাগায়ক
বাদ্যযন্ত্রসমূহভোকাল
কার্যকাল১৯৮০-২০০৪

জীবনী

খালিদ হাসান মিলুর জন্ম ১৯৬০ সালে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার আদর্শপাড়া গ্রামে।[3]

কর্মজীবন

মিলুর সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ১৯৮০ এর দশকের প্রথমার্ধে। ১৯৮০ সালে তার প্রথম অ্যালবাম 'ওগো প্রিয় বান্ধবী' প্রকাশিত হয়। তার প্রকাশিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অ্যালবামসমূহ হলো 'প্রতিশোধ নিও', 'নীলা', 'শেষ ভালোবাসা', 'আয়না', 'মানুষ’ ও ‘শেষ খেয়া’ । ১৯৮২ সাল থেকে তিনি চলচ্চিত্রের গানে নেপথ্যে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন এবং প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন।[3] ১৯৯৪ সালে 'হৃদয় থেকে হৃদয়' চলচ্চিত্রের ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’ গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

তার দুই ছেলের নাম প্রতীক হাসান ও প্রীতম হাসান[4]। দুজনেই সঙ্গীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত।[5][6]

মৃত্যু

মিলু ২০০৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এর পূর্বে ২০০১ সালে তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০০৪ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্যাংককও নেওয়া হয়। এছাড়া তিনি লিভার সিরোসিস রোগে ভুগছিলেন।[3]

ডিস্কোগ্রাফি রুহুল আমিন

অ্যালবাম

  • ওগো প্রিয় বান্ধবী (১৯৮০)
  • প্রতিশোধ নিও
  • নীলা[7]
  • শেষ ভালোবাসা
  • আয়না
  • মানুষ
  • শেষ খেয়া

নেপথ্যে কণ্ঠ দেওয়া চলচ্চিত্র

পুরস্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. "Khalid Hassan Milu is no more"The Daily Star। মার্চ ৩০, ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ৭, ২০১৫
  2. "আজ স্বর্ণকণ্ঠ শিল্পী 'খালিদ হাসান মিলু'র ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী"সঙ্গীতাঙ্গন। ২৯ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭
  3. "Khalid Hassan Milu is no more"দ্য ডেইলি স্টার। ৩০ মার্চ ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭
  4. jugantor.com। "প্রীতম হাসান : যেন বাবার কণ্ঠের ধারক-বাহক | তারাঝিলমিল | Jugantor"jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২৬
  5. "'ইত্যাদি'তে খালিদ হাসান মিলুর দুই ছেলের গান"দৈনিক সমকাল। ২৮ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭
  6. "বিবিসির সাথে গান-গল্প: তরুণ গায়ক প্রতীক হাসান"বিবিসি বাংলা। ১৪ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭
  7. "নীলা - খালিদ হাসান মিলু"রকমারি.কম। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.