ওসমানী নগর উপজেলা

ওসমানী নগর উপজেলা, বাংলাদেশের সিলেট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ২ জুন, ২০১৪ তারিখে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) ১০৯তম সভায় এই উপজেলা গঠনের অনুমোদন দেয়া হয়।[2]

ওসমানী নগর
উপজেলা
বাংলাদেশে ওসমানী নগর উপজেলার অবস্থান
ওসমানী নগর
ওসমানী নগর
বাংলাদেশে ওসমানী নগর উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৩′৫.৬৭৮″ উত্তর ৯১°৪৪′৪৭.৬৫২″ পূর্ব
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসিলেট জেলা
আয়তন
  মোট২২৪.৫৪ কিমি (৮৬.৭০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১৪)[1]
  মোট২,৩০,৪৬৭
  জনঘনত্ব১০০০/কিমি (২৭০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
  মোট%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৬০ ৯১ ৬০
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ভৌগোলিক অবস্থান

ওসমানীনগনর উপজেলা কুশিয়ারা নদীর তীরে সিলেট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। উত্তরে সিলেট সদর উপজেলা, দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলা সদর, পূর্বে বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, পশ্চিমে বিশ্বনাথ এবং জগন্নাথপুর উপজেলা অবস্থিত।

প্রশাসনিক কাঠমো

গত ১৩ জুন, ২০১৫ থেকে ওসমানী নগর উপজেলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই উপজেলার আয়তন ২২৪ দশমিক ৫৪ বর্গকিলোমিটার। আটটি ইউনিয়ন নিয়ে এই উপজেলা গঠিত। ইউনিয়নগুলোঃ-

ওসমানীনগর উপজেলার প্রথম উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোহাম্মদ শওকত আলী। তিনি ১৩ জুলাই, ২০১৫ তারিখে উক্ত উপজেলায় প্রথম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।

ইতিহাস

০৫ জানুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে বালাগঞ্জ থানার অধীনে প্রথম ওসমানীনগর থানা তথ্য কেন্দ্র চালু করা হয় এবং ২৩ মার্চ, ২০০১ তারিখে ওসমানীনগর একটি সতন্ত্র থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ০২ জুন, ২০১৪ তারিখে নিকারের ১০৯তম সভায় সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানাকে ওসমানীনগর উপজেলায় উন্নীতকরণ করা হয়।[3]

নামকরণ

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বঙ্গবীর জেনারেল মোঃ আতাউল গণি ওসমানী’র পৈতৃক নিবাস এই উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নে অবস্থিত। মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী জেনারেল এম এ জি ওসমানী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশেষ অবদান রাখেন। ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনী, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দেশকে শত্রম্নমুক্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এই মহান ব্যক্তির পৈত্রিক নিবাস এ উপজেলার ঐতিহ্য বহন করে এবং যা এই উপজেলার মানুষের গর্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম কোনো মুক্তিযোদ্ধার নামানুসারে ‘‘ওসমানীনগর’’ উপজেলার নামকরণ করা হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত

এই উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৩০,৪৬৭ জন। যার মধ্যে পুরুষঃ ১,০৯,৭৯৮ জন এবং মহিলাঃ ১,২০,৬৬৯ জন। এর মধ্যে ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ১,৮৭,০১৫ জন ভোটার রয়েছেন।[3]

অর্থনীতি

এই উপজেলার বেশীর ভাগ মানুষ প্রবাসী। এদের বেশীর ভাগ যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

  • মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী, শ্রীচৈতন্য চরিতাম্মৃত গ্রন্থের লেখক মুরারী গুপ্ত, শিক্ষাবিদ শরৎচন্দ্র চৌধুরী, সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান, ইনামুল হক, শাহ আজিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, জৈন উল্লাহ স্যার, রাম রঞ্জন ভট্টাচার্য্য।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ইউনিয়ন সমূহ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৬
  2. "নতুন দুই উপজেলার অনুমোদন"যুগান্তর। ঢাকা। ২ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫
  3. "উপজেলা ঘোষণার নয় মাস পার হলেও কার্যক্রম শুরু হয়নি ওসমানী নগরের"www.bhorerkagoj.com। ২০১৫-০২-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-১১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.