ইসলামের পয়গম্বর

ইসলামের পয়গম্বর (আরবি: نبي) হলেন সেই সকল ব্যক্তিত্ব যাদেরকে মুসলমানগণ স্রষ্টা কর্তৃক মানুষের দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য মনোনীত হিসাবে বিবেচনা করে। ইসলামী পরিভাষায় একে বলা হয় নবী (বহু আনবিয়া)।

Part of a series on
পয়গম্বরবৃন্দ, সালাফ এবং খলিফা:

ইসলামের পয়গম্বর


আহলুল বাইত
উম্মাহাতুল মুমিনীন


সাহাবা
তাবেয়ী
তাবে তাবেয়ীন'


খলিফা

ইমাম

ইসলামী ঐতিহ্য মতে ঈশ্বর প্রত্যেক জাতির নিকট পয়গম্বরগণকে প্ররণ করেছেন। ইসলাম ধর্ম মতে একমাত্র মুহাম্মদই সমগ্র মানবজাতির নিকট আল্লাহর বার্তা পৌছানোর জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন এবং অপর সকল পয়গম্বরগণ নির্দিষ্ট একটি গোত্র বা জাতির জন্যে প্রেরিত হয়েছিলেন।

ইহুদিখ্রীষ্টধর্মের বিপরীতে, ইসলাম আল্লাহর বার্তবাহক এবং পয়গম্বরের বর্ণনা দেওয়া হয় এভাবে যে, উভয়ই "ঐশ্বরিক অণুপ্রেরণা"র দ্বারা আল্লাহর প্রত্যাদেশ প্রাপ্ত এবং রাসূলগণ(বার্তবাহক) গ্রন্থ আকারে একটি সম্প্রদায়ের জন্য ঐশ্বরিক বার্তা প্রদান করেন এবং পয়গম্বরগণ আল্লাহর কর্তৃক সাফল্যের নিশ্চয়তা প্রাপ্ত ব্যক্তি।

কয়েকজন বার্তাবাহক বা পয়গম্বরের নাম কুরআনে উল্লেখিত আছে। মুসলিমগণ বিশ্বাস করে আদম(আ.). হলেন প্রথম পয়গম্বর, পক্ষান্তরে শেষ পয়গম্বর হলেন মুহাম্মদ (সা.), তাই তার উপাধি, নবীদের সিলমোহর। খ্রীষ্টধর্মের মতই ইসলামেও ঈসা (আ.)-এর (জেসাস) জন্ম কৌমারিকেয় জন্মের ফসল এবং তিনি নবী হিসাবে বিবেচিত হন কারণ আল্লাহর নিকট হতে তিনি ওহী প্রাপ্ত। জেসাস একজন বার্তাবাহক হিসেবেও বিবেচিত হন কারণ আল্লাহ তার নিকট সুসমাচার অবতীর্ণ করছিলেন।[1] অবশ্য, খ্রীষ্টধর্মের বিপরীতে, ইসলাম ধর্মে, তাকে আল্লাহর পুত্র দাবি করার বিরোধী করা হয় এবং জেসাস একজন মানুষ হিসাবেই বিবেচিত হন।

কুরআনে উল্লেখ

সকল রাসুল(বার্তাবাহক) নবী(পয়গম্বর) কিন্তু সকল নবী(পয়গম্বর) রাসুল(বার্তাবাহক) নন। মুসলিমরা বিশ্বাস করে আল্লাহ্ কর্তৃক প্রেরিত সকল পয়গম্বর সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অনেক পয়গম্বরের জীবনের ঘটনা কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু পাঁচজন প্রধান পয়গম্বরের প্রথম চারজনের জীবনায়নের বিশেষ বর্ণনা ও অলঙ্কারপূর্ণ গুরুত্বের প্রতি তা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। হযরত মুহাম্মদের(সঃ) পূর্বের সকল ব্যক্তিত্বের মধ্যে, মুসা (আ) সবচেয়ে বেশী বার কোরআনে উল্লেখিত হয়েছেন। (পঞ্চমজন অর্থাৎ মুহাম্মদের (সঃ) ক্ষেত্রে, কুরআন তাঁকে সরাসরি সম্বোধন করেছে, এবং এটি প্রায়ই তাঁর অপ্রত্যাশিত সংকট উত্তরণের উপায় আলোচনা করেছে। যদিও গ্রন্থে সরাসরি তাঁর নামের ব্যবহার খুব কম।)

নিম্নপ্রদত্ত ছকে কুরআনে বর্ণিত পয়গম্বরগণের তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রযোজ্য স্থানে নামের বাইবেলীয় অনুবাদ দেওয়া হয়েছে। অধিকন্তু, কুরআনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়।

নাম (আরবি অনু.) নাম (বাইবেলীয়) প্রধান নিবন্ধ(সমুহ) উল্লেখিত পঙক্তি সমূহের সংখ্যা
আদম (আঃ) এ্যাডাম ৭৭

"আদম(আঃ) ইসলামের প্রথম নবী এবং প্রথম মানব। আল্লাহ তাকে সৃষ্ট করে চল্লিশ দিন শুকনো দেহে রাখার পরে জীবন দান করেন। ইহুদী এবং খ্রীষ্টিয় রীতিতেও তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি এ্যাডাম ও ইভ কাহিনীর জন্য বিখ্যাত।

ইদ্রিস (আঃ) ইনখ

ইদ্রিস(আঃ)-এর সময় আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষকে শাস্তি হিসাবে অনাবৃষ্টি দিয়েছিলেন, কারণ তারা তাকে ভুলে গিয়েছিল। পাপ হতে উদ্ধার ও কষ্ট হতে পরিত্রাণ পাবার জন্য ইদ্রিস আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন এবং তাতে পৃথিবীতে বৃষ্টি হয়েছিল।

নূহ(আঃ) নোয়া ৪৭

যদিও মহাপ্লাবনের জন্য তিনি সর্বাপেক্ষা পরিচিত, নূহ্ (আঃ) তার কালের একজন প্রধান একত্ববাদী প্রচারক। মুসলিমরা বিশ্বাস করে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসই তাকে নৌকা তৈরির সিদ্ধান্তে সাহায্য করেছিল। খ্রীষ্টিয় ও ইহুদি ঐতিয্য অনুসারে মহাপ্লাবন ছিল বিশ্বব্যাপী ঘটনা, যার বিপরীতে ইসলামে কিছু ভিন্ন মত আছে, যেখানে নূহের মহাপ্লাবন ছিল আঞ্চলিক বা বিশ্বব্যাপী।

হুদ(আঃ) ইবার

হুদ (আঃ)একজন নবী যার নামানুসারে কোরআনের একাদশ পরিচ্ছেদের নামকরণ হয়েছে। মুসলিমরা বিশ্বাস করে তিনি ছিলেন আল্লাহ দ্বারা প্রেরিত ভয়াবহ এক ঝড়ের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া অল্প কিছু লোকদের ভেতর একজন। এই দৈবদূর্বিপাক হয়েছিল মহাপ্লাবনের পাঁচ পুরুষ পরে, ‘আদ জাতিকে শাস্তি দিতে, যারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে পাপে নিমজ্জিত ছিল। বাইবেলের পুরাতন নিয়মে হুদের কোন উল্লেখ নাই।

সালিহ্(আঃ) শালহ

কোরআন অনুসারে আল্লাহ সালিহ্-(আ)কে তার জাতি সামুদকে পরিত্যাগ করতে আদেশ দেন, যখন তারা আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাস ও আদেশ অমান্য করেছিল। আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেছিলে একটি বিশেষ উটকে যত্ন করতে, কিন্তু তারা ঐ উটকে হত্যা করে। সালিহ্ ও তার সহযোগীগণের (বিশ্বাসীগণ) অনুপস্থিতিতে আল্লাহ আকাশ হতে এক ভয়ঙ্কর আওয়াজের মাধ্যমে ঐ লোকদেরকে তৎক্ষণাৎ মেরে ফেলেন। দ্রষ্টব্য যে পুরাতন নিয়ম বর্ণিত শেলাহ সালিহ্ নন।

ইব্রাহিম(আঃ) আব্রাহাম ৭১

মক্কার কাবা পুনঃনির্মানের জন্য মুসলিমরা ইব্রাহিমকে একজন অন্যতম নবী হিসাবে বিবেচনা করে। পুত্র ইসমাইলসহ(আঃ) তার পরিবারকে, মক্কার চারপাশে সভ্যতা গড়ে তোলায় সাহায্য করার স্বীকৃতি দেওয়া হয় যা পরবর্তিতে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদের (সাঃ) জন্ম দেয়। ইব্রাহিম তার পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশ্য প্রায় উৎসর্গ করার ঘটনার জন্যও বিখ্যাত যা বর্তমানে ঈদ উল-আজহার মাধ্যমে প্রতিবছর স্বরণ করা হয়। তিনিই প্রথম নবী যিনি বিশ্বাসীদেরকে “মুসলিম” বলে অভিহিত করেছেন যার অর্থ “আল্লাহর নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা”। তাকে জাতির পিতা অভিহিত করা হয়।(আল-হাজ্জ ২২:৭৮)

লুত(আঃ) লুট ২৯

লুত (আঃ)তার সম্প্রদায়কে পুরুষ-সমকামিতার বিরুদ্ধে প্রচারণা এবং সাথে সাথে আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য আহ্বান করেন। যা তাকে ঐ স্থানের লোকদের দ্বারা উপেক্ষা ও তামাসার পাত্রে পরিণত করে। লুত ছিলেন তার সমসাময়ীক ইব্রাহিমের বোনের ছেলে।আল্লাহ্ এই অবাধ্য সম্প্রদায়কে শাস্তি দেয়ার জন্য এই নগরীতে ফেরেস্তা পাঠান। রাত শেষ হওয়ার পূর্বে লুত তার অনুসারী সহ, তার স্ত্রী ছাড়া, সে স্থান ত্যাগ করেন। ফেরেস্তারা ঐ ভূমি উল্টিয়ে দিয়ে এবং প্রস্থর বৃষ্টি বর্ষণ করে সম্প্রদায়কে বিনাশ করেন। এই স্থানটি বর্তমানে জর্ডান নদীর তীরবর্তী ডেড্ সী-এর নিকট সাদূম্ নগরী। এজন্য পুংসমকামিতাকে সডমি বলে।

ইসমাইল(আঃ) ইশ্মায়েল ১২

ইসমাইল(আঃ), ইব্রাহিমের(আঃ) প্রথম পুত্র, তার প্রায়-উৎসর্গ হওয়ার ঘটনার জন্য ইসলামে উল্লখযোগ্য একজন নবী। শৈশবে তিনি ও তার মা হাজেরার মক্কায় পানি খোঁজার চেষ্টার কারণে আল্লাহ জমজম কুপ প্রকাশিত করেন, যা আজও বহমান।

ইসহাক(আঃ) আইজেক ১৬

ইসলামী ধর্মানুসারে, ইসহাক(আঃ), ইব্রাহিমের(আঃ) দ্বিতীয় পুত্র, কেনানে নবী হন। তিনি ও তার ভাই ইসমাইল(আঃ) ইসলামের নবী হিসাবে ইব্রাহিমের(আঃ) উত্তরাধিকারী।

ইয়াকুব (আঃ) জেকব ১৯

কুরআন অনুযায়ী ইয়াকুব(আঃ) ছিলেন “মনোনীত ও সৎ সাহচর্য” [2] এবং তিনি তার পিতা ইসহাক ও পিতামহ ইব্রাহিমের(আঃ) ঐতিহ্য বহন করেছিলেন। পূর্বপূরুষদের অনুরুপ তিনিও আল্লাহর আরাধনায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন।

ইউসুফ (আঃ) যোসেফ ৩৭

কুরআন অনুসারে ইউসুফ(আঃ), (ইয়াকুবের)(আঃ) পুত্র এবং ইব্রাহিমের(আঃ) পৌত্র, মিসরের রাজার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শদাতায় পরিণত হন যখন থেকে রাজা একটি সপ্ন দেখেন, যা মিসরের অর্থনৈতিক অবস্থার পূর্বাভাস হিসাবে ইউসুফ ব্যাখ্যা করেন। তার এগারো ভাই হতে তিনি জীবনের একটি বড় অংশ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অতিবাহিত করেন, যারা ইউসুফের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ ছিল কারণ তাদের পিতা তার প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতেন। তারা তাকে খেলতে নিয়ে গিয়ে একটি কুপের ভেতরে ফেলে দিয়েছিল এবং তাদের পিতাকে বলেছিল যে ইউসুফকে একটা নেকড়ে খেয়ে ফেলেছে। ইসলামী মতে ইউসুফকে মানবজাতির ৫০ শতাংশ সৌন্দর্য্য দ্বারা পুরষ্কৃত করা হয়েছিল।

আইউব(আঃ) জব

ইসলামী ঐতিহ্য আনুযায়ী, আল মাজদাল এর বাইরে তার নিজ এলাকায় আল্লাহর সেবা করার কারণে, আইউব(আঃ) তারুণ্যের ঝর্না দ্বারা পুরষ্কৃত হয়েছিলেন, যা মৃত্যু ছাড়া সকল জরাব্যাধি দূর করেছিল। বিশ্বাস করা হয় যে, আইউব ধৈর্যধারণ করার পরীক্ষা হিসাবে ১৮ বছর আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত একটি ব্যাধিতে কষ্ট পান।

শুয়াইব (আঃ) জেথ্র

শুয়াইব (আঃ) ছিলেন ইব্রাহিমের (আঃ) সরাসরি বংশধর। ইসলাম অনুসারে, তিনি আল্লাহ কর্তৃক নিয়োজিত ছিলেন মাদিয়ান এবং আয়কাহর মানুষদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য, যারা সিনাই পর্বতের নিকট বাস করত। যখন ঐ এলাকার মানুষেরা তার নিষেধ অমান্য করেছিল, তখন আল্লাহর অবিশ্বাসীদের গ্রামকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। যদিও এটি কোরানে উল্লেখ আছে, এবং পয়গম্বর মুহাম্মদের বাণীতে উধৃত হয়েছে যে মুসা(আঃ) শয়াইবের(আঃ) একজন কন্যাকে বিয়ে করে ছিলেন, এবং একই বিষয়ে পুরাতন নিয়মে জেথ্র নামক ব্যক্তির কথা বর্ণিত আছে। তবে কিছু বিষেশজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে পুরাতন নিয়মে বর্নিত জেথ্র আর কোরআনের শুয়াইব এক ব্যক্তি নন।

মুসা (আঃ) মোজেস ১৩৬

মুসা(আঃ)- আল্লাহর একজন বড় রাসুল ছিলেন। তার উপর আল্লাহ তাওরাত কিতাব নাযিল করেন। মুসা (আঃ) জন্ম গ্রহণ করেন ফেরাউনের সময়। কুরআনে তার সময়ে ফেরাউনের নীল নদে নিমজ্জিত হওয়ার কাহানি বর্ণিত আছে। মুসলমানদের কাছে মুসা (আঃ) একজন সম্মানিত নবি রাসুল। হযরত মুসা (আঃ) এর সম্প্রদায়ের নাম ছিল বনী-ইসরাঈল। তার মু'জেযাসমূহ বিগত অন্যান্য নবী-রসূলগণের তুলনায় যেমন সংখ্যায় বেশী, তেমনিভাবে প্রকাশের বলিষ্ঠতার দিক দিয়েও অধিক। হযরত মুসা (আঃ) ইহুদী ‍সম্প্রদায়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল।

হারুন (আঃ) এরন

হারুন (আঃ)-হারুন (আরবি: هارون, হারুন) যেখানে আল্লাহর নবী হিসাবে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে । কুরআনে বারবার হারুন (আঃ) এর প্রশংসায় আহ্বান করেছে একজন "মুমিন বান্দা" হিসাবে। হারুন (আঃ) ছিলেন মুসা (আঃ) ভাই আল্লাহই তাকে মুসা (আঃ) সাথে র্ধম প্রচারের জন্য মনোনিত করেছিলেন।

দাউদ (আঃ) ডেভিড

হযরত দাউদ(আঃ)- ডেভিড বা দাউদ (/ˈdeɪvɪd/; হিব্রু: דָּוִד, דָּוִיד, আধুনিক David টিবেরিয়ান Dāwîḏ; ISO 259-3 Dawid; আরবি: داوُود‎ Dāwūd; টেমপ্লেট:Lang-syr Dawid; Strong's: Daveed) বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে, তিনি ছিলেন একজন ইসরাঈল রাজতন্ত্রের দ্বিতীয় রাজা এবং বাইবেলের নতুন নিয়ম অনুসারে গালাতীয়দের প্রতি পত্র ও লূকলিখিত সুসমাচার মতে যীশুর পুর্বপুরুষ ইয়াকুবের পুত্র, ইয়াহুদার অধস্তন বংশধর। তার পিতার নাম ঈসা। অনেক পুত্র সন্তানের মধ্যে দাউদ ছিলেন পিতার কনিষ্ঠ সন্তান।[

সুলায়মান(আঃ) সুলেমন'

সুলায়মান(আঃ)- সুলায়মান (আঃ) (হিব্রু ভাষায়: שְׁלֹמֹה, আধুনিক হিব্রু: Šəlomo or Šlomo, আরবি ভাষায়: سليمان সুলায়মান) কুরআনের বর্ণনা অণুসারে, তিনি ছিলেন একজন নবী এবং প্রতাবশালী বাদশাহ্‌। হিব্রু বাইবেলের অনুসারে, তিনি ছিলেন ইসরায়েলের প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ একজন রাজ়া। তার জন্ম আনুমানিক ১০১১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এবং মৃত্যু আনুমানিক ৯৩১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ; এবং তার রাজত্ব কাল ছিল প্রায় ৯৭০ থেকে ৯৩০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী। তিনি ছিলেন হযরত দাউদ (আঃ)-এর পুত্র। কথিত আছে, হজরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং আল্লাহ তাআলার মহিমা তুলে ধরতে সেখানে পুনর্নির্মাণ করে গড়ে তোলেন মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ।

হযরত ইলিয়াস (আঃ) ইলিয়াস ১৩৬

হযরত ইলিয়াস (আঃ)- (হিব্রু: אֱלִיָּהוּ, Eliyahu, যার অর্থ "আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর হয়") আরবি: إيلياس إليا, ইলিয়াস Ilya) একজন নবী এবং ইস্রায়েলের উত্তর রাজ্যে একটি আশ্চর্যের-কর্মী ছিলেন। ইলিয়াস(আঃ) তার প্রচার একটি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বর্ণনা করতেন যেখানে কুরআন, উল্লেখ করা হয়. কুরআন ইলিয়াস আল্লাহর উপাসনা করতে আসা এবং বাল, এলাকার প্রাথমিক প্রতিমা পূজা ত্যাগ করতে তার লোকদের বলেন যে বর্ণনা করেন. কুরআন বলে: ""নিশ্চয়ই ইলিয়াস প্রেরিতদের এক. যখন তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন: "আপনি আল্লাহর ভয় করবে না?" তোমরা Ba'al উপর কল ও নির্মাতাগণ, আল্লাহর, আপনার পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা এর শ্রেষ্ঠ ছেড়ে দিবেন ""?

হযরত আল-ইয়াসা (আঃ) ইলীশায়

হযরত আল-ইয়াসা (আঃ)- আল-ইয়াসা (/ ᵻlaɪʃə / [1] হিব্রু: אֱלִישָׁע, আধুনিক আল ইয়াসা Tiberian'Ĕlîšā'; "আমার আল্লাহ বা ঈশ্বর উদ্ধারকর্তা", গ্রিক: Ἐλισσαῖος, Elissaîos বা Ἐλισαιέ, Elisaié, আরবি: اليسع আল yasa') একজন নবী যার জীবন হিব্রু বাইবেলে নথিভুক্ত করা হয়, তিনি গ্রন্থ, নিউ টেস্টামেন্ট, কুরআন, Ginza RBA এবং বাহাই লেখায় উল্লেখ করা হয়.তার নামটি সাধারণত আল-ইয়াসা যেমন ইংরেজিতে হিব্রু, ইলীশায়ের মাধ্যমে গ্রিক ও ল্যাটিন, বা Alyasa মাধ্যমে আরবি, Elyesa মাধ্যমে তুর্কি মাধ্যমে বর্ণান্তরিত হয়. তিনি মাহেরকে শিষ্য ছিলেন এবং, পরে ইলিয়াস ঘূর্ণিবায়ু তুলে নেওয়া হল, আল-ইয়াসা ভাব্বাদীদের নেতা হিসেবে গৃহীত হয়েছিল.

পবিত্র কুরআনে এই নবী সম্পর্কে সূরা আন‘আম ৮৬ ও সূরা ছোয়াদ ৪৮ আয়াতে বর্ণিত হয়েছে অন্য নবীগণের নামের সাথে। সূরা আন‘আম ৮৩ হ’তে ৮৬ আয়াত পর্যন্ত ইলিয়াস ও আল-ইয়াসা‘ সহ ১৭ জন নবীর নামের শেষদিকে বলা হয়েছে- وَإِسْمَاعِيْلَ وَالْيَسَعَ وَيُونُسَ وَلُوْطاً وَكُلاًّ فضَّلْنَا عَلَى الْعَالَمِيْنَ- (الأنعام ৮৬)- ‘ইসমাঈল, আল-ইয়াসা‘, ইউনুস, লূত্ব তাদের প্রত্যেককেই আমরা বিশ্বের উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি’ (আন‘আম ৬/৮৬)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, وَاذْكُرْ إِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَذَا الْكِفْلِ وَكُلٌّ مِّنَ الْأَخْيَارِ- (ص ৪৮)- ‘আর তুমি বর্ণনা কর ইসমাঈল, আল-ইয়াসা‘ ও যুল-কিফলের কথা। তারা সকলেই ছিল শ্রেষ্ঠগণের অন্তর্ভুক্ত’ (ছোয়াদ ৩৮/৪৮)। তিনি ইফরাঈম বিন ইউসুফ বিন ইয়াকূব-এর বংশধর ছিলেন। তিনি ইলিয়াস (আঃ)-এর চাচাতো ভাই এবং তার নায়েব বা প্রতিনিধি ছিলেন। হযরত ইলিয়াস (আঃ) সুলায়মান (আঃ) পরবর্তী পথভ্রষ্ট বনু ইস্রাঈলগণের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। তার পরে আল-ইয়াসা‘ নবী হন এবং তিনি ইলিয়াস (আঃ)-এর শরী‘আত অনুযায়ী ফিলিস্তীন অঞ্চলে জনগণকে পরিচালিত করেন ও তাওহীদের দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। বাইবেলে তাঁর বিস্তারিত অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। সেখানে তাঁর নাম ‘ইলিশা ইবনে সাকিত’ বলে উল্লেখিত হয়েছে।

হযরত যুল-কিফ'ল (আঃ) ইজেকিয়েল

হযরত যুল-কিফ'ল আ- যুল-Kifl, বা Zul-Kifl (আরবি: ذو الكفل; একটি ভাঁজ অধিকারী) (. গ 600 খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) একটি ইসলামী নবী বিভিন্ন হিব্রু বাইবেলের ভাববাদীরা, সবচেয়ে বেশি যিহিষ্কেল সঙ্গে পরিচয় হয়েছে. এটা বিশ্বাস করা হয় যে, তিনি প্রায় 75 বছর ধরে বসবাস করতেন এবং তিনি অধুনা ইরাক কি প্রচার. যুল-Kifl, উচ্চ মর্যাদা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয় এবং গুড এর "কোম্পানির একজন মানুষ হিসেবে কুরআনে লিপিবদ্ধ করা হয়. যদিও অনেক না অন্য ঐতিহাসিক সূত্র থেকে যুল Kifl পরিচিত হয় যেমন ইবনে ইসহাক ও ইবনে কাসীর হিসেবে শাস্ত্রীয় মন্তব্যকারীদের, থেকে সব লেখা, একটি ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ, সাত্ত্বিক মানুষ যারা প্রতিদিন প্রার্থনা ও উপাসনার মধ্যে বিশ্বস্ত হিসেবে যুল Kifl তো দূরের কথা.

পবিত্র কুরআনে কেবল সূরা আম্বিয়া ৮৫-৮৬ ও ছোয়াদ ৪৮ আয়াতে যুল-কিফলের নাম এসেছে। তিনি আল-ইয়াসা‘-এর পরে নবী হন এবং ফিলিস্তীন অঞ্চলে বনু ইস্রাঈলগণের মধ্যে তাওহীদের দাওয়াত দেন। আল্লাহ বলেন, وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِدْرِيْسَ وَذَا الْكِفْلِ كُلٌّ مِّنَ الصَّابِرِيْنَ- وَأَدْخَلْنَاهُمْ فِيْ رَحْمَتِنَا إِنَّهُمْ مِنَ الصَّالِحِيْنَ- (الأنبياء ৮৫-৮৬)- ‘আর তুমি স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস ও যুল-কিফলের কথা। তারা প্রত্যেকেই ছিল ছবরকারী’। ‘আমরা তাদেরকে আমাদের রহমতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। তারা ছিল সৎকর্মশীলগণের অন্তর্ভুক্ত’ (আম্বিয়া ২১/৮৫-৮৬)।

হযরত ইউনুস (আঃ) যোনা

হযরত ইউনুস(আঃ)- (হিব্রু ভাষায়: יוֹנָה, আধুনিক হিব্রু: Yona, তিবেরিয়ান: jon'ɔh, "dove"; আরবি:يونس, ইউনুস আথবা يونان, ইউনান; লাতিন: Ionas) কুরআনের বর্ণনা অনুসারে, তিনি ছিলেন একজন নবী। যাকে 'নীনাওয়া' বাসীদেরকে হিদায়াতের জন্য আল্লাহ প্রেরণ করেন। ইউনূস (আ:)এর বংশ সম্পর্কে শুধু এটুকুই জানা যায় যে, তার পিতার নাম ছিল 'মাত্তা'। বুখারী শরীফের একটি হাদীসে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস হতে এ কথা স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। বাইবেলে ইউনূস (আ:)এর নাম 'ইউনাহ' এবং তার পিতার নাম 'আমতা' বলা হয়েছে। তবে ইউনূস ইবনে মাত্তাহ এবং ইউনাহ ইবনে আমতার মাঝে ব্যক্তি হিসেবে কোন পার্থক্য নেই। এটা আরবি ও হিব্রু ভাষার উচ্চারণের পার্থক্য। কুরআনে বলা হয়েছে, وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِيْنَ- إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُوْنِ- فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الْمُدْحَضِيْنَ- فَالْتَقَمَهُ الْحُوْتُ وَهُوَ مُلِيْمٌ- (الصافات ১৩৯-১৪২)- ‘আর ইউনুস ছিল পয়গম্বরগণের একজন’। ‘যখন সে পালিয়ে যাত্রী বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছল’। ‘অতঃপর লটারীতে সে অকৃতকার্য হ’ল’। ‘অতঃপর একটি মাছ তাকে গিলে ফেলল। এমতাবস্থায় সে ছিল নিজেকে ধিক্কার দানকারী’ (ছাফফাত ৩৭/১৩৯-১৪২)।

হযরত যাকারিয়া (আঃ) জাকারিয়াহ

হযরত যাকারিয়া (আঃ)- (আরবি: زكريا যাকারিয়া; অর্থ: আল্লাহর স্মরণ করেছেন ইসলামেও একজন নবী, এবং কোরানে উল্লেখ করা হয়. মুসলিমরা এও বিশ্বাস করে তিনি মরিয়মের অভিভাবক হয়েছিলেন, এবং তিনি ইয়াহিয়া (আ.)এর বাবা ছিলেন। কিছু মুসলমানদের বিশ্বাস জাকারিয়া শহীদ হয়েছিলেন। একটি পুরানো ঐতিহ্য বর্ণনা করেন যে, সখরিয় অর্ধেক sawed ছিল,একটি মৃত্যুর যা বর্ণনার অনুরূপ যে নবীদের জীবনে যিশাইয় আরোপিত মধ্যে. জাকারিয়া একজন ধার্মিক যাজক এবং আল্লাহ যার প্রধান কেন্দ্র জেরুশালেমে প্রার্থনা ঘরে ছিলেন নবী.

যাকারিয়া (আঃ) সম্পর্কে কুরআনে কেবল এতটুকু বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি মারিয়ামের লালন-পালনকারী ছিলেন। এ বিষয়ে আল্লাহ সূরা আলে-ইমরানে যা বলেন, তার সার-সংক্ষেপ এই যে, ইমরানের স্ত্রী মানত করেছিলেন যে, আমার গর্ভের সন্তানকে আমি আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করে দিলাম। তিনি ধারণা করেছিলেন যে, তার একটি পুত্র সন্তান হবে এবং তাকে তিনি আল্লাহর ঘর বায়তুল মুক্বাদ্দাসের খিদমতে নিয়োগ করবেন। কিন্তু পুত্রের স্থলে কন্যা সন্তান অর্থাৎ মারিয়াম জন্মগ্রহণ করলে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। আল্লাহ তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, لَيْسَ الذَّكَرُ كَالأُنْثَى ‘এই কন্যার মত কোন পুত্রই নেই’ (আলে-ইমরান ৩/৩৬)।

হযরত ইয়াহিয়া (আঃ) জন ব্যাপটিস্ট

হযরত ইয়াহিয়া(আঃ)- (হিব্রু: יוחנן המטביל, Yo-hanan ha-matbil; আরবি: يحيى‎ Yahyá এবং يوحنا Yūhannā; আর্মেনীয়: ܝܘܚܢܢ Yokhanan)[১] কুরআনের বর্ণনা অনুসারে, তিনি ছিলেন একজন নবী। সূরা মারইয়ামে হযরত ইয়াহিয়া (আ:) কথা বলা হয়েছে। যাকারিয়া (আঃ) ও ইয়াহইয়া (আঃ) সুলায়মান (আঃ) পরবর্তী দুই নবী, যারা পরস্পরের পিতা-পুত্র ছিলেন এবং বায়তুল মুক্বাদ্দাসের অধিবাসী ছিলেন। ইয়াহইয়া ছিলেন পরবর্তী নবী ঈসা (আঃ)-এর আপন খালাতো ভাই এবং বয়সে ছয় মাসের বড়। তিনি ঈসার (আঃ) ছয় মাস পূর্বেই দাওয়াতের কাজ শুরু করেন। হযরত যাকারিয়া ও ইয়াহ্ইয়া (আঃ) সম্পর্কে ৪টি সূরার ২২টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে সূরা আন‘আমে কেবল ১৮জন নবীর নামের তালিকায় তাদের নাম উল্লেখিত হয়েছে। বাকী অন্য সূরাগুলিতে খুবই সংক্ষেপে কেবল ইয়াহ্ইয়ার (আঃ) জন্ম বৃত্তান্ত সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে।

হযরত ঈসা (আঃ) যীশু

হযরত ঈসা(আঃ)- ঈসা ইবনে মারিয়াম ( আরবি: عيسى, অক্ষরীকরণ: ʿĪsā ), যিনি নিউ টেস্টামেন্টে যিশু নামে পরিচিত, ইসলাম ধর্মে একজন নবী ও রাসূল এবং মসীহ হিসেবে স্বীকৃত।

খ্রিস্টধর্মের মত ইসলাম ধর্মেও তিনি সম্মানিত একজন নবী; তবে ইসলাম ধর্মে তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে স্বীকার করা হয় না। বলা হয় যে, ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য যখন বাহক তাকে নিতে ঘরে প্রবেশ করে তখনই আল্লাহ তাকে উপরে তুলে নেন এবং বাহকের চেহারাকে ঈসা-এর চেহারার অনুরুপ করে দেন; ফলে ঈসা মনে করে ঐ বাহককে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। ইসলাম বলে যে, ঈসা বর্তমানে জীবিত অবস্থায় আসমানে অবস্থান করছেন। কেয়ামতের পূর্বে মসীহ দাজ্জালের আবির্ভাবের পর ঈসা নবী মুহাম্মদ-এর একজন উম্মত বা অনুসারী হিসেবে পুনরায় পৃথিবীতে অবতরণ করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এরপর সমস্ত পৃথিবীর শাসনভার গ্রহণ করবেন এবং পৃথিবীতে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। সবশেষে তিনি একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মৃত্যুবরণ করবেন এবং মুহাম্মদ-এর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে; যে কারণে মদীনায় নবী মুহাম্মদ-এর কবরের পাশে তাকে কবর দেয়ার জায়গা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল যা এখনও বহাল আছে।

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুহাম্মাদ

হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ)- (২৯ আগস্ট ৫৭০ খ্রি: - ৮ জুন ৬৩২ হি: ; আরবি উচ্চারণ محمد (সাহায্য·তথ্য) মোহাম্মদ এবং মুহাম্মদ (সাঃ) নামেও পরিচিত; তুর্কি : মুহাম্মেদ) (সাঃ), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী। (আরবি: النبي আন-নাবিয়্যু‎) তথা "বার্তাবাহক" (আরবি : الرسول আর-রাসুল) যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক। অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা। তিনি চেয়েছিলেন সব মানুষ পৃথিবীতে শুধুমাত্র এক আল্লাহর উপাসনা করবে। তিনি এই বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. কুরআন 3:45
  2. Yusuf Ali's translation of the Qur'an, [কুরআন 38:47]

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.