ইবাদি

ইবাদী হল ইসলাম ধর্মাবলম্বীএক মাযহাব। এই মাযহাব সুন্নি বা শিয়া পন্থার অন্তর্ভুক্ত নয়। এই মাযহাবের আবির্ভাব ইবাদী আন্দোলন থেকে। এই আন্দোলন মুহাম্মাদের(সঃ) প্রয়াণের ২০ বছর পর শুরু হয় বলা হয়ে থাকে। আব্দুল্লাহ ইবন ইবাদ আল-তামিমি এই মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা মনে করা হয়। কিন্তু এই মাযহাববাদীরা দাবী করেন এর প্রতিষ্টাতা জাবির ইবন জাইদ আল-আযদি। খারাজীদের প্রভাব এই মতবাদের উপর আছে বলে মনে করা হয়।[1] ইবাদীর অনুসারীরা নিজেদেরকে "মুসলমান" বা "সরলতার লোক" বলে উল্লেখ করেন।[2][3]

বিস্তার

এ মতবাদের অনুসারীরা ওমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ওমানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অফিসিয়াল সংস্করণ হলো ইবাদিজম। ওমান ছাড়া পূর্ব আফ্রিকা, আলজেরিয়ার মজ্ব উপত্যকা, লিবিয়ার নাফুস পাহাড় এবং তিউনিসিয়াতে জেরবা দ্বীপে এ মতাবলম্বী মানুষ বাস করে।

সুন্নিদের দৃষ্টিভঙ্গি

খারেজি মতবাদের সাথে এর মিল রয়েছে বলে সুন্নিরা ইবাদিদের খারেজি বলে।

জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ হতে বর্ণীত ,এক লোক রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে জেরানা নামক স্থানে দেখা করেন। জেরানা নামক স্থানটি হল সেই জায়গা যেখানে রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) হুনায়নের যুদ্ধে প্রাপ্ত গনিমতের মাল বণ্টন করছিলেন ।সাহাবী বেলাল (রঃ) এর কাপড়ের উপর রুপার টুকরা গুলো রাখা ছিল। নবীজি সেইখান থেকে মুষ্টি বদ্ধ ভাবে মানুষকে দান করছিলেন। তখন উপস্থিত ঐ লোক বললঃ- “হে মুহাম্মদ আপনি আল্লাহ্‌কে ভয় করুন ও ইনসাফ করুন”

রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) বলেনঃ ধ্বংস তোমার জন্য ।আমি যদি ইনসাফ না করি তবে কে ইনসাফ করবে? আল্লাহর শপথ! তোমরা আমার পর এমন কোন ব্যক্তি পাবে না যে আমার চেয়ে অধিক ন্যায় পরায়ণ হবে।সাথে সাথে ওমর (রঃ) (মতান্তরে খালিদ বিন ওয়ালিদ ) বলেন হে রাসুল আপনি অনুমতি দিন আমি এই মুনাফিককে হত্যা করি। রাসুল মুহাম্মদ (সঃ) বলেনঃ না, আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই । যদি এমন কর তবে মানুষ বলবে আমি আমার সাহাবীদের হত্যা করি ।ঐ লোক চলে যাওয়ার পর ,তিনি আরও বলেন, এই লোকটা ও তার কিছু সঙ্গী থাকবে যারা কোরআন পড়বে কিন্তু কোরআন তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা ইসলাম থেকে এমন ভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর ধনুক থেকে বের হয়ে যায়।[মুসলিম শরীফ][নাসায়ী শরীফ পৃষ্ঠা ৩০৮]

এই লোকের বংশধর ও অনুসারীরাই হচ্ছে খারেজি।এরা কেমন হবে কি করবে রাসুল (সাঃ) এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলে যান।

উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্ব

  1. সুলাইমান আল বারুনী
  2. আহম্মদ বি হামাদ, ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি
  3. কাবুস বিন সাঈদ, ওমানের সুলতান
  4. নুরী আবু শাহমিয়ান, লিবিয়ার রাজনীতিবিদ
  5. মুফতি জাকারিয়া, আলজেরিয়ার লেখক

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "faith and power",(1982)
  2. "ধর্মীয় শিক্ষা ও ওমানের অভিজ্ঞতা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১৯
  3. "মুসলিম বিশ্ব : ধর্ম ও রাজনীতি | daily nayadiganta"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১৯

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.